10-04-2021, 05:32 AM
(This post was last modified: 10-04-2021, 06:34 AM by modhon. Edited 2 times in total. Edited 2 times in total.)
৪
আর মাস খানেক পরেই দুর্গাপূজা। মন টা বেশ খুশী। টাউনে যাবে ও আর সরলা। রানি টা কেও নিয়ে যাবে। দুর্গাপূজার কেনাকাটি করতে। প্রতিবারেই করে রাখে আগে থেকে একটু একটু করে। সুবিধা হয়। কলেজ এ ছুটি আজকে ঈদ এর।যূথীর এটা বড় সুবিধা। একটা পিঁপড়ে মরলেও ছুটি পেয়ে যায় ও। স্নান করে বেড়িয়ে চুল টা আঁচড়ে খোঁপা করে যূথী কে স্নান করিয়ে দিল। সরলার বাড়ি থেকে ছোট টা কে এনে খাইয়ে দিল পেট পুরে। কিছুক্ষনের মধ্যেই সরলা মাগী চলে আসবে। ও আসলে তাড়াতাড়ি যেতে চায়। না হলে রোদ হয়ে যাবে। কষ্ট হবে এই ছোট টা কে নিয়ে।
– হ্যালো?
– ফিরেছ তোমরা” ? রাকার কথায় যূথী বলে উঠল
– হ্যাঁ এই তো ফিরলাম? তুই কখন ফিরবি?
– দেখি না হতেও পারে আজকে ফেরা। একটা কেসে কলকাতা যাচ্ছি। দুই তিন দিন দেরি হতে পারে।
– সে কি রে? ওখান থেকেই যাবি নাকি? বাড়ি আসবি না একবার ও?
– সময় হবে না মনে হচ্ছে। তুমি রাজাকে আমার একটা পুলিশের পোশাক আর একটা টি শার্ট আর জিন্স দিয়ে দাও। ও এখনি আসছে। ও আমাকে এখানে পৌঁছে দেবে। আমি ওখান থেকে তোমাকে ফোন করব। সাবধানে থাকবে।
যূথী “বেশ” কথাটা বলার আগেই রাকা ফোন টা কেটে দিল। যূথী নতুন জামা কাপড় দেখবে কি ভাল করে। তাড়াতাড়ি রুটি করতে বসল। সরলা আটা টা মেখে দিল। ততক্ষন যূথী আলুভাজা টা চাপিয়ে, একটা ব্যাগ এ এক সেট পুলিশের পোশাক আর একটা জিন্স আর গেঞ্জি ভোরে দিল। দুটো জাঙ্গিয়া আর একজোড়া মোজা ও ভোরে দিল। লাল টি শার্ট টা শুঁকে কেমন একটা গন্ধ পেয়ে কালো টি শার্ট টা ভোরে দিয়ে ব্যাগ টা নামিয়ে রাখল দুয়ারে। রাজা যখন চেঁচাতে চেঁচাতে এলো তখন যূথী রুটি আর আলুভাজা টিফিন কৌটো তে ভোরে রেডি করে রেখে দিয়েছে।
দুদিন বড়ই খারাপ কাটল যূথীর। সেদিন রাতে রাকা জোর করে যূথীর পাছায় বীর্য ফেলার পড়ে যূথী নিজের ওপরেই ঘেন্নায় নিজেকে গালি দিয়েছিল বটে, কিন্তু রাকা কে না পেয়ে যূথী সত্যি কাতর। ছেলে বলে কাছে না থাকার জন্য যে কষ্ট যে চিন্তা সেটা তো আছেই। কিন্তু রাতে শুয়ে যে একটা ছটফটানি সেটা যূথী টের পাচ্ছিল ভাল মতন ই। ছোট টার দিকে ফিরে শুয়ে ঘুমের ঘরে মাঝে মাঝেই মনে হচ্ছিল রাকা এই এসে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরবে। আর আগের দিনের মতন জোর করে যূথী কে চটকাবে। নিজেকে আবার গালি দিল দিল যূথী “ মাগীর সব সময়ে ওই চিন্তা”। কিন্তু থাকতেও পারল না। সন্তপর্ণে নিজের শাড়িটা তুলে নিজেকে আরাম দিল নিজেরই নরম আঙ্গুল দিয়ে।
