Thread Rating:
  • 31 Vote(s) - 3.39 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Misc. Erotica লেখিকা nandanadas1975 এর গল্পগুলি
#46
-----------------

নিজের বাস ভবনের সব থেকে উঁচু মিনারে উঠে যুবরাজ বিজয় লক্ষ করছিলেন নগরের বাইরের বিশাল গো চারন ভুমি কে। আর হয়ত একদিনেই বল্লভ পুরের বিশাল সেনা এসে উপস্থিত হবে ওই সুবিশাল প্রান্তরের অপর প্রান্তে। যুবরাজ নিজের সেনা ছাউনি তৈরি করে ফেলেছেন নিজেদের দিকে। নগরের বিশাল দ্বার যেন কোন ঘুমন্ত পাতাল পুরির মতই অপ্রবেশ যোগ্য করে ফেলা হয়েছে সেনা আর অস্ত্র শস্ত্র দিয়ে। নিজের সেনার ছাউনির মশাল জোনাকির মতন প্রান্তরের এই প্রান্তে জ্বলছে। কেমন একটা উত্তেজনা চলছে যুবরাজের মনের ভিতরে। জীবনে প্রথম যুদ্ধ। আর সেদিন দ্বৈত যুদ্ধের পরে মনে একটা অদ্ভুত আত্মবিশ্বাস চলে এসেছে যেন। নেমে এলেন যুবরাজ নিজের কক্ষে। রাত অনেক হয়েছে।মৈথিলী শুয়ে আছে ছোট কুমারের পাশেই। নিজেকে শুয়ে থাকা দীর্ঘকায়া নারীটির পুরুষ প্রমানিত করে কুমারের বেশ গর্ব বোধ হয় এখন। আর আগত যুদ্ধে নিজেকে আর ও প্রমান করতে চান যুবরাজ।

– যুবরাজ আমি আপনার সাথে থাকব কিন্তু যুদ্ধের সময়ে”।
– তুমি আমার সাথে ছাউনি তে থাকলে আমি তো খুব আনন্দে থাকব মৈথিলী, কিন্তু পিতা মহারাজ হয়ত রাগত হতে পারেন।
– হবেন না আমি মহামতি ভানুপ্রতাপ কে বলে ঠিক ব্যবস্থা করব।কারন আপনাকে আমি যুদ্ধক্ষেত্রে ছেড়ে এখানে থাকতে পারব না”। মৈথিলীর কাছে এই রকম কথা শুনে যুবরাজ, প্রায় অর্ধনগ্ন মৈথিলী কে বুকে টেনে নিলেন। মৈথিলী নিজেকে লুকিয়ে নিল যুবরাজের চওড়া বক্ষে।
—————————-
– কি বলছেন ভানুপ্রতাপ আপনি? মৈথিলীর মতন একজন সুন্দরী নারী কে যুবরাজের সারথি করে পাঠানো কি ঠিক হবে”?
– হা হা হা মহারাজ , আমি হাসলাম বলে আমাকে ক্ষমা করবেন। মৈথিলী শুধু একজন সুন্দরী নারী ই নয়, মৈথিলী জিষ্ণুর সিশ্যা। ওর মতন সারথি মনে হয় না ভু ভারতে আছে।
– তাই নাকি? কিন্তু একজন নারী হয়ে অতো বড় সাগর সম বিশাল সেনার সামনে ভয় পাবে না”?
