15-01-2021, 08:37 PM
(This post was last modified: 16-01-2021, 11:16 AM by ddey333. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
ফোন তুলতেই মেয়ে কান্না কাটি শুরু করে দিলো ! অনেক কষ্টে ওকে বুঝিয়ে শান্ত করলাম ! ওর পড়াশোনার খবর নিলাম ! ওর ভাইয়ের খবর নিলাম ! আমার ছেলে ফুটবল খেলতে গেছে ! ও এখন দিল্লি জুনিয়ার টিমের ক্যাপ্টেন হয়েছে ! তাই খুব প্রেসার ! সাথে লেখাপড়ার চাপও খুব বেশি ! মেয়েকে বললাম যে আমি ওর মায়ের একাউন্টে এক লাখ পাঠিয়ে দিয়েছি ! ওদের আর কোন সমস্যা হবে না ! মেয়ে বলল "আমাকেও কিছু টাকা পাঠিয়ে দাও ! আমাদের খরচের জন্য মা কিছুতেই কোন পয়সা দিতে চায়না ! " আমি বললাম ঠিক আছে তোর একাউন্টে আমি দশ হজার পাঠিয়ে দিচ্ছি ! খুব হিসাব করে খরছ করিস !
- বাবা তুমি কবে আসবে ? আমাদের কিছুই ভালো লাগে না তোমাকে ছাড়া ! বাড়ি ফিরে এসো বাবা !
- এখন সম্ভব নয় রে ! আগে তোদের ভবিষ্যতের সমস্ত ব্যবস্থা করি তারপর আসব ! ততদিন শুধু মনে রাখিস তোদের বাবা আছে ! নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা কর ! আমার মতো জীবন যেন তোদের না হয় ! আমিও তোদের ছেরে দূরে থাকতে পারিনা রে ! কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস রে মা ! এখানে আমি খুব শান্তি তে আছি ! সমস্ত অশান্তি থেকে দূর! এখন রাত্রে খুব সুন্দর ঘুম হয় ! খিদে হয় ! এখন নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে ভালো লাগে রে মা ! এখন আমার একটাই চিন্তা তোদের নিয়ে ! আর তোদের কোনোদিন কোন জিনিষের জন্য তোর মায়ের কথা শুনতে হবে না ! তোদের পড়াশোনার খরচের কথা ভাবতে হবে না ! আজ এত দুঃখ দেখেও যে বেঁচে আছি সেটা মাত্র তোদের জন্য রে মা ! শুধু জেনে নিবি পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকিনা কেন তোদের বাবা যতক্ষণ বেঁচে আছে শুধু মাত্র তোদের জন্য ! যে সুখ সমৃদ্ধির মধ্যে তোদের মানুষ করতে চেয়েছিলাম সেটা বিধাতা চাইলেও একজন চায় নি ! আজ সেই একজনের জন্যই আমরা সবাই সবার থেকে অনেক অনেক দূরে ! ফিরে আসবো সেইদিন যেদিন তোরা দুজনে নিজেদের পায়ে দাঁড়াবি ! যেদিন আমি কারুর কাছে কোন বোঝ হয়ে থাকবনা ~ ! যেদিন নিজের এক গ্লাস জল খাবার জন্য কারুর পারমিশন নিতে হবে না সেই দিন আমি ফিরে আসবো ! বাকি তোর কাছে আমার মেইল আইডি আছে ! আমাকে মেইল করে দিস ! কারন আমি যেখানে থাকি সেখানে মোবাইল বলে কিছুই নেই ! একমাত্র ভরসা ল্যান্ডলাইন আর ওর থেকে পাওয়া ইন্টারনেট ! সেই নাম্বার আমি তোদের কাউকেই দিতে পারবো না ! দিনে রোজ পাঁচবার করে মেইল চেক করতে হয় ! যদি খুব প্রবলেম হয় তাহলে আমাকে জানাস !
