21-05-2021, 12:02 AM
আপনাদের জন্য পঞ্চম পর্বটা আজকেই দিয়ে দিলাম.
মানে চতুর্থ আর পঞ্চম একসাথে. দুটো মিলিয়ে বড়োই হলো.
৫
কি শয়তান দেখলি? আমার সাথে কি করলো? রাগী গলায় জিজ্ঞেস করলো মৈনাক বাবাইকে.
দেখলাম তো... কি বাজে রে ছেলেগুলো.... চল কোনো স্যারকে গিয়ে বলি. স্যার নিশ্চই আমাদের হেল্প করবে?
তুই পাগল? ওদের কানে গেলে আমাকে আর তোকে.... আমাদের সাথে কি করবে ওরা কে জানে!!
কিন্তু ওরা যে বললো আমার খাবার রোজ খেয়ে নেবে? একটু ভয় ভয় কাঁদুন স্বরে বললো বাবাই. ইশ এতদিন তো এদের হাতে পড়িনি. হটাৎ করে......
মৈনাক বললো - আরে এরা কি আমাদের মতো রোজ কলেজে আসে নাকি? এরা পড়াশোনা করে নাকি? এরা আসে আড্ডা মারতে..... বড়ো সিনিয়ার ছেলে গুলো কয়েকটা দুস্টুমি করে আমাদের সাথে কিন্তু এই দুজন সাংঘাতিক রকমের.
বাবাই - আচ্ছা...... পাপাই এর কি হয়েছিল? ও টিফিন দেয়নি বলেই কি ওরাই ওকে?
মৈনাক - আমি জানিনা রে.... কিন্তু ব্যাপারটা কেমন না? আগের দিন কমপ্লেইন করলো আর পরের দিনই এক্সিডেন্ট. ওদের বাড়ি এই কাছেই. তোদের থেকেও কাছে. সেদিন নাকি ও আসছিলো কলেজে.... হটাৎ ওর ব্যাগে কিসের জোর ধাক্কা লাগে. ছিটকে গিয়ে পড়ে ও কিছুটা দূরে. আর তখনি নাকি ওর ডান পায়ের ওপর দিয়ে...... ভালো যে বেশি কিছু হয়নি. ও কারোর মুখ দেখতে পায়নি. তারপরে তো কতদিন ছুটি নিতে হলো ওকে.
কাকে নিয়ে কথা হচ্ছে রে? পাপাই? পেছনের বেঞ্চ থেকে কল্লোল জিজ্ঞেস করলো.
হ্যারে.... সুনির্মলকে ওর এক্সিডেন্ট এর কথাটা বলছিলাম. যাই হোক... আজ কি হয়েছে জানিস...... মৈনাক সবটা বললো কল্লোলকে. কল্লোল শুনে বললো - সুনির্মল ওদের থেকে দূরে থাক... ওদের এড়িয়ে চল... ওরা খুব বাজে ধরণের ছেলে. ঘরের দরজা বন্ধ করে ভেতরে কিসব যে করে কে জানে. ওরা ওই ফাঁকা স্টোর রুমে নয়তো ওই ওপরের পুরোনো ঘরে দরজা আটকে দিয়ে কিসব যেন করে.
মৈনাক - কিকরে রে? আমরাও আজ বেরিয়ে যেতেই দরজা দিয়ে দিলো.
কল্লোল বললো - কি জানি রে.... সেদিন টিফিন করে বাইরে হাত ধুতে গেছিলাম আর বোতলে জল ভোরে ফিরে আসছিলাম. আসার সময় তুই যে ঘরটাতে আজ গেছিলি ওটার ভেতর থেকে কেমন চেল্লানোর মতো আওয়াজ এলো. যেন কেউ চিল্লিয়ে উঠলো. তারপরে হাসির শব্দ..... আমি ফিরে যাচ্ছিলাম তারপরে আবার সেই আহহহহহহহঃ করে কেউ যেন চিল্লিয়ে বললো উফফফফফ কেমন দুলছে দেখ উফফফফফ তারপরে বাজে বাজে কিসব নোংরা কথা বললো. তারপরে আরেকজন বললো - পেলে না পুরো ট্যাংক খালি করে দিতাম এর ভেতর.
মৈনাক - এসব আবার কি?