– না পাবে না। আমি নিশ্চিত। মৈথিলী অনেক বড় বড় যুদ্ধ দেখে অভ্যস্ত।
– হুম্ম আমার ও তাই মনে হত। এ নারী কোন সাধারন নারী নয়।
– হ্যাঁ মহারাজ মৈথিলী কোন সাধারন নারী নয় এটা সত্যি কথা।
সুবিশাল প্রান্তরে বিশাল সমুদ্রের ন্যায় সেনা অর্ধ চন্দ্রাকৃতি ব্যুহ তে সাজিয়ে ঠিক মাঝ খানে দাঁড়িয়ে আছেন যুবরাজ ইন্দ্রজিৎ। ভয়ানক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন মহাবীর জীমূতবাহন, মহাবীর পরাঞ্জয়, মহাবীর রবিনন্দন, শত্রুজিৎ এবং সর্বোপরি হংস। যেকোনো বিপক্ষের বুকে মৃত্যু ভয় ধরিয়ে দেবার জন্য যথেষ্ট এই নাম গুলোই। আর রয়েছে ভয়ানক অপরাজেয় সেনা। বড়ই স্বস্তির সাথে যুবরাজ বাকি মহাবীর দের মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন। জীমূতবাহন দাঁড়িয়ে আছেন সর্ব সম্মুখে। যুবরাজ কে রক্ষা করতে তিনি স্বয়ং ছাড়া কাউকেই ভরসা করেন না। তিনি নিজেই শত্রুর মোকাবিলা করেন সামনে থেকে। আর ওনাকে সামনে দেখে জিষ্ণু ছাড়া, দেবরাজ ইন্দ্রের বুকেও কাঁপন ধরে। আর সত্যি বলতে জিষ্ণু ছাড়া জীমূতবাহন আর কাউকেই তোয়াক্কা করেন না। কারন জিষ্ণুর যুদ্ধ পদ্ধতি একটু অন্যরকম। যখন যুদ্ধ করে জিষ্ণু তখন ওর মতন ঘাতক মনে হয় আর কেউ আছে। শেষ সেনা কে শেষ না করে ও দম নেবে না। আর এতো দ্রুত আঘাত ওর মতন আর কেউ হানতে পারে না। জীমূতবাহন সামনে তাকিয়ে দেখলেন শত্রু শঙ্খ ব্যুহ বানিয়েছে। খুব বেশি হলে অর্ধ প্রহর লাগবে শেষ করতে। তবুও সাবধানের মার নেই। তিনি অর্ধ চন্দ্রের ব্যাস বড় করতে বললেন পাশেই থাকা পরাঞ্জয় কে। পরাঞ্জয় বাক্য ব্যয় না করে রথের মোড় ঘুরিয়ে সেনা তত্ত্বাবধানে চলে গেলেন। দীর্ঘ মাইল ব্যাপী সেনা কে মুহূর্তেই শঙ্খ বাজিয়ে নির্দেশ দিতেই সেনা ধীরে ধীরে নিজেদের ব্যাস বড় করতে শুরু করল। রথের ঘর্ঘর ধ্বনি, ঘোড়ার ক্ষুরের আওয়াজ আর সেনার পায়ের দাপটে অন্ধকারের ন্যায় ধুলো বিস্তৃত হল চারদিকেই।
উল্টো দিকে যুবরাজ বিজয় সুসজ্জিত রথে চড়ে আছেন। শঙ্খের নাভি তে অবস্থান করছেন উনি। সারথি বেশে মৈথিলী। দুধ সাদা চারটি ঘোড়া রথ কে টেনে নিয়ে যাবে। মৈথিলীর কথায় যুবরাজ এই শঙ্খ ব্যুহ রচনা করেছেন। সুবিধা হল এই ব্যুহ এর যে বিপক্ষ অর্ধ চন্দ্রাকৃতি ব্যুহ বানিয়েছে। মানে আক্রমন হবে প্রধানত দুই দিক থেকে। সেই জন্য এমন একটি ব্যুহ এর প্রয়োজন ছিল যেটা দুই দিক থেকেই আক্রমন প্রশমিত করতে পারবে। যে ব্যুহ তে মাঝখানের শক্তি হবে অনেক বেশি। মানে কম জায়গায় বেশি বল। আর শঙ্খ ব্যুহ সেই রকম ই একটি ব্যুহ। আর যুবরাজ নিজে আছে সেই ব্যুহ এর নাভি তে। মানে সম্পূর্ণ সুরক্ষা। যুবরাজ নাভি থেকে বেড়িয়ে এসে লড়তে পারবেন ইচ্ছে মতন। যে ভাবে ব্যুহ রচনা হয়েছে তাতে শত্রু কে আটকে রাখা দুই তিন দিন অসম্ভব কিছু না। যুবরাজের অন্তর বড়ই উদ্বেলিত। ওনার ইচ্ছে একবার ব্যুহ এর বাইরে গিয়ে শত্রুর বল মেপে আসা।
নিজের ইচ্ছে মৈথিলী কে জানাতেই , অভ্যস্ত্য হাতে মৈথিলী রথের রাশে টান দিতেই রথ ছিটকে বেরল নাভি থেকে ব্যুহর। সেনা বাহিনী সরে গিয়ে রাস্তা করে দিল যুবরাজের জন্য।
– যুবরাজ আজ থেকে আপনি মহারথী হিসাবে গন্য হবেন”। মৈথিলী রথ চালাতে চালাতে যুবরাজ কে বলল কথা টা
– হ্যাঁ আর আজকে আমি যা সব তাই তোমার জন্য।
– দেখুন যুবরাজ, সেনারা আপনার নামে জয়ধ্বনি দিচ্ছে। মহারাজার কানে নিশ্চয়ই যাচ্ছে আপনার নামের জয়ধ্বনি।
– হুম্ম উনি খুশি, কিন্তু তোমার মনে হয় না যে উনি চিন্তিত ও আমার জন্য?
