12-03-2021, 05:29 PM
#জীবননদী
জীবনের অর্ধেক পথ পেরিয়ে
এখন আমরা প্রায় সবাই
পূর্ব আর উত্তর পুরুষের
মাঝখানে এসে দাঁড়িয়েছি,
সেতুবন্ধ হয়ে ।
আমাদের কারো বাবা, কারো মা,
কারো বাবা ও মা দুজনেই
বৈতরণী পেরিয়ে এখন পরলোকে,
কেউ বা শেষ খেয়ার অপেক্ষায়,
নৈঃশব্দকে সাথে নিয়ে ।
কেউ বা জীবনের স্বাদ
নিচ্ছে চেটেপুটে ।
আমরা চাই এই স্বাদ
নেওয়া চলুক অনন্তকাল,
যতক্ষণ না অরুচি আসে ।
কিন্তু মহাকাল কি
সে আর্জি মানে ?
এখন আমরা উল্লাসে ফেটে পড়া
কিশোর-কিশোরী বা
তরুণ-তরুণী নই,
হতাশায় নুয়ে পড়া
বৃদ্ধ বা বৃদ্ধাও নই ।
মনের ঝাঁপি উথলানো
স্মৃতি আর অভিজ্ঞতা
আমাদের স্থিতধী করেছে ।
বিরাট দুঃখ আজকাল আর
আমাদের ভাঙ্গতে পারে না,
বাঁধভাঙা উচ্ছাসও
ভাসিয়ে নিতে পারে না ।
আমরা জেনেছি
সব মেঘই সিঁদুরে নয়,
সব পলাশেই
প্রেমের রঙ থাকে না,
সব চকচকে সোনালী
বস্তুই সোনা নয় ।
বুঝেছি, সব শুরুরই শেষ থাকে,
সব শেষের ভেতরে থাকে
আর একটা শুরু ।
আমরা কেউ কাউকে
হিংসে করি না এখন,
কেউ কারো প্রতিদ্বন্দ্বীও নই ।
শুধু অভিমানী মনটা
ঝলকে ওঠে কখনও সখনও,
আবার বন্ধুর ফোন
বা মেসেজ পেলেই
সব অভিমান উড়ে যায়
শরতের পেঁজা তুলোর মতো ।
মাঝে মাঝে আমরা
এক জায়গায় মিলি
শুধু মেলার আনন্দে ।
ভেসে যাই স্মৃতির সরণী বেয়ে,
হাসি, গল্পের পর আবার
হেঁটে যাই আগামীর দিকে,
বুকভরা অক্সিজেন নিয়ে ।
আমাদের পুত্রকন্যারা
কেউ পড়ুয়া, কেউ চাকুরে,
কেউ বিবাহযোগ্য বা যোগ্যা,
কেউ বা বিবাহিত ।
নাতি-নাতনির মুখও
দেখেছে কেউ কেউ ।
এখনও আমরা সন্তানকে
ভুবনগ্ৰামের পথ চেনাই
অভিজ্ঞতার আলো দিয়ে ।
যা একদিন আমাদের
মা-বাবারা করেছেন ।
এত সবের মধ্যেও
মনের ভেতরে নেচে চলে
ছন্দময় এক ইচ্ছেনদী ।
সে কি অপূর্ণ কোনও স্বপ্ন,
পরিণতি না পাওয়া প্রেম
নাকি লিখতে না পারা কবিতা ?
জানা নেই, জানা নেই, জানা নেই ।
জীবনের অর্ধেক পথ পেরিয়ে
এখন আমরা প্রায় সবাই
পূর্ব আর উত্তর পুরুষের
মাঝখানে এসে দাঁড়িয়েছি,
সেতুবন্ধ হয়ে ।
আমাদের কারো বাবা, কারো মা,
কারো বাবা ও মা দুজনেই
বৈতরণী পেরিয়ে এখন পরলোকে,
কেউ বা শেষ খেয়ার অপেক্ষায়,
নৈঃশব্দকে সাথে নিয়ে ।
কেউ বা জীবনের স্বাদ
নিচ্ছে চেটেপুটে ।
আমরা চাই এই স্বাদ
নেওয়া চলুক অনন্তকাল,
যতক্ষণ না অরুচি আসে ।
কিন্তু মহাকাল কি
সে আর্জি মানে ?
এখন আমরা উল্লাসে ফেটে পড়া
কিশোর-কিশোরী বা
তরুণ-তরুণী নই,
হতাশায় নুয়ে পড়া
বৃদ্ধ বা বৃদ্ধাও নই ।
মনের ঝাঁপি উথলানো
স্মৃতি আর অভিজ্ঞতা
আমাদের স্থিতধী করেছে ।
বিরাট দুঃখ আজকাল আর
আমাদের ভাঙ্গতে পারে না,
বাঁধভাঙা উচ্ছাসও
ভাসিয়ে নিতে পারে না ।
আমরা জেনেছি
সব মেঘই সিঁদুরে নয়,
সব পলাশেই
প্রেমের রঙ থাকে না,
সব চকচকে সোনালী
বস্তুই সোনা নয় ।
বুঝেছি, সব শুরুরই শেষ থাকে,
সব শেষের ভেতরে থাকে
আর একটা শুরু ।
আমরা কেউ কাউকে
হিংসে করি না এখন,
কেউ কারো প্রতিদ্বন্দ্বীও নই ।
শুধু অভিমানী মনটা
ঝলকে ওঠে কখনও সখনও,
আবার বন্ধুর ফোন
বা মেসেজ পেলেই
সব অভিমান উড়ে যায়
শরতের পেঁজা তুলোর মতো ।
মাঝে মাঝে আমরা
এক জায়গায় মিলি
শুধু মেলার আনন্দে ।
ভেসে যাই স্মৃতির সরণী বেয়ে,
হাসি, গল্পের পর আবার
হেঁটে যাই আগামীর দিকে,
বুকভরা অক্সিজেন নিয়ে ।
আমাদের পুত্রকন্যারা
কেউ পড়ুয়া, কেউ চাকুরে,
কেউ বিবাহযোগ্য বা যোগ্যা,
কেউ বা বিবাহিত ।
নাতি-নাতনির মুখও
দেখেছে কেউ কেউ ।
এখনও আমরা সন্তানকে
ভুবনগ্ৰামের পথ চেনাই
অভিজ্ঞতার আলো দিয়ে ।
যা একদিন আমাদের
মা-বাবারা করেছেন ।
এত সবের মধ্যেও
মনের ভেতরে নেচে চলে
ছন্দময় এক ইচ্ছেনদী ।
সে কি অপূর্ণ কোনও স্বপ্ন,
পরিণতি না পাওয়া প্রেম
নাকি লিখতে না পারা কবিতা ?
জানা নেই, জানা নেই, জানা নেই ।