Thread Rating:
  • 97 Vote(s) - 3.41 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Misc. Erotica সুখী খান পরিবারের গোপন কথা।
#38
সাদেক খান খুব ভোরে গুলশান লেকের পাড় দিয়ে জগিং করতে করতে গুলশান পার্কের দিকে যাচ্ছেন । এটি তিনি সপ্তাহে প্রায় তিন দিন করে থাকেন। অভিজাত এই এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল খুবই কম। আর ভোরবেলায়তো নেই বললেই চলে। উক্ত এলাকার ভোরবেলার প্রাকৃতিক পরিবেশ খুবই মনোরম থাকে। লেকের উপর দিয়ে বয়ে আসা দক্ষিণা মৃদু হাওয়া এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখির মধুর কিচিরমিচির শব্দ ভোরের পরিবেশকে আরো মনোমুগ্ধকর করে তোলে। সাদেক খানের মতো খুব অল্প কয়েকজনই ভোরের এই মনোমুগ্ধকর স্নিগ্ধ পরিবেশকে উপভোগ করে থাকেন। কারণ এই এলাকার অধিকাংশ শিল্পপতি এবং ব্যাবসায়ী নারী,মদ,পার্টি, নাচ-গান ইত্যাদি নিয়ে সারারাত উদ্দাম আনন্দ ফূর্তি করে শেষ রাতের দিকে ঘুমাতে যায় এবং সকাল ১০টার আগে ঘুম থেকে ওঠে না বললেই চলে। কিন্তু সাদেক খান সাধারণত রাত ১০ টার মধ্যেই ঘুমাতে চলে যান এবং খুব ভোরে ফজরের নামাজের সময় ঘুম থেকে ওঠে যান। তারপর নামাজ পড়ে গুলশান লেকের পাড় দিয়ে জগিং করতে করতে গুলশান পার্কে যান। আজও তিনি তেমনি নামাজের পর জগিং করতে করতে যখন নির্জন এলাকা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন ,তখনি হঠাৎ করে একটা লোক দুহাত জড়ো করে উনার সামনে বসে পরে।
ঘটনার আকস্মিকতায় সাদেক খান প্রথমে হতভম্ব হয়ে পরেন। কিন্তু তাড়াতাড়ি তিনি নিজেকে সামলে নেন।
লোক: “সাহেব, দয়া করে আমাকে একটা কাজের ব্যবস্থা করে দেন। আমি খুবই অসহায় অবস্থার মধ্যে পরে গেছি। আমার একমাত্র ছেলে তিন মাস আগে গাড়ী একসিডেন্টে মারা গেছে। সে তার দুটি শিশু সন্তান এবং তার স্ত্রীকে রেখে গেছে। এখন তাদের দেখা শুনার দায়ভার সম্পর্ণভাবে আমার উপর পড়েছে। আমার স্ত্রীও অসুস্থ্য ছিল অনেক দিন। কিন্তু টাকা পয়সার অভাবে সেও এক বছর আগে বিনা চিকিৎসায় মারা যায়। সাহেব আমি খুবই গরীব মানুষ। আপনি যদি একটা কাজের ব্যবস্থা করে না দেন ,তা হলে আমরা সবাই না খেয়ে মারা যাবো।“
লোকটি প্রায় এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বলে ফেলে। লোকটির কথা শুনে সাদেক খানের খুবই মায়া হলো। কিন্তু তিনি যখন লোকটির চেহেরার দিকে ভালোভাবে তাকালেন, তখন সাদেক খান প্রায় ভয় পেয়ে গেলেন। লোকটি সত্যিই সাংঘাতিক রকমের ভয়ঙ্করদর্শী । যে কেউ তার দিকে তাকালে ভয় পেতে বাধ্য।সাদেক খান খুবই দয়ালু একজন ব্যক্তি! তার চেয়ে ধনী ব্যক্তির প্রতি যেমন ওনার কোনো ঈর্ষা নেই, তেমনি একদম গরীব ব্যক্তির প্রতিও তার কোনো ঘৃণা নেই। বরং গরীব মানুষের প্রতি তিনি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল। কিন্তু এই প্রথম কোনো মানুষের প্রতি তার মনে মারাক্তক ধরনের বিরক্তি এবং ঘৃণার সৃষ্টি হলো । যদিও তিনি সেটি মুখে প্রকাশ করেননি।এর জন্য সঙ্গত কারণ আছে। লোকটিকে দেখলেই যে কেউ এক বাক্যে বলে দিতে পারবে যে সে একজন ভয়ঙ্কর অপরাধী এবং খুনে ব্যক্তি।লোকটির বয়স প্রায় ৫৮ বছর হবে। কিন্তু দেখলে মনে হবে চল্লিশের কোটায় বয়স। উচ্চতা মোটামোটি। প্রায় সাদেক খানের সমান। মাথায় চুল নেই বললেই চলে। যা কিছু আছে সে গুলোও দেখতে কুৎসিত। চোখ দুটো একদম ডাকাতের মতো দেখতে। বেশ বড় বড় এবং লাল। বেশ বড় গোঁফ! মুখে খোঁচা খোঁচা দাড়ি। ডান গালে লম্বা একটা কাটা দাগ। আর গায়ের রং দেখলে হাবশী নিগ্রোরাও লজ্জা পাবে। আলকাতরার মতো কালো। লোকটিকে দেখলে যে কোনো ব্যক্তিই ভয় পেয়ে যাবে এবং লোকটির প্রতি ঘৃণার সৃষ্টি হবে। সাদেক খানেরও লোকটিকে দেখে মনে হলো সে নিশ্চয় একজন ভয়ঙ্কর অপরাধী এবং খুনে। লোকটির কথা সাদেক খানের বিশ্বাস হলো না। সাদেক খান শত শত গরীব এবং অসহায় মানুষকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছে । শত শত মানুষকে নিজের প্রতিষ্ঠানে চাকরি দিয়েছে। কিন্তু এই ব্যক্তির প্রতি তার কোনো সহানুভূতি জাগ্রত হচ্ছে না।তারপরও তিনি এই অবাঞ্ছিত ঝামেলা এড়ানোর জন্য পকেট থেকে পাঁচটি এক হাজার টাকার নোট বের করে লোকটিকে দিয়ে বললেন ," এই টাকাগুলো রাখেন এবং অন্য কোথাও কোনো কাজ দেখেন। আমি বর্তমানে আপনার জন্য কোনো কাজের ব্যবস্থা করতে পারব না। এ জন্য আমি অত্যন্ত লজ্জিত ও দুঃখিত। " এ কথা বলে সাদেক খান দ্রুত জগিং করতে করতে এই স্থান ত্যাগ করলেন। সাদেক খান পূর্বে কখনোও কোনো গরীব মানুষকে এভাবে নিরাশ করেননি। এই প্রথম কোনো বেক্তিকে তিনি সরাসরি কাজ না দেয়ার জন্য বলে দিলেন।লোকটি বেশ হতাশ হয়ে সাদেক খানের দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকলেন এবং মনে মনে কিছু একটা ভাবতে লাগলেন। তারপর টাকাগুলো পকেটে রেখে সেও সাদেক খানের বিপরীত দিকে চলে গেলো।
Like Reply


Messages In This Thread
RE: সুখী খান পরিবারের গোপন কথা। - by The Pervert - 17-05-2021, 07:40 AM



Users browsing this thread: 4 Guest(s)