09-02-2021, 06:27 PM
হুম, যা বলছিলাম, বলে কথা শুরু করে প্রবাল, “ তোদের দুইজনের মধ্যে যা হয়েছে, ভুল করেও কারও কাছে শেয়ার করবি না। খুব বুদ্ধি খাটিয়ে চলতে হবে তোকে। যখনি দেখবি একটু রিস্ক হয়ে যাচ্ছে, রিমির কাছে বাহাদুরি দেখাতে গিয়ে, সেই রিস্ক টুকু খবরদার নিবি না। দেখ ইন্দ্র, বাঘ যখন টাটকা রক্তের স্বাদ পেয়েছে, সে আবার শিকার করবেই। এটা আমার জানা আছে, কিন্তু ওই শিকার করতে গিয়ে কোনও ঝুকি নিবি না। একটা ভুল পদক্ষেপ তোর সংসার কে আগুনের মুখে ঠেলে দিতে পারে। কেননা সুমিত্রা সাংঘাতিক মেয়ে মানুষ। যদি কিছু জানতে পারে, তোর জীবন হেল করে দেবে, সেটা আশাকরি তোকে বলে দেওয়ার দরকার নেই। ওর থেকে সাবধান থাকবি কিন্তু। ফোনের কল লিস্ট থেকে রিমির নম্বর রোজ নিয়ম করে ডিলিট করবি, একদম ভুলবি না। আর একটা কথা, বিমান কে অবহেলা করবি না। কেননা তুই জানিস না ও কি চাইছে, ওর চিন্তাধারা তোর কাছে মোটেই পরিস্কার না ভাই। ওভার কনফিডেন্স মোটেই ভালো ব্যাপার না। তবে এটা তুই ঠিক চিন্তা করেছিস, তুই যদি রিমি কে পেতে চাস, তাহলে ওকে বাইরে নিয়ে যা। কিন্তু বাড়ি থেকে যেন তোর সাথে, তোর হাত ধরে না বেরোয়। এটা খেয়াল রাখবি। মাঝামাঝি কোনও জায়গায় দেখা করে তারপর আসল গন্তব্যের দিকে এগবি। ওকে নিজের রিস্কে বাড়ি থেকে বেরোতে দে, বুঝলি? মাথায় ঢুকল তোর? একভাবে অনেকক্ষণ কথা গুলো বলে বার দুয়েক দীর্ঘ নিঃশ্বাস নেয় প্রবাল”।
প্রবালের কথা গুলো খুব মনোযোগ দিয়ে শুনছিল ইন্দ্র। কথাগুলো একদম ফেলে দেওয়ার মতন না। চিন্তা করে এগোতে হবে। প্রবালের সাথে অনেকক্ষণ রিমি কে নিয়ে আলোচনা করে মনটা একটু হাল্কা হয়ে যায় ইন্দ্রর। সেই ভার হয়ে থাকা মাথাটাও একটু হাল্কা মনে হয়। দুজনে নিজেদের বাইকের দিকে এগিয়ে যায়। ইন্দ্র প্রবালের কাঁধে হাত রেখে হাঁটতে হাঁটতে জিজ্ঞেস করে, “তুই কে হস রে আমার? শুধুই কি বন্ধু? মনে হয়না রে প্রবাল। তুই ভীষণ রকমের নিজস্ব আমার। বন্ধুর থেকে ও অনেক বেশী তুই আমার কাছে। আজ যদি তুই আমার জীবনে না থাকতিস, আমি দিশেহারা হয়ে যেতাম ভাই”।
একটু হেসে প্রবাল ইন্দ্রের দিকে তাকিয়ে বলে, “আরে বাদ দে, মজা মেরে এসেছিস, মুড ভালো আছে, তাই ভালো ভালো বুলি বেরোচ্ছে তোর মুখ থেকে। আমার আর তোকে চিনতে বাকি নেই ভাই। আমাকে গাছে চড়িয়ে কাজ বের করার মতলবে আছিস”। প্রবালের কথা শুনে দুইজনেই হো হো করে হাসি তে ফেটে পরে।
হ্যাঁ রে, একটা কথা জিজ্ঞেস করবো ইন্দ্র?
ইন্দ্র কৌতূহল বশত বলে ওঠে, আরে বল না, কি জিজ্ঞেস করবি?
হেলমেট পড়ে সাইকেল চালিয়েছিস না বিনা হেলমেটে? শুনে আবার হেসে লুটিয়ে পড়ে ইন্দ্র। আরে না না হেলমেট আমি পছন্দ করি না ভাই। বিনা হেলমেটে গাড়ি চালানোর মজাই আলাদা।
দুজনেই নিজের নিজের বাড়ির দিকে রওনা হয়। পথে আর কোথাও দাঁড়ায় না ইন্দ্র। আগামিকাল অফিসে যেতে হবে। দুইদিন বন্ধ রেখেছিল অফিস। হয়তো ব্যাবসার কাজে অনেকেই ফোন করেছে অফিসের ল্যান্ড লাইন ফোনে। উত্তর না পেয়ে কি ভেবেছে কে জানে?