কল্লোল - কে জানে আমি আর দাঁড়ায়নি. আসলে হাত মুখ ধোয়া আর বাথরুমে যেতে হলে তো ঐদিক দিয়েই যেতে হয়. জানিস তো... আমিও ফেরার সময় এসব শুনলাম. তারপরে কিছুক্ষন পর বাইরে বেরিয়ে বন্ধুদের সাথে বল নিয়ে খেলছি... একটু পরে দেখি ওই ঘরটা থেকে ওরা দুজনই বেরিয়ে এলো. সেদিন যে ওরা কিসব করছিলো কে জানে. আর আহ্হ্হঃ আহ্হ্হঃ আওয়াজ কেন করছিলো কে জানে. ওরা ভালো নয় রে সুনির্মল..... ওদের চটাস না.... কে জানে কি করবে.!! ওদের নজরে যখন একবার পড়েছিস তখন ওদের হয় এড়িয়ে চল নয়তো ওরা যা বলছে শোন্. কদিন পর দেখবি আর জ্বালাতন করবে না.
------------------
ছাদ থেকে কাপড় নামাচ্ছে সুপ্রিয়া. সকালে কেচে ছিল. এখন দুপুরে আনতে গেছে. ছেলের প্যান্ট জামা, স্বামীর জামা প্যান্ট, নিজের ম্যাক্সি. ক্লিপ খুলে ছেলের হাফপ্যান্ট দড়ি থেকে নামচ্ছিলো বাবাইয়ের মা এমন সময় গোওওওওওওওওওওও করে একটা আওয়াজ খুব কাছেই শুনলো সে. এই ডাক সে ভালো করেই চেনে, সে কোনো সবাই এই ডাক চেনে. গরুর ডাক. কিন্তু গরু সাধারণত এতটা জোরে ডাকে কি?
ছেলের প্যান্ট নামিয়ে এবার নিজের ম্যাক্সি নামাচ্ছে আবার সেই গোওওওওওওওওও!! এবার ম্যাক্সিটা আর হাফপ্যান্টটা হাতে নিয়েই সে ছাদের শেষ প্রান্তে আসলো কারণ ঐদিক থেকেই আওয়াজটা আসছে. ওদিকে ওই নারকেল গাছ আর জঙ্গলে ঘেরা জায়গাটা. পাশেই সেই পোড়ো বাড়ি. ওদিকটায় আসতেই নিচে তাকাতে বাবাইয়ের মা যেটা দেখলো সেটা দেখার জন্য সে প্রস্তুত ছিলোনা. গরুটা কেন এতো জোরে চেচাচ্ছে তার কারণ অবশ্য সে এবারে বুঝতে পারলো. কারণ গরুটার ওপরে দু পা তুলে উঠে আছে বৃহৎ আকারের কালো একটা ষাঁড়. গরুটা ওই ভার সামলাতে না পেরে এদিক ওদিক টোলছে কিন্তু পেছনে থাকা পুরুষ জন্তুটার তাতে কোনো যায় আসছে না. সে নিজের কাজ করতে ব্যাস্ত.
এমগো!! ছি : মনে মনে ভেবে বাবাইয়ের মা সরে এলো ওখান থেকে. সে আবার এসে নিজের কাজ করতে লাগলো. ছেলের সব কাপড়, স্বামীর জামা আর নিজের ম্যাক্সিটা নামিয়ে নিজের সায়া আর স্বামীর লুঙ্গি নামাতে যাবে এমন সময় আবার সেই গোওওওওওওও... কিন্তু এবারে একটা নয়, দুটো আওয়াজ এলো একসাথে. মানে দুটোই ডেকে উঠলো. তাই আওয়াজ একটু জোরেই হলো. বাবাইয়ের মা অগ্রাহ্য করে স্বামীর লুঙ্গি তুলতে এগিয়েই যাচ্ছিলো কিন্তু....... কিন্তু কি কারণে যেন হটাৎ একটা অদ্ভুত চিন্তা এলো তার মনে. একবার পেছন ফিরে ওই ছাদের শেষপ্রান্তে তাকালো. পায়ের আঙ্গুল গুলি একে ওপরের সাথে ঘষতে ঘষতে কি যেন একবার ভাবলেন. তারপরে স্বামীর লুঙ্গির দিকে না গিয়ে বিপরীত দিকে হাঁটতে লাগলেন. একটু আগে যেখানে দাঁড়িয়ে নিচে তাকিয়েছিলেন সেই সেইদিকে.
