20-02-2021, 03:41 PM
রিমি ও তার স্বামী বিমান কে মিষ্টি করে বুঝিয়ে বলে দিয়েছে, যে সে এক বান্ধবীর সাথে কলকাতা যাচ্ছে দুদিনের জন্য। ওদের বাড়িতেই থাকবে। বান্ধবীর সাথে শপিং করবে। শুনে বেশী উচ্ছবাচ্ছ করেনি বিমান। মনে মনে যে একবার সন্দেহ হয়নি তেমন না, কিন্তু নিজেকে নিজে এই ভেবে সান্তনা দিয়েছে, আহা সে তো রিমিকে নিয়ে কোথাও তেমন যায় না। বহু বছর হয়েছে সে কোথাও নিয়ে যায়নি রিমিকে। বেচারি একটু ঘুরে আসুক বান্ধবীর সাথে। মনটা ভালো লাগবে তাহলে। সে না হয় দুদিন ছুটি নিয়ে ঘরে থেকে মেয়েকে সামলে নেবে। নির্দিষ্ট দিনের আগেই রিমি একবার পার্লারে গিয়ে ওয়াক্সিং, ফেসিয়াল, আইভ্রু সব করিয়ে নিয়েছে। গোপনে যেন মনের ভেতরে একটা সাজ সাজ রব পরে গেছে রিমির।
কালকা মেলে টিকেট করা আছে দুইজনের। ট্রেন আগে ধানবাদ, তারপর আসানসোল তারপর দুর্গাপুর তারপর বর্ধমান হয়ে হাওড়া। ভোর রাত্রে ট্রেন প্রায় তিনটের সময়। রাত্রে ভালো করে ঘুম হয়না ইন্দ্রর। মনের মধ্যে একটা কি হয়, কি হয় ভাব, বুকটা দুরু দুরু করছে। মনের মধ্যে একটা চিন্তা, সব কিছু ঠিক ঠাক হবে তো? একবার হাওড়া পৌঁছে গেলে আর চিন্তা নেই। হাওড়া তে পৌঁছে ফ্রেশ হয়ে কিছু জলখাবার খেয়ে স্টেশানের রিটায়ারিং রুমে রেস্ট করে, দুপুর ০৩.২৫ এ ইন্টারসিটি ধরে মালদা রউনা দেবে।
ঠাণ্ডা টা বেশ জমিয়ে পড়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের কিছু আগেই ধানবাদ স্টেশানে পৌঁছে যায় ইন্দ্র। প্লাটফর্মে লোকজন খুব কম। ইন্দ্র চারিদিকে তাকিয়ে দেখে নেয়, কেও তাকে দেখছে কি না, কোনও চেনা লোক আশে পাশে আছে কি না। ইচ্ছে করেই এই ট্রেন টা বেছেছে ইন্দ্র। কেননা এই ট্রেন টা সাধারনত কেও তেমন ব্যবহার করে না। কেননা সময় টা খুব অসুবিধার। ওত ভোরে উঠে তৈরি হয়ে ট্রেন ধরা টা রিতিমতন কষ্টকর। চারিদিকে জমাট বাঁধা কুয়াশা। কনকনে ঠাণ্ডার মধ্যে ইন্দ্র দাঁড়িয়ে থাকে প্লাটফর্মে। ট্রলি ব্যাগ টা পায়ের কাছে রাখা আছে। হাতঘড়িতে সময় টা দেখে নেয় একবার। আর মিনিট দশেকের মধ্যে ট্রেন টা ঢুকে এসে পড়বে। রিমিও মনে হয় এতক্ষনে তৈরি হয়ে গেছে। বিমান কোনও সন্দেহ করেনি তো? স্টেশানে কার সাথে আসবে রিমি? চিন্তা টা এই প্রথম মাথায় এসে ভিড় করলো। ইসসসস……… আগেই একবার জিজ্ঞেস করে নেওয়া উচিত ছিল তার। একবার ফোন করা উচিত কি? মনে মনে হাজার রকমের প্রশ্ন এসে জমাট বাঁধছে। রিমি কে আগেই বলে দেওয়া আছে, কেও যেন কাউকে ফোন না করে ট্রেনে না ওঠা পর্যন্ত।
কুয়াশাচ্ছন্ন অন্ধকারের মধ্যে রেল লাইনের বরাবর ছোট্ট একটা আলো ভেসে ওঠে। ট্রেন আসছে। একটু ঝুকে ট্রলি ব্যাগের হ্যান্ডেল টা হাতে নিয়ে নেয় ইন্দ্র। ধীরে ধীরে দূরের ছোট্ট আলো টা বড় হতে থাকে। ট্রলি হাতে একটু এগিয়ে যায় ইন্দ্র। দূরের অন্ধকার চিরে একটা সরীসৃপের মতন ট্রেন টা বিকট যান্ত্রিক শব্দ তুলে প্লাটফর্মে ঢুকে পরে। বেশ কয়েকজন যাত্রী নেমে আসে ট্রেন থেকে। ইন্দ্র কোনোদিকে না তাকিয়ে ট্রেনে উঠে পড়ে। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ট্রেন আবার চলতে শুরু করে। জানালার কাঁচ টা নামিয়ে দেয় ইন্দ্র। কামরার ভেতরে বেশির ভাগ যাত্রী ঘুমন্ত। কামরার ভেতরে আলো অন্ধকার মিশিয়ে একটা মায়াবি পরিবেশ। জানালার ধারের সিট টা ইন্দ্রজিত সিংহ এর। ট্রলি ব্যাগ টাকে বার্থের তলায় চালান করে দিয়ে বেশ গুছিয়ে বসে ইন্দ্র। ঘণ্টা দুয়েক লাগবে দুর্গাপুর স্টেশান। মাঝে আসানসোল। একটু ঘুম পেলেও ঘুমোতে পারে না ইন্দ্র। যতক্ষণ না নিজের পাশে রিমিকে দেখতে পারছে শান্তি নেই তার। যতই হোক একটা দায়িত্ব আছে। এর আগে কখনও রিমি একা কোথাও যায়নি। তার কথাতেই রিমি বাড়ির বাইরে এই প্রথম একা বেড়িয়েছে। কিছু যদি অঘটন ঘটে তাহলে তাহলে তো লোক জানাজানি হওয়ার ভয় আছেই, তাছাড়া ইন্দ্র নিজেকে নিজে কোনোদিন ক্ষমা করতে পারবে না। রিমির জন্য দুশ্চিন্তা টা তাই খুব স্বাভাবিক।
কালকা মেলে টিকেট করা আছে দুইজনের। ট্রেন আগে ধানবাদ, তারপর আসানসোল তারপর দুর্গাপুর তারপর বর্ধমান হয়ে হাওড়া। ভোর রাত্রে ট্রেন প্রায় তিনটের সময়। রাত্রে ভালো করে ঘুম হয়না ইন্দ্রর। মনের মধ্যে একটা কি হয়, কি হয় ভাব, বুকটা দুরু দুরু করছে। মনের মধ্যে একটা চিন্তা, সব কিছু ঠিক ঠাক হবে তো? একবার হাওড়া পৌঁছে গেলে আর চিন্তা নেই। হাওড়া তে পৌঁছে ফ্রেশ হয়ে কিছু জলখাবার খেয়ে স্টেশানের রিটায়ারিং রুমে রেস্ট করে, দুপুর ০৩.২৫ এ ইন্টারসিটি ধরে মালদা রউনা দেবে।
ঠাণ্ডা টা বেশ জমিয়ে পড়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের কিছু আগেই ধানবাদ স্টেশানে পৌঁছে যায় ইন্দ্র। প্লাটফর্মে লোকজন খুব কম। ইন্দ্র চারিদিকে তাকিয়ে দেখে নেয়, কেও তাকে দেখছে কি না, কোনও চেনা লোক আশে পাশে আছে কি না। ইচ্ছে করেই এই ট্রেন টা বেছেছে ইন্দ্র। কেননা এই ট্রেন টা সাধারনত কেও তেমন ব্যবহার করে না। কেননা সময় টা খুব অসুবিধার। ওত ভোরে উঠে তৈরি হয়ে ট্রেন ধরা টা রিতিমতন কষ্টকর। চারিদিকে জমাট বাঁধা কুয়াশা। কনকনে ঠাণ্ডার মধ্যে ইন্দ্র দাঁড়িয়ে থাকে প্লাটফর্মে। ট্রলি ব্যাগ টা পায়ের কাছে রাখা আছে। হাতঘড়িতে সময় টা দেখে নেয় একবার। আর মিনিট দশেকের মধ্যে ট্রেন টা ঢুকে এসে পড়বে। রিমিও মনে হয় এতক্ষনে তৈরি হয়ে গেছে। বিমান কোনও সন্দেহ করেনি তো? স্টেশানে কার সাথে আসবে রিমি? চিন্তা টা এই প্রথম মাথায় এসে ভিড় করলো। ইসসসস……… আগেই একবার জিজ্ঞেস করে নেওয়া উচিত ছিল তার। একবার ফোন করা উচিত কি? মনে মনে হাজার রকমের প্রশ্ন এসে জমাট বাঁধছে। রিমি কে আগেই বলে দেওয়া আছে, কেও যেন কাউকে ফোন না করে ট্রেনে না ওঠা পর্যন্ত।
কুয়াশাচ্ছন্ন অন্ধকারের মধ্যে রেল লাইনের বরাবর ছোট্ট একটা আলো ভেসে ওঠে। ট্রেন আসছে। একটু ঝুকে ট্রলি ব্যাগের হ্যান্ডেল টা হাতে নিয়ে নেয় ইন্দ্র। ধীরে ধীরে দূরের ছোট্ট আলো টা বড় হতে থাকে। ট্রলি হাতে একটু এগিয়ে যায় ইন্দ্র। দূরের অন্ধকার চিরে একটা সরীসৃপের মতন ট্রেন টা বিকট যান্ত্রিক শব্দ তুলে প্লাটফর্মে ঢুকে পরে। বেশ কয়েকজন যাত্রী নেমে আসে ট্রেন থেকে। ইন্দ্র কোনোদিকে না তাকিয়ে ট্রেনে উঠে পড়ে। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ট্রেন আবার চলতে শুরু করে। জানালার কাঁচ টা নামিয়ে দেয় ইন্দ্র। কামরার ভেতরে বেশির ভাগ যাত্রী ঘুমন্ত। কামরার ভেতরে আলো অন্ধকার মিশিয়ে একটা মায়াবি পরিবেশ। জানালার ধারের সিট টা ইন্দ্রজিত সিংহ এর। ট্রলি ব্যাগ টাকে বার্থের তলায় চালান করে দিয়ে বেশ গুছিয়ে বসে ইন্দ্র। ঘণ্টা দুয়েক লাগবে দুর্গাপুর স্টেশান। মাঝে আসানসোল। একটু ঘুম পেলেও ঘুমোতে পারে না ইন্দ্র। যতক্ষণ না নিজের পাশে রিমিকে দেখতে পারছে শান্তি নেই তার। যতই হোক একটা দায়িত্ব আছে। এর আগে কখনও রিমি একা কোথাও যায়নি। তার কথাতেই রিমি বাড়ির বাইরে এই প্রথম একা বেড়িয়েছে। কিছু যদি অঘটন ঘটে তাহলে তাহলে তো লোক জানাজানি হওয়ার ভয় আছেই, তাছাড়া ইন্দ্র নিজেকে নিজে কোনোদিন ক্ষমা করতে পারবে না। রিমির জন্য দুশ্চিন্তা টা তাই খুব স্বাভাবিক।
তোমাকে খুঁজে বেড়াই