19-05-2021, 07:58 PM
এ হলো আমাদের সুখী খান পরিবার। হ্যা প্রকৃত অর্থেই এই পরিবার অত্যন্ত সুখী।
খান পরিবার হলো একটি প্রাচীন সম্ভ্রান্ত,বনেদী ও অভিজাত পরিবার। ব্রিটিশ আমল থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত এই খান বংশের প্রভাব ও আভিজাত্য বজায় রয়েছে। সাদেক খানের বাবা সাজিদ খান তার দাদা শাহেদ খানের একমাত্র সন্তান। যেহেতু সাদেক খানের দাদা -দাদী আর বেঁচে নেই সুতরাং তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা এই গল্পে থাকবে না। তবে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর খান বংশের প্রভাব প্রতিপত্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে সাদেক খানের দাদার অবদানই সবচেয়ে বেশি।কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামে ছিল খান বংশের জমিদারি।ব্রিটিশ আমলে নির্মিত খান ফ্যামিলির বিশাল জমিদার বাড়িটিকে সংস্কার করে বর্তমানে সেটিকে একটি বিশাল ফার্ম হাউসে রূপান্তর করা হয়েছে। সাদেক খানের পিতা সাজিদ খান ও তার আম্মি শাবানা খান বর্তমানে সে ফার্ম হাউসেই বসবাস করছেন। আসলে এ খামারবাড়িটি কে বর্তমান কালের একটি সর্বাধুনিক রিসোর্ট বললে কোনো ভুল হবে না। যদিও অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক এই জমিদার বাড়িটি বাংলাদেশের একটি অতি মূল্যবান প্রত্নসম্পদ তথাপি এ বাড়িতে সাধারণ মানুষের কোনো প্রবেশাধিকার নেই। এটি একান্তই খান পরিবারের নিজস্ব সম্পত্তি।
ব্রিটিশ শাসনের অবসান পর যখন পাকিস্তানি শাসন শুরু হয় তখন অধিকাংশ প্রাচীন বনেদী ও অভিজাত পরিবার তাদের প্রভাব প্রতিপত্তি হারিয়ে সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে পরিণত হয়। এর মূল কারণ হলো পাকিস্তান আমলে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া।
খান বংশকেও তাদের জমিদারির বিশাল অংশ খোঁয়াতে হয়। কিন্তু সাদেক খানের দূরদর্শী দাদা তার জমিদারির বিশাল অংশ হারানোর পরও তার কাছে যে নগদ অর্থ সঞ্চিত ছিল তা দিয়ে তিনি ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যেমন: ধানমন্ডি,মতিঝিল,বারিধারা,গুলশানে অনেক জমি অত্যন্ত সস্তা দামে কিনে রাখেন। প্রাদেশিক রাজধানী হিসেবে তখন ঢাকার এতটা গুরুত্ব ছিল না। তাই এখনকার সময়ের তুলনায় তখন ঢাকা শহরে জমি জমা পানির দরেই বিক্রি হতো। কিন্তু সাদেক খানের দূরদর্শী দাদা জানতেন যে পূর্ব পাকিস্তান অচিরেই স্বাধীন হয়ে যাবে এবং তাই হলো। পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার সাথে সাথে স্বাধীন দেশের রাজধানী হিসেবে ঢাকা শহরের গুরুত্ব রকেট গতিতে বাড়তে থাকলো আর সে সাথে জমি জমার দামও আকাশচুম্বী হতে শুরু করে।
এদিকে স্বাধীন দেশের রাজধানীতে উন্নয়ন কর্মকান্ডের মহাসমারোহ লেগে গেলো। স্বাধীন দেশের নতুন প্রশাসন পরিচালনা করতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিল্ডিং নির্মাণ করার জন্য সরকারের জমি দরকার পরে।আর যেহেতু সাদেক খানের দাদা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অনেক জমি আগেই কিনে রেখেছেন তাই সরকার তার কাছ থেকে অনেক জমি অধিগ্রহণ করে। তবে এর জন্য তাকে উপযুক্ত মূল্যও পরিশোধ করে। আর সেই সূত্রে সাদেক খানের দাদার সাথে বাংলাদেশ সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও আমলাদের সুসম্পৰ্ক গড়ে ওঠে।আর এ সম্পর্কের কারণেই তিনি ঢাকা শহরে প্রথম রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা শুরু করে শত শত কোটি টাকা কামিয়ে ফেলেন।
