16-06-2021, 10:28 AM
দুপুরে খেয়েদেয়ে গ্রামের সর্দারের গোলাবাড়ির ঘরে আমরা মাত্র চোখ মুদে গা এলিয়ে দিয়েছি এমন সময় এক মেয়ে এসে খবর দিল হাতির পাল দ্রুত ক্ষেতের দিকে আসছে। দলে দুটো বড় বড় মদ্দা হাতি আর দুটো মাদী। একটার সাথে বাচ্চাও আছে। দলের সর্দারের নির্দেশে ক্ষেতের সামনে থেকে গোল করে দ্রুত ধাবমান হাতির পালকে অর্ধবৃত্ত আকারে ঘিরে সবাই ঠুস ঠাস বন্দুক চালাতে লাগল। আচমকা আক্রমণে উল্টোদিকে দৌড় দিল হাতির পাল। এরা এই মৌসুমে এইদিক আর মাড়াবে বলে মনে হয়না।
কিন্তু এদিকে একটা মদ্দা হাতি ভয় পেয়ে গ্রামের দিকে দৌড় দিয়েছে।
গ্রামে ঢুকে হাতি এলোপাথাড়ি ছুট লাগালে প্রাণহানির আশংকা আছে। গ্রামের পুরুষরা হৈ হৈ করে তেড়ে গেল সেটাকে ভাগিয়ে দিতে। কিন্ত বিধি বাম। ভয় পেয়ে বেচারা আরো দিশেহারা হয়ে লাফালাফি শুরু করল। ইতোমধ্যে গোটা পাঁচেক ছনের মাচান বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে হাতিটা। হঠাৎ করেই যেন আমার সাহস বেড়ে গেল। বন্দুকে টোটা লোড করে উদ্বাহু নৃত্য করতে থাকা হাতিটার একদম কাছে পৌঁছে মোক্ষম শট নেয়ার সুযোগ খুঁজছিলাম। দলের র্সদার চেঁচিয়ে বললেন এলাকা থেকে দূরে সরে যেতে, কিন্ত মাচানে থাকা শিশু বা অসুস্থ কেউ যদি এখনো বেরিয়ে না গিয়ে থাকে তবে সেটা মোটেই সুখবর নয়। সুযোগ বুঝে হাতির কানের নিচের নরম জায়গা লক্ষ্য করে ট্রিগার টিপে দিলাম। ভারী সীসার ছররাগুলো মুহূর্তেই কাজ শুরু করে দিল।
আধঘন্টা যেতে না যেতেই বিশাল জন্তুটাকে কেটেকুটে আনন্দ উৎসব শুরু করে দিয়েছে সবাই। আগুনে ঝলসে হাতিটাকে সাবাড় করা শুরু করে দিয়েছে ওরা। এমন সময় হঠাৎ গ্রামের সর্দার আমাকে তার ঘরে ডেকে পাঠালেন। মাঝবয়সী চকচকে ভূঁড়িওয়ালা লোকটার মাথায় হর্নবিল পাখির বিরাট বিরাট রঙচঙে পালক গোঁজা। সেখানে গ্রামের অন্যান্য সম্মানিত মাতবর আর তার হাফ ডজন স্ত্রীদের নিয়ে সে আমার কতল করা হাতি সাবাড় করায় ব্যস্ত ছিল। আমাকে দেখে হাসতে হাসতে সর্দার কাছে ডেকে এনে তাদের সাথে বসালেন। আমার সাহসের নানা ধরনের তারিফ অশুদ্ধ ইংরেজিতে বেশ উৎফুল্ল হয়ে করছিলেন তিনি।
আচমকা হাতির প্রমাণ সাইজের কলিজাটার একাংশ কেটে আমার দিকে বাড়িয়ে দিলেন সর্দার।থকথকে আঁশটে গন্ধওয়ালা জিনিসটা খেতে সোজা অস্বীকৃ্তি জানালাম। জবাবে তিনি ফোকলা দাঁত বের করে হাসতে হাসতে বললেন ,
- খাও খাও, এই জিনিস খেলে শক্তি হবে। আজকে তো আমার সবচে সুন্দরী স্ত্রীকে তোমারই খুশি করতে হবে। হা হা হা।
বাইরে বেরিয়ে দেখলাম সবাই আমাকে বেশ আদর যত্ন শুরু করে দিয়েছে। আমার দলনেতার কাছে সর্দারের কথাটা বলতে তিনি মুচকি হেসে বললেন
- এর ছোটবউটাকেই দেবে মনে হয়। এ কিন্তু খাসা মাল। কলিজা আরো বেশি করে খাও।
আমার অসম্মতি আছে বুঝতে পেরে সাবধান করে দিলেন সর্দার।
