18-06-2021, 12:11 PM
দরজাটা হেনাই খুলেছিলো। দরজার চৌকাঠে হাত চেপে দাঁড়িয়ে, চোখ দুটি নামিয়ে রেখে গম্ভীর চেহারা করে বললো, তুমি?
আমি বললাম, না, এমনিই। তোমাকে দেখতে এলাম।
হেনা বললো, আমাকে দেখতে? কেনো, সারাদিন ক্লাশে দেখোনি?
আমি বললাম, হ্যা, দেখেছি। কিন্তু, আর্টস, সায়েন্স, কমার্স, সব ভাগাভাগি হয়ে যাওয়ায়, খুব বেশী দেখতে পারিনি।
হেনা বললো, তো, হঠাৎ আমাকে দেখার এত প্রয়োজন পরলো কেনো?
আমি বললাম, না, খুব বেশী প্রয়োজন না। ছোটকাল থেকে একই ক্লাশে পড়ছি, অথচ কোনদিন কথাই হয়নি। আচ্ছা, তুমি সব সময় এত চুপচাপ থাকো কেনো?
হেনা বললো, চুপচাপ থাকাটা কি খারাপ?
আমি বললাম, না, সব সময় খুব গম্ভীর চেহারা করে রাখো। কখনো হাসতেও দেখিনি। একটু হাসো না।
হেনা অবাক হয়ে বললো, হাসবো? আমি?
আমি বললাম, হুম তুমি। খুব ইচ্ছে করছে, তোমার হাসি দেখতে। তোমার দাঁত দেখতে।
হেনা চোখ কপালে তুলে বললো, আমার দাঁত দেখতে ইচ্ছে করছে কেনো?
হেনার দাঁত যে কেনো দেখতে ইচ্ছে করছে, তাতো আর বলা যাবে না। আমি তো জেলে পাড়ায় দেখা সেই মেয়েটি আর হেনার দাঁতের একটা তুলনামূলক বিচার করতে চাইছি। আমি নিজের অজান্তেই বলে ফেললাম, না মানে, তোমার দাঁত গেঁজো কিনা, জানতে চাইছিলাম।
হেনা তার ঈষৎ ফুলা নীচ ঠোটটা উপর এর সরু ঠোটটার সাথে মিলিয়ে, মাথা চুলকাতে থাকলো। তারপর গম্ভীর গলায় বললো, আচ্ছা, তুমি কি দাঁতের ডাক্তার নাকি? মাত্র তো সায়েন্স নিলে। বড় হলে কি ডেন্টাল কলেজে পড়বে?
আমি অপ্রস্তুত হয়ে বললাম, না, মানে? না এখনো এইম ইন লাইফ নিয়ে ভেবে দেখিনি। অংক আর বিজ্ঞানে ভালো মার্ক ছিলো। ক্লাশ টিচার যেভাবে সায়েন্স পড়তে বলেছিলো, সেভাবেই সায়েন্স নিয়ে নিলাম। একটু হাসো না প্লীজ!
হেনা বললো, তুমি কি পাগল?
হেনার কথা শুনে আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম। বললাম, পাগল? কাউকে হাসতে বলা কি পাগলের লক্ষণ?
হেনা রাগ করেই বললো, তাহলে, কোনদিন যার সাথে আমার কোন কথাই হয়নি, তার সামনে আমি কোন প্রসংগে হাসবো।
তারপর, ধমকেই বললো, যাও, বাড়ী যাও।
আমি আমতা আমতা করেই বললাম, না মানে যাবো। তোমার হাসিটা দেখা আমার খুব জরুরী ছিলো।
হেনা বললো, আমি তোমার মতো পাগল না। শুধু শুধু কেউ হাসে না। শুধু শুধু হাসে শুধু পাগলরা, আর বোকারা। তবে, তোমাকে আমি বোকা বলবো না। কারন, মুনার মতো মেয়েকে নিয়ে যে ছেলে খেলতে পারে, সে কখনো বোকা হতে পারে না। আসলে, মুনাই বোকা। আমি হাসবো না। আমি মুনার মতো অত বোকা না।
হেনা আমার মুখের উপরই দরজাটা বন্ধ করে দিলো। আমি ব্যার্থ এক মন নিয়েই বাড়ীর পথে পা বাড়িয়েছিলাম।
হেনা কি একটু অহংকারী মেয়ে নাকি? এতদিন তো ভেবেছিলাম, শান্ত, সাধারন একটা মেয়ে। হাত বাড়ালেই হাতের মুঠুতে চলে আসবে। সবই তো ভুল। হেনা তো আমাকে রীতী মতো অপমান করলো।
আমি বললাম, না, এমনিই। তোমাকে দেখতে এলাম।
হেনা বললো, আমাকে দেখতে? কেনো, সারাদিন ক্লাশে দেখোনি?
