05-02-2021, 12:00 PM
#অন্য_রূপকথা
কোনো এক অজ্ঞাত কারণে, দমদমের যেখানে আমি থাকি সেখানে মাত্র একটি এটিএম ই আজ সকালে কাজ করছিল। বাকিগুলোর কোনোটায় টাকা নেই তো কোনোটায় নোটিশ সাঁটা 'এটিএম নট ওয়ার্কিং'!
যাই হোক, সেই 'শিবরাত্রির সলতে', বন্ধন ব্যাঙ্কের এটিএম টাতে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। আমার আগে দুজন, আর আরেকজন ভেতরে ছিলেন।
তা বলতে নেই, যিনি ভেতরে ছিলেন, বেশ অনেকক্ষন সময় লাগাচ্ছিলেন! এদিকে ভিনাইল লাগানো ঘষা কাঁচের মধ্যে দিয়ে দেখা যাচ্ছিল না কিছুই। আমার আগের চরকা বরকা বারমুডা পরা, কমলা চুলের ছেলেটি উসখুশ করছিল অনেকক্ষন ধরে। তারপর তার সামনের লোকটির থেকে একটু সরে গিয়ে এটিএমের দরজায় টোকা মেরে বলল "আরে কি করছেন টা কি? রোব্বারের বাজার...সবার ই তো তাড়া আছে!" আর তারপর ই 'উহ!' করে একটা বিরক্তির আওয়াজ করল।
সামান্য পরেই দরজা খুলে গেল। বেরোলেন একজন বয়স্ক মানুষ। ধূসর রঙের সোয়েটার পরা...মাথায় একটা হনুমান টুপি। হাতে বাজারের ব্যাগ। আরেক হাতে খাপে ধরা এটিএম কার্ড...সেটিকে যত্ন করে সোয়েটারের নীচে, পাঞ্জাবির বুকপকেটে রাখলেন উনি। তারপর এগিয়ে গেলেন।
ততক্ষনে লাইনে থাকা প্রথম ভদ্রলোকটি এটিএমে ঢুকে গেছেন।
হঠাৎ আমাকে চমকে দিয়ে কমলা চুলের ছেলেটি "দিদি আমার লাইনটা রইল" বলেই সেই ভদ্রলোকের দিকে এগিয়ে গেল। আমার ও, কেন জানি না, চোখ ঘুরে গেল সেই দিকে।
দেখি, ছেলেটি ভদ্রলোকের সামনে গিয়ে বলল "জ্যেঠু, কিছু মনে করবেন না...আমি বুঝতে পারি নি আপনি, মানে একজন বয়স্ক মানুষ ছিলেন এটিএমে... বাজে ভাবে কথা বলে ফেলেছি। স্যরি জ্যেঠু। "
দুজনেই আমার দিকে পিছন ফিরে ছিলেন...তাই শুনতে পেলেও, দেখতে পাচ্ছিলাম না কাউকে...কিন্তু কেন জানি না মনে হচ্ছিল...ছেলেটির মুখে হয়ত একটু লাজুক হাসি ছিল...আর, বৃদ্ধ, কিঞ্চিৎ জবুথবু মানুষটির চোখ হয়ত ছলছল করছিল...একদম আমার ই মতো...
কত সাধারণ একটা কাজ...ক্ষমা চাওয়া...ভুল স্বীকার করা...আর হয়ত মনে মনে সেটা পুনরায় করার অঙ্গীকার না করা...এই তো...এইটুকুই তো... আর সেটুকুই কিভাবে কানায় কানায় ভরিয়ে দিতে পারে মনের আনাচকানাচ...আজ ও...
ফেরার পথে, নিজের মনেই একটা কথা মনে হচ্ছিল... , হালফিলের রাজনীতির অনেক ঊর্ধে...ত্যাগের, তিতিক্ষার...আর হয়ত ক্ষমা চাওয়া বা করারও...
আর তাও...তবুও...
কেন যে এত বিবাদ চারিদিকে...
