Thread Rating:
  • 23 Vote(s) - 3.43 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Adultery প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর (সংগৃহীত)
#14
প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর ১৩

দুটো বেজে গিয়েছে, ক্ষুধায় পেট জ্বলছিল ওদের। একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকল ওরা। মালিক যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন রেস্টুরেন্টিতে শহুরে ভাব আনার, সফল হননি পুরোপুরি। তবে মফঃস্বলের বেশিরভাগ রেস্টুরেন্টের মতো নোংরা নয় অন্তত- নামটিও বেশ অভিনব- “সুখাদ্য”!

ফ্লোরের মাঝামাঝি অত্যালোকিত একটি কাচের টেবিলে বসতেই গত কয়েক মিনিট ভুলে থাকা খুনের ব্যাপারটা মাথাচাড়া দিয়ে উঠল আবার- নির্জন বলল, “মনোয়ার ওমরকে লক্ষ্য করেছিলে?”
“হ্যাঁ। কেন?”, বলল রুপা বিপরীতের চেয়ারে বসে।
“সিএনজি থেকে নামার সময় উনি একদম পরিপাটি ছিলেন!”
“তাতে কী?”
“প্রেমিকার অপমৃত্য সংবাদে- হোক সে প্রেম অবৈধ, যে কেউ হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসবে। আর উনি এসেছেন চুল রীতিমত ব্যাকব্রাশ করে পরিপাটি হয়ে!”
“হয়তো ওর সকালে ওঠার অভ্যাস! খবরটা শোনার আগেই বাইরে বেরুনোর জন্য প্রস্তুত হয়েছিলেন!”
“হতে পারে। এটা একটা হাইপোথেসিস। তিনি হয়তো জানতেন, এমনটা হবে। তাই আগে থেকেই শেভটেভ করে তৈরি ছিলেন!”
মেন্যুতে হাঁসের মাংস দেখে দ্বিতীয়বার না ভেবেই অর্ডার করল নির্জন, নিজের জন্য। সঙ্গে বুটের ডাল, ডিম আর আলু ভাজি। রুপা বলল, “আমি, মনে হয় না, খেতে পারব। আমার কোনভাবেই লাশটার ছবি সরাতে পারছি না মন থেকে!”
“খেয়ে নাও, রুপা। আমাদের অনেক কাজ বাকি!”
বছর বারো তেরোর একটা ছেলে ট্রেতে খাবার এনে রাখল ওদের টেবিলে। ছেলেটির পরনে গরম পোশাক নেই- ফুলহাতা একটা সবুজ শার্টের নিচে পড়েছে লাল গেঞ্জি। খারাপ লাগল নির্জনের। জিডিপি বাড়ল, ব্যাঙ্কের রিজার্ভ বাড়ল, পার ক্যাপিটা ইনকাম বাড়ল আর এর গায়ে একটা জ্যাকেট চড়ল না!
“এই ঠাণ্ডায় কেউ নগ্ন হয় কখন, রুপা?”, মাংসের একটা টুকরো মুখে পুরে বলল নির্জন।
“কেন?”
“গোসল কিংবা সেক্সের সময়। মাস্টারবেশনের সময়ও নয়। তাহমিনা হায়াতের গলায় যখন ছুরিটা চালানো হয়, তখন তিনি নগ্ন ছিলেন। হত্যার পর তাকে নগ্ন করা হয়নি।”
“কীভাবে বুঝলেন?”, ভাতের দিকে তাকিয়ে বলল রুপা।
“খাচ্ছো না যে?”, রুপা খাবারের প্লেটে এখনো হাত দেয়নি দেখে বলল নির্জন।
“খুন করার পর জামা খুললে”, আবার আগের প্রসঙ্গে ফিরল নির্জন, “রক্তে জামা ভেসে যেত। জামা খোলার সময় চুলে মুখে মাথায় রক্ত লেপ্টে যেত! তেমন কিন্তু হয়নি!”
