14-06-2021, 08:18 PM
আমি স্থানুর মত বসে থাকি। আমার মাথায় ভীষণ যন্ত্রনা হচ্ছে। মনে হচ্ছে কেউ আমার মস্তিষ্কের ভেতর দিয়ে গরম ছুরি ঢুকিয়ে দিচ্ছে।
একটু একটু করে আমার কাছে সব কিছু পরিষ্কার হয়ে আসে। প্রথম থেকেই জরি আমাকে ভীষণ আকর্ষণ করত। সতের আঠার বছরের একটা হাসিখুশি মেয়ে বাসার মধ্যে দাপিয়ে বেরাচ্ছে। এক সময় আমি তাকে নিয়ে মনের অজান্তেই ফ্যান্টাসাইজ করতে শুরু করি।
এক রাতে আমি আর নিজের উপর নিয়ন্ত্রন রাখতে পারলাম না।
জরি কিছুতেই চিৎকার বন্ধ করতে চাইছিল না।
আমি ওর গলা চেপে ধরলাম।
মেয়েটা কখন মরে গেল!
এরপর আমি ঠাণ্ডা মাথায় কাজ করলাম। দ্রুত জরির মৃত দেহ একটা বস্তায় ভরে ফেললাম। বস্তাটা নিয়ে গেলাম আমাদের বাড়ি থেকে বহু দূরে। জংলা মত একটা জায়গা দেখে বস্তাটা ফেলে দিলাম ডোবার ভেতর।
এরপর থেকেই আমার ইন্সমনিয়া দেখা দিতে শুরু করে। ঘুম চির কালের মত আমার চোখ থেকে বিদায় নেয়। সেই সাথে দেখা দেয় সৃতি বিভ্রম আর হেলুসিনেসন। আমি অতীত আর বর্তমান গুলিয়ে ফেলতে শুরু করি।কোনটা বর্তমানে ঘটছে, আর কোনটা আমার অতীত সৃতি আমি আলাদা করতে পারি না। অতীত সৃতিগুলো ও আমার কাছে বর্তমানে ঘটছে বলে মনে হয়।
“তুমি এখন মনে করতে পারছ?”
আমি মাথা নাড়ি।
“তুমি ভীষণ অসুস্থ”
আমি যন্ত্রের মত উঠে দাড়াই।
মিতু বলে, “তোমার কাছ থেকে আমি কিছু বিষয় গোপন করে গেছি। এগুল আমার গোপন করা উচিত হয়নি ।তাহলে হয়ত এগুলো আর ঘটত না । আমার খাটের নিচে ছোট একটা বক্সে কিছু জিনিস রাখা আছে। সময় করে খুলে দেখ।”
আমি কোন কথা বলি না। বিছানা থেকে একটা বালিশ তুলে নেই। তারপর সেটা নিয়ে এগিয়ে যাই মিতুর মাথার কাছে।
“তু...তুমি কি করছ?” মিতু ভয় পাওয়া গলায় জিজ্ঞেস করে।
“আমি স্যরি মিতু”
বালিশটা আমি মিতুর মুখে চেপে ধরি। মিতু দুর্বল হাতে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু রোগ ভোগা শরীরে আমার সাথে পেরে উঠে না। কিছুক্ষণের মধ্যেই মিতুর শরীর নিথর হয়ে যায়।
চেয়ারে বসে আমি কপালের ঘাম মুছি। বড় বড় করে নিঃশ্বাস নেই। বুকটা এখনো ধক ধক করছে। নিজেকে শান্ত হয়ার জন্য আমি সময় দেই। উতলা হওয়ার কিছু নেই। মিতু সব কিছু জানত। ওকে কিছুতেই বেঁচে থাকতে দেয়া সম্ভব ছিল না। কেউ আমাকে সন্দেহ করবে না।তাছাড়া নার্স কিছু দিনের জন্য তার মার কাছে গেছে । মিতু দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ। শ্বাস কষ্টে তার মারা যাওয়া অদ্ভুত কিছু নয়।
ধিরে ধিরে আমি স্বাভাবিক হয়ে আসি।
বিছানায় মিতুর মৃত দেহটি শুয়ে আছে। চোখ খোলা। আমি কি ওর চোখটা বন্ধ করে দেব? থাক, এখন আর ওকে স্পর্শ করতে ইচ্ছে করছে না।
আচ্ছা মিতু আমার কাছে কি গোপন করে গেছে বলছিল?
বিছানার নিচে আমি মিতুর কথা মত একটা ছোট বাক্স খুঁজে পেলাম।
বাক্সের ভেতর কিছু নেই, শুধু একটা পুরনো চিঠি। চিঠিটা আমার এক দুর সম্পর্কের চাচা গ্রাম থেকে আমাকে লিখেছিলেন। মজার ব্যাপার এই চাচার সাথে বহুদিন আমার কোন যোগাযগ নেই। তিনি কেন আমাকে চিঠি লিখতে যাবেন? আর মিতুই বা কেন সেই চিঠি আমার কাছ থেকে লুকিয়ে ফেলবে?