অন্যদিকে ষাটের দশকে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন নতুন তেলের খনি আবিষ্কারের ফলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রিয়েল এস্টেট ও কনস্ট্রাকশন ব্যবসায় বিপ্লব দেখা দেয়। আর সরকারের সাথে সুসম্পর্কের কারণে দূরদর্শী শাহেদ খান মধ্যপ্রাচ্যেও তার রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ের বিস্তৃতি ঘটান। যার ফলে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের প্রভাবশালী শেখদের সাথেও তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর বর্তমানে দুবাইয়ে রয়েছে খান পরিবারের হাজার কোটির টাকার রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা।
আর বর্তমানে ঢাকা শহরের বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় খান পরিবারের যে সম্পত্তি ও হাই রাইজ বিল্ডিং রয়েছে সেগুলো বিক্রি করলে কয়েক হাজার কোটি টাকা হাতে আসবে। খান পরিবারের রিয়েল এস্টেটের এই বিশাল ব্যবসা পরিচালিত হয় গুলশান ১ নম্বরে অবস্থিত ২৫ তলার বিশাল খান টাওয়ারের টপ ফ্লোর থেকে।
এতো অর্থ-সম্পদ,প্রভাব-প্রতিপত্তি এবং সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তদের সাথে সুসম্পর্ক থাকা সত্তেও খান পরিবারের কোনো সদস্যকে কিন্তু অহংকার,দম্ভ, নীতিহীনতা ও পাপাচার ইত্যাদি কোনো কিছুই স্পর্শ করতে পারেনি। জমিদারি ব্যবস্থার সময়েও খান ফ্যামিলি দ্বারা কোনো প্রজা নির্যাতিত হয়নি। যদিও তৎকালীন সময়ে জমিদারদের দ্বারা প্রজা নিপীড়িন ছিল নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা।খান পরিবার তাদের ব্যবসা থেকে অর্জিত আয় পাই পাই হিসাব করে সরকারকে ট্যাক্স প্রধান করে এবং জাকাত আদায় করে। তারা এক টাকাও ট্যাক্স ফাঁকি দেয় না। ফলে প্রতি বছরই খান পরিবার সর্বোচ্চ ট্যাক্স প্রধানকারী হিসেবে সার্টিফিকেট লাভ করে।
খান পরিবারের আরো বিস্তারিত বর্ণনা পরবর্তী আপডেট আসবে।
খান পরিবার হলো একটি প্রাচীন সম্ভ্রান্ত,বনেদী ও অভিজাত পরিবার। ব্রিটিশ আমল থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত এই খান বংশের প্রভাব ও আভিজাত্য বজায় রয়েছে। সাদেক খানের বাবা সাজিদ খান তার দাদা শাহেদ খানের একমাত্র সন্তান। যেহেতু সাদেক খানের দাদা -দাদী আর বেঁচে নেই সুতরাং তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা এই গল্পে থাকবে না। তবে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার পর খান বংশের প্রভাব প্রতিপত্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে সাদেক খানের দাদার অবদানই সবচেয়ে বেশি।কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামে ছিল খান বংশের জমিদারি।ব্রিটিশ আমলে নির্মিত খান ফ্যামিলির বিশাল জমিদার বাড়িটিকে সংস্কার করে বর্তমানে সেটিকে একটি বিশাল ফার্ম হাউসে রূপান্তর করা হয়েছে। সাদেক খানের পিতা সাজিদ খান ও তার আম্মি শাবানা খান বর্তমানে সে ফার্ম হাউসেই বসবাস করছেন। আসলে এ খামারবাড়িটি কে বর্তমান কালের একটি সর্বাধুনিক রিসোর্ট বললে কোনো ভুল হবে না। যদিও অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক এই জমিদার বাড়িটি বাংলাদেশের একটি অতি মূল্যবান প্রত্নসম্পদ তথাপি এ বাড়িতে সাধারণ মানুষের কোনো প্রবেশাধিকার নেই। এটি একান্তই খান পরিবারের নিজস্ব সম্পত্তি।
ব্রিটিশ শাসনের অবসান পর যখন পাকিস্তানি শাসন শুরু হয় তখন অধিকাংশ প্রাচীন বনেদী ও অভিজাত পরিবার তাদের প্রভাব প্রতিপত্তি হারিয়ে সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে পরিণত হয়। এর মূল কারণ হলো পাকিস্তান আমলে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া।
