14-06-2021, 07:42 PM
পরের দিন আর অফিসে গেলাম না। সারাটা দিন এক রকম ঘোরের মধ্যে কেটে গেল। মেয়েটিকে ঘিরে রহস্যের কোন সুরাহা হচ্ছে না। বলা বাহুল্য কাল রাতে ঘরে ফিরে আর মেয়েটিকে দেখতে পাইনি। তাহলেকি সারাটা সন্ধ্যা এমনকি রাতেও আমি তাকে কল্পনা করেছি ? সেটা কি করে সম্ভব? আমার এখন দৃঢ় বিশ্বাস মেয়েটি ঘরেই ছিল। কল্পনা এত বাস্তব হতে পারে না।
সন্ধ্যায় কম্পিউটার খুলে বসেছি। পুরনো দিনের ছবিগুলো দেখছি। আমার বিয়ের ছবি। আহা , মিতু তখন দেখতে কত সুন্দরী ছিল। আমাদের হানিমুনের ছবি। কি সুন্দর ছিল সেই দিনগুলি। কয় বছর আগের কথা এগুলো ? অথচ এখন সব কিছু কত বদলে গেছে। বিছানায় শুয়ে থাকা মিতুকে দেখে কে চিনতে পারবে এই মিতুই ছবির মিতু। হানিমুন থেকে ফেরার পরই তার শরীর খারাপ হতে শুরু করে। আমি আর সামনে এগিয়ে যাই। এই ছবিগুলো রিসেন্ট তোলা। আমাদের গত বিবাহ বার্ষিকীর। মিতু তখন ভীষণ অসুস্থ। বিছানায় উঠে বসতেই কষ্টহয়। তবুও তার জেদ বিবাহ বার্ষিকী করতেই হবে। বড় কোন অনুষ্ঠান করা হয়নি । শুধু আমরা দুজন কেক কেটে আনন্দ করেছি। সেই বোধ হয় শেষ মিতুর মুখে হাসি দেখতে পেয়েছি।
হঠাৎ আমার মনে প্রশ্নটা উকি দেয়। জদ্দুর মনে পরে অনুষ্ঠানে আমরা দুজন ছাড়া আর কেউ ছিল না। তাহলে ছবিগুলো কে তুলেছিল। এত গুল ছবি নিশ্চয় অটো ক্লিক দিয়ে তুলিনি। চোখ কুচকে আমি ছবিগুলো আবার ভাল করে দেখলাম। আমাদের একটা যুগল ছবিতে আমি পেছনের আয়নায় আরেকটি মানুষের ছায়া আবিস্কার করলাম। নিশ্চয় যে ব্যক্তি ছবিটি তুলেছে তারই প্রতিচ্ছবি পেছনের আয়নায় ধরা পরেছে। মানুষটির চেহারা বুঝা যাচ্ছে না। ছবিটা জুম করে আবার দেখলাম।
এবার আয়নার প্রতিচ্ছবিটিকে চিনতে পারলাম।
আয়নায় প্রতিচ্ছবিটি সেই মেয়েটির।
আমার স্ত্রী ঘুমিয়ে ছিল। দুই হাতে ঝাঁকিয়ে তাকে ঘুম থেকে জাগালাম। সে ধরমর করে জেগে উঠে বলল, “কে কে, কি হয়েছে?”
“মিতু তুমি কি এই মেয়েটিকে চিনতে পারছ?” আমি হাতের আই প্যাডে ছবিটি মিতুকে দেখালাম।
মিতু ছবিটা একবার দেখল। তারপর এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে রইল।
“কি হল? এভাবে চেয়ে আছ কেন? মেয়েটি কি আমাদের পরিচিত?” আমি অধৈর্য হয়ে উঠলাম।
“তুমি সত্যি ওকে চিনতে পারছ না?”
“না”
“তোমার ইন্সমনিয়াটা খুব বেরেছে তাই না?”
“হবে হয়ত, এ কথা কেন জিজ্ঞেস করছ?”