“তারমানে মিলিত হওয়ার জন্য তাহমিনা হায়াত নগ্ন হয়েছিলেন আর সেই সময়ই তার প্রেমিক গলায় ছুরি চালিয়ে দিয়েছে- এটা বলতে চাইছেন?”, বলল রুপা ভাতে ডাল মেখে।
“এটাও হাইপোথেসিস। আর এক্ষেত্রে সন্দেহ গিয়ে পড়ে মনোয়ার ওমরের উপর।”
“এমনটা হলে মনোয়ার ওমর বাঁচবে না, তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ডিএনএ পাওয়া যাবেই!”
“এখানে একটা সমস্যা আছে!”, বলল নির্জন।
রুপা মুখে কিছু না বলে, মুখ তুলে চাইল শুধু।
“এমনটা হয়েছে বলছি না, হওয়ার সম্ভাবনা আছে শুধু। আমি যতদূর জানি, রাতে মনোয়ার ওমর এই হোটেলে থাকতেন না, অন্য কোথাও থাকতেন, তাহমিনার স্বামী যেন কোন সন্দেহ না করেন তাই!“
“হ্যাঁ…”
“ধরে নাও, জুলফিকার আমান মানে তাহমিনার স্বামী চলে যাওয়ার পর মনোয়ার ওমর এসেছেন, মিলিত হয়েছেন এবং চলেও গেছেন। ওকে? খুনী তারপর এসে, ধরে নাও এসাসিন বা অন্যকেউ, কোনভাবে তার রুমে ঢুকে তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় খুন করে চলে গেছে। তাহলে কিন্তু মনোয়ার ওমর ফেঁসে যাবেন কারণ তার ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্ট ভিক্টিমের সারা দেহে পাওয়া যাবে!”
“আপনি আবার সিনেম্যাটিকভাবে ভাবছেন!”, বিরক্ত হয়ে বলল রুপা।
“বাস্তবতা সিনেমার চেয়েও বেশি সিনেম্যাটিক, রুপা। আর সিনেমাতে তাই দেখানো হয়, যা বাস্তবে সম্ভব!”
“প্লিজ, থামুন এবারে। এমনিই লাশটার ছবি চোখে ভাসছে সবসময়, আর আপনি এসব শুরু করেছেন। নিতে পারছি না আর!”
হোটেলে ফিরতে ফিরতে চারটা বেজে গেল ওদের। সুস্থ স্বাস্থ্যবান শিশুর মতো সূর্য উঠেছিল সকালে, এখন আকাশ মেঘে ঢাকা, চোরা হাওয়া বইছে উত্তরের। ম্যান ভার্সেস ওয়াইল্ডের বেয়ার গ্রিলসের কথা প্রমাণ করতেই যেন, ঝপ করে নামতে চাইছে সন্ধ্যা! কাঁপতে কাঁপতে রিসেপশনে পা দিতেই বাদল ব্যানার্জি এগিয়ে এসে রুপাকে বলল, ম্যাম, আপনাদের মালপত্র আমরা সেকেন্ড , ফ্লোরের ২০৪ নাম্বার রুমে এনে রেখেছি। পুলিশ তিনতলার বাম দিকটা সিলড করে দিয়েছে!”
এমনটা হবে জানত নির্জন। সেরুমে আর রাত্রিযাপনও সম্ভব নয় ওর পক্ষে, পাশের রুমেই গতরাতে একজন খুন হয়েছেন, জানার পর! ডেস্কের পেছনে “ড়”কে তার গিরিশৃঙ্গ তাক করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখবে, ভেবেছিল নির্জন। কিন্তু তার বদলে এক সুদর্শন কমবয়সী ছেলে ফর্মাল ড্রেসে দাঁড়িয়ে আছে। মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে বাদল ব্যানার্জির পেছনে হাঁটতে লাগল ও।
সবকিছু বুঝিয়ে দিয়ে বাদল ব্যানার্জি চলে যেতেই সুপ্রভার নাম্বার ডায়ল করল নির্জন।
“তোমাকে জুলফিকার আমানের খোঁজ নিতে বলেছিলাম। নিয়েছো?”