--------------
যেদিন রাকা বাড়িতে এলো, যূথী কলেজ এ ছিল। রেগেই ছিল একটু। শয়তান ছেলে একটাও ফোন করে নি। রানিও কলেজ এ গেছে। ছেলেটা অনেকক্ষণ খায় নি। কি জানি সরলা খাওয়াল কিনা। খাওয়াবে নিশ্চয়ই। ও বাস থেকে যখন নামল তখন প্রায় এগারো টা বেজে গেছে। মোটা কালো ফ্রেমের চশমা টা খুলে সাদা শাড়ি তে মুছে আবার পড়ে নিল। ছাতা টা খুলে হাঁটতে শুরু করল। চিন্তায় বুক টা ফেটে যাচ্ছে যেন। ফোন টা সুইচ অফ করে বসে আছে। বাড়িতে তে তো কেউ নেই ওর। মরেছে সবাই ওর। রাগে গজগজ করতে করতে হাঁটছিল ও গলি দিয়ে। আজকে যূথী ফিরবে পিছনের রাস্তা দিয়েই। রাস্তা টা বেশ শর্ট। পিছনের পুকুরের পারের রাস্তাটা একটু খারাপ। না হলে তাড়াহুড়োর মাথায় ঠিক ই আছে। এদিকে গেলে সুবিধা হল সামনেই সরলার বাড়ি। ছেলেটাকে নিয়ে একেবারে ঢুকবে বাড়িতে। উফফ আজকে মাথায় স্নান না করলেই নয়। এই সব ভাবতে ভাবতে আবার রাকার চিন্তা টা মাথায় এসে বাসা বাঁধল। আজকে যদি ফোন না করে তবে ও হৃদয় পুরে চলে যাবে। কোথায় গেছে জানবে আর যেখানে গেছে সেখানকার ফোন নাম্বার টা নিয়ে আসবে।
পুকুর টা পেরিয়ে আসছিল যূথী। ছাতা নিলেও তীব্র রোদে ঘামছিল বেশ। মাঝে মাঝেই শাড়ির আঁচল দিয়ে মুখ টা মুছে নিচ্ছিল। মুখ মুছে এদিক ওদিক তাকাতেই দেখল কেউ একজন কেউ বিশাল পুকুর টাকে লম্বালম্বি সাঁতরে পার করছে। মিশ কালো ছেলেটা। ও চিনতে পেরেছে। ও কালু। এই অঞ্চলের নাম করা গুন্ডা। বয়েস অল্প হলেও পুলিশের খাতায় নাম লিখিয়েছে অনেক দিন হল। একটু যেন ভয় পেল যূথী। পুরো পুকুর পারে কেউ নেই যেন। হয়ত অনেকেই আছে, কিন্তু যূথী দেখতে পাচ্ছে না। যূথী যত এগিয়ে আসছে পুকুরের ধার দিয়ে ছেলেটাও সাঁতার কেটে পুকুরের ওই পারেই আসছে। যূথী বেশ জোরে পা চালিয়ে যখন পুকুরের লম্বালম্বি ঘাট টা পেরিয়ে গেল তখন ছেলেটা জল থেকে মুণ্ডু টা বের করে বেশ লকলক করে দেখছিল যূথী কে। যূথী ওর দিকে আর না তাকিয়ে গলির ভিতর ঢুকে পড়ল। এই তো পুকুরের ধারের বাড়ি টাই সরলার আর পরের টা ওদের। ও চেঁচাতে চেঁচাতেই
– পিসি, এ পিসি ছেলে দে আমার।
– তোর ছেলে নিয়ে গেছে তোর বড় ছেলে। সেই ঘণ্টা খানেক হল এসে বসে আছে। সরলা রান্না ঘর থেকেই উত্তর দিল। “চলে এসেছে রাকা”? সরলা বেড়িয়ে এলো যূথীর কথা শুনে। বলল
– “ হ্যাঁ লো তবে আর বলছি কি তোকে”