ব্যাথিত হৃদয়ে মেয়ের ফোন কেটে দিলাম ! লক্ষ্মী আর কমলি আমার ফোনের কথোপকথন শুনে যাচ্ছিলো চুপচাপ ! যখন ফোন রাখলাম তখন আমার চোখের কল থেকে জলের ধারা বয়ে যাচ্ছে ! লক্ষ্মী এসে আমাকে জরিয়ে ধরে আমার গালে চুমু খেয়ে বলল " জানি বাবু তুমি খুব দুখি মানুষ ! কিন্তু কোন মানুষ এতো দুখি হয়েও যে কি করে সবাইকার দুঃখ মেটাতে চেষ্টা করে সেটাই আমি ভেবে পাইনা ! নিজে দুখি হয়েও আমাদের দুঃখ দূর করার জন্য হারুকে একটা নতুন জীবন দিলে ! আমাকে মা হবার সুযোগ দিলে ! হয়তো কমিলও কাল একটা নতুন জীবন পাবে ! যদিও আমি জানিনা সেটা আদৌ হবে কি না ! তবুও আমার মন বলছে তুমি কমলির জন্য কিছু না কিছু নিশ্চয়ই ভেবে রেখেছ ! এতো দুঃখ নিয়ে কি করে বেঁচে আছো বাবু ?
লক্ষিকে জরিয়ে ধরে বললাম "কোনোদিন কোন বড় গাছের গায়ে কোন লতাপাতাকে জরিয়ে আছে দেখেছো লক্ষ্মী? ঠিক সেই মতোই প্রত্যেকেই চায় কাউকে না কাউকে জরিয়ে ধরে বেঁচে থাকতে ! যেমন তোমরা আমাকে জরিয়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা করছ ঠিক তেমনই আমিও তোমাদের জরিয়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা করে যাচ্ছি লক্ষ্মী ! একে অপরকে জরিয়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা করার নামই জীবন ! যেদিন জানবে আমাদের বন্ধন আলগা হয়ে যাবে সেইদিন কোন একজনকে এই পৃথিবী ছেরে চলে যেতে হবে !
- বাবা তুমি কবে আসবে ? আমাদের কিছুই ভালো লাগে না তোমাকে ছাড়া ! বাড়ি ফিরে এসো বাবা !
- এখন সম্ভব নয় রে ! আগে তোদের ভবিষ্যতের সমস্ত ব্যবস্থা করি তারপর আসব ! ততদিন শুধু মনে রাখিস তোদের বাবা আছে ! নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা কর ! আমার মতো জীবন যেন তোদের না হয় ! আমিও তোদের ছেরে দূরে থাকতে পারিনা রে ! কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস রে মা ! এখানে আমি খুব শান্তি তে আছি ! সমস্ত অশান্তি থেকে দূর! এখন রাত্রে খুব সুন্দর ঘুম হয় ! খিদে হয় ! এখন নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে ভালো লাগে রে মা ! এখন আমার একটাই চিন্তা তোদের নিয়ে ! আর তোদের কোনোদিন কোন জিনিষের জন্য তোর মায়ের কথা শুনতে হবে না ! তোদের পড়াশোনার খরচের কথা ভাবতে হবে না ! আজ এত দুঃখ দেখেও যে বেঁচে আছি সেটা মাত্র তোদের জন্য রে মা ! শুধু জেনে নিবি পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকিনা কেন তোদের বাবা যতক্ষণ বেঁচে আছে শুধু মাত্র তোদের জন্য ! যে সুখ সমৃদ্ধির মধ্যে তোদের মানুষ করতে চেয়েছিলাম সেটা বিধাতা চাইলেও একজন চায় নি ! আজ সেই একজনের জন্যই আমরা সবাই সবার থেকে অনেক অনেক দূরে ! ফিরে আসবো সেইদিন যেদিন তোরা দুজনে নিজেদের পায়ে দাঁড়াবি ! যেদিন আমি কারুর কাছে কোন বোঝ হয়ে থাকবনা ~ ! যেদিন নিজের এক গ্লাস জল খাবার জন্য কারুর পারমিশন নিতে হবে না সেই দিন আমি ফিরে আসবো ! বাকি তোর কাছে আমার মেইল আইডি আছে ! আমাকে মেইল করে দিস ! কারন আমি যেখানে থাকি সেখানে মোবাইল বলে কিছুই নেই ! একমাত্র