20-02-2021, 03:38 PM
তার পায়ের ব্যাথা টা অনেকটা কম মনে হচ্ছে। অফিসে পৌঁছে মোবাইল টা পকেট থেকে বের করতেই, একটা মিসকল নজরে পড়ে। রিমি…… ইসসসস…… গতরাত থেকে একের পর এক ঘটনা ঘটে যাওয়ায় রিমির কথা মনেই পড়ে নি ইন্দ্রর। ইসসসস…… বিরাট ভুল হয়ে গেছে। মোবাইল টা একবারও চেক করা হয়নি তার। এমন গাফিলতি হলে মুস্কিলে পড়তে দেরি লাগবে না। আজকে মালদায় কয়েকটা ফোন করতে হবে তাকে। টেন্ডার টা ঠিক মতন তৈরি করার একটা চাপ আছে। * স্তান পেট্রোলিয়ামের অফিসেও কয়েকজনকে ফোন করতে হবে তাকে। এত কিছুর মধ্যে টেন্ডার ডকুমেন্ট গুলো দেখাই হয়নি তার। ওখানকার তার কাজের লোকের সাথেও কথা বলতে হবে। মনে মনে ঠিক করে নেয় ইন্দ্র। টেন্ডার পেপার রেডি করে তারপর রিমিকে একবার কল করবে।
টেণ্ডার পেপার খুলতেই প্রথমে ডিউ ডেট টা দেখে ইন্দ্র। চমকে ওঠে ডেট টা দেখার পর। আর এক সপ্তাহও বাকি নেই যে। এদিকে মনে মনে সে ঠিক করে রেখেছে, রিমিকেও ওখানে নিয়ে যাবে। এত তাড়াতাড়ির মধ্যে সম্ভব হবে কি? দেখা যাক………… যেমন করে হোক ব্যাবস্থা করতে হবে তাকে। বিকেলের দিকে অফিসে তেমন লোকজন আসে না। সেই সময়ে রিমিকে ভালো করে বুঝিয়ে দেয় ইন্দ্র, তাকে কি কি করতে হবে কেমন করে করতে হবে। প্রায় ঘণ্টা খানেক কথা হয় দুজনের মধ্যে। কথা শেষ হতেই একটা সিগারেটে জ্বালিয়ে চিন্তায় ডুবে যায় ইন্দ্র। মাথায় চিন্তা টা ঘুরপাক খেতে থাকে, যেমন করে রিমিকে সে বুঝিয়ে বলল কি করতে হবে না হবে, কি কি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, পারবে কি সে সব কিছু একা ম্যানেজ করতে? পারবে কি সে দুটো দিন রিমিকে নিয়ে সুখের সাগরে ঝাপ দিতে? কেও যেন ঘুণাক্ষরে জানতে না পারে ব্যাপারটা সেইদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। কেও জানলে একটা বদনামের ভয়, তাছাড়া রিমির একটা সন্মান আছে। সেটাও যেন নষ্ট না হয়, সেটাও দেখতে হবে। এইদিকে আরেকটা চিন্তা তার মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। সে * স্তান পেট্রোলিয়ামের অফিসে ঢুকলেই দুই একজন অফিসার আছে, ঠিক তাকে ধরবে, সন্ধে বেলায় খাওয়া দাওয়ার জন্য। ব্যাবসায়ি মানুষ সে, এইসব একটু আধটু করতে হয়, অনেকেই করে। আগে যখন মালদাতে এসেছিল তার রুমেই খাওয়া দাওয়ার আসর বসেছিল, এবারে সে এই ব্যবস্থা টা তার রুমে না করে বাইরে কোথাও করতে হবে। আরেকটা ব্যাপার মনে মনে ঠিক করে নিয়েছে ইন্দ্র, হোটেল পূর্বাঞ্চলের পেছনের রাস্তায় একটা মন্দির আছে, মনকামনা মন্দির, সেখানে রিমির সাথে গিয়ে একবার পুজো দিয়ে আসবে।
দেখতে দেখতে সময় এগিয়ে আসে। টেণ্ডার পেপার তৈরি করতে সময় কেটে যায় ইন্দ্রর। তারপর ট্রেনের টিকেট কাটে ইন্দ্রজিত। প্রথমে নিজের একটা টিকেট করে ধানবাদ থেকে হাওড়া, আরেকটা টিকেট করে, হাওড়া থেকে মালদা সিটি ইন্টার সিটি এক্সপ্রেস, এসি চেয়ার কারে পাশাপাশি দুজনের, ইন্দ্রজিত সিংহ আর রিমি, আরেকটা টিকেট কাটে ওই ট্রেনেই নিজের একলার, যেটা ইচ্ছে করেই করে ইন্দ্র যাতে যদি সুমিত্রার