- এরা কাউকে খুশি হয়ে কিছু দিলে নিতে হয়। নইলে এটা অপমান হিসেবেই দেখে। তুমি এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করার মানে হল ওর বউয়ের সৌন্দর্যকে অপমান করা, সোজা কথায় ওর পছন্দকে অপমান করা। যা আমাদের জন্যে মোটেও ভাল ফল বয়ে আনবে না।
কিন্তু এদিকে একটা মদ্দা হাতি ভয় পেয়ে গ্রামের দিকে দৌড় দিয়েছে।
গ্রামে ঢুকে হাতি এলোপাথাড়ি ছুট লাগালে প্রাণহানির আশংকা আছে। গ্রামের পুরুষরা হৈ হৈ করে তেড়ে গেল সেটাকে ভাগিয়ে দিতে। কিন্ত বিধি বাম। ভয় পেয়ে বেচারা আরো দিশেহারা হয়ে লাফালাফি শুরু করল। ইতোমধ্যে গোটা পাঁচেক ছনের মাচান বাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে হাতিটা। হঠাৎ করেই যেন আমার সাহস বেড়ে গেল। বন্দুকে টোটা লোড করে উদ্বাহু নৃত্য করতে থাকা হাতিটার একদম কাছে পৌঁছে মোক্ষম শট নেয়ার সুযোগ খুঁজছিলাম। দলের র্সদার চেঁচিয়ে বললেন এলাকা থেকে দূরে সরে যেতে, কিন্ত মাচানে থাকা শিশু বা অসুস্থ কেউ যদি এখনো বেরিয়ে না গিয়ে থাকে তবে সেটা মোটেই সুখবর নয়। সুযোগ বুঝে হাতির কানের নিচের নরম জায়গা লক্ষ্য করে ট্রিগার টিপে দিলাম। ভারী সীসার ছররাগুলো মুহূর্তেই কাজ শুরু করে দিল।
আধঘন্টা যেতে না যেতেই বিশাল জন্তুটাকে কেটেকুটে আনন্দ উৎসব শুরু করে দিয়েছে সবাই। আগুনে ঝলসে হাতিটাকে সাবাড় করা শুরু করে দিয়েছে ওরা। এমন সময় হঠাৎ গ্রামের সর্দার আমাকে তার ঘরে ডেকে পাঠালেন। মাঝবয়সী চকচকে ভূঁড়িওয়ালা লোকটার মাথায় হর্নবিল পাখির বিরাট বিরাট রঙচঙে পালক গোঁজা। সেখানে গ্রামের অন্যান্য সম্মানিত মাতবর আর তার হাফ ডজন স্ত্রীদের নিয়ে সে আমার কতল করা হাতি সাবাড় করায় ব্যস্ত ছিল। আমাকে দেখে হাসতে হাসতে সর্দার কাছে ডেকে এনে তাদের সাথে বসালেন। আমার সাহসের নানা ধরনের তারিফ অশুদ্ধ ইংরেজিতে বেশ উৎফুল্ল হয়ে করছিলেন তিনি।
আচমকা হাতির প্রমাণ সাইজের কলিজাটার একাংশ কেটে আমার দিকে বাড়িয়ে দিলেন সর্দার।থকথকে আঁশটে গন্ধওয়ালা জিনিসটা খেতে সোজা অস্বীকৃ্তি জানালাম। জবাবে তিনি ফোকলা দাঁত বের করে হাসতে হাসতে বললেন ,
- খাও খাও, এই জিনিস খেলে শক্তি হবে। আজকে তো আমার সবচে সুন্দরী স্ত্রীকে তোমারই খুশি করতে হবে। হা হা হা।
বাইরে বেরিয়ে দেখলাম সবাই আমাকে বেশ আদর যত্ন শুরু করে দিয়েছে। আমার দলনেতার কাছে সর্দারের কথাটা বলতে তিনি মুচকি হেসে বললেন
- এর ছোটবউটাকেই দেবে মনে হয়। এ কিন্তু খাসা মাল। কলিজা আরো বেশি করে খাও।
আমার অসম্মতি আছে বুঝতে পেরে সাবধান করে দিলেন সর্দার।
- এরা কাউকে খুশি হয়ে কিছু দিলে নিতে হয়। নইলে এটা অপমান হিসেবেই দেখে। তুমি এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করার মানে হল ওর বউয়ের সৌন্দর্যকে অপমান করা, সোজা কথায় ওর পছন্দকে অপমান করা। যা আমাদের জন্যে মোটেও ভাল ফল বয়ে আনবে না।