– সেটাই স্বাভাবিক নয় কি যুবরাজ? যে যে মহান যোদ্ধা দের সাথে আপনি যুদ্ধ করতে যাচ্ছেন সেই সেই যোদ্ধা দের সাথে যুদ্ধ করতে গেলে , জিষ্ণুর মাতা ও চিন্তিত হতেন।
– সে তো পিতা মাতার ধর্ম মৈথিলী, কিন্তু আমি কাউকে ডরাই না আর। যেই আসুক সামনে জীমূত বা পরাঞ্জয় সবাই কে বেঁধে আমি পেটাবো।
– ছিঃ যুবরাজ, উনি মহামতি জীমূতবাহন। ওনার সাথে যুদ্ধ করতে জিষ্ণুর ও বুক কাঁপে। আর মহর্ষি পরাঞ্জয় জিষ্ণুর গুরু”।
কথাটা শেষ হল না মৈথিলীর, ততক্ষনে ব্যুহ থেকে বেড়িয়ে এসেছে যুবরাজের যুদ্ধ সজ্জিত রথ। মৈথিলীর কথাটা যুবরাজের কানে বাজছে- “জীমূতবাহনের সাথে যুদ্ধ করতে জিষ্ণুর বুক ও কাঁপে”। আর ঠিক তখন ই সামনের পর্বতের ন্যায় দিগন্ত বিস্তৃত, সমুদ্রের ন্যায় গভীর বিশাল বিশাল মহা সেনা কে সামনে থেকে প্রত্যক্ষ করলেন যুবরাজ। প্রান্তরের ধুলো যেন সূর্য কে ঢেকে দিয়েছে। কালো হয়ে এসেছে প্রান্তর। যেন মনে হচ্ছে আঁধার নেমে এসেছে সমরাঙ্গনে।
ধূলিকণায় সামনের কিছুই দৃষ্টি গোচর হচ্ছে না যুবরাজের। যুবরাজের সামনে সারথীর আসনে বসা মৈথিলীর ঠোঁটে একটা সুন্দর চিলতে হাসি। সামনে বিশাল সেনা সমুদ্রের উথাল পাথালে মৈথিলী বুঝে গেল যে ব্যুহ র ব্যাস বড় করছেন জীমূতবাহন।বুদ্ধিমান জীমূতবাহন ব্যূহের ব্যস বড় করে আক্রমনের বিস্তার বড় করতে চাইছেন। আর চাইবেন ই বা না কেন? জম্বুদ্বীপের বিশাল ভূখণ্ডে সকল বীর ই তো বল্লভপুরের সেনার সাথে যুক্ত। বড় বড় ধনুর্ধর, এবং সর্বশশ্ত্রে পারদর্শী বীর বল্লভ পুরের সন্তান। উফ যুদ্ধের খোলা আবহাওয়া মৈথিলী কে যেন চঞ্চল করে তুলল।
পিছনে তাকিয়ে দেখল মৈথিলী, ধুলোর ঝড় দেখে যুবরাজ স্তম্ভিত। একটা আতঙ্ক যেন যুবরাজের চোখে। সেটাই স্বাভাবিক ছিল।এত বড় সেনা দেখে প্রাণের ভয়ে আতঙ্কিত হয় না এমন বীর এই ভূখণ্ডে নেই বললেই চলে। ধুলোর ঝড় কমে আসতেই বিশাল বিশাল রথে চড়ে মহারথী, অতিরথি দের দেখা যেতে থাকল এক এক করে।বিশাল মহাসেনা দেখে যুবরাজের মুখ খোলাই রয়ে গেল যেন। যুবরাজের মনে হতে থাকল, এই বিশাল সেনা বাহিনীর কাছে উল্লম সেনা তো ঝড়ের মুখে শুকনো পাতার মতন উড়ে যাবে।