খান বংশকেও তাদের জমিদারির বিশাল অংশ খোঁয়াতে হয়। কিন্তু সাদেক খানের দূরদর্শী দাদা তার জমিদারির বিশাল অংশ হারানোর পরও তার কাছে যে নগদ অর্থ সঞ্চিত ছিল তা দিয়ে তিনি ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় যেমন: ধানমন্ডি,মতিঝিল,বারিধারা,গুলশানে অনেক জমি অত্যন্ত সস্তা দামে কিনে রাখেন। প্রাদেশিক রাজধানী হিসেবে তখন ঢাকার এতটা গুরুত্ব ছিল না। তাই এখনকার সময়ের তুলনায় তখন ঢাকা শহরে জমি জমা পানির দরেই বিক্রি হতো। কিন্তু সাদেক খানের দূরদর্শী দাদা জানতেন যে পূর্ব পাকিস্তান অচিরেই স্বাধীন হয়ে যাবে এবং তাই হলো। পূর্ব পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার সাথে সাথে স্বাধীন দেশের রাজধানী হিসেবে ঢাকা শহরের গুরুত্ব রকেট গতিতে বাড়তে থাকলো আর সে সাথে জমি জমার দামও আকাশচুম্বী হতে শুরু করে।
এদিকে স্বাধীন দেশের রাজধানীতে উন্নয়ন কর্মকান্ডের মহাসমারোহ লেগে গেলো। স্বাধীন দেশের নতুন প্রশাসন পরিচালনা করতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বিল্ডিং নির্মাণ করার জন্য সরকারের জমি দরকার পরে।আর যেহেতু সাদেক খানের দাদা রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অনেক জমি আগেই কিনে রেখেছেন তাই সরকার তার কাছ থেকে অনেক জমি অধিগ্রহণ করে। তবে এর জন্য তাকে উপযুক্ত মূল্যও পরিশোধ করে। আর সেই সূত্রে সাদেক খানের দাদার সাথে বাংলাদেশ সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও আমলাদের সুসম্পৰ্ক গড়ে ওঠে।আর এ সম্পর্কের কারণেই তিনি ঢাকা শহরে প্রথম রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা শুরু করে শত শত কোটি টাকা কামিয়ে ফেলেন।
অন্যদিকে ষাটের দশকে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন নতুন তেলের খনি আবিষ্কারের ফলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রিয়েল এস্টেট ও কনস্ট্রাকশন ব্যবসায় বিপ্লব দেখা দেয়। আর সরকারের সাথে সুসম্পর্কের কারণে দূরদর্শী শাহেদ খান মধ্যপ্রাচ্যেও তার রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ের বিস্তৃতি ঘটান। যার ফলে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের প্রভাবশালী শেখদের সাথেও তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আর বর্তমানে দুবাইয়ে রয়েছে খান পরিবারের হাজার কোটির টাকার রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা।
আর বর্তমানে ঢাকা শহরের বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় খান পরিবারের যে সম্পত্তি ও হাই রাইজ বিল্ডিং রয়েছে সেগুলো বিক্রি করলে কয়েক হাজার কোটি টাকা হাতে আসবে। খান পরিবারের রিয়েল এস্টেটের এই বিশাল ব্যবসা পরিচালিত হয় গুলশান ১ নম্বরে অবস্থিত ২৫ তলার বিশাল খান টাওয়ারের টপ ফ্লোর থেকে।
এতো অর্থ-সম্পদ,প্রভাব-প্রতিপত্তি এবং সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তদের সাথে সুসম্পর্ক থাকা সত্তেও খান পরিবারের কোনো সদস্যকে কিন্তু অহংকার,দম্ভ, নীতিহীনতা ও পাপাচার ইত্যাদি কোনো কিছুই স্পর্শ করতে পারেনি। জমিদারি ব্যবস্থার সময়েও খান ফ্যামিলি দ্বারা কোনো প্রজা নির্যাতিত হয়নি। যদিও তৎকালীন সময়ে জমিদারদের দ্বারা প্রজা নিপীড়িন ছিল নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা।খান পরিবার তাদের ব্যবসা থেকে অর্জিত আয় পাই পাই হিসাব করে সরকারকে ট্যাক্স প্রধান করে এবং জাকাত আদায় করে। তারা এক টাকাও ট্যাক্স ফাঁকি দেয় না। ফলে প্রতি বছরই খান পরিবার সর্বোচ্চ ট্যাক্স প্রধানকারী হিসেবে সার্টিফিকেট লাভ করে।
খান পরিবারের আরো বিস্তারিত বর্ণনা পরবর্তী আপডেট আসবে।