“হ্যাঁ! সুবলকে পাঠিয়েছিলাম ওর দোকানে। উনি আজ সকালে দোকানে এসেছিলেন। খুনের খবরটা পেয়েছিলেন দোকানেই!”
“পুলিশ জুলফিকার আমানকে ইনভেস্টিগেট করবে। আমাদের খেচরের কথাও উনি বলে দিতে পারেন। তোমার অফিসে যেদিন উনি এসেছিলেন, সেদিনের সিসিটিভি ফুটেজটা আছে তো?“
“হ্যাঁ আছে!”
“হ্যাঁ। ওই ফুটেজটা কেটে ড্রাইভে আপ করে দিও। উনি যে নিজেই আমাদের কাছে এসেছিলেন, সেটার প্রমাণ রাখতে হবে একটা।”
রুপা গোসল করে ফিরে এলে হট সাওয়ার নিল নির্জন। তারপর বিছানায় এসে ল্যাপটপ অন করে ওয়ানড্রাইভ থেকে ডাউনলোড করল সকালবেলার ছবি আর ভিডিও।
“আমার মনে হয় না আমাদের আর শ্রীমঙ্গলে থাকা উচিত। খুনের তদন্তটদন্ত করা পুলিশের কাজ, আমাদের তো নয়!”
রুপা এমনটা বলবে, আগেই ভেবেছিল নির্জন, সুস্থ মগজের যে কেউ একথা বলবে। নিজেও ও ভেবেছে কথাটা। ফরেনসিক সায়েন্স এতোটা উন্নতি করেছে- খুনিকে আদালতে দোষী প্রমাণ করার জন্য ফরেনসিক এভিডেন্স যথেষ্ট। এখানে নির্জনের সত্যিই কিছু করার নেই।
“আমি আরেকটু ভালোভাবে ব্যাপারটা বুঝতে চাই, রুপা। এই যা। এতদিন পরকিয়া, অবৈধ প্রেম, রিয়েলস্টেটের ফ্যাক্ট চেক- এসব বালছাল করেছি। যখন শুরু করেছিলাম খেচর, এমন ভেতো ইনভেস্টিগেটর হব, কল্পনাও করিনি। আমি একটা ভালো কেইস চাই, একটা মাথা খাটানোর মতো কেইস। তাহলে অন্তত বলতে পারব, আমি ইনভেস্টিগেশন করি, রিয়েল ইনভেস্টিগেশন করি! আর এই প্রথম আমরা এমন কমপ্লিকেটেড কেইস পেলাম!”
“কিন্তু আমাদের কিছুই করার নেই। কোন কিছু করার এক্সেসও নেই!”, বলল রুপা, ডেসপারেট গলায়।
“থাকতেও পারে! কে ভেবেছিল, শ্রীমঙ্গলে এসে এমন একটা কেইস পাব? এই কেইসে অনেক কিছুই থাকতে পারে যেটা সাদা চোখে ধরা পড়ছে না!”
হতাশ হয়ে হাত ছুড়ল রুপা, বলল না কিছু একটা বলতে গিয়েও।
ভিডিওটা চালু করে প্লেব্যাক স্পিড কিছুটা কমিয়ে দিল নির্জন। দেখল, রুপাও লাগিয়ে দিয়েছে চোখ। মৃতদেহের পাশে দাঁড়িয়ে দুজন হোটেল স্টাফ- একজন কমবয়সী, আরেকজন মধ্যবয়স্ক, তাকিয়ে আছে তাহমিনা হায়াতের ফাঁক হয়ে থাকা ভোকাল কর্ডের দিকে। কী যেন বলল মধ্যবয়স্ক লোকটি, শোনা গেল না ঠিক, কমবয়সী ছেলেটির চোখ বারবার চলে যাচ্ছে মৃতদেহের যোনিতে!