আমি চিঠিটা পরতে শুরু করি।
একটু একটু করে আমার কাছে সব কিছু পরিষ্কার হয়ে আসে। প্রথম থেকেই জরি আমাকে ভীষণ আকর্ষণ করত। সতের আঠার বছরের একটা হাসিখুশি মেয়ে বাসার মধ্যে দাপিয়ে বেরাচ্ছে। এক সময় আমি তাকে নিয়ে মনের অজান্তেই ফ্যান্টাসাইজ করতে শুরু করি।
এক রাতে আমি আর নিজের উপর নিয়ন্ত্রন রাখতে পারলাম না।
জরি কিছুতেই চিৎকার বন্ধ করতে চাইছিল না।
আমি ওর গলা চেপে ধরলাম।
মেয়েটা কখন মরে গেল!
এরপর আমি ঠাণ্ডা মাথায় কাজ করলাম। দ্রুত জরির মৃত দেহ একটা বস্তায় ভরে ফেললাম। বস্তাটা নিয়ে গেলাম আমাদের বাড়ি থেকে বহু দূরে। জংলা মত একটা জায়গা দেখে বস্তাটা ফেলে দিলাম ডোবার ভেতর।
এরপর থেকেই আমার ইন্সমনিয়া দেখা দিতে শুরু করে। ঘুম চির কালের মত আমার চোখ থেকে বিদায় নেয়। সেই সাথে দেখা দেয় সৃতি বিভ্রম আর হেলুসিনেসন। আমি অতীত আর বর্তমান গুলিয়ে ফেলতে শুরু করি।কোনটা বর্তমানে ঘটছে, আর কোনটা আমার অতীত সৃতি আমি আলাদা করতে পারি না। অতীত সৃতিগুলো ও আমার কাছে বর্তমানে ঘটছে বলে মনে হয়।
“তুমি এখন মনে করতে পারছ?”
আমি মাথা নাড়ি।
“তুমি ভীষণ অসুস্থ”
আমি যন্ত্রের মত উঠে দাড়াই।
মিতু বলে, “তোমার কাছ থেকে আমি কিছু বিষয় গোপন করে গেছি। এগুল আমার গোপন করা উচিত হয়নি ।তাহলে হয়ত এগুলো আর ঘটত না । আমার খাটের নিচে ছোট একটা বক্সে কিছু জিনিস রাখা আছে। সময় করে খুলে দেখ।”
আমি কোন কথা বলি না। বিছানা থেকে একটা বালিশ তুলে নেই। তারপর সেটা নিয়ে এগিয়ে যাই মিতুর মাথার কাছে।
“তু...তুমি কি করছ?” মিতু ভয় পাওয়া গলায় জিজ্ঞেস করে।
“আমি স্যরি মিতু”
বালিশটা আমি মিতুর মুখে চেপে ধরি। মিতু দুর্বল হাতে বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু রোগ ভোগা শরীরে আমার সাথে পেরে উঠে না। কিছুক্ষণের মধ্যেই মিতুর শরীর নিথর হয়ে যায়।
চেয়ারে বসে আমি কপালের ঘাম মুছি। বড় বড় করে নিঃশ্বাস নেই। বুকটা এখনো ধক ধক করছে। নিজেকে শান্ত হয়ার জন্য আমি সময় দেই। উতলা হওয়ার কিছু নেই। মিতু সব কিছু জানত। ওকে কিছুতেই বেঁচে থাকতে দেয়া সম্ভব ছিল না। কেউ আমাকে সন্দেহ করবে না।তাছাড়া নার্স কিছু দিনের জন্য তার মার কাছে গেছে । মিতু দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ। শ্বাস কষ্টে তার মারা যাওয়া অদ্ভুত কিছু নয়।
ধিরে ধিরে আমি স্বাভাবিক হয়ে আসি।
বিছানায় মিতুর মৃত দেহটি শুয়ে আছে। চোখ খোলা। আমি কি ওর চোখটা বন্ধ করে দেব? থাক, এখন আর ওকে স্পর্শ করতে ইচ্ছে করছে না।
আচ্ছা মিতু আমার কাছে কি গোপন করে গেছে বলছিল?
বিছানার নিচে আমি মিতুর কথা মত একটা ছোট বাক্স খুঁজে পেলাম।
বাক্সের ভেতর কিছু নেই, শুধু একটা পুরনো চিঠি। চিঠিটা আমার এক দুর সম্পর্কের চাচা গ্রাম থেকে আমাকে লিখেছিলেন। মজার ব্যাপার এই চাচার সাথে বহুদিন আমার কোন যোগাযগ নেই। তিনি কেন আমাকে চিঠি লিখতে যাবেন? আর মিতুই বা কেন সেই চিঠি আমার কাছ থেকে লুকিয়ে ফেলবে?
আমি চিঠিটা পরতে শুরু করি।