দেখলাম তো... কি বাজে রে ছেলেগুলো.... চল কোনো স্যারকে গিয়ে বলি. স্যার নিশ্চই আমাদের হেল্প করবে?
তুই পাগল? ওদের কানে গেলে আমাকে আর তোকে.... আমাদের সাথে কি করবে ওরা কে জানে!!
কিন্তু ওরা যে বললো আমার খাবার রোজ খেয়ে নেবে? একটু ভয় ভয় কাঁদুন স্বরে বললো বাবাই. ইশ এতদিন তো এদের হাতে পড়িনি. হটাৎ করে......
মৈনাক বললো - আরে এরা কি আমাদের মতো রোজ কলেজে আসে নাকি? এরা পড়াশোনা করে নাকি? এরা আসে আড্ডা মারতে..... বড়ো সিনিয়ার ছেলে গুলো কয়েকটা দুস্টুমি করে আমাদের সাথে কিন্তু এই দুজন সাংঘাতিক রকমের.
বাবাই - আচ্ছা...... পাপাই এর কি হয়েছিল? ও টিফিন দেয়নি বলেই কি ওরাই ওকে?
মৈনাক - আমি জানিনা রে.... কিন্তু ব্যাপারটা কেমন না? আগের দিন কমপ্লেইন করলো আর পরের দিনই এক্সিডেন্ট. ওদের বাড়ি এই কাছেই. তোদের থেকেও কাছে. সেদিন নাকি ও আসছিলো কলেজে.... হটাৎ ওর ব্যাগে কিসের জোর ধাক্কা লাগে. ছিটকে গিয়ে পড়ে ও কিছুটা দূরে. আর তখনি নাকি ওর ডান পায়ের ওপর দিয়ে...... ভালো যে বেশি কিছু হয়নি. ও কারোর মুখ দেখতে পায়নি. তারপরে তো কতদিন ছুটি নিতে হলো ওকে.
কাকে নিয়ে কথা হচ্ছে রে? পাপাই? পেছনের বেঞ্চ থেকে কল্লোল জিজ্ঞেস করলো.
হ্যারে.... সুনির্মলকে ওর এক্সিডেন্ট এর কথাটা বলছিলাম. যাই হোক... আজ কি হয়েছে জানিস...... মৈনাক সবটা বললো কল্লোলকে. কল্লোল শুনে বললো - সুনির্মল ওদের থেকে দূরে থাক... ওদের এড়িয়ে চল... ওরা খুব বাজে ধরণের ছেলে. ঘরের দরজা বন্ধ করে ভেতরে কিসব যে করে কে জানে. ওরা ওই ফাঁকা স্টোর রুমে নয়তো ওই ওপরের পুরোনো ঘরে দরজা আটকে দিয়ে কিসব যেন করে.
মৈনাক - কিকরে রে? আমরাও আজ বেরিয়ে যেতেই দরজা দিয়ে দিলো.
কল্লোল বললো - কি জানি রে.... সেদিন টিফিন করে বাইরে হাত ধুতে গেছিলাম আর বোতলে জল ভোরে ফিরে আসছিলাম. আসার সময় তুই যে ঘরটাতে আজ গেছিলি ওটার ভেতর থেকে কেমন চেল্লানোর মতো আওয়াজ এলো. যেন কেউ চিল্লিয়ে উঠলো. তারপরে হাসির শব্দ..... আমি ফিরে যাচ্ছিলাম তারপরে আবার সেই আহহহহহহহঃ করে কেউ যেন চিল্লিয়ে বললো উফফফফফ কেমন দুলছে দেখ উফফফফফ তারপরে বাজে বাজে কিসব নোংরা কথা বললো. তারপরে আরেকজন বললো - পেলে না পুরো ট্যাংক খালি করে দিতাম এর ভেতর.
মৈনাক - এসব আবার কি?
