11-06-2021, 12:02 PM
দ্য আর্টিস্ট
শুরু
কিছু সুখ কিছু দুঃখ নিয়ে জীবন। আমার জীবনেও তার ব্যাতিক্রম ঘটেনি।
আমি ভাগ্যের চাকায় বিশ্বাসী। জানি একদিন চাকার নিচে থাকলে নিশ্চিত ভাবে একদিন উত্থান ঘটবেই।খালি দরকার ধৈর্য আর পরিশ্রমের।
আমার জীবন শুরু হয়েছিল চাকার নিচে থেকে। খুব ছোটবেলার স্মৃতি এখন ঝাপসা হয়ে এসেছে। কিন্তু তবু মনে পড়ে কলকাতার একটা ফ্ল্যাটে ছোটবেলায় বাবা মার অশান্তি, দৈনন্দিন চিৎকার আর ঝামেলা। আমার দিকে সামান্যতম নজর দেওয়ার সময়ও কারোর ছিল না। পড়ে জেনেছিলাম বাবা মার প্রেম করে বিয়ে হয়েছিল দুই বাড়ির অমতে। বিয়ের পর বাবা পুরো সংসারের দায়িত্ব নিয়ে উঠতে পারেননি। কোন ব্যাপারেই দুজনের মিল হয়নি। আমার যখন চার বছর বয়স মা আমাকে নিয়ে তারকেশ্বরে আমার মামার বাড়িতে চলে আসেন।
আমার মামার বাড়িতে দাদু ,দিদা আর আমার মামা মামিমা । বড় বাড়ি । প্রচুর গাছ, পাশে খেলার মাঠ, নতুন বন্ধু বান্ধব। মামা আমার মায়ের থেকে বয়সে বড় স্বভাবে জাঁদরেল কিন্তু আমাকে পুত্রবত স্নেহ করতেন। কিন্তু আমার কপালে সুখ ছিল না।ভাগ্যের বিড়ম্বনা তখন আরো অনেক বাকি। মামারবাড়িতে আসার বছর না ঘুরতেই আমার মা মারা যান।
মায়ের কোলের উষ্ণতার পরশ ভাল করে বোঝার আগেই তার থেকে বঞ্চিত হলাম। হয়তো মামিমার কাছে কিছুটা হলেও সেই শূন্যস্থান পূরণ হত। কিন্তু সে বছরই মায়ের মৃত্যুর কয়েক মাসের মধ্যে আমার মামাতো বোন ঊর্মি জন্মাল। স্বাভাবিক ভাবেই বাড়ির নতুন অথিতির আগমনে সবাই তাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। আমার মায়ের স্মৃতি, আমার দুঃখ সব কিছুর মধ্যে ঢাকা পড়ে গেলো। সবার মধ্যে থেকেও আমি যেন কোথাও খুব একা একা বড় হতে লাগলাম। খুব অগোছালো ভাবে। মামা হয়ত কিছুটা বুঝেছিল। আমাকে কলকাতার নামি একটা মিশন কলেজএ ভরতি করে দেওয়া হল। বাক্স প্যাটরা নিয়ে একদিন হস্টেল চলে গেলাম। আবার আমার একটা নতুন জীবন শুরু হল।
শুরু
কিছু সুখ কিছু দুঃখ নিয়ে জীবন। আমার জীবনেও তার ব্যাতিক্রম ঘটেনি।
আমি ভাগ্যের চাকায় বিশ্বাসী। জানি একদিন চাকার নিচে থাকলে নিশ্চিত ভাবে একদিন উত্থান ঘটবেই।খালি দরকার ধৈর্য আর পরিশ্রমের।
আমার জীবন শুরু হয়েছিল চাকার নিচে থেকে। খুব ছোটবেলার স্মৃতি এখন ঝাপসা হয়ে এসেছে। কিন্তু তবু মনে পড়ে কলকাতার একটা ফ্ল্যাটে ছোটবেলায় বাবা মার অশান্তি, দৈনন্দিন চিৎকার আর ঝামেলা। আমার দিকে সামান্যতম নজর দেওয়ার সময়ও কারোর ছিল না। পড়ে জেনেছিলাম বাবা মার প্রেম করে বিয়ে হয়েছিল দুই বাড়ির অমতে। বিয়ের পর বাবা পুরো সংসারের দায়িত্ব নিয়ে উঠতে পারেননি। কোন ব্যাপারেই দুজনের মিল হয়নি। আমার যখন চার বছর বয়স মা আমাকে নিয়ে তারকেশ্বরে আমার মামার বাড়িতে চলে আসেন।
আমার মামার বাড়িতে দাদু ,দিদা আর আমার মামা মামিমা । বড় বাড়ি । প্রচুর গাছ, পাশে খেলার মাঠ, নতুন বন্ধু বান্ধব। মামা আমার মায়ের থেকে বয়সে বড় স্বভাবে জাঁদরেল কিন্তু আমাকে পুত্রবত স্নেহ করতেন। কিন্তু আমার কপালে সুখ ছিল না।ভাগ্যের বিড়ম্বনা তখন আরো অনেক বাকি। মামারবাড়িতে আসার বছর না ঘুরতেই আমার মা মারা যান।
মায়ের কোলের উষ্ণতার পরশ ভাল করে বোঝার আগেই তার থেকে বঞ্চিত হলাম। হয়তো মামিমার কাছে কিছুটা হলেও সেই শূন্যস্থান পূরণ হত। কিন্তু সে বছরই মায়ের মৃত্যুর কয়েক মাসের মধ্যে আমার মামাতো বোন ঊর্মি জন্মাল। স্বাভাবিক ভাবেই বাড়ির নতুন অথিতির আগমনে সবাই তাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। আমার মায়ের স্মৃতি, আমার দুঃখ সব কিছুর মধ্যে ঢাকা পড়ে গেলো। সবার মধ্যে থেকেও আমি যেন কোথাও খুব একা একা বড় হতে লাগলাম। খুব অগোছালো ভাবে। মামা হয়ত কিছুটা বুঝেছিল। আমাকে কলকাতার নামি একটা মিশন কলেজএ ভরতি করে দেওয়া হল। বাক্স প্যাটরা নিয়ে একদিন হস্টেল চলে গেলাম। আবার আমার একটা নতুন জীবন শুরু হল।