26-05-2021, 11:53 AM
image uploader
এই হলো সাদেক খানের প্রাণের চেয়ে প্রিয় ধর্মপত্নী অর্থাৎ প্রিয়সী বেগম, শাকিল খান ও সারা খানের অত্যন্ত পূজনীয়,সম্মানীয় ও স্নেহময়ী আম্মু,সাজিদ খান ও শাবানা খানের একমাত্র গুণবতী পুত্রবধূ, শবনম খানের অতিশয় প্রিয় ভাবি, সাঈদ খান ও শাহানা খানের কলিজার টুকরা একমাত্র শাহাজাদী, খান বংশের সবচাইতে সুন্দরী,রক্ষণশীল, সতীলক্ষী,গৃহলক্ষী, প্রতিব্রতা ,বিশ্বস্ত,পবিত্র,নিষ্পাপ বধূ, ট্রয় নগরীর হেলেন,প্রাচীন মিশরের ক্লিওপেট্রা,অটোমান সাম্রাজ্যের সুলতানা হুররাম, গ্রিক মিথোলজির কামদেবী আফ্রোদিতি।সুতরাং বুঝতেই পারছেন তিনি কে। হাঁ তিনিও হলেন সুখী খান পরিবারের গোপন কথার কেন্দ্রীয় চরিত্র অর্থাৎ প্রধান নায়িকা শায়লা খান।
শায়লা খান তার ওড়নাটা তোলে বুকে জড়িয়ে নিল এবং পরিবারের জন্য ছুটির দিনের স্পেশাল রান্নার কাজে রোকসানাকে হেল্প করার জন্য আধুনিক সকল সুযোগ সম্বলিত বিলাসবহুল বিশাল কিচেনে প্রবেশ করলো।কিচেন হল শায়লা খানের আরেকটি প্রিয় স্থান।কেননা পরিবারের সদস্যদের জন্য সুস্বাদু খাবার রান্না করা তার অন্যতম একটা শখ।আর শায়লা খানের রান্না অত্যন্ত সুস্বাদু ও মুখরোচক হয়।সে প্রথমেই রেফ্রিজারেটর থেকে Aquafina Drinking Water এর একটা বোতল বের করে ডক ডক করে পানি পান করে প্রায় অর্ধেক বোতল খালি করে বাকিটা রেফ্রিজারেটরে রেখে দিয়ে রোকসানার দিকে তাকালো।এ সময় রোকসানা উপরের তাক থেকে কি একটা বের করার জন্য দুহাত উপরে তোলে খোঁজতে লাগল।আর এতে করে রোকসানার ঘামে ভেজা বগল দুটি শায়লার চোখের সামনে ভেসে উঠল।তা দেখে শায়লার দুই ঠোট থেকে একটা দুষ্ট মিষ্টি হাসি ফোটে উঠল।
শায়লা:``কিরে রোকসানা কাঁদছিস কেন?মায়ের কথা মনে পড়ছে বুঝি?``
শায়লা খানের এ প্রশ্ন শুনে রোকসানা চমকে গিয়ে তার দু হাত নিচে নামিয়ে শায়লার দিকে অবাক বিস্ময়ে তাকাল।
রোকসানা:``কি বলেন রানী সাহেবা? আমি কাঁদবো কেন?``
শায়লা:``তা না হলে দু চোখের জলে গাল ভিজাচ্ছিস কেন?``
এ কথা বলে শায়লা খান রোকসানার দিকে তাকিয়ে তার মুক্তোর মতো সাদা দাঁত বের করে অত্যন্ত মিষ্টি একটা হাসি দিল।
রোকসানা তার ডান হাতটা উপরে উঠিয়ে চোখ এবং গাল স্পর্শ করে শায়লা খানের দিকে প্রশ্নসূচক দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে থেকে বলল,
``কখন আমি কাঁদলাম? আর কোথায় আমার চোখের জলে গাল ভিজে গেছে ?``
`ও! সরি সরি,তোর চোখ না আসলে তোর বগল কাঁদছে। `
এ কথা বলে শায়লা খান রোকসানার বগলের দিকে তাকিয়ে একটা দুষ্টু হাসি দিল।
রোকসানা তার মাথাটা নিচু করে ডান বগলের দিকে তাকিয়ে দেখতে পেলে বগলের আশেপাশে ব্লাউজের অনেকটা জায়গা সম্পূর্ণ ভিজে গেছে।রোকসানা শায়লা খানের দুষ্টুমির অর্থ বুঝতে পেরে একটা লাজুক হাসি দিয়ে বলল,
``ও!বেগম সাহেবা আপনি সত্যিই ভীষণ মজার মানুষ।কিছুক্ষণ পর আপনার বগলও কিন্তু কান্না শুরু করবে এবং আপনার অতি মূল্যবান গোলাপি জামা ভিজিয়ে দিবে।``
এ কথা বলে রোকসানা শায়লা খানের বগলের দিকে তাকিয়ে হাসতে লাগল এবং শায়লা খানও তার হাসির সাথে যোগ দিল। শায়লা খান এবং রোকসানার মাঝে খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। তারা সবসময় এভাবে অকপটভাবে কথা বার্তা বলে মজা করে।