“ওর নাম জরি। দু মাস আগেও আমাদের বাসায় কাজ করত। তোমার মনে নেই?”
“নাহ”
“সত্যি তুমি মনে করতে পারছ না?”
একদম না
“ও কিভাবে মারা গিয়েছে সেটাও নিশ্চয় তুমি ভুলে গেছ?”
“মেয়েটা মরে গেছে?”
“হু”
“কিভাবে?”
“তুমি সত্যি জানতে চাও? ভুলে গেলে আর মনে করার দরকার নেই।”
“আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি। আমাকে জানতেই হবে কি হয়েছিল ওর।“
“ওকে খুন করা হয়েছিল।” মিতু শিতল কণ্ঠে বলে।
“সেকি!!”
“তোমার এখনো কিছু মনে পরছে না?”
“নাহ। কিভাবে খুন হয়েছিল?”
“ওকে প্রথমে রেপ করা হয়েছিল। তারপর গলা টিপে হত্তা করা হয়।”
“কি সর্বনাশ, আমি তখন কোথায় ছিলাম?”
“তুমি বাড়িতেই ছিলে।”
“আশ্চর্য, তাহলে আমি কেন কিছু মনে করতে পারছি না?”
“আমার মনে হয় তুমি সেই ঘটনাগুলো মনে করতে চাও না। তাই তোমার অবচেতন মন জোর করে সেই সৃতিগুলো মুছে ফেলেছে।”
“কি বলছ এসব? আমি কেন মনে করতে চাইব না?”
“জানি না। হয়ত অপরাধ বোধ থেকে। তিব্র অপরাধ বোধ থেকে এমনটা হতে পারে। জানইতো আমি মনোবিজ্ঞানের ছাত্রী ছিলাম।”
“আমার কেন অপরাধ বোধ হবে?”
“তোমার কি মনে হয়?” মিতু তিব্র কণ্ঠে জিজ্ঞেস করে।
“আমি জানি না।” আমি অনিশ্চিত কণ্ঠে উত্তর দেই।
“তুমি জানতে চাও?”
আমার কণ্ঠে কোন কথা যোগায় না। কিসের যেন ভীষণ একটা আশংকা হতে থাকে।
মিতু নিজেই উত্তর দেয়, “ওকে তুমি খুন করেছিলে।”
সন্ধ্যায় কম্পিউটার খুলে বসেছি। পুরনো দিনের ছবিগুলো দেখছি। আমার বিয়ের ছবি। আহা , মিতু তখন দেখতে কত সুন্দরী ছিল। আমাদের হানিমুনের ছবি। কি সুন্দর ছিল সেই দিনগুলি। কয় বছর আগের কথা এগুলো ? অথচ এখন সব কিছু কত বদলে গেছে। বিছানায় শুয়ে থাকা মিতুকে দেখে কে চিনতে পারবে এই মিতুই ছবির মিতু। হানিমুন থেকে ফেরার পরই তার শরীর খারাপ হতে শুরু করে। আমি আর সামনে এগিয়ে যাই। এই ছবিগুলো রিসেন্ট তোলা। আমাদের গত বিবাহ বার্ষিকীর। মিতু তখন ভীষণ অসুস্থ। বিছানায় উঠে বসতেই কষ্টহয়। তবুও তার জেদ বিবাহ বার্ষিকী করতেই হবে। বড় কোন অনুষ্ঠান করা হয়নি । শুধু আমরা দুজন কেক কেটে আনন্দ করেছি। সেই বোধ হয় শেষ মিতুর মুখে হাসি দেখতে পেয়েছি।
হঠাৎ আমার মনে প্রশ্নটা উকি দেয়। জদ্দুর মনে পরে অনুষ্ঠানে আমরা দুজন ছাড়া আর কেউ ছিল না। তাহলে ছবিগুলো কে তুলেছিল। এত গুল ছবি নিশ্চয় অটো ক্লিক দিয়ে তুলিনি। চোখ কুচকে আমি ছবিগুলো আবার ভাল করে দেখলাম। আমাদের একটা যুগল ছবিতে আমি পেছনের আয়নায় আরেকটি মানুষের ছায়া আবিস্কার করলাম। নিশ্চয় যে ব্যক্তি ছবিটি তুলেছে তারই প্রতিচ্ছবি পেছনের আয়নায় ধরা পরেছে। মানুষটির চেহারা বুঝা যাচ্ছে না। ছবিটা জুম করে আবার দেখলাম।
এবার আয়নার প্রতিচ্ছবিটিকে চিনতে পারলাম।
আয়নায় প্রতিচ্ছবিটি সেই মেয়েটির।
আমার স্ত্রী ঘুমিয়ে ছিল। দুই হাতে ঝাঁকিয়ে তাকে ঘুম থেকে জাগালাম। সে ধরমর করে জেগে উঠে বলল, “কে কে, কি হয়েছে?”
