15-05-2021, 05:03 AM
পাশের সিড়ি দিয়ে নেমে আমার সামনে এসে দাঁড়ালো লোকটা। আমার মুখের দিকে তাকিয়ে বললো -- তুমি শুনলে অবাক হবে আমি তোমার ওপর খুশি হয়েছি। কেন জানো? তোমার সাহসের জন্য। রবীনকে বলেছিলাম কোনরকম ঝামেলা না পাকিয়ে তোমায় নিয়ে আসতে কিন্তু ......
" রবীন "। লোকটার গলা ঘরের মধ্যে গমগম করে উঠলো। দরজার বাইরেই সম্ভবত রবীন বলে লোকটা দাঁড়িয়েছিলো ডাক শুনতেই দরজা খুলে ভিতরে এলো।
আরে এই ত সেই লোকটা টুর্নামেন্টের দিন এই লোকটাই ত এসেছিলো। এরই নাম তাহলে রবীন।
-- অবাক হচ্ছো তাই না। একে খুব চেনা বলে মনে হচ্ছে? লোকটা বলে উঠলো।
মাথা নাড়লাম।
-- এ আমারই লোক দিল্লীতে প্রথম দেখতে পায় তোমায়। মনে আছে আশা করি সেইদিনের ঘটনা। তারপর থেকে তোমার ওপর ছায়ার মত নজর রেখেছিলো। বারো বছর তোমাদের পাগলের মত খুঁজেছি।
আচ্ছা আমায় আপনি মারতে চাইছেন কেন আমি ত আপনাকে চিনিনা। আপনি কে? আর,আর আমার বাবাকেই বা চেনেন কি করে? আমাদের সাথে আপনার কি শত্রুতা? বলে উঠলাম আমি।
-- ও কথায় পরে আসছি তার আগে... রবীন ওই দুটোকে ভিতরে নিয়ে আসো।
রবীন বলে লোকটা বিনা বাক্য ব্যায়ে বাইরে চলে গেলো কিছুক্ষনের মধ্যেই দুজন লোককে স্ট্রেচারে করে নিয়ে এসে হাজির হলো চারজন লোক। রবীন তাদের পিছনে। স্ট্রেচার নামিয়ে রবীন বাদে সব লোক বাইরে চলে গেলো। রবীন গিয়ে দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে এলো।
মেঝে শোয়ানো লোকগুলোকে দেখলাম এই দুজনকেই পিটিয়েছিলাম,সম্ভবত অজ্ঞান।
-- বলেছিলাম না তোমার ওপর আমি খুশি হয়েছি কারণটা এরা। বিপদের মুখেও যে তুমি ভয় না পেয়ে এদের জব্দ করেছো তা শুনে ভালো লাগলো।
নিমেষের মধ্যে পকেট থেকে কি একটা বের করে ওদের দিকে হাতটা বাড়ালো।
গুড়ুম..গুড়ুম..প্রচন্ড শব্দে চমকে উঠলাম। কানে তালা লেগে গেলো সাথে বারুদের তীব্র কটা গন্ধে ঘরটা ভরে গেলো। আগে ঘরটা বদ্ধ তারওপর আগাগোড়া লোহার, আওয়াজটা এত জোরে হলো যেন বোমা পড়লো। মেঝে শোয়ানো লোকগুলোর দিকে তাকালাম দুজনের মাথা থেতলে গেছে,রক্তে ভেসে যাচ্ছে।
-- আমার কাছে দুর্বলদের কোন জায়গা নেই তাই....