চোখে টিকেট টা পড়ে, তাহলে যেন সে এটা বুঝে নেয় যে ইন্দ্র একাই যাচ্ছে মালদাতে। এই টিকেট টা পরে ছিঁড়ে ফেলে দিলেই হবে। তবে দুইজনের একসাথে করা টিকেট টা লুকিয়ে রাখে, নিজের অফিসে, যেন কারও চোখে না পড়ে। ওখান থেকে ফেরত আসার ও একই রকম ভাবে টিকেট কেটে রাখে ইন্দ্র। টেণ্ডার পেপার ও তৈরি করা হয়ে গেছে। অন্যদিকে রিমিকেও বলা আছে, যেন সকালের ট্রেন ধরে হাওড়া চলে আসে। যাওয়ার দিন যত এগিয়ে আসতে থাকে, ইন্দ্রর বুকের মধ্যে ধুক পুকানি টা যেন বাড়তে থাকে। জীবনে এই প্রথম সে এমন কাউকে নিয়ে বাইরে যাচ্ছে। ব্যাবস্থা নিপুন হওয়া চাই। মালদা তে মোটামুটি ভালো হোটেল, হোটেল পূর্বাঞ্চল, সেখানেও কামরা বুক করা হয়েছে। ইন্টার সিটি ট্রেনটা রাত্রে পৌছবে মালদা তে। আগেও ব্যাবসার জন্য কয়েকবার গেছে মালদা তে। এই হোটেলেই বরাবর থেকেছে সে। একটু চেনা আছে। হোটেলের ফোন নম্বরে ফোন করে তার রুমে দুজনের ডিনার রেখে দিতে বলা হয়েছে। কোনরকম বেগতিক কিছু দেখলে লোকাল সাপোর্ট নেবে সে নচেৎ কাউকে বলার দরকার নেই। মোটামুটি এটাই ঠিক করে রেখেছে সে।
সেইদিন সকালের ঝামেলা হওয়ার পর থেকে কয়েকদিন কথা বন্ধ সুমিত্রার সাথে। তবুও সে জানে যে তার ব্যাগ সুমিত্রাই গুছিয়ে রাখবে। প্রতিটা জিনিস খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে ব্যাগে রাখবে সুমিত্রা, কোনও না কোনও বাহানা করে টিকেট টাও দেখবে, তাই নিজের একার করা টিকেট টা বাইরে রেখে দিয়েছে, খানিক টা হাতির দাঁতের মতন, খাওয়ার আলাদা, দেখানোর আলাদা। সুমিত্রা ইন্দ্রর ব্যাগ গুছোতে গুছোতে শুধু একবার ইন্দ্রকে বলে, “এবারে তোমার টিকেট টা এসি তে করনি কেন? পাওনি নাকি”? ইন্দ্র কম কথায় বলে দেয়, “আমি পাইনি, ট্রেনে টিটি কে বলে ম্যানেজ করে নেব”। ধীরে ধীরে মালদা যাওয়ার দিন এগিয়ে আসে। মাঝে বেশ কয়েকবার রিমির সাথে ফোন করে কথা বলে নেয় ইন্দ্র।
টেণ্ডার পেপার খুলতেই প্রথমে ডিউ ডেট টা দেখে ইন্দ্র। চমকে ওঠে ডেট টা দেখার পর। আর এক সপ্তাহও বাকি নেই যে। এদিকে মনে মনে সে ঠিক করে রেখেছে, রিমিকেও ওখানে নিয়ে যাবে। এত তাড়াতাড়ির মধ্যে সম্ভব হবে কি? দেখা যাক………… যেমন করে হোক ব্যাবস্থা করতে হবে তাকে। বিকেলের দিকে অফিসে তেমন লোকজন আসে না। সেই সময়ে রিমিকে ভালো করে বুঝিয়ে দেয় ইন্দ্র, তাকে কি কি করতে হবে কেমন করে করতে হবে। প্রায় ঘণ্টা খানেক কথা হয় দুজনের মধ্যে। কথা শেষ হতেই একটা সিগারেটে জ্বালিয়ে চিন্তায় ডুবে যায় ইন্দ্র। মাথায় চিন্তা টা ঘুরপাক খেতে থাকে, যেমন করে রিমিকে সে বুঝিয়ে বলল কি করতে হবে না হবে, কি কি সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, পারবে কি সে সব কিছু একা ম্যানেজ করতে? পারবে কি সে দুটো দিন রিমিকে নিয়ে সুখের সাগরে ঝাপ দিতে? কেও যেন ঘুণাক্ষরে জানতে না পারে ব্যাপারটা সেইদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। কেও জানলে একটা বদনামের ভয়, তাছাড়া রিমির একটা সন্মান আছে। সেটাও যেন নষ্ট না হয়, সেটাও দেখতে হবে। এইদিকে আরেকটা চিন্তা তার মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। সে * স্তান পেট্রোলিয়ামের অফিসে ঢুকলেই দুই একজন অফিসার আছে, ঠিক তাকে ধরবে, সন্ধে বেলায় খাওয়া দাওয়ার জন্য। ব্যাবসায়ি মানুষ সে, এইসব একটু আধটু করতে হয়, অনেকেই করে। আগে যখন মালদাতে এসেছিল তার রুমেই খাওয়া দাওয়ার আসর বসেছিল, এবারে সে এই ব্যবস্থা টা তার রুমে না করে বাইরে কোথাও করতে হবে। আরেকটা ব্যাপার মনে মনে ঠিক করে নিয়েছে ইন্দ্র, হোটেল পূর্বাঞ্চলের পেছনের রাস্তায় একটা মন্দির আছে, মনকামনা মন্দির, সেখানে রিমির সাথে গিয়ে একবার পুজো দিয়ে আসবে।
দেখতে দেখতে সময় এগিয়ে আসে। টেণ্ডার পেপার তৈরি করতে সময় কেটে যায় ইন্দ্রর। তারপর ট্রেনের টিকেট কাটে ইন্দ্রজিত। প্রথমে নিজের একটা টিকেট করে ধানবাদ থেকে হাওড়া, আরেকটা টিকেট করে, হাওড়া থেকে মালদা সিটি ইন্টার সিটি এক্সপ্রেস, এসি চেয়ার কারে পাশাপাশি দুজনের, ইন্দ্রজিত সিংহ আর রিমি, আরেকটা টিকেট কাটে ওই ট্রেনেই নিজের একলার, যেটা ইচ্ছে করেই করে ইন্দ্র যাতে যদি সুমিত্রার চোখে টিকেট টা পড়ে, তাহলে যেন সে এটা বুঝে নেয় যে ইন্দ্র একাই যাচ্ছে মালদাতে। এই টিকেট টা পরে ছিঁড়ে ফেলে দিলেই হবে। তবে দুইজনের একসাথে করা টিকেট টা লুকিয়ে রাখে, নিজের অফিসে, যেন কারও চোখে না পড়ে। ওখান থেকে ফেরত আসার ও একই রকম ভাবে টিকেট কেটে রাখে ইন্দ্র। টেণ্ডার পেপার ও তৈরি করা হয়ে গেছে। অন্যদিকে রিমিকেও বলা আছে, যেন সকালের ট্রেন ধরে হাওড়া চলে আসে। যাওয়ার দিন যত এগিয়ে আসতে থাকে, ইন্দ্রর বুকের মধ্যে ধুক পুকানি টা যেন বাড়তে থাকে। জীবনে এই প্রথম সে এমন কাউকে নিয়ে বাইরে যাচ্ছে। ব্যাবস্থা নিপুন হওয়া চাই। মালদা তে মোটামুটি ভালো হোটেল, হোটেল পূর্বাঞ্চল, সেখানেও কামরা বুক করা হয়েছে। ইন্টার সিটি ট্রেনটা রাত্রে পৌছবে মালদা তে। আগেও ব্যাবসার জন্য কয়েকবার গেছে মালদা তে। এই হোটেলেই বরাবর থেকেছে সে। একটু চেনা আছে। হোটেলের ফোন নম্বরে ফোন করে তার রুমে দুজনের ডিনার রেখে দিতে বলা হয়েছে। কোনরকম বেগতিক কিছু দেখলে লোকাল সাপোর্ট নেবে সে নচেৎ কাউকে বলার দরকার নেই। মোটামুটি এটাই ঠিক করে রেখেছে সে।
সেইদিন সকালের ঝামেলা হওয়ার পর থেকে কয়েকদিন কথা বন্ধ সুমিত্রার সাথে। তবুও সে জানে যে তার ব্যাগ সুমিত্রাই গুছিয়ে রাখবে। প্রতিটা জিনিস খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে ব্যাগে রাখবে সুমিত্রা, কোনও না কোনও বাহানা করে টিকেট টাও দেখবে, তাই নিজের একার করা টিকেট টা বাইরে রেখে দিয়েছে, খানিক টা হাতির দাঁতের মতন, খাওয়ার আলাদা, দেখানোর আলাদা। সুমিত্রা ইন্দ্রর ব্যাগ গুছোতে গুছোতে শুধু একবার ইন্দ্রকে বলে, “এবারে তোমার টিকেট টা এসি তে করনি কেন? পাওনি নাকি”? ইন্দ্র কম কথায় বলে দেয়, “আমি পাইনি, ট্রেনে টিটি কে বলে ম্যানেজ করে নেব”। ধীরে ধীরে মালদা যাওয়ার দিন এগিয়ে আসে। মাঝে বেশ কয়েকবার রিমির সাথে ফোন করে কথা বলে নেয় ইন্দ্র।
তোমাকে খুঁজে বেড়াই