কল্লোল - কে জানে আমি আর দাঁড়ায়নি. আসলে হাত মুখ ধোয়া আর বাথরুমে যেতে হলে তো ঐদিক দিয়েই যেতে হয়. জানিস তো... আমিও ফেরার সময় এসব শুনলাম. তারপরে কিছুক্ষন পর বাইরে বেরিয়ে বন্ধুদের সাথে বল নিয়ে খেলছি... একটু পরে দেখি ওই ঘরটা থেকে ওরা দুজনই বেরিয়ে এলো. সেদিন যে ওরা কিসব করছিলো কে জানে. আর আহ্হ্হঃ আহ্হ্হঃ আওয়াজ কেন করছিলো কে জানে. ওরা ভালো নয় রে সুনির্মল..... ওদের চটাস না.... কে জানে কি করবে.!! ওদের নজরে যখন একবার পড়েছিস তখন ওদের হয় এড়িয়ে চল নয়তো ওরা যা বলছে শোন্. কদিন পর দেখবি আর জ্বালাতন করবে না.
------------------
ছাদ থেকে কাপড় নামাচ্ছে সুপ্রিয়া. সকালে কেচে ছিল. এখন দুপুরে আনতে গেছে. ছেলের প্যান্ট জামা, স্বামীর জামা প্যান্ট, নিজের ম্যাক্সি. ক্লিপ খুলে ছেলের হাফপ্যান্ট দড়ি থেকে নামচ্ছিলো বাবাইয়ের মা এমন সময় গোওওওওওওওওওওও করে একটা আওয়াজ খুব কাছেই শুনলো সে. এই ডাক সে ভালো করেই চেনে, সে কোনো সবাই এই ডাক চেনে. গরুর ডাক. কিন্তু গরু সাধারণত এতটা জোরে ডাকে কি?
ছেলের প্যান্ট নামিয়ে এবার নিজের ম্যাক্সি নামাচ্ছে আবার সেই গোওওওওওওওওও!! এবার ম্যাক্সিটা আর হাফপ্যান্টটা হাতে নিয়েই সে ছাদের শেষ প্রান্তে আসলো কারণ ঐদিক থেকেই আওয়াজটা আসছে. ওদিকে ওই নারকেল গাছ আর জঙ্গলে ঘেরা জায়গাটা. পাশেই সেই পোড়ো বাড়ি. ওদিকটায় আসতেই নিচে তাকাতে বাবাইয়ের মা যেটা দেখলো সেটা দেখার জন্য সে প্রস্তুত ছিলোনা. গরুটা কেন এতো জোরে চেচাচ্ছে তার কারণ অবশ্য সে এবারে বুঝতে পারলো. কারণ গরুটার ওপরে দু পা তুলে উঠে আছে বৃহৎ আকারের কালো একটা ষাঁড়. গরুটা ওই ভার সামলাতে না পেরে এদিক ওদিক টোলছে কিন্তু পেছনে থাকা পুরুষ জন্তুটার তাতে কোনো যায় আসছে না. সে নিজের কাজ করতে ব্যাস্ত.
এমগো!! ছি : মনে মনে ভেবে বাবাইয়ের মা সরে এলো ওখান থেকে. সে আবার এসে নিজের কাজ করতে লাগলো. ছেলের সব কাপড়, স্বামীর জামা আর নিজের ম্যাক্সিটা নামিয়ে নিজের সায়া আর স্বামীর লুঙ্গি নামাতে যাবে এমন সময় আবার সেই গোওওওওওওও... কিন্তু এবারে একটা নয়, দুটো আওয়াজ এলো একসাথে. মানে দুটোই ডেকে উঠলো. তাই আওয়াজ একটু জোরেই হলো. বাবাইয়ের মা অগ্রাহ্য করে স্বামীর লুঙ্গি তুলতে এগিয়েই যাচ্ছিলো কিন্তু....... কিন্তু কি কারণে যেন হটাৎ একটা অদ্ভুত চিন্তা এলো তার মনে. একবার পেছন ফিরে ওই ছাদের শেষপ্রান্তে তাকালো. পায়ের আঙ্গুল গুলি একে ওপরের সাথে ঘষতে ঘষতে কি যেন একবার ভাবলেন. তারপরে স্বামীর লুঙ্গির দিকে না গিয়ে বিপরীত দিকে হাঁটতে লাগলেন. একটু আগে যেখানে দাঁড়িয়ে নিচে তাকিয়েছিলেন সেই সেইদিকে.
চলবে.......