– “ আচ্ছা আমি তবে যাই, দুপুরে আসিস মাগী” বলে বেড়িয়ে এলো যূথী। বাড়ি ঢুকেই দেখল দুই ভাই মিলে স্নান করছে। কলতলা তে যেদিকে জল বেড়িয়ে যায় সেই টা একটা ইট আর একটু কাদা দিয়ে আটকে পুরো কলতলা টা জল করে ভরিয়ে দিয়েছে বড় টা। আর রাকার কাছে বসে বসে ছোট টা জলে হাত দিয়ে মারছে আর মাঝে মাঝেই নিজেকে এলিয়ে দিচ্ছে ঠাণ্ডা জলের মধ্যে। হেসে ফেলল যূথী দু ভাই এর কাণ্ড দেখে। কিন্তু যতটা সম্ভব গম্ভীর হয়ে রইল। কারন সে সত্যি করেই রেগে ছিল। এখন রাকা কে দেখে সেই রাগ সমূলে উৎপাটিত হলেও রাকা কে বোঝানো দরকার যে যূথী ওর মা আর রাকা ওর ছেলে।
– কি রে ফোন করতে পারিস নি? আমি চলে আসতাম তাড়াতাড়ি
– ফোন টাই তো হারিয়ে গেছে।
– পুলিশের ফোন হারিয়ে গেছে?!
রাকা বলল না মাকে কি করে হারিয়েছে। বললে চিন্তা করবে। বলল “ লঞ্চ করে যাবার সময়ে হাত ফস্কে নদীর জলে পড়ে গেছে”। যূথীর মনের থেকে রাগ যায় নি। যেকোনো একটা বুথ থেকে ফোন করে আমাকে খবর দেওয়াই যেত। কথাটা ভেবে ঢুকে গেল ঘরে। ঘর থেকে গলা তুলে বলল, “ রাকা ভাইকে অতক্ষন রাখিস না জলে ঠাণ্ডা লেগে যাবে”।“ না আমি থাকব”। পুচকে টা মায়ের কথা শুনেই বলে উঠল আধো আধো করে। যূথীর আরও রাগ হল। রাকার ওপরে রাগ টা যতক্ষণ না রাকা কে দেখাতে পারছে ওর শান্তি নেই। ও শাড়ি টা ছেড়ে আটপৌরে শাড়ি টা পড়ে নিয়ে এলো বেণী টা খোঁপা করে নিয়ে চশমা টা পড়ে বেড়িয়ে এসেই ছোট টা কে চোখ পাকিয়ে বলল – একদম না উঠে এস শিগগিরি। হু, দিন রাত হ্যাছছ নাকে সর্দি এখন দাদাকে পেয়ে ওখানে জলে খেলা হচ্ছে? উঠে আয় এক্ষনি”। ছোটটা দাদাকে জড়িয়ে ধরে পুনরায় খেলায় মত্ত হল। যূথী রেগে গিয়ে নিচে নেমে এলো দুয়ারে রাখা একটা ছোট লাঠি নিয়ে। “ আজকে ছোট বড় কাউকেই ছাড়ব না দাঁড়া, ভাবিস না তোর দাদা বড় হয়েছে বলে ওকে আমি মারব না”। এই সব বলতে বলতে রাগে গজগজ করতে করতে জেই না ঝুঁকে ছোটটা কে ভয় দেখাতে যাবে, রাকা ওর মাকে একটা হ্যাঁচকা টান দিতেই যূথী পড়ে গেল সামনে রাকার কোলে। জল ছিটকে গেল চারিধারে। ছোটোটা মায়ের এই রকম ভাবে পপাত ধরণীতল দেখে হেসে উঠল খিলখিল করে। আর যূথী পড়ে গিয়ে ছেলের কোলে থাকা অবস্থায় প্রচণ্ড রেগে গিয়ে হাতের লাঠি টা দিয়ে রাকা কে মারতে গিয়ে নিজেও হেসে ফেলল জোরে। রাকাও হেসে ফেলল………………………………
আর মাস খানেক পরেই দুর্গাপূজা। মন টা বেশ খুশী। টাউনে যাবে ও আর সরলা। রানি টা কেও নিয়ে যাবে। দুর্গাপূজার কেনাকাটি করতে। প্রতিবারেই করে রাখে আগে থেকে একটু একটু করে। সুবিধা হয়। কলেজ এ ছুটি আজকে ঈদ এর।যূথীর এটা বড় সুবিধা। একটা পিঁপড়ে মরলেও ছুটি পেয়ে যায় ও। স্নান করে বেড়িয়ে চুল টা আঁচড়ে খোঁপা করে যূথী কে স্নান করিয়ে দিল। সরলার বাড়ি থেকে ছোট টা কে এনে খাইয়ে দিল পেট পুরে। কিছুক্ষনের মধ্যেই সরলা মাগী চলে আসবে। ও আসলে তাড়াতাড়ি যেতে চায়। না হলে রোদ হয়ে যাবে। কষ্ট হবে এই ছোট টা কে নিয়ে।
– হ্যালো?
– ফিরেছ তোমরা” ? রাকার কথায় যূথী বলে উঠল
– হ্যাঁ এই তো ফিরলাম? তুই কখন ফিরবি?
– দেখি না হতেও পারে আজকে ফেরা। একটা কেসে কলকাতা যাচ্ছি। দুই তিন দিন দেরি হতে পারে।
– সে কি রে? ওখান থেকেই যাবি নাকি? বাড়ি আসবি না একবার ও?
– সময় হবে না মনে হচ্ছে। তুমি রাজাকে আমার একটা পুলিশের পোশাক আর একটা টি শার্ট আর জিন্স দিয়ে দাও। ও এখনি আসছে। ও আমাকে এখানে পৌঁছে দেবে। আমি ওখান থেকে তোমাকে ফোন করব। সাবধানে থাকবে।
যূথী “বেশ” কথাটা বলার আগেই রাকা ফোন টা কেটে দিল। যূথী নতুন জামা কাপড় দেখবে কি ভাল করে। তাড়াতাড়ি রুটি করতে বসল। সরলা আটা টা মেখে দিল। ততক্ষন যূথী আলুভাজা টা চাপিয়ে, একটা ব্যাগ এ এক সেট পুলিশের পোশাক আর একটা জিন্স আর গেঞ্জি ভোরে দিল। দুটো জাঙ্গিয়া আর একজোড়া মোজা ও ভোরে দিল। লাল টি শার্ট টা শুঁকে কেমন একটা গন্ধ পেয়ে কালো টি শার্ট টা ভোরে দিয়ে ব্যাগ টা নামিয়ে রাখল দুয়ারে। রাজা যখন চেঁচাতে চেঁচাতে এলো তখন যূথী রুটি আর আলুভাজা টিফিন কৌটো তে ভোরে রেডি করে রেখে দিয়েছে।
দুদিন বড়ই খারাপ কাটল যূথীর। সেদিন রাতে রাকা জোর করে যূথীর পাছায় বীর্য ফেলার পড়ে যূথী নিজের ওপরেই ঘেন্নায় নিজেকে গালি দিয়েছিল বটে, কিন্তু রাকা কে না পেয়ে যূথী সত্যি কাতর। ছেলে বলে কাছে না থাকার জন্য যে কষ্ট যে চিন্তা সেটা তো আছেই। কিন্তু রাতে শুয়ে যে একটা ছটফটানি সেটা যূথী টের পাচ্ছিল ভাল মতন ই। ছোট টার দিকে ফিরে শুয়ে ঘুমের ঘরে মাঝে মাঝেই মনে হচ্ছিল রাকা এই এসে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরবে। আর আগের দিনের মতন জোর করে যূথী কে চটকাবে। নিজেকে আবার গালি দিল দিল যূথী “ মাগীর সব সময়ে ওই চিন্তা”। কিন্তু থাকতেও পারল না। সন্তপর্ণে নিজের শাড়িটা তুলে নিজেকে আরাম দিল নিজেরই নরম আঙ্গুল দিয়ে।
--------------