ঠিক তখন ই মনে হল শত শত বাজ পড়ল ঠিক পাশেই। যুবরাজ কান চেপে ধরে বসে পড়লেন রথে জবুথবু হয়ে। কিন্তু সামনে তাকিয়ে দেখলেন মৈথিলী উঠে দাঁড়িয়ে দুই হাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে আছে। আসলে মৈথিলীর বুকে, বিপক্ষের মহাবীর দের নামকরা ধনুকের টঙ্কার একটা শিহরনের সৃষ্টি করেছিল। মৈথিলী ভুলেই গেছিল পিছনে যুবরাজ আছে। আজানুলম্বিত বাহু দ্বয় প্রসারিত করে ধনুষ্টঙ্কার উপভোগ করছিল প্রানভরে।
“আআহহহ কত দিন পরে!!! কত দিন পরে শুনতে পেলাম আমার প্রিয় শব্দ” মনে মনে এই কথাই আউড়ে যেতে থাকল মৈথিলী।
ততক্ষণে যুবরাজের মন ভয়ে আতঙ্কে ভয়ঙ্কর রকম ভাবে উদ্বেল। কিছু বলতে যাবেন যুবরাজ মৈথিলী কে ঠিক তখনি আবার শত শত বাজ পরার আওয়াজ। এবারে যুবরাজ প্রায় সিটিয়ে গেলেন যেন ভয়ে। মৈথিলী নেমে যুবরাজ কে রথ থেকে নামিয়ে এক এক করে দেখাতে জাবেন সামনের মহারথী দের, কিন্তু দেখলেন সামান্য শিশুর মতই যুবরাজ ভয়ে সিটিয়ে আছেন রথের সাথে।
– যুবরাজ আসুন আমার সাথে পরিচয় করিয়ে দি সামনে আপনার শত্রুবাহিনী তে কে কে আছেন”।
যুবরাজের কানে যেন কোন কথাই ঢুকছে না মৈথিলীর। এ কি বিপদে পড়লেন যুবরাজ? উনি তো দূরতম কল্পনাতেও ভাবেন নি যে এই রকম ভয়ঙ্কর মহাসেনার মুখোমুখি ওকে কোনদিন হতে হবে। এক শার্দূল কে বধ করে যে আত্মবিশ্বাস জন্মেছিল সেটা উবে গেছিল অনেক আগেই, তপ্ত গ্রীষ্মের দুপুরে শুষ্ক পুকুরে এক পশলা বৃষ্টির মতন। এখানে তো সহস্র শার্দূল যেন ওঁত পেতে আছে। রিতিমতন কাঁপতে শুরু করলেন যুবরাজ। মৈথিলী তোয়াক্কা না করে যুবরাজ কে সামনে নিয়ে এলেন।
– ওই দেখুন যুবরাজ পক্ক কেশের যে বিশাল যোদ্ধা সামনেই দাঁড়িয়ে আছেন শুভ্র ধনুক নিয়ে উনি মহামতি জীমূতবাহন। উনি এই মহাসেনার সর্বাধিনায়ক। যুবরাজের মানে যুবরাজ ইন্দ্রজিতের সুরক্ষার দায়িত্বে থাকেন উনি।ওনার ঠিক পাশে কৃষ্ণ বর্ণের পোশাকে দাঁড়িয়ে মহাবীর ইন্দ্রজিৎ। একদম ধারে গোলাপি পোশাকে মহাবীর পরাঞ্জয়। উনি শত্রুজিৎ, উনি মহাবীর হংস।
যুবরাজ ততক্ষনে প্রায় মূর্ছিত হয়ে গেছেন।
– যুবরাজ, উঠুন। যুদ্ধ শুরু হবে এখন ই।
– না না আমি পারব না এই যুদ্ধ করতে। এ যে অসম্ভব ব্যাপার। আমি তো শিশু ও না এই সব মহাবীর দের কাছে। আমাকে ছেড়ে দাও মৈথিলী। আমি ফিরে যেতে পারব না সত্যি করেই এই যুদ্ধ ক্ষেত্র ছেড়ে, কিন্তু আমার লড়াই করার সামর্থ্য ও নেই। আমার সেনা রা আমাকে পরাজিত হতে দেখলে হতদ্যম হয়ে পড়বে।তাই আমি লড়তে চাই না।
– তবে কি করবেন যুবরাজ?
