Thread Rating:
  • 14 Vote(s) - 3.36 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Misc. Erotica সময় সংগ্রাম!
#69
New update:

দীপ্তি চৌহান সকালবেলায় প্রচন্ড হ্যাংওভার থেকে উঠে দেখেন তিনি সোফায় শুয়ে আছেন অনেকদিনের অভ্যাস মত তিনি সকালবেলায় দৌড়াতে বেরিয়ে যান । মাথায় প্রচন্ড হ্যাংওভার এর যন্ত্রণা নিয়ে তিনি কালকে গগন আগরওয়ালের কথা ভাবতে ভাবতে জগিং করছিলেন দু-তিন পাক দেওয়ার পরে হঠাৎ একটা ছেলের সাথে ধাক্কা লেগে যায় তার। মাথার মধ্যে গগন আগরওয়াল এর ভাবনাচিন্তা চলার কারণে দীপ্তি চৌহান নিজেকে সামলাতে একটু সময় নিয়ে নেন। রাগের বশে তিনি ছেলেটার গেঞ্জি মুঠো করে ধরে একটা থাপ্পড় লাগিয়ে দেন। কিন্তু তিনি চটাস চটাস করে নিজের গালে প্রচন্ড 2 থাপ্পর অনুভব করেন। তিনি এতক্ষণ গগন আগরওয়ালের ভাবনা মগ্ন ছিলেন এখন যেন নিজের দুই গালে চড় খেয়ে মাটিতে এসে পড়েন। আজ তার 30 বছরের জীবনে তার শরীরে নখের আচর কেউ দেয়নি এখনতো তিনি থানার ওসি। চর দুটোকে তার সারা শরীরে বিদ্যুৎ চমকের মত কিছু অনুভব হল। তিনি ভাল করে ছেলেটার দিকে দেখলেন। ছেলেটা ছয় ফুটের কাছাকাছি লম্বা তার থেকেও একটু বেশি লম্বা কিন্তু বয়স অল্প দেখে বোঝা যাচ্ছে ছেলেটা শরীর ঘামে ভেজা চোখ দুটো রাগে ফেটে পড়ছে। তিনি ভাবতেও পারেননি তার থেকে কম বয়সে একটা ছেলের কাছ থেকে তিনি সপাটে দুই গালে দুটো চড় খাবেন। রাগে তার সারা শরীর জ্বলে যাচ্ছে নেহাত তিনি আজ সার্ভিস রিভলবার নিয়ে বেরোন নি নইলে ছেলেটাকে তিনি সেখানেই গুলি করতেন তারপর যা হতো তা তিনি সামলে নিলেন। দীপ্তি যখন আশেপাশে চোখ ঘোরানো তখনই তার সামনে ব্যাপারটা পরিস্কার হলো একটা চার চাকার গাড়ি তার ঠিক এক বিঘত দূরে থেকে গিয়ে পাশের লাইটপোস্টে ধাক্কা খেয়ে উলটে আছে ছেলেটা নিশ্চয়ই তাকে বাঁচাতে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতে গিয়েছিল। মনে মনে দীপ্তি চৌহান মাথায় হাত দিলেন কি বড় ভুল করেছেন তিনি এই গাড়িটা যদি তাকে পিষে দিত তাহলে সে যদি নাও মূর্ত তাও সারা জীবন তাকে হুইল চেয়ারে করে ঘুরতে হত ছেলেটাকে কিছু বলার আগেই ছেলেটা নিজের বাগাল ডলতে ডলতে ভিড়ের মধ্য থেকে বেরিয়ে গেল। দীপ্তি চৌহান নিজের জীবন বাঁচানোর থেকেও নিজের দুই গালে চড় এর কথা ভেবে রাগে-দুঃখে ভিতরে ভিতরে ফেটে পড়তে লাগলেন। কিন্তু দীপ্তি চৌহান জানেন এই সমস্ত মানুষের কাছে ওই ছেলেটা এখন হিরো হয়ে উঠেছে। দীপ্তি চৌহান ভালো করেই জানে রাগ পুষে রেখে পরে কি করে তার সুদে-আসলে বদলা নেওয়া যায়। তৃপ্তি চৌহান নিজের কান থেকে হেডফোন খুলে নিজের দোষ স্বীকার করে সামনের লোকগুলো বললেন আমাকে বাঁচান ওই মহানুভব ব্যক্তির নামটা যদি বলেন তাহলে আমাকে বাঁচানোর জন্য তার কাছ থেকে আমি ক্ষমা প্রার্থনা করতে পারি। ওখানের কিছু লোক ওই ছেলেটা কে চিনতে পারল সে এখানে নতুন এসেছে একাউন্টান্সি নিয়ে সেকেন্ড ইয়ারের স্টুডেন্ট কোন জায়গায় ঘর না পেয়ে বস্তিতে বিন্দু দিদির সহায়তায় একটা ঘরে থাকে। নাম হচ্ছে "অমিত"!