একটা কথা তুমি শুনে নাও তোমার বাহাদূরীতে খুশি হয়েছি ঠিকই কিন্তু ভবিষ্যতে যেন এরকমটা না হয়। কটাদিন তোমায় এখানেই থাকতে হবে। কাজ এখন অনেক বাকি। রবীন এদের নিয়ে যা আর কোন প্রমান রাখবি না।
রবীন বলে লোকটা ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো।
তোমায় মারতে আমি চাই ঠিকই কিন্তু এত তাড়াতাড়ি নয়। এখনো অনেক কাজ বাকি। অনেক হিসেব নিকেস করার বাকি আছে। জানি তোমার মনে অনেক প্রশ্ন আমি অবাক হচ্ছি শুধু এই ভেবে যে এখনো তুমি কিছু জানোনা। যাক, আজ আমায় যেতে হবে এবার। আশাকরি ফিরলে তোমার উত্তর আমি দিতে পারবো ততদিন আমার অতিথি হয়ে থাকো।
আমায় আর কোন কিছু বলবার সুযোগ না দিয়ে সোজা ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো।
" রবীন "। লোকটার গলা ঘরের মধ্যে গমগম করে উঠলো। দরজার বাইরেই সম্ভবত রবীন বলে লোকটা দাঁড়িয়েছিলো ডাক শুনতেই দরজা খুলে ভিতরে এলো।
আরে এই ত সেই লোকটা টুর্নামেন্টের দিন এই লোকটাই ত এসেছিলো। এরই নাম তাহলে রবীন।
-- অবাক হচ্ছো তাই না। একে খুব চেনা বলে মনে হচ্ছে? লোকটা বলে উঠলো।
মাথা নাড়লাম।
-- এ আমারই লোক দিল্লীতে প্রথম দেখতে পায় তোমায়। মনে আছে আশা করি সেইদিনের ঘটনা। তারপর থেকে তোমার ওপর ছায়ার মত নজর রেখেছিলো। বারো বছর তোমাদের পাগলের মত খুঁজেছি।
আচ্ছা আমায় আপনি মারতে চাইছেন কেন আমি ত আপনাকে চিনিনা। আপনি কে? আর,আর আমার বাবাকেই বা চেনেন কি করে? আমাদের সাথে আপনার কি শত্রুতা? বলে উঠলাম আমি।
-- ও কথায় পরে আসছি তার আগে... রবীন ওই দুটোকে ভিতরে নিয়ে আসো।
রবীন বলে লোকটা বিনা বাক্য ব্যায়ে বাইরে চলে গেলো কিছুক্ষনের মধ্যেই দুজন লোককে স্ট্রেচারে করে নিয়ে এসে হাজির হলো চারজন লোক। রবীন তাদের পিছনে। স্ট্রেচার নামিয়ে রবীন বাদে সব লোক বাইরে চলে গেলো। রবীন গিয়ে দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে এলো।
মেঝে শোয়ানো লোকগুলোকে দেখলাম এই দুজনকেই পিটিয়েছিলাম,সম্ভবত অজ্ঞান।
-- বলেছিলাম না তোমার ওপর আমি খুশি হয়েছি কারণটা এরা। বিপদের মুখেও যে তুমি ভয় না পেয়ে এদের জব্দ করেছো তা শুনে ভালো লাগলো।
নিমেষের মধ্যে পকেট থেকে কি একটা বের করে ওদের দিকে হাতটা বাড়ালো।
গুড়ুম..গুড়ুম..প্রচন্ড শব্দে চমকে উঠলাম। কানে তালা লেগে গেলো সাথে বারুদের তীব্র কটা গন্ধে ঘরটা ভরে গেলো। আগে ঘরটা বদ্ধ তারওপর আগাগোড়া লোহার, আওয়াজটা এত জোরে হলো যেন বোমা পড়লো। মেঝে শোয়ানো লোকগুলোর দিকে তাকালাম দুজনের মাথা থেতলে গেছে,রক্তে ভেসে যাচ্ছে।
-- আমার কাছে দুর্বলদের কোন জায়গা নেই তাই....
একটা কথা তুমি শুনে নাও তোমার বাহাদূরীতে খুশি হয়েছি ঠিকই কিন্তু ভবিষ্যতে যেন এরকমটা না হয়। কটাদিন তোমায় এখানেই থাকতে হবে। কাজ এখন অনেক বাকি। রবীন এদের নিয়ে যা আর কোন প্রমান রাখবি না।
রবীন বলে লোকটা ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো।
তোমায় মারতে আমি চাই ঠিকই কিন্তু এত তাড়াতাড়ি নয়। এখনো অনেক কাজ বাকি। অনেক হিসেব নিকেস করার বাকি আছে। জানি তোমার মনে অনেক প্রশ্ন আমি অবাক হচ্ছি শুধু এই ভেবে যে এখনো তুমি কিছু জানোনা। যাক, আজ আমায় যেতে হবে এবার। আশাকরি ফিরলে তোমার উত্তর আমি দিতে পারবো ততদিন আমার অতিথি হয়ে থাকো।
আমায় আর কোন কিছু বলবার সুযোগ না দিয়ে সোজা ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো।