24-02-2021, 02:17 PM
দৃষ্টি
আজকাল বাড়ি থেকে বেরোলেই খুব ভয় লাগে গৌতমের। কেমন হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায়...এই হাল্কা শীতেও ঘাম হয়... মাথা কাজ করা বন্ধ করে দেয়... খালি মনে হয় বেশ কয়েক জোড়া চোখ তীক্ষ্ণ দৃষ্টি মেল তাকিয়ে আছে ওর দিকে...।
ঘটনার শুরু মাসখানেক আগে থেকে।
প্রথম প্রথম অত পাত্তা দেয় নি গৌতম। ওর মতো স্মার্ট, ড্যাশিং মানুষের এসব বিষয়ে মাথা ঘামানোর মতো সময় কোথায়? তাই প্রথম কদিন দুয়েকবার মাথায় এলেও মনের ভুল ভেবে কাটিয়ে দিতে সময় লাগেনি একটুও।
কিন্তু এই একমাস পরে, ও জানে, এটা মনের ভুল না।
বাড়ি থেকে বেরোনোর সাথে সাথেই মনে হয় মার্বেলের মতো তীক্ষ্ণ একটা দৃষ্টি অনুসরণ করছে ওকে। সেই দৃষ্টি শুধু তীক্ষ্ণ ই না, হিংস্র ও বটে।
এমনকি আজকাল বাড়িতে থাকলেও অনুভব করতে পারে সেটা। শুধু দৃষ্টিই না, আওয়াজ ও পাচ্ছে আজকাল ও। অথচ এমনটা হবার কথা না।
সারা দিন এই একই চিন্তা মাথায় ঘুরছে ওর। আর রাতেও ঘুম আসছে না। চোখ বন্ধ করলেই মনে পড়ে যাচ্ছে ঘাড় বেঁকানো দৃষ্টিটা...আর সাথে... একটানা সেই আওয়াজ...
আজও ঠিক এমনটাই হচ্ছে ওর। প্যানিক অ্যাটাক হয়েছে মনে হচ্ছে....হাতে পায়ে জোর নেই একটুও...ঘাম হচ্ছে বড্ড...
ঠিক কাকলির মতো!
মাস দেড়েক আগে কাকলি ওর প্রস্তাবে 'না' করে দিয়েছিল। সটান বলে দিয়েছিল "আমি তোমাকে 'বন্ধু' ভেবেছিলাম। অন্য কিছু না। আর তাছাড়া আমি ম্যারেড। লেভেল নেই এমন সম্পর্কে আগ্রহী নই আমি। কখনও ছিলাম না। "
প্রত্যাখ্যান নিতে পারে নি গৌতম। তাই কদিন পরে ফটোগ্রাফির কথা বলে উত্তর কলকাতার বিশেষ একটি লোকেশানে নিয়ে গেছিল ওকে । ঠান্ডা মাথায়। জেনেশুনে।
অরনিথোফোবিয়া অর্থাৎ বার্ড ফোবিয়া আছে কাকলির, জানত ও। তাই, এমনকি রাস্তার কোনো দোকান থেকে চাউমিন টাউমিন ও খেত না ও। কাক উড়ে আসবে সেই ভয়ে। কোনো বাজারের পাশ দিয়ে যাবার সময় সিঁটিয়ে থাকত ভয়ে। আর সেই মেয়েকে একটা ভ্যাটের কাছে নিয়ে গিয়ে, খাবার আর দানা ছড়িয়ে শয়ে শয়ে পাখি ডেকে আনলে... অ্যাংজাইটি থেকে তার হার্ট অ্যাটাক হয়ে যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না, জানত গৌতম। কিন্তু যেটা বুঝতে পারেনি যে, তারপর থেকে ওকেও তাড়া করে বেড়াবে পায়রার মতো ঘাড় বেঁকা তীক্ষ্ণ চাউনি। সারাক্ষণ কানে বাজবে বকম বকম শব্দ....
অন্ধকার ঘরে ডানা ঝাপটানোর আওয়াজ পাচ্ছে গৌতম...বাঁকানো থাবা আর চঞ্চু নেমে আসছে ওর গলার নলির কাছে...
প্রলয় আসছে...
প্রলয়রূপী মহাকাল, যিনি কাউকেই শাস্তি দিতে ভোলেন না...
