08-06-2021, 08:56 PM
আমার প্রিয় একটা ইংরেজি গল্পকে বাংলায় অনুবাদ করার চেষ্টা করছি। কিছু কিছু জায়গায় আমি পরিবর্তন আনার চেষ্টা করবো। ভুল ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন প্লিজ।
১৯ বছর আগের কথা। আমার আব্বু আম্মুর ডিভোর্স হয়ে যায়। তখন আম্মুর বয়স ছিল মাত্র ২৩ বছর। আব্বু ছিল ব্যবসায়ী। একদিন আম্মুকে বললো, আমি একটা বিজনেস ট্রিপে যাচ্ছি। এক সপ্তাহ পর ফিরবো। আব্বু আর কখনো ফিরে আসেনি। কিছুদিন পর আম্মু ডিভোর্স লেটার হাতে পায়। সাথে একটা চিঠি ছিল। চিঠিতে লেখা ছিল তিনি খুব দুক্ষিত। কিন্তু তিনি আর ফিরে আসছেন না, কারণ এই সংসারে তিনি কখনোই সুখী ছিলেন না।
এই ঘটনার পর আম্মু প্রথম দিকে খুব ভেঙে পড়েছিল। একদম অকূল সাগরে যেন পড়ে গিয়েছিলেন তিনি আমাকে আর আমার বড় বোনকে নিয়ে। আপু আমার চেয়ে তিন বছর বড়। তখন আমার বয়স ২ বছর, আর আপুর বয়স ৫ বছর। ওহ! আমাদের নাম বলতেই তো ভুলে গেছি। আমার নাম আহসান, ডাকনাম রনি। আপুর নাম আফসানা, ডাকনাম রিনা। আম্মুর নাম ফিরোজা, কোন ডাকনাম নেই।
১৯ বছর কেটে গেছে। এখন আমি ২১ আর আপু ২৪। আম্মুর বয়স এখন ৪২। আম্মুর করুণ অবস্থা দেখে আমার নানা তার একটা দোকান লিখে দিয়েছিলেন আম্মুর নামে। বলা বাহুল্য, মামারা কেউই তা ভালো চোখে দেখেনি। এই নিয়ে তাদের সাথে দিনদিন সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। যদিও নানার সিদ্ধান্তকে পালটানোর ক্ষমতা তাদের ছিল না। দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছে আম্মু, যাতে আমার আর আপুর কোন টাকার অভাব না হয়। আম্মু মনে হয় বুঝতে পেরেছিল যে যতদিন নানা বেঁচে আছে, ততদিন কোন সমস্যা না হলেও যখন তিনি থাকবেন না, তখন দুই মামাই তার ক্ষতি করতে পিছু পা হবে না।
১৯ বছর কেটে গেছে। এখন আমি ২১ আর আপু ২৪। আম্মুর বয়স এখন ৪২। আম্মুর করুণ অবস্থা দেখে আমার নানা তার একটা দোকান লিখে দিয়েছিলেন আম্মুর নামে। বলা বাহুল্য, মামারা কেউই তা ভালো চোখে দেখেনি। এই নিয়ে তাদের সাথে দিনদিন সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। যদিও নানার সিদ্ধান্তকে পালটানোর ক্ষমতা তাদের ছিল না। দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছে আম্মু, যাতে আমার আর আপুর কোন টাকার অভাব না হয়। আম্মু মনে হয় বুঝতে পেরেছিল যে যতদিন নানা বেঁচে আছে, ততদিন কোন সমস্যা না হলেও যখন তিনি থাকবেন না, তখন দুই মামাই তার ক্ষতি করতে পিছু পা হবে না।