যেদিন রাকা বাড়িতে এলো, যূথী কলেজ এ ছিল। রেগেই ছিল একটু। শয়তান ছেলে একটাও ফোন করে নি। রানিও কলেজ এ গেছে। ছেলেটা অনেকক্ষণ খায় নি। কি জানি সরলা খাওয়াল কিনা। খাওয়াবে নিশ্চয়ই। ও বাস থেকে যখন নামল তখন প্রায় এগারো টা বেজে গেছে। মোটা কালো ফ্রেমের চশমা টা খুলে সাদা শাড়ি তে মুছে আবার পড়ে নিল। ছাতা টা খুলে হাঁটতে শুরু করল। চিন্তায় বুক টা ফেটে যাচ্ছে যেন। ফোন টা সুইচ অফ করে বসে আছে। বাড়িতে তে তো কেউ নেই ওর। মরেছে সবাই ওর। রাগে গজগজ করতে করতে হাঁটছিল ও গলি দিয়ে। আজকে যূথী ফিরবে পিছনের রাস্তা দিয়েই। রাস্তা টা বেশ শর্ট। পিছনের পুকুরের পারের রাস্তাটা একটু খারাপ। না হলে তাড়াহুড়োর মাথায় ঠিক ই আছে। এদিকে গেলে সুবিধা হল সামনেই সরলার বাড়ি। ছেলেটাকে নিয়ে একেবারে ঢুকবে বাড়িতে। উফফ আজকে মাথায় স্নান না করলেই নয়। এই সব ভাবতে ভাবতে আবার রাকার চিন্তা টা মাথায় এসে বাসা বাঁধল। আজকে যদি ফোন না করে তবে ও হৃদয় পুরে চলে যাবে। কোথায় গেছে জানবে আর যেখানে গেছে সেখানকার ফোন নাম্বার টা নিয়ে আসবে।
পুকুর টা পেরিয়ে আসছিল যূথী। ছাতা নিলেও তীব্র রোদে ঘামছিল বেশ। মাঝে মাঝেই শাড়ির আঁচল দিয়ে মুখ টা মুছে নিচ্ছিল। মুখ মুছে এদিক ওদিক তাকাতেই দেখল কেউ একজন কেউ বিশাল পুকুর টাকে লম্বালম্বি সাঁতরে পার করছে। মিশ কালো ছেলেটা। ও চিনতে পেরেছে। ও কালু। এই অঞ্চলের নাম করা গুন্ডা। বয়েস অল্প হলেও পুলিশের খাতায় নাম লিখিয়েছে অনেক দিন হল। একটু যেন ভয় পেল যূথী। পুরো পুকুর পারে কেউ নেই যেন। হয়ত অনেকেই আছে, কিন্তু যূথী দেখতে পাচ্ছে না। যূথী যত এগিয়ে আসছে পুকুরের ধার দিয়ে ছেলেটাও সাঁতার কেটে পুকুরের ওই পারেই আসছে। যূথী বেশ জোরে পা চালিয়ে যখন পুকুরের লম্বালম্বি ঘাট টা পেরিয়ে গেল তখন ছেলেটা জল থেকে মুণ্ডু টা বের করে বেশ লকলক করে দেখছিল যূথী কে। যূথী ওর দিকে আর না তাকিয়ে গলির ভিতর ঢুকে পড়ল। এই তো পুকুরের ধারের বাড়ি টাই সরলার আর পরের টা ওদের। ও চেঁচাতে চেঁচাতেই
– পিসি, এ পিসি ছেলে দে আমার।
– তোর ছেলে নিয়ে গেছে তোর বড় ছেলে। সেই ঘণ্টা খানেক হল এসে বসে আছে। সরলা রান্না ঘর থেকেই উত্তর দিল। “চলে এসেছে রাকা”? সরলা বেড়িয়ে এলো যূথীর কথা শুনে। বলল
– “ হ্যাঁ লো তবে আর বলছি কি তোকে”