আমি বললাম, হ্যা, দেখেছি। কিন্তু, আর্টস, সায়েন্স, কমার্স, সব ভাগাভাগি হয়ে যাওয়ায়, খুব বেশী দেখতে পারিনি।
হেনা বললো, তো, হঠাৎ আমাকে দেখার এত প্রয়োজন পরলো কেনো?
আমি বললাম, না, খুব বেশী প্রয়োজন না। ছোটকাল থেকে একই ক্লাশে পড়ছি, অথচ কোনদিন কথাই হয়নি। আচ্ছা, তুমি সব সময় এত চুপচাপ থাকো কেনো?
হেনা বললো, চুপচাপ থাকাটা কি খারাপ?
আমি বললাম, না, সব সময় খুব গম্ভীর চেহারা করে রাখো। কখনো হাসতেও দেখিনি। একটু হাসো না।
হেনা অবাক হয়ে বললো, হাসবো? আমি?
আমি বললাম, হুম তুমি। খুব ইচ্ছে করছে, তোমার হাসি দেখতে। তোমার দাঁত দেখতে।
হেনা চোখ কপালে তুলে বললো, আমার দাঁত দেখতে ইচ্ছে করছে কেনো?
হেনার দাঁত যে কেনো দেখতে ইচ্ছে করছে, তাতো আর বলা যাবে না। আমি তো জেলে পাড়ায় দেখা সেই মেয়েটি আর হেনার দাঁতের একটা তুলনামূলক বিচার করতে চাইছি। আমি নিজের অজান্তেই বলে ফেললাম, না মানে, তোমার দাঁত গেঁজো কিনা, জানতে চাইছিলাম।
হেনা তার ঈষৎ ফুলা নীচ ঠোটটা উপর এর সরু ঠোটটার সাথে মিলিয়ে, মাথা চুলকাতে থাকলো। তারপর গম্ভীর গলায় বললো, আচ্ছা, তুমি কি দাঁতের ডাক্তার নাকি? মাত্র তো সায়েন্স নিলে। বড় হলে কি ডেন্টাল কলেজে পড়বে?
আমি অপ্রস্তুত হয়ে বললাম, না, মানে? না এখনো এইম ইন লাইফ নিয়ে ভেবে দেখিনি। অংক আর বিজ্ঞানে ভালো মার্ক ছিলো। ক্লাশ টিচার যেভাবে সায়েন্স পড়তে বলেছিলো, সেভাবেই সায়েন্স নিয়ে নিলাম। একটু হাসো না প্লীজ!
হেনা বললো, তুমি কি পাগল?
হেনার কথা শুনে আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম। বললাম, পাগল? কাউকে হাসতে বলা কি পাগলের লক্ষণ?
হেনা রাগ করেই বললো, তাহলে, কোনদিন যার সাথে আমার কোন কথাই হয়নি, তার সামনে আমি কোন প্রসংগে হাসবো।
তারপর, ধমকেই বললো, যাও, বাড়ী যাও।
আমি আমতা আমতা করেই বললাম, না মানে যাবো। তোমার হাসিটা দেখা আমার খুব জরুরী ছিলো।
হেনা বললো, আমি তোমার মতো পাগল না। শুধু শুধু কেউ হাসে না। শুধু শুধু হাসে শুধু পাগলরা, আর বোকারা। তবে, তোমাকে আমি বোকা বলবো না। কারন, মুনার মতো মেয়েকে নিয়ে যে ছেলে খেলতে পারে, সে কখনো বোকা হতে পারে না। আসলে, মুনাই বোকা। আমি হাসবো না। আমি মুনার মতো অত বোকা না।
হেনা আমার মুখের উপরই দরজাটা বন্ধ করে দিলো। আমি ব্যার্থ এক মন নিয়েই বাড়ীর পথে পা বাড়িয়েছিলাম।
হেনা কি একটু অহংকারী মেয়ে নাকি? এতদিন তো ভেবেছিলাম, শান্ত, সাধারন একটা মেয়ে। হাত বাড়ালেই হাতের মুঠুতে চলে আসবে। সবই তো ভুল। হেনা তো আমাকে রীতী মতো অপমান করলো।


![[+]](https://xossipy.com/themes/sharepoint/collapse_collapsed.png)