অমিত সকাল বেলায় একজন মহিলাকে বাঁচাতে গিয়ে যেরকম অপদস্ত হয়েছে তাতে তার মেজাজ খিঁচড়ে ছিল সে গজ গজ করতে করতে ফ্রেশ হয়ে কোন কিছু না খেয়ে হিসাবের খাতা নিয়ে বসলো সেখানে সে শেষ দু'বছরের খাতায় প্রচুর পরিমাণে গরমিল পেতে শুরু করলো এরকমভাবে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যে হল।


দীপটি চৌহান লজ্জায় ঘৃণায় অপমানে দৌড়ে ঘরে এসে বড় বড় শ্বাস নিন তার রুমে ঢোকার সাথে সাথে বিশাল বড় এক আয়না তিনি তার প্রতিচ্ছবি দেখতে পেলেন তার গালে চারটে চারটে আটটা আঙ্গুলের ছাপ স্পষ্ট । তিনি বেশ শক্ত সমর্থ পাঞ্জাবি মহিলা তিনি কুড়ি একুশ বছর বয়সের একটা ছেলের কাছ থেকে চড় খেলেন তিনি এই ভাবতে-ভাবতে সোজা ওয়াশ রুমে ঢুকে কল টা চালিয়ে দিয়ে বারবার মুখে জলের ঝাপটা দিতে লাগলেন তার জলের সাথে নিজের চোখের জল মিশে যেতে লাগলো দশ-বারো বার পরপর জলের ঝাপটা নেওয়ার পর তিনি পাশে রাখা সেন্টের বোতল ডান হাতের মুঠোয় শক্ত করে ধরে বড় বেলজিয়াম কাচের আয়না টায় ছুড়ে মারলেন আর প্রায় সঙ্গে সঙ্গে কাচ ভাঙ্গার শব্দে আয়নাটা ভেঙে টুকরো টুকরো ফাটলে চারিদিকে ছড়িয়ে গেল । ভালো দামি কাচ ছিল হয়তো। পরপর হাতের কাছে রাখা যা ছিলো সব আয়নাটার দিকে ছুঁড়ে দিতে লাগলেন আর প্রচণ্ড কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি যতই উপর থেকে হার্ডকোর পুলিশ অফিসার হন না কেন তার আরালে এক নরম মেয়ে লুকিয়ে আছে। তিনি শপথ নিলেন যে করেই হোক ওই ছেলেটাকে জীবনের মতো শিক্ষা দিয়ে ছাড়বেন। লোকগুলোর কথা বারবার তিনি মনে করছিলেন বিন্দু দিদি ওই ছেলেটাকে আশ্রয় দিয়েছে। দীপ্তি চৌহানের মাথা থেকে বেরিয়ে গেল ওই ছেলেটা একটু আগে তার জীবন দান করেছেন। তিনি ভালো করে স্নান করে অফিসের জন্য রেডি হয়ে যখন পুলিশের ড্রেস পড়ে তৈরি হলে তখন তিনি দেখলেন তার মুখে এখনও লাল হয়ে আছে। তিনি আজ অনেক বছর পর প্রথম মেকআপ কিট খুলে কিছুটা মুখে ফর্সা রং এর মেকআপ করলেন যাতে তার গালের লাল ভাবটা বাইরে থেকে বোঝা না যায়। তিনি পুলিশ স্টেশনে ঢোকার সময় থেকে নিজের অফিস রুমে বসা পর্যন্ত সমস্ত হাবিলদার পুলিশ অফিসার তার দিকে কেমন দৃষ্টিতে যেন তাকিয়ে আছে তিনি ভাল করেই বুঝতে পারলেন তার মেকআপ সবার নজরে ভালো করেই পড়েছে। দীপ্তি