Thread Rating:
  • 14 Vote(s) - 3.36 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Misc. Erotica সময় সংগ্রাম!
#20
New update
ঘরে টা দেখবার বেশ কিছু খন পড় অমিত বাইরে থেকে দরজা খোলার আওয়াজ শুন্তে পেল।কালু দরজা খুলে টেবিলের উপরে খাবার রাখল । অমিত কালুকে জিজ্ঞাসা করল তোমরা আমায় কখন ছাড়বে। আমি তো তোমাদের কোন ক্ষতি করিনি। কালু এই কথার উত্তরে বলল বিন্দু দিদি যতক্ষণ না বলবে ততক্ষণ তোকে ছাড়া হবে না। এই কথা বলার পর কাল অমিতের মুখের উপর দরজা বন্ধ করে চলে গেলো। অমিত খাবারটা না খেয়ে বসে রইল আধঘন্টা পরে বিন্দু দিদি দরজা খুলে ভেতরে এলো অমিত বলল দয়া করে আমায় ছেড়ে দিন আমি কিছু জানিনা আমি কাউকে কিছু বলব না। বিন্দু দিদি এই কথা শুনে হেসে উঠলো বলল তোমার ব্যাক চেক করা হয়েছে তুমি কমার্সের ছাত্র অ্যাকাউন্টেন্ট হতে চাও বৃত্তি পেয়ে সরকারি কলেজে পড়তে চলে আসো সবই আমার জানা তোমার ব্যাক করে এসবই আমি বুঝতে পেরেছি আর আমরা যে ভালো লোক না সেটা তুমি বুঝতে পেরেছ আমি জানি তুমি অতটা বোকা নই যে পুলিশের কাছে গিয়ে কিছু বলবে আচ্ছা অমিত তুমি এখানে কোথায় থাকবে তুমিতো কলেজ হোস্টেলে জায়গা পাবে না সেটা ওই শালা আগরওয়াল নিজের কব্জা করে নিয়েছে। ওখানে থাকতে গেলে তোমাকে এক লাখ টাকা জমা দিতে হবে ইউনিয়নের হাতে। তোমার ব্যাগে তো আমি কুড়ি হাজার টাকার বেশি দেখলাম না । অমিত ভয় পাওয়ার মত জড়সড় হয়ে বসে বলল আমি গ্রামের ছেলে মঠে মানুষ আমার মা-বাবা কেউ নেই অনেক আশা করে এসেছিলাম এখন দেখছি আমার আবার মাঠে ফিরে যেতে হবে। বলেই কান্নায় ভেঙে পড়ল অমিত। শত হলেও মায়ের মন বিন্দু কিছু যেন ভাবল। অমিত আমি তোমার এখানে থাকবার জায়গা করে দিতে পারি কিন্তু সময়ে সময়ে আমার কিছু কাজ তোমাকে করে দিতে হবে অমিত কি যেন বলতে যাচ্ছিল বিন্দু দিদি হাত দিয়ে অমিতকে চুপ করিয়ে দিল তারপর নিজেই বলতে লাগলো তুমি যেরকম ভাবছো সেরকম কোনো কাজ নয় আমি মানুষ দেখলে চিনি তোমার দ্বারা যে কাজ সম্ভব আমি তোমাকে সেই কাজই দেবো এই রাতটা তুমি ভাবো তুমি মাঠে ফিরে যাবে না এখানে কলেজে পড়ে সমাজের বুকে প্রতিষ্ঠিত হবে তোমায় যারা এত কষ্ট করে মানুষ করেছে তাদের মুখ উজ্জ্বল করবে আর হ্যাঁ খাবারটা খেয়ে নাও কালকে সকালে কথা হবে। এই বলে বিন্দু জিতি দরজা খোলা রেখেই বেরিয়ে গেল অমিত মনে মনে ভাবল সিংহ শিকার করতে এসে সিংহী তাকে আশ্রয় দিল নিয়তির কি পরিহাস।

পরদিন সকাল বেলা অমিত চারদিকে দেখে শুনে বুঝল এটা একটা বস্তি এলাকা সকালবেলায় তার দৌড়াতে যাওয়ার অভ্যাস অমিত দৌড়ানোর পর যখন ফিরে এলো তখন দেখল আটটা বেজে গেছে বস্তির লোকজন তার দিকে যেন তেমন একটা চোখে তাকাচ্ছে অমিত কিছুই বুঝতে পারলো না বিন্দু দিদির সাথে ও তার আর দেখা হলো না সকালে অমিত কলেজে গেল করোনার পরে প্রথম কলেজ কাউন্টারে গিয়ে অমিত নিজের বায়ো ডাটা এবং যাবতীয় যা দরকার সেগুলো জমা করল তার সাথে তার স্কলারশিপের সার্টিফিকেট। কাউন্টার থেকে তার ফোন নাম্বার অ্যাড করা হলো কলেজের ফার্স্ট ইয়ারের গ্রুপে। হইচই তার মধ্যেই ফার্স্ট ইয়ার দে একটা লাইনে দাড় করিয়ে দিয়েছে সিনিয়ররা অমিত ভালোই জানে এখন রেগিং  হবে। ইন্জিয়ারিং কলেজ এর মতো অতোটা বাজে রাগিনী এখানে হয় না রাইজিং গ্রুপের মধ্যে সব আগরওয়ালের লোক চারটে ছেলে তিনটি মেয়ে মেয়েগুলো হয়তো সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে আর ছেলেগুলোর দুই-তিনবার সাপ্লিয়ের শেষে 6 থেকে 7 বছরের কলেজে কাটিয়েছে ওরা অমিত যতটা ভেবেছিলাম ততটা রাগিনী এখানে হয় না তোকে ফুল দিতে বলছে একজনকে কনডম কিনে আনতে বলল এরকম করে অমিতের পালা ইলো অমিতকে প্যাক এর ঘরের নামতা জিজ্ঞাসা করল অমিত কিছু না বুঝতে পেরেই ফ্যাল ফ্যাল করে ছেলেটার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকল তারপর রাইজিং গ্রুপের একটা মেয়ে বলল প্যাক প্যাক অমিতের ভাবলেশহীন অবস্থা দেখে ছেলেগুলো নিজেদের মধ্যে কথা বলতে লাগলো রাকেশ তুই বলতো এই শুয়োরের বাচ্চা কে কি করা যায় আরে তুই বলনা ভাই রাজিব শালাকে তিন তালাক থেকে একতলা অব্দি দূর করানো যাক মেয়ে দুটো অমিতকে এতক্ষণ চোখ দিয়ে গিলছিল সেটা চোখ থেকে এড়ায়নি অন্য ছেলেগুলোর অমিতের উপর ওরা যথেষ্ট জেলাসি হলো দুইজন মিলে অমিতের কলার ধরে বলল যা তিনতলা থেকে একতলা অব্দি পাঁচবার পাক দে। অমিত কাকুতি-মিনতি করতে লাগলো রাকেশ বলল ছেলে কে মায়ের কাছে পাঠা মায়ের দুধ খেয়ে আসবে যা শালার ব্যাটা 45 দিয়ে আয়। অমিত সকাল থেকে পাউরুটি ছাড়া কিছুই খাওনি তিনবারের বার অজ্ঞান হয়ে নিচে পড়ে গেল। এই কথাটা সারা কলেজরোড উঠে গেল যে ফার্স্ট ইয়ারের একটি ছেলেকে আগরওয়ালের ছেলেরা রেগিং করে অজ্ঞান করে দিয়েছে। কলেজে বেধে গেল হইহই ধুমধুমার কান্ড একদল আগরওয়ালের অন্য দল কাদের আমি তো কিছু বুঝতে পারল না কলেজে যে এতটা ভয়ঙ্কর মারামারি হতে পারে সে জানতো না এর মধ্যেই কোকাকোলার বোতলের মধ্যে মিল্টন ভরে একটা বোতল সোজা গিয়ে পরল প্রিন্সিপালের কাচের জানালা ভেঙে প্রিন্সিপালের টেবিলে এরকম কাজ ভাঙ্গা দরজা ভাঙা টেবিল ভাঙ্গা হয় সেটা অমিত ভালোই বুঝতে পারল কলেজের চেহারা দেখে। অমিত কোনমতে পিঠ বাঁচিয়ে চলে এলো এখানকার প্রসিদ্ধ নদীর ধারের কাছে ওখানেই সন্ধ্যা পর্যন্ত কাটিয়ে দিল। ফোনে একটা এসএমএস শব্দ হচ্ছে দেখে অমিত নিজের ফোনটা দেখল কলেজের প্রিন্সিপাল রিজাইন দেওয়ার ফলে কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে তাছাড়া এতদিন যাবৎ কলেজের মারামারি গন্ডগোলের জন্য একটা বোর্ড গঠন করা হয়েছে সেই ভোটের রায় পরবর্তী কলেজ কি করে চলবে সেটা ঠিক করা হবে।
[+] 5 users Like Assking's post
Like Reply


Messages In This Thread
সময় সংগ্রাম! - by Assking - 25-03-2021, 07:53 PM
RE: সময় সংগ্রাম! - by Assking - 30-03-2021, 07:37 PM



Users browsing this thread: 10 Guest(s)