ঘরে এসে ফ্রেশ হয়ে নিজের ল্যাপটপ টা অন করে একবার দেখে নেয় রিমি অনলাইন আছে কি না? তার জন্য কোনও মেসেজ ছেড়ে রেখেছে কি না? কিন্তু কিছুই না দেখতে পেয়ে, একটু চিন্তিত হয়ে ল্যাপটপ বন্ধ করতেই, ইন্দ্রর মোবাইল টা বেজে ওঠে। ফোন টা হাতে নিয়ে স্ক্রিনের দিকে তাকাতেই, ‘সুমিত্রা’ নাম টা ভেসে ওঠে। সাবধান হয়ে যায় ইন্দ্র। সে জানেনা কি বলবে সুমিত্রা? বুম্বার শরীর ঠিক আছে তো? সুমিত্রার মায়ের হার্টের অপারেসান হওয়ার কথা ছিল, সে একবার খোঁজ নেয় নি। ব্যাপারটা মাথায় আসতেই, আবার একটা অশান্তি, তর্কর ভয়ে সুন্দর মুড টা বিগরে যায়। খোঁজ নেওয়া উচিত ছিল তার। মা একবার বলেও ছিল, কিন্তু ভুল হয়ে গেছে। মাথার থেকে সবকিছু বেমালুম হাওয়া হয়ে গেছিলো তার। দেখা যাক কি বলছে আবার বলে ফোন টা কানেক্ট করে ইন্দ্র।
“অন্যপ্রান্ত থেকে বাজখাই গলায় সুমিত্রার আওয়াজ ভেসে আসে, কি ব্যাপার কি? তুমি তো আমাদের একদম ভুলেই গেছো দেখছি। একটা সামান্য কর্তব্য জ্ঞ্যান ও নেই দেখছি তোমার। আমার কথা বাদ দাও, একবারও বুম্বা কেমন আছে, সেটাও জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন মনে করনি তুমি? কোন রাজকার্য টা করছিলে শুনি? মায়ের কথাও জিজ্ঞেস করলে না, কি ব্যাপার টা কি? যতবারই তোমাকে ফোন করেছি তোমার ফোন ব্যাস্ত ছিল, কাকে এত ফোন করছিলে তুমি? নতুন কেও জুটেছে নাকি তোমার? যদি তেমনই হয়, আমাকে বিদায় দাও, বুঝলে। তোমার টাকা পয়সাও আমার দরকার নেই। আশ্চর্য মানুষ তুমি। আমার জীবন টাই নষ্ট করে দিল”।
আমতা আমতা ইন্দ্র জবাব দেয়, “ব্যাবসার কাজে ব্যাস্ত থাকাটা কি অন্যায়? যা খুশি বলে যাচ্ছ তুমি। মুখ সামলে কথা বল সুমিত্রা। তুমি এখান থেকে ওখানে যাওয়ার সময় আমাকে জিজ্ঞেস করে যাও নি। নিজের ইচ্ছেয় যখন গেছো, তখন তোমার মনে হয়নি একবারও যে, স্বামী নামের একটা বস্তু আছে ঘরে, তাকে একবার জিজ্ঞেস করা উচিত? এটাই কি তোমার মায়ের শিক্ষা? এখন বড় বড় কথা বলছ তুমি। মানছি আমি খোঁজ নেয় নি। এটা ভুল আমার আর ভুল স্বীকার করতে দ্বিধা বোধ করিনা আমি। বুঝলে, এবার বল কেন ফোন করেছো আমাকে”?
প্রবালের কথা গুলো খুব মনোযোগ দিয়ে শুনছিল ইন্দ্র। কথাগুলো একদম ফেলে দেওয়ার মতন না। চিন্তা করে এগোতে হবে। প্রবালের সাথে অনেকক্ষণ রিমি কে নিয়ে আলোচনা করে মনটা একটু হাল্কা হয়ে যায় ইন্দ্রর। সেই ভার হয়ে থাকা মাথাটাও একটু হাল্কা মনে হয়। দুজনে নিজেদের বাইকের দিকে এগিয়ে যায়। ইন্দ্র প্রবালের কাঁধে হাত রেখে হাঁটতে হাঁটতে জিজ্ঞেস করে, “তুই কে হস রে আমার? শুধুই কি বন্ধু? মনে হয়না রে প্রবাল। তুই ভীষণ রকমের নিজস্ব আমার। বন্ধুর থেকে ও অনেক বেশী তুই আমার কাছে। আজ যদি তুই আমার জীবনে না থাকতিস, আমি দিশেহারা হয়ে যেতাম ভাই”।
একটু হেসে প্রবাল ইন্দ্রের দিকে তাকিয়ে বলে, “আরে বাদ দে, মজা মেরে এসেছিস, মুড ভালো আছে, তাই ভালো ভালো বুলি বেরোচ্ছে তোর মুখ থেকে। আমার আর তোকে চিনতে বাকি নেই ভাই। আমাকে গাছে চড়িয়ে কাজ বের করার মতলবে আছিস”। প্রবালের কথা শুনে দুইজনেই হো হো করে হাসি তে ফেটে পরে।
হ্যাঁ রে, একটা কথা জিজ্ঞেস করবো ইন্দ্র?