এবারে বেরিয়ে গেলো লোকদুটো, পারিজার আর্তস্বর স্পষ্ট শোনা গেল ভিডিওতে- নির্জন ফিংগারপ্রিন্ট ডিটেকটরের আলো ফেলেছে তাহমিনা হায়াতের পায়ে- পজ করল নির্জন।
“এই যে আলোটা দেখছো, এই আলোতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট থাকলে স্পষ্ট হয়ে উঠবে।”, বলল নির্জন।
“আপনি যে এই লাইট ইউজ করেছেন, কেউ দেখেনি?”
“মনে হয় না। দেখলে পুলিশকে বলত, পুলিশ সেকথা জিজ্ঞেসও করত!”
ভিডিওটা আবার চালু করে দুই সেকেন্ড পর আবার পজ করল নির্জন।
“আঙ্গুলের কোন দাগ তো নেই!”, বলল রুপা।
ভিডিওতে তাহমিনা হায়াতের পেটে, বুকে ও তলপেটে আলো পড়েছে, কোথাও কোন দাগ দেখা যাচ্ছে না। ভিডিওটা আবার চালু করল নির্জন- আলোটা পড়েছে মুখে, মুখেও কোন দাগ নেই; এমনকি দাগ নেই হাতেও।
বিছানাতেও আলো ফেলেছিল নির্জন, সেখানে বেশ কিছু আঙ্গুলের দাগ স্পষ্ট।
“তাহমিনা হায়াতের দেহে কোন ফিংগারপ্রিন্ট নেই! আপনার ডিটেকশন লাইট কাজ করে তো?”
“কাজ না করলে বিছানাতেও ফিঙ্গারপ্রিন্ট দেখা যেত না!”, বলল নির্জন।
“তবে কি কিলার একবারও তাহমিনা হায়াতকে টাচ করেনি? এটা কী করে সম্ভব!”, বিস্মিত হয়ে বলল রুপা।
“হয়তো পিঠের দিকে আছে, সেদিকে তো আলো ফেলতে পারিনি!”
“হতে পারে- এটা কী লেখা?”, হঠাত জিজ্ঞেস করল রুপা।
“কোথায়?”
“ভিডিওটা একটু পিছিয়ে নিন, একটা কাগজ দেখলাম ড্রেসিং টেবিলে…”
নির্জন কয়েক সেকেন্ড পিছিয়ে চালু করল ভিডিওটা। মধ্যবয়স্ক লোকটার পাশে, খাটের ডানদিকে একটা ড্রেসিং টেবিল, সেখানে আয়তকার একটা কাগজ- তাতে লেখা আছে কিছু।
“দেখা যাচ্ছে না!”
“ছবিগুলাতে দেখা যেতে পারে। ওয়েট!”
মোট ১৩টা ক্লিক করেছে নির্জন, একই জায়গা থেকে ঘরের বিভিন্ন প্রান্তকে ফোকাস করে- তবে ৬৪ মেগাপিক্সেলের বড় ল্যান্ডস্কেপে ধরা পড়েছে পুরো ঘরটাই, প্রতিটি ছবিতেই।
একটা ছবিতে ড্রেসিং টেবিলটা এসেছে ভালোমতো। জুম করল নির্জন টাচবারে বৃদ্ধা আর তর্জনি রেখে- সাদা আয়তকার পৃষ্টাটার মাঝবরাবর লেখা-
“আর কোন ফুল নয়, রৌদ্রতৃপ্ত সূর্যমুখী নয়,
তপ্ত সমাহিত মাংস, রক্তের সন্ধানে ঘুরে ফেরে।”
“কবিতা? তাহমিনা হায়াত কবিতা পড়তেন?”, অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল রুপা।
“তপ্ত সমাহিত মাংস, রক্তের সন্ধানে ঘুরে ফেরে”, স্পষ্ট করে উচ্চারণ করল নির্জন। “আর কোন ফুল নয়, রৌদ্রতপ্ত মাংস নয়?”
“কার কবিতা? আপনি তো কবিতা পড়েন- এটা পড়েননি আগে?”