আজকাল বাড়ি থেকে বেরোলেই খুব ভয় লাগে গৌতমের। কেমন হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায়...এই হাল্কা শীতেও ঘাম হয়... মাথা কাজ করা বন্ধ করে দেয়... খালি মনে হয় বেশ কয়েক জোড়া চোখ তীক্ষ্ণ দৃষ্টি মেল তাকিয়ে আছে ওর দিকে...।
ঘটনার শুরু মাসখানেক আগে থেকে।
প্রথম প্রথম অত পাত্তা দেয় নি গৌতম। ওর মতো স্মার্ট, ড্যাশিং মানুষের এসব বিষয়ে মাথা ঘামানোর মতো সময় কোথায়? তাই প্রথম কদিন দুয়েকবার মাথায় এলেও মনের ভুল ভেবে কাটিয়ে দিতে সময় লাগেনি একটুও।
কিন্তু এই একমাস পরে, ও জানে, এটা মনের ভুল না।
বাড়ি থেকে বেরোনোর সাথে সাথেই মনে হয় মার্বেলের মতো তীক্ষ্ণ একটা দৃষ্টি অনুসরণ করছে ওকে। সেই দৃষ্টি শুধু তীক্ষ্ণ ই না, হিংস্র ও বটে।
এমনকি আজকাল বাড়িতে থাকলেও অনুভব করতে পারে সেটা। শুধু দৃষ্টিই না, আওয়াজ ও পাচ্ছে আজকাল ও। অথচ এমনটা হবার কথা না।
সারা দিন এই একই চিন্তা মাথায় ঘুরছে ওর। আর রাতেও ঘুম আসছে না। চোখ বন্ধ করলেই মনে পড়ে যাচ্ছে ঘাড় বেঁকানো দৃষ্টিটা...আর সাথে... একটানা সেই আওয়াজ...
আজও ঠিক এমনটাই হচ্ছে ওর। প্যানিক অ্যাটাক হয়েছে মনে হচ্ছে....হাতে পায়ে জোর নেই একটুও...ঘাম হচ্ছে বড্ড...
ঠিক কাকলির মতো!
মাস দেড়েক আগে কাকলি ওর প্রস্তাবে 'না' করে দিয়েছিল। সটান বলে দিয়েছিল "আমি তোমাকে 'বন্ধু' ভেবেছিলাম। অন্য কিছু না। আর তাছাড়া আমি ম্যারেড। লেভেল নেই এমন সম্পর্কে আগ্রহী নই আমি। কখনও ছিলাম না। "
প্রত্যাখ্যান নিতে পারে নি গৌতম। তাই কদিন পরে ফটোগ্রাফির কথা বলে উত্তর কলকাতার বিশেষ একটি লোকেশানে নিয়ে গেছিল ওকে । ঠান্ডা মাথায়। জেনেশুনে।
অরনিথোফোবিয়া অর্থাৎ বার্ড ফোবিয়া আছে কাকলির, জানত ও। তাই, এমনকি রাস্তার কোনো দোকান থেকে চাউমিন টাউমিন ও খেত না ও। কাক উড়ে আসবে সেই ভয়ে। কোনো বাজারের পাশ দিয়ে যাবার সময় সিঁটিয়ে থাকত ভয়ে। আর সেই মেয়েকে একটা ভ্যাটের কাছে নিয়ে গিয়ে, খাবার আর দানা ছড়িয়ে শয়ে শয়ে পাখি ডেকে আনলে... অ্যাংজাইটি থেকে তার হার্ট অ্যাটাক হয়ে যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না, জানত গৌতম। কিন্তু যেটা বুঝতে পারেনি যে, তারপর থেকে ওকেও তাড়া করে বেড়াবে পায়রার মতো ঘাড় বেঁকা তীক্ষ্ণ চাউনি। সারাক্ষণ কানে বাজবে বকম বকম শব্দ....
অন্ধকার ঘরে ডানা ঝাপটানোর আওয়াজ পাচ্ছে গৌতম...বাঁকানো থাবা আর চঞ্চু নেমে আসছে ওর গলার নলির কাছে...
প্রলয় আসছে...
প্রলয়রূপী মহাকাল, যিনি কাউকেই শাস্তি দিতে ভোলেন না...