“মিতু তুমি কি এই মেয়েটিকে চিনতে পারছ?” আমি হাতের আই প্যাডে ছবিটি মিতুকে দেখালাম।
মিতু ছবিটা একবার দেখল। তারপর এক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে রইল।
“কি হল? এভাবে চেয়ে আছ কেন? মেয়েটি কি আমাদের পরিচিত?” আমি অধৈর্য হয়ে উঠলাম।
“তুমি সত্যি ওকে চিনতে পারছ না?”
“না”
“তোমার ইন্সমনিয়াটা খুব বেরেছে তাই না?”
“হবে হয়ত, এ কথা কেন জিজ্ঞেস করছ?”
“ওর নাম জরি। দু মাস আগেও আমাদের বাসায় কাজ করত। তোমার মনে নেই?”
“নাহ”
“সত্যি তুমি মনে করতে পারছ না?”
একদম না
“ও কিভাবে মারা গিয়েছে সেটাও নিশ্চয় তুমি ভুলে গেছ?”
“মেয়েটা মরে গেছে?”
“হু”
“কিভাবে?”
“তুমি সত্যি জানতে চাও? ভুলে গেলে আর মনে করার দরকার নেই।”
“আমি পাগল হয়ে যাচ্ছি। আমাকে জানতেই হবে কি হয়েছিল ওর।“
“ওকে খুন করা হয়েছিল।” মিতু শিতল কণ্ঠে বলে।
“সেকি!!”
“তোমার এখনো কিছু মনে পরছে না?”
“নাহ। কিভাবে খুন হয়েছিল?”
“ওকে প্রথমে রেপ করা হয়েছিল। তারপর গলা টিপে হত্তা করা হয়।”
“কি সর্বনাশ, আমি তখন কোথায় ছিলাম?”
“তুমি বাড়িতেই ছিলে।”
“আশ্চর্য, তাহলে আমি কেন কিছু মনে করতে পারছি না?”
“আমার মনে হয় তুমি সেই ঘটনাগুলো মনে করতে চাও না। তাই তোমার অবচেতন মন জোর করে সেই সৃতিগুলো মুছে ফেলেছে।”
“কি বলছ এসব? আমি কেন মনে করতে চাইব না?”
“জানি না। হয়ত অপরাধ বোধ থেকে। তিব্র অপরাধ বোধ থেকে এমনটা হতে পারে। জানইতো আমি মনোবিজ্ঞানের ছাত্রী ছিলাম।”
“আমার কেন অপরাধ বোধ হবে?”
“তোমার কি মনে হয়?” মিতু তিব্র কণ্ঠে জিজ্ঞেস করে।
“আমি জানি না।” আমি অনিশ্চিত কণ্ঠে উত্তর দেই।
“তুমি জানতে চাও?”
আমার কণ্ঠে কোন কথা যোগায় না। কিসের যেন ভীষণ একটা আশংকা হতে থাকে।
মিতু নিজেই উত্তর দেয়, “ওকে তুমি খুন করেছিলে।”