রুপার মুখের দিকে তাকাল নির্জন, ওর চোখে ঘোর। বলল, “আর কোন ফুল নয়, রৌদ্রতপ্ত সূর্যমুখী নয়- শব্দুগুলো প্রচণ্ড ক্যাপভেটিং। কোন এলেবেলে কবির কবিতা এটা নয়!”
“তাহলে কার? শামসুর রাহমানের?”, জিজ্ঞেস করল রুপা।
নিরুত্তর থেকে কবিতার লাইনদুটো বারংবার সশব্দে উচ্চারণ করতে লাগল নির্জন- ক্রোমের কার্চবারে লিখল লাইনদুটো।
“এটা ‘ফিরে এসো, চাকা’ কাব্যগ্রন্থের কবিতা”, স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে বলল নির্জন।
“বিনয় মজুমদার!”
“হ্যাঁ। বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ!”
“পুরো কবিতাটা নেই? নাম দেখুন তো কবিতাটার!”
একটা লিংকে ক্লিক করল নির্জন।
“মুক্ত ব’লে মনে হয়; হে অদৃশ্য তারকা, দেখেছো
কারাগারে দীর্ঘকাল কী-ভাবে অতিবাহিত হ’লো।“
সেখানে আছে পুরো কবিতাটাই কিন্তু কবিতার নামটা দেয়া নেই! আরো কয়েকটা লিংকে ক্লিক করেও নামটা খুঁজে পেল না নির্জন।
“বইটা আমার সংগ্রহে আছে, আজিজ থেকে কিনেছিলাম। কিন্তু এখানকার কোন বইয়ের দোকানে কি এই বই পাওয়া যাবে?”, রুপার দিকে তাকিয়ে বলল নির্জন।
“তার দরকার নেই। এই বইয়ের পিডিএফ পাওয়া যাবে অবশ্যই। সেটাই নামিয়ে নিন।”
ইবুক কোনকালেই পছন্দ ছিল না নির্জনের। কোন ইবই’ই শুরু করে শেষ করতে পারেনি ও, ধরে রাখতে পারেনি মনোযোগ। বইয়ের “মায়ের মতো ভালো” পাতার সাথে প্রতিনিয়ত ক্ষতিকর আলোকরশ্মি নিঃসরণকারী স্ক্রিনের তুলনা চলে? আর এখন কিছু ওয়েবসাইট লেখকের রয়্যালিটি দূরে থাক, লেখকের অনুমতি পর্যন্ত না নিয়ে ইবুক আপলোড করে দিচ্ছে ইচ্ছেমতো। কোন বই সামান্য আলোচিত হলেই কয়েকদিনের মধ্যেই চলে আসছে এসব ওয়েবসাইটে- ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পেশাদার লেখক ও প্রকাশক।
উপায় না থাকায় একটা ওয়েবসাইট থেকে বইটি ডাউনলোড করল নির্জন।
কয়েকটা পাতা স্ক্রল(!) করে নির্জন বলল, “কবিতাগুলোর নাম দেননি কবি। যে তারিখে কবিতাগুলো লিখেছে, সেটাই কবিতার নামের জায়গায় লেখা, সেটাই নাম!”
কাব্যটা মাত্র তিন ফর্মার। যেহেতু কবিতার প্রথম শব্দটা নির্জন জানে- মুক্ত- প্রতিটা কবিতার শুধু প্রথম শব্দটিই পড়ছে ও।
বেশিক্ষণ খুঁজতে হলো না ওকে, পেয়ে গেলো কয়েক মিনিটের মধ্যে। আর কবিতার নামটা দেখে মুখ হাঁ হয়ে গেল ওর!
২৭ জানুয়ারি ১৯৬২!
“আজকের তারিখ!”, বলে উঠল রুপা।
বিস্মিত হতভম্ভ নির্জন তাকিয়ে রইল একদৃষ্টে তারিখটার দিকে।
[+] 1 user Likes Brihannala's post
Like Reply


Messages In This Thread
RE: প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর (সংগৃহীত) - by Brihannala - 19-03-2021, 10:51 AM



Users browsing this thread: