13-02-2021, 12:38 PM
(This post was last modified: 13-02-2021, 12:39 PM by ddey333. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
কাল ভ্যালেনটাইন ডে , নবনীতা দেব সেন এর লেখা ভালোবাসার কথাগুলো দিলাম।
আমাদের ইউনিভার্সিটি তে কম্পারেটিভ লিটারেচার এর প্রফেসর ছিলেন উনি , যখন আমি পড়তাম সেখানে।
আমি অবশ্য ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে ছিলাম আর উনি পড়াতেন আর্টস এ। দুটো ছোট ছোট ঘটনা মনে পড়লো আজ।
আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্রদের প্রথম সেমেস্টার এ ইংলিশের একটা পেপার থাকতো তখন , এখন জানিনা আছে কিনা।
একবার আমাদের যিনি ইংলিশের ক্লাস নিতেন সেই ইংলিশ ডিপার্টমেন্টের মহিলা প্রফেসর অনুপস্থিত থাকার জন্য , খামখেয়ালি নবনিতাদি ( এই নামেই সব ছাত্র ছাত্রীরা ডাকতো ওনাকে ) হঠাৎ এসে হাজির আমাদের ইংলিশের ক্লাস নিতে।
সেদিন ওই ৪০ না ৫০ মিনিটের ক্লাস , এখনো অবিস্মরণীয় হয়ে আছে। পড়াশোনা কিছুই হয়নি , সবার নাম পরিচয় নেয়া আর নানারকম মজার মজার কথা বলে সবাইকে হাসিয়ে মাতিয়ে নিজেও হাঁসতে হাঁসতে ক্লাসের শেষে চলে গেছিলেন আমাদের নবনিতাদি।
আরেকবার মনে আছে , আমি য়ুনিভার্সিটির অফিস বিল্ডিং থেকে ফিস জমা করার পরে দৌড়ে বেরোচ্ছিলাম নিজের ডিপার্টমেন্টের দিকে , ক্লাসের জন্য দেরি হয়ে গেছিলো। উনি কি কাজে জানিনা এসেছিলেন ওখানে , একটা রিক্সা থেকে নামছিলেন। পায়ের কাছে একটু ফুলে থাকা তাঁতের শাড়ির কুচিটা রিক্সার নিচের দিকে জড়িয়ে গিয়ে প্রায় হুমড়ি খেয়ে পড়ে যাচ্ছিলেন। আমাকে ঠিক ওই সময় একদম সামনে পেয়ে আমার কাঁধে হাত রেখে কোনোরকমে সামলালেন নিজেকে।
হায় ভগবান , তারপরে উল্টে আমাকেই বকুনি !! এই ছেলে ঠিকমতো দেখে চলতে পারিস না নাকি ? আরেকটু হলেই তো আমাকে ফেলে দিতি !!
মুখে একটা অনাবিল দুস্টু হাসি !!
২০১৯ এর নভেম্বর এ নবনিতাদি চলে গেছেন , সেই আর কখনো না ফেরার দেশে।
সেই নোবেলজয়ী মহাপুরুষটি , যিনি বিয়ের ১৮ বছর পরে নবনিতাদিকে ত্যাগ করে চলে গেছিলেন এক অন্য বিদেশিনীর সাথে ঘর বসাতে , মিডিয়াতে তার বয়ান পড়েছিলাম সেদিন। তিনি বলেছিলেন , হ্যাঁ খুব খারাপ লাগছে কিন্তু গিয়ে আর কি হবে , মারা গেছে , তাই দেখা তো আর হবে না !
একটা অদ্ভুত অনুভূতি হয়েছিল সেদিন , না রাগ বা ক্ষোভ নয় , একটা অন্য কিছু যেটা বলে বোঝানো যাবে না আজ আর !
আমাদের ইউনিভার্সিটি তে কম্পারেটিভ লিটারেচার এর প্রফেসর ছিলেন উনি , যখন আমি পড়তাম সেখানে।
আমি অবশ্য ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে ছিলাম আর উনি পড়াতেন আর্টস এ। দুটো ছোট ছোট ঘটনা মনে পড়লো আজ।
আমাদের ইঞ্জিনিয়ারিং এর ছাত্রদের প্রথম সেমেস্টার এ ইংলিশের একটা পেপার থাকতো তখন , এখন জানিনা আছে কিনা।
একবার আমাদের যিনি ইংলিশের ক্লাস নিতেন সেই ইংলিশ ডিপার্টমেন্টের মহিলা প্রফেসর অনুপস্থিত থাকার জন্য , খামখেয়ালি নবনিতাদি ( এই নামেই সব ছাত্র ছাত্রীরা ডাকতো ওনাকে ) হঠাৎ এসে হাজির আমাদের ইংলিশের ক্লাস নিতে।
সেদিন ওই ৪০ না ৫০ মিনিটের ক্লাস , এখনো অবিস্মরণীয় হয়ে আছে। পড়াশোনা কিছুই হয়নি , সবার নাম পরিচয় নেয়া আর নানারকম মজার মজার কথা বলে সবাইকে হাসিয়ে মাতিয়ে নিজেও হাঁসতে হাঁসতে ক্লাসের শেষে চলে গেছিলেন আমাদের নবনিতাদি।
আরেকবার মনে আছে , আমি য়ুনিভার্সিটির অফিস বিল্ডিং থেকে ফিস জমা করার পরে দৌড়ে বেরোচ্ছিলাম নিজের ডিপার্টমেন্টের দিকে , ক্লাসের জন্য দেরি হয়ে গেছিলো। উনি কি কাজে জানিনা এসেছিলেন ওখানে , একটা রিক্সা থেকে নামছিলেন। পায়ের কাছে একটু ফুলে থাকা তাঁতের শাড়ির কুচিটা রিক্সার নিচের দিকে জড়িয়ে গিয়ে প্রায় হুমড়ি খেয়ে পড়ে যাচ্ছিলেন। আমাকে ঠিক ওই সময় একদম সামনে পেয়ে আমার কাঁধে হাত রেখে কোনোরকমে সামলালেন নিজেকে।
হায় ভগবান , তারপরে উল্টে আমাকেই বকুনি !! এই ছেলে ঠিকমতো দেখে চলতে পারিস না নাকি ? আরেকটু হলেই তো আমাকে ফেলে দিতি !!
মুখে একটা অনাবিল দুস্টু হাসি !!
২০১৯ এর নভেম্বর এ নবনিতাদি চলে গেছেন , সেই আর কখনো না ফেরার দেশে।
সেই নোবেলজয়ী মহাপুরুষটি , যিনি বিয়ের ১৮ বছর পরে নবনিতাদিকে ত্যাগ করে চলে গেছিলেন এক অন্য বিদেশিনীর সাথে ঘর বসাতে , মিডিয়াতে তার বয়ান পড়েছিলাম সেদিন। তিনি বলেছিলেন , হ্যাঁ খুব খারাপ লাগছে কিন্তু গিয়ে আর কি হবে , মারা গেছে , তাই দেখা তো আর হবে না !
একটা অদ্ভুত অনুভূতি হয়েছিল সেদিন , না রাগ বা ক্ষোভ নয় , একটা অন্য কিছু যেটা বলে বোঝানো যাবে না আজ আর !