14-06-2021, 07:39 PM
গাড়ি নিয়ে আমি মাতালের মত ছুটছি। কথায় যাচ্ছি নিজেও জানি না। শুধু জানি আমাকে বাসা থেকে দূরে সরে যেতে হবে, অনেক দূরে।
একটা জংলা মত জায়গায় আমি গাড়ি থামালাম। জায়গাটা কোথায় আমি চিনতে পারছি না। কিন্তু জায়গাটা তারপরও পরিচিত মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে এখানে আমি আগেও একবার এসেছি। কখন, কেন সে সব মনে করতে পারছি না। হেড লাইতের আল নিভিয়ে আমি গাড়ি থেকে নামলাম । আশেপাশে বড় বড় ঝোপঝার। একটু দুরেই একটা ডোবা দেখতে পাচ্ছি। ডোবা থেকে বিশ্রী দুর্গন্ধ উঠে আসছে। আমি একটা সিগারেট ধরালাম।
জায়গাটা কি নির্জন। আমার গা ছম ছম করে উঠল। মনে হল আমার এখানে থেকে ঠিক হচ্ছে না। কেউ আমাকে এখানে দেখে ফেললে বড় বিপদ হবে।
হঠাৎ গাড়ির শব্দ শুনতে পেলাম। আরেকটা গাড়ি এসে থামল জঙ্গলের কাছে। দরজা খুলে এক মাঝ বয়সী পুরুষ বের হয়ে এল। সিগারেট ছুরে ফেলে আমি লুকিয়ে পরলাম বড় একটা ঝোপের আড়ালে। মানুষটির চেহারা অন্ধকারে বুঝা যাচ্ছে না। সে আমার গাড়িটা লক্ষ করেনি। দ্রুত সে হেটে গেল নিজের গাড়ির পেছনে। ট্রাংক খুলে বড় একটা বস্তা নামিয়ে আনল। দেখেই বুঝা যাচ্ছে বস্তাটা বেশ ভারি। মাটির উপর দিয়ে ছেঁচড়ে সে বস্তাটা নিয়ে চলল ডোবার পারে। মাঝ পথে বস্তার বাধন খুলে গেল। অস্পষ্ট কণ্ঠে লোকটা গাল দিয়ে উঠল। নিঃশ্বাস বন্ধ করে আমি দেখলাম বস্তার ভেতর থেকে একটি মানুষের হাত বেরিয়ে এসেছে। হাতটি একটু একটু নড়ছে। বস্তার ভেতরের মানুষতা কি এখনো বেঁচে আছে? লোকটি অতি দ্রুত বস্তার মুখ আবার বেধে ফেলল। তারপর বস্তাটা গড়িয়ে দিল ডোবায়। দেখতে দেখতে বস্তাটা অদৃশ্য হয়েগেল। কোন দিকে না তাকিয়ে আবার উঠে বসল তার গাড়িতে। তারপর হুস করে যে পথে এসেছিল সে পথেই অদৃশ্য হয়ে গেল। আমি গাড়ির লাইসেন্স নম্বরটি দেখার চেষ্টা করলাম। গাড়ির লাইটের আলোয় যততুকু পরতে পারলাম তা হচ্ছে ক ৩৪৫২। পাগলের মত আমি ডোবায় ঝাপিয়ে পরলাম। নাড়ি উলটে আসা গন্ধ উপেক্ষা করে ডুব দিয়ে বস্তাটা পারে তুলে আনলাম। টেনেটুনে বস্তার মুখ খুলতেই বেশকিছু সময় চলে গেল। ভেতরের শরীরটিকে বের করে আনতে বেশ পরিশ্রম করতে হল। সেলফনের আলোয় চরম বিস্ময় নিয়ে দেখলাম বস্তার ভেতর সেই শরীরটি জীবিত নয়।
বেশ কয়েক দিনের পুরনো একটি মৃতদেহ। কারন শরীরটি পচে গলে গেছে।
এবং দেহটি সেই মেয়েটির।
***
একটা জংলা মত জায়গায় আমি গাড়ি থামালাম। জায়গাটা কোথায় আমি চিনতে পারছি না। কিন্তু জায়গাটা তারপরও পরিচিত মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে এখানে আমি আগেও একবার এসেছি। কখন, কেন সে সব মনে করতে পারছি না। হেড লাইতের আল নিভিয়ে আমি গাড়ি থেকে নামলাম । আশেপাশে বড় বড় ঝোপঝার। একটু দুরেই একটা ডোবা দেখতে পাচ্ছি। ডোবা থেকে বিশ্রী দুর্গন্ধ উঠে আসছে। আমি একটা সিগারেট ধরালাম।
জায়গাটা কি নির্জন। আমার গা ছম ছম করে উঠল। মনে হল আমার এখানে থেকে ঠিক হচ্ছে না। কেউ আমাকে এখানে দেখে ফেললে বড় বিপদ হবে।
হঠাৎ গাড়ির শব্দ শুনতে পেলাম। আরেকটা গাড়ি এসে থামল জঙ্গলের কাছে। দরজা খুলে এক মাঝ বয়সী পুরুষ বের হয়ে এল। সিগারেট ছুরে ফেলে আমি লুকিয়ে পরলাম বড় একটা ঝোপের আড়ালে। মানুষটির চেহারা অন্ধকারে বুঝা যাচ্ছে না। সে আমার গাড়িটা লক্ষ করেনি। দ্রুত সে হেটে গেল নিজের গাড়ির পেছনে। ট্রাংক খুলে বড় একটা বস্তা নামিয়ে আনল। দেখেই বুঝা যাচ্ছে বস্তাটা বেশ ভারি। মাটির উপর দিয়ে ছেঁচড়ে সে বস্তাটা নিয়ে চলল ডোবার পারে। মাঝ পথে বস্তার বাধন খুলে গেল। অস্পষ্ট কণ্ঠে লোকটা গাল দিয়ে উঠল। নিঃশ্বাস বন্ধ করে আমি দেখলাম বস্তার ভেতর থেকে একটি মানুষের হাত বেরিয়ে এসেছে। হাতটি একটু একটু নড়ছে। বস্তার ভেতরের মানুষতা কি এখনো বেঁচে আছে? লোকটি অতি দ্রুত বস্তার মুখ আবার বেধে ফেলল। তারপর বস্তাটা গড়িয়ে দিল ডোবায়। দেখতে দেখতে বস্তাটা অদৃশ্য হয়েগেল। কোন দিকে না তাকিয়ে আবার উঠে বসল তার গাড়িতে। তারপর হুস করে যে পথে এসেছিল সে পথেই অদৃশ্য হয়ে গেল। আমি গাড়ির লাইসেন্স নম্বরটি দেখার চেষ্টা করলাম। গাড়ির লাইটের আলোয় যততুকু পরতে পারলাম তা হচ্ছে ক ৩৪৫২। পাগলের মত আমি ডোবায় ঝাপিয়ে পরলাম। নাড়ি উলটে আসা গন্ধ উপেক্ষা করে ডুব দিয়ে বস্তাটা পারে তুলে আনলাম। টেনেটুনে বস্তার মুখ খুলতেই বেশকিছু সময় চলে গেল। ভেতরের শরীরটিকে বের করে আনতে বেশ পরিশ্রম করতে হল। সেলফনের আলোয় চরম বিস্ময় নিয়ে দেখলাম বস্তার ভেতর সেই শরীরটি জীবিত নয়।
বেশ কয়েক দিনের পুরনো একটি মৃতদেহ। কারন শরীরটি পচে গলে গেছে।
এবং দেহটি সেই মেয়েটির।
***