– “ আচ্ছা আমি তবে যাই, দুপুরে আসিস মাগী” বলে বেড়িয়ে এলো যূথী। বাড়ি ঢুকেই দেখল দুই ভাই মিলে স্নান করছে। কলতলা তে যেদিকে জল বেড়িয়ে যায় সেই টা একটা ইট আর একটু কাদা দিয়ে আটকে পুরো কলতলা টা জল করে ভরিয়ে দিয়েছে বড় টা। আর রাকার কাছে বসে বসে ছোট টা জলে হাত দিয়ে মারছে আর মাঝে মাঝেই নিজেকে এলিয়ে দিচ্ছে ঠাণ্ডা জলের মধ্যে। হেসে ফেলল যূথী দু ভাই এর কাণ্ড দেখে। কিন্তু যতটা সম্ভব গম্ভীর হয়ে রইল। কারন সে সত্যি করেই রেগে ছিল। এখন রাকা কে দেখে সেই রাগ সমূলে উৎপাটিত হলেও রাকা কে বোঝানো দরকার যে যূথী ওর মা আর রাকা ওর ছেলে।
– কি রে ফোন করতে পারিস নি? আমি চলে আসতাম তাড়াতাড়ি
– ফোন টাই তো হারিয়ে গেছে।
– পুলিশের ফোন হারিয়ে গেছে?!
রাকা বলল না মাকে কি করে হারিয়েছে। বললে চিন্তা করবে। বলল “ লঞ্চ করে যাবার সময়ে হাত ফস্কে নদীর জলে পড়ে গেছে”। যূথীর মনের থেকে রাগ যায় নি। যেকোনো একটা বুথ থেকে ফোন করে আমাকে খবর দেওয়াই যেত। কথাটা ভেবে ঢুকে গেল ঘরে। ঘর থেকে গলা তুলে বলল, “ রাকা ভাইকে অতক্ষন রাখিস না জলে ঠাণ্ডা লেগে যাবে”।“ না আমি থাকব”। পুচকে টা মায়ের কথা শুনেই বলে উঠল আধো আধো করে। যূথীর আরও রাগ হল। রাকার ওপরে রাগ টা যতক্ষণ না রাকা কে দেখাতে পারছে ওর শান্তি নেই। ও শাড়ি টা ছেড়ে আটপৌরে শাড়ি টা পড়ে নিয়ে এলো বেণী টা খোঁপা করে নিয়ে চশমা টা পড়ে বেড়িয়ে এসেই ছোট টা কে চোখ পাকিয়ে বলল – একদম না উঠে এস শিগগিরি। হু, দিন রাত হ্যাছছ নাকে সর্দি এখন দাদাকে পেয়ে ওখানে জলে খেলা হচ্ছে? উঠে আয় এক্ষনি”। ছোটটা দাদাকে জড়িয়ে ধরে পুনরায় খেলায় মত্ত হল। যূথী রেগে গিয়ে নিচে নেমে এলো দুয়ারে রাখা একটা ছোট লাঠি নিয়ে। “ আজকে ছোট বড় কাউকেই ছাড়ব না দাঁড়া, ভাবিস না তোর দাদা বড় হয়েছে বলে ওকে আমি মারব না”। এই সব বলতে বলতে রাগে গজগজ করতে করতে জেই না ঝুঁকে ছোটটা কে ভয় দেখাতে যাবে, রাকা ওর মাকে একটা হ্যাঁচকা টান দিতেই যূথী পড়ে গেল সামনে রাকার কোলে। জল ছিটকে গেল চারিধারে। ছোটোটা মায়ের এই রকম ভাবে পপাত ধরণীতল দেখে হেসে উঠল খিলখিল করে। আর যূথী পড়ে গিয়ে ছেলের কোলে থাকা অবস্থায় প্রচণ্ড রেগে গিয়ে হাতের লাঠি টা দিয়ে রাকা কে মারতে গিয়ে নিজেও হেসে ফেলল জোরে। রাকাও হেসে ফেলল………………………………