চৌহানের রাগ আরো যেন বাড়তে লাগলো। তিনি অফিসে ঢুকেই বেল বাজিয়ে একজন পুলিশ অফিসার কে ডাকলেন। পুলিশ অফিসার ঘরে ঢুকে তাকে স্যালুট করে বলল ম্যাডাম কি দরকার? দীপ্তি চৌহান বলল বস্তিতে নতুন একটা ছেলে এসেছে নাম অমিত আমি এর সবকিছু জানতে চাই এর জন্ম কোথায় এর মা-বাবাকে কোথায় মানুষ সবকিছু। পুলিশ অফিসার স্যালুট করে ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বলল ম্যাম সব খবর পেয়ে যাবেন। দীপ্তি চৌহান বলল তুমি অন্য একজনকে আমার ঘরে পাঠিয়ে দাও আর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খবরটা আমাকে দাও। এর কিছুক্ষণ পরেই আরেক পুলিশ অফিসার দীপ্তি চৌহানকে স্যালুট করে তার সামনে দাঁড়াল বলল ম্যাম আমাকে ডেকেছেন? দীপ্তি চৌহান বসবার ইঙ্গিত করে পুলিশ অফিসার কে বলল আজ সকালে জিএম রোডে একটা গাড়ি অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে গাড়ির চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটা কারেন্টের পোলের ধাক্কা মেরেছে। ওই গাড়ির চালকের কোন খবর পাওয়া গেছে? পুলিশ অফিসারটি বলল না ম্যাডাম অ্যাকসিডেন্ট হওয়ার পরেই গাড়ির চালক সেখান থেকে চম্পট দেয়। দীপ্তি চৌহান বলে গাড়ির নাম্বার প্লেট থেকে কিছু জানা গেল? পুলিশ অফিসারটি বলল ম্যাডাম কেউ কোন কমপ্লেন জানায়নি তাই আমরা গাড়িটার বিরুদ্ধে কোনো 4 জানিনা তবে শেষ জানা পর্যন্ত গাড়িটি ওইখানে ওরকম ভাবেই পড়ে আছে. দীপ্তি যখন প্রচণ্ড রাগে ফেটে পড়লেন বললেন আইপিসি 201 ধারায় বলা আছে যখনই পাবলিক প্লেসে কোনো অ্যাক্সিডেন্ট হবে তখন পুলিশ নিজের থেকে একটা কেস ফাইল করবে আপনি কি কিছুই জানেন না. পুলিশ অফিসারটি কাচুমাচু হয়ে বলল আমরা যখন কেসটা লিখতে সেখানে যাই তখন গিয়ে দেখি গাড়ির নাম্বার প্লেট উধাও. দীপ্তি চৌহান নিজের ফোন বের করেন কারণ তিনি গাড়ির ছবি তুলেছিলেন. তিনি একটি কাগজে নম্বরটি লিখে পুলিশ অফিসারটি হাতে দিয়ে বলেন একদিনের মধ্যে আমি জানতে চাই এই গাড়ির আসল মালিক কে ?এখন আপনি আসুন. 
[+] 6 users Like Assking's post
Like Reply


Messages In This Thread
সময় সংগ্রাম! - by Assking - 25-03-2021, 07:53 PM
RE: সময় সংগ্রাম! - by Assking - 21-04-2021, 05:57 PM



Users browsing this thread: 14 Guest(s)