– আমি হিমালয় চলে যাব। আমি সেখানে লড়াই করা শিখব। তপস্যা করব। তারপরে নিজের রাজ্য পুনরুদ্ধার করে রাজা হব না হলে আমার সেই যোগ্যতাই নেই
– যুবরাজ ছেলে মানুষী করবেন না। ভুলে জাবেন না আমাকে আপনি অধিকার করেছেন ওই মহাবীর শার্দূল কে হত্যা করে। আর আপনি যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে পালাবেন”?
ঠিক তখনি দশদিক কাঁপিয়ে বেজে উঠল রনশঙ্খ। ভয়ানক শব্দে কান পাতাই দায়। যেন মৃত্যুর কাল ধ্বনি বয়ে নিয়ে এলো ওই শঙ্খের আওয়াজ। মৈথিলী চোয়াল শক্ত করে আকাশের দিকে তাকিয়ে আওয়াজ পরিমাপ করেই বুঝল এ আওয়াজ ইন্দ্রজিতের শঙ্খের। আওয়াজ শুনে মনে হচ্ছে আর তর সইছে না যুবরাজের। সামনের ছোট্ট সেনাবাহিনী কে দুমড়ে শেষ করে দিতে চাইছে যেন। ঘন ঘন ফুঁৎকার তার ই ইঙ্গিত। যুবরাজ প্রায় কেঁদে ফেলে বলে উঠল
– ওই শোন রণহুংকার। উফফফ কি ভয়ানক!!
– যুবরাজ যুদ্ধ ভয়ানক ই হয়। যখন নিজের মাতৃভূমির বুক অন্যে এসে পদতলে দলিত করতে চায় তখন হয় যুদ্ধ। যখন কেউ দুবেলার খাবার কেড়ে নেবার চেষ্টা করে তখন হয় যুদ্ধ। যুদ্ধের রঙ টাই লাল হয় যুবরাজ”। বার বার শাঁখের আওয়াজে মনে হল এইবারে আক্রমন করবে বল্লভপুর। সময় আর হাতে নেই। ভীত যুবরাজ কে আর ফেরানো সম্ভব নয়।
– যুবরাজ আপনি যদি যুদ্ধ না করেন তবে জিষ্ণু কে যুদ্ধ করতে দিন।
– জিষ্ণু? উনি এখানে কোথায়?
– আছেন। আপনি রথে বসুন। আমি রথ নিয়ে যাচ্ছি একটি গোপন জায়গায়। সেখানেই জিষ্ণু আছেন। আপনাকে কিন্তু তার সারথি হতে হবে”।
– না না সে কি করে হয়? আমি কোন ভুল করলে?
– না আপনি ভুল করতেই পারেন না যুবরাজ। যে অতো বড় শার্দুল কে হত্যা করতে পারে সে ভুল করতে পারে না।
– কিন্তু………
– কোন কিন্তু না যুবরাজ। আপনি রাজী না হলে যুদ্ধ শুরু হবার আগেই শেষ হয়ে যাবে। আপনার মাতৃভূমি অধিকৃত হয়ে যাবে।
পরিস্থিতির এই ভয়ঙ্কর চাপে যুবরাজ সেটাই মেনে নিলেন। মৈথিলী আর দেরী করল না। মুহূর্তেই যুবরাজ কে রথে উঠিয়ে মৈথিলী তীব্র বেগে রথ ঘুরিয়ে চললেন সামনের মহা শ্মশানের দিকে।
একজন বিশাল বলশালী মানুষ শঙ্খ ব্যুহের মধ্যে দাঁড়িয়ে মুখ টা কাল কাপড়ে ঢেকে ছেয়ে রইল শ্মশানের দিকে দ্রুত গতিতে চলে জাওয়া রথের দিকে।
[+] 2 users Like modhon's post
Like Reply


Messages In This Thread
RE: লেখিকা nandanadas1975 এর গল্পগুলি - by modhon - 01-05-2021, 01:22 AM



Users browsing this thread: 5 Guest(s)