ইন্দ্র কৌতূহল বশত বলে ওঠে, আরে বল না, কি জিজ্ঞেস করবি?
হেলমেট পড়ে সাইকেল চালিয়েছিস না বিনা হেলমেটে? শুনে আবার হেসে লুটিয়ে পড়ে ইন্দ্র। আরে না না হেলমেট আমি পছন্দ করি না ভাই। বিনা হেলমেটে গাড়ি চালানোর মজাই আলাদা।
দুজনেই নিজের নিজের বাড়ির দিকে রওনা হয়। পথে আর কোথাও দাঁড়ায় না ইন্দ্র। আগামিকাল অফিসে যেতে হবে। দুইদিন বন্ধ রেখেছিল অফিস। হয়তো ব্যাবসার কাজে অনেকেই ফোন করেছে অফিসের ল্যান্ড লাইন ফোনে। উত্তর না পেয়ে কি ভেবেছে কে জানে?
ঘরে এসে ফ্রেশ হয়ে নিজের ল্যাপটপ টা অন করে একবার দেখে নেয় রিমি অনলাইন আছে কি না? তার জন্য কোনও মেসেজ ছেড়ে রেখেছে কি না? কিন্তু কিছুই না দেখতে পেয়ে, একটু চিন্তিত হয়ে ল্যাপটপ বন্ধ করতেই, ইন্দ্রর মোবাইল টা বেজে ওঠে। ফোন টা হাতে নিয়ে স্ক্রিনের দিকে তাকাতেই, ‘সুমিত্রা’ নাম টা ভেসে ওঠে। সাবধান হয়ে যায় ইন্দ্র। সে জানেনা কি বলবে সুমিত্রা? বুম্বার শরীর ঠিক আছে তো? সুমিত্রার মায়ের হার্টের অপারেসান হওয়ার কথা ছিল, সে একবার খোঁজ নেয় নি। ব্যাপারটা মাথায় আসতেই, আবার একটা অশান্তি, তর্কর ভয়ে সুন্দর মুড টা বিগরে যায়। খোঁজ নেওয়া উচিত ছিল তার। মা একবার বলেও ছিল, কিন্তু ভুল হয়ে গেছে। মাথার থেকে সবকিছু বেমালুম হাওয়া হয়ে গেছিলো তার। দেখা যাক কি বলছে আবার বলে ফোন টা কানেক্ট করে ইন্দ্র।
“অন্যপ্রান্ত থেকে বাজখাই গলায় সুমিত্রার আওয়াজ ভেসে আসে, কি ব্যাপার কি? তুমি তো আমাদের একদম ভুলেই গেছো দেখছি। একটা সামান্য কর্তব্য জ্ঞ্যান ও নেই দেখছি তোমার। আমার কথা বাদ দাও, একবারও বুম্বা কেমন আছে, সেটাও জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন মনে করনি তুমি? কোন রাজকার্য টা করছিলে শুনি? মায়ের কথাও জিজ্ঞেস করলে না, কি ব্যাপার টা কি? যতবারই তোমাকে ফোন করেছি তোমার ফোন ব্যাস্ত ছিল, কাকে এত ফোন করছিলে তুমি? নতুন কেও জুটেছে নাকি তোমার? যদি তেমনই হয়, আমাকে বিদায় দাও, বুঝলে। তোমার টাকা পয়সাও আমার দরকার নেই। আশ্চর্য মানুষ তুমি। আমার জীবন টাই নষ্ট করে দিল”।
আমতা আমতা ইন্দ্র জবাব দেয়, “ব্যাবসার কাজে ব্যাস্ত থাকাটা কি অন্যায়? যা খুশি বলে যাচ্ছ তুমি। মুখ সামলে কথা বল সুমিত্রা। তুমি এখান থেকে ওখানে যাওয়ার সময় আমাকে জিজ্ঞেস করে যাও নি। নিজের ইচ্ছেয় যখন গেছো, তখন তোমার মনে হয়নি একবারও যে, স্বামী নামের একটা বস্তু আছে ঘরে, তাকে একবার জিজ্ঞেস করা উচিত? এটাই কি তোমার মায়ের শিক্ষা? এখন বড় বড় কথা বলছ তুমি। মানছি আমি খোঁজ নেয় নি। এটা ভুল আমার আর ভুল স্বীকার করতে দ্বিধা বোধ করিনা আমি। বুঝলে, এবার বল কেন ফোন করেছো আমাকে”?
তোমাকে খুঁজে বেড়াই