18-06-2021, 12:54 PM
আমি বললাম, তাই নাকি? কি করে জানলে? বললে তো সমুদ্র কখনো দেখোনি।
সাথী আমার দিকে কিছুক্ষণ শান্ত চোখেই তাঁকিয়ে থাকলো। তারপর বললো, হুম দেখিনি। বান্ধবীদের মুখে শুনেছি। সেবার পিকনিকে সবাই এখানে এসেছিলো, আমি আসতে পারিনি। শেষ পর্য্যন্ত যে এভাবেই আসতে হবে ভাবতেও পারিনি।
আমি বললাম, প্রথম প্রথম সব কিছুই ভালো লাগে। পুরনো হয়ে গেলে নিরামিষ লাগে। আমি যাই।
সাথী বললো, এত যাই যাই করো কেনো? বললাম না, আমরা নুতন এসেছি। কাউকেই চিনিনা, কিছুই জানিনা। একই ক্লাশে পড়ি। বন্ধুই তো! একটু ঘুরে দেখাবে না জায়গাটা!
আমি বললাম, না মানে, একটু জরুরী কাজ আছে। অন্য কোন দিন ঘুরে দেখাবো।
সাথীও কেমন যেনো এক রোখা। বললো, ঘুরিয়ে দেখাতে চাইলে অন্য কোন দিনে আমারও আপত্তি নেই। কিন্তু, সুন্দর একটা বিকেল। বাসায় ফিরে গেলে খুব বোর লাগবে। কি কাজ তোমার?
খুব জরুরী?
আমার জরুরী কাজটা তো সেই জেলে পাড়ায় যাওয়া। সেই গেঁজো দাঁতের মেয়েটিকে যদি আরেক নজর দেখতে পারি। সেই কথা সাথীকে বলি কি করে? আমি বললাম, না, তেমন খুব জরুরী না। বন্ধুরা অপেক্ষা করে বসে থাকবে। একটু আড্ডা, এসব আর কি?
সাথী হাঁটতে থাকলো। হাঁটতে হাঁটতেই বললো, তোমার বুঝি অনেক বন্ধু?
মেয়েটা এত কথা প্যাচায় কেনো?
সাথী কলেজ ব্যাগটা কোলের উপর রেখে পাহাড়ী ঢালটার উপরই বসলো। হাত দুটি পেছনে চেপে, দেহটা পেছন হেলিয়ে বললো, জানো, আমার কোন বন্ধু নেই। আবার বলতে পারো অনেক বন্ধু। বাবার ট্রান্সফার এর চাকরী। আমাকেও কলেজ বদলাতে হয়। নুতন অনেক বন্ধু বান্ধব পাই। বছর তিন পর, সবাইকে ভুলেও যেতে হয়।
সাথীর কথা শুনে আমার খুব হিংসেই হলো। বললাম, তুমি আসলেই খুব ভাগ্যবতী। কত জায়গায় ঘুরে বেড়াতে পারো! আমি এই সমুদ্রের পার ছাড়া কিছুই চিনিনা, কিছুই জানিনা। একবার শুধু মামার বাড়ী গিয়েছিলাম। জীবনে প্রথম ট্রেনে চলেছিলাম। কি ভালো লেগেছিলো ট্রেনে চড়তে! আবারো খুব চড়তে ইচ্ছে করে।
সাথী বললো, ট্রেনে চড়ায় কোন আনন্দ আছে? কত যে চড়লাম, একদম নিরামিষ!
সাথী কি আমার কথাটাই ফিরিয়ে দিলো নাকি? আমি বললাম, নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস, ওপারেতে সর্ব সুখ আমার বিশ্বাস।
সাথী আমার দিকে কিছুক্ষণ শান্ত চোখেই তাঁকিয়ে থাকলো। তারপর বললো, হুম দেখিনি। বান্ধবীদের মুখে শুনেছি। সেবার পিকনিকে সবাই এখানে এসেছিলো, আমি আসতে পারিনি। শেষ পর্য্যন্ত যে এভাবেই আসতে হবে ভাবতেও পারিনি।
আমি বললাম, প্রথম প্রথম সব কিছুই ভালো লাগে। পুরনো হয়ে গেলে নিরামিষ লাগে। আমি যাই।
সাথী বললো, এত যাই যাই করো কেনো? বললাম না, আমরা নুতন এসেছি। কাউকেই চিনিনা, কিছুই জানিনা। একই ক্লাশে পড়ি। বন্ধুই তো! একটু ঘুরে দেখাবে না জায়গাটা!
আমি বললাম, না মানে, একটু জরুরী কাজ আছে। অন্য কোন দিন ঘুরে দেখাবো।
সাথীও কেমন যেনো এক রোখা। বললো, ঘুরিয়ে দেখাতে চাইলে অন্য কোন দিনে আমারও আপত্তি নেই। কিন্তু, সুন্দর একটা বিকেল। বাসায় ফিরে গেলে খুব বোর লাগবে। কি কাজ তোমার?
খুব জরুরী?
আমার জরুরী কাজটা তো সেই জেলে পাড়ায় যাওয়া। সেই গেঁজো দাঁতের মেয়েটিকে যদি আরেক নজর দেখতে পারি। সেই কথা সাথীকে বলি কি করে? আমি বললাম, না, তেমন খুব জরুরী না। বন্ধুরা অপেক্ষা করে বসে থাকবে। একটু আড্ডা, এসব আর কি?
সাথী হাঁটতে থাকলো। হাঁটতে হাঁটতেই বললো, তোমার বুঝি অনেক বন্ধু?
মেয়েটা এত কথা প্যাচায় কেনো?
সাথী কলেজ ব্যাগটা কোলের উপর রেখে পাহাড়ী ঢালটার উপরই বসলো। হাত দুটি পেছনে চেপে, দেহটা পেছন হেলিয়ে বললো, জানো, আমার কোন বন্ধু নেই। আবার বলতে পারো অনেক বন্ধু। বাবার ট্রান্সফার এর চাকরী। আমাকেও কলেজ বদলাতে হয়। নুতন অনেক বন্ধু বান্ধব পাই। বছর তিন পর, সবাইকে ভুলেও যেতে হয়।
সাথীর কথা শুনে আমার খুব হিংসেই হলো। বললাম, তুমি আসলেই খুব ভাগ্যবতী। কত জায়গায় ঘুরে বেড়াতে পারো! আমি এই সমুদ্রের পার ছাড়া কিছুই চিনিনা, কিছুই জানিনা। একবার শুধু মামার বাড়ী গিয়েছিলাম। জীবনে প্রথম ট্রেনে চলেছিলাম। কি ভালো লেগেছিলো ট্রেনে চড়তে! আবারো খুব চড়তে ইচ্ছে করে।
সাথী বললো, ট্রেনে চড়ায় কোন আনন্দ আছে? কত যে চড়লাম, একদম নিরামিষ!
সাথী কি আমার কথাটাই ফিরিয়ে দিলো নাকি? আমি বললাম, নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস, ওপারেতে সর্ব সুখ আমার বিশ্বাস।