এত..এত... "এত রক্ত কেন?"
কোনো এক অজ্ঞাত কারণে, দমদমের যেখানে আমি থাকি সেখানে মাত্র একটি এটিএম ই আজ সকালে কাজ করছিল। বাকিগুলোর কোনোটায় টাকা নেই তো কোনোটায় নোটিশ সাঁটা 'এটিএম নট ওয়ার্কিং'!
যাই হোক, সেই 'শিবরাত্রির সলতে', বন্ধন ব্যাঙ্কের এটিএম টাতে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। আমার আগে দুজন, আর আরেকজন ভেতরে ছিলেন।
তা বলতে নেই, যিনি ভেতরে ছিলেন, বেশ অনেকক্ষন সময় লাগাচ্ছিলেন! এদিকে ভিনাইল লাগানো ঘষা কাঁচের মধ্যে দিয়ে দেখা যাচ্ছিল না কিছুই। আমার আগের চরকা বরকা বারমুডা পরা, কমলা চুলের ছেলেটি উসখুশ করছিল অনেকক্ষন ধরে। তারপর তার সামনের লোকটির থেকে একটু সরে গিয়ে এটিএমের দরজায় টোকা মেরে বলল "আরে কি করছেন টা কি? রোব্বারের বাজার...সবার ই তো তাড়া আছে!" আর তারপর ই 'উহ!' করে একটা বিরক্তির আওয়াজ করল।
সামান্য পরেই দরজা খুলে গেল। বেরোলেন একজন বয়স্ক মানুষ। ধূসর রঙের সোয়েটার পরা...মাথায় একটা হনুমান টুপি। হাতে বাজারের ব্যাগ। আরেক হাতে খাপে ধরা এটিএম কার্ড...সেটিকে যত্ন করে সোয়েটারের নীচে, পাঞ্জাবির বুকপকেটে রাখলেন উনি। তারপর এগিয়ে গেলেন।
ততক্ষনে লাইনে থাকা প্রথম ভদ্রলোকটি এটিএমে ঢুকে গেছেন।
হঠাৎ আমাকে চমকে দিয়ে কমলা চুলের ছেলেটি "দিদি আমার লাইনটা রইল" বলেই সেই ভদ্রলোকের দিকে এগিয়ে গেল। আমার ও, কেন জানি না, চোখ ঘুরে গেল সেই দিকে।
দেখি, ছেলেটি ভদ্রলোকের সামনে গিয়ে বলল "জ্যেঠু, কিছু মনে করবেন না...আমি বুঝতে পারি নি আপনি, মানে একজন বয়স্ক মানুষ ছিলেন এটিএমে... বাজে ভাবে কথা বলে ফেলেছি। স্যরি জ্যেঠু। "
দুজনেই আমার দিকে পিছন ফিরে ছিলেন...তাই শুনতে পেলেও, দেখতে পাচ্ছিলাম না কাউকে...কিন্তু কেন জানি না মনে হচ্ছিল...ছেলেটির মুখে হয়ত একটু লাজুক হাসি ছিল...আর, বৃদ্ধ, কিঞ্চিৎ জবুথবু মানুষটির চোখ হয়ত ছলছল করছিল...একদম আমার ই মতো...
কত সাধারণ একটা কাজ...ক্ষমা চাওয়া...ভুল স্বীকার করা...আর হয়ত মনে মনে সেটা পুনরায় করার অঙ্গীকার না করা...এই তো...এইটুকুই তো... আর সেটুকুই কিভাবে কানায় কানায় ভরিয়ে দিতে পারে মনের আনাচকানাচ...আজ ও...
ফেরার পথে, নিজের মনেই একটা কথা মনে হচ্ছিল... , হালফিলের রাজনীতির অনেক ঊর্ধে...ত্যাগের, তিতিক্ষার...আর হয়ত ক্ষমা চাওয়া বা করারও...
আর তাও...তবুও...
কেন যে এত বিবাদ চারিদিকে...
এত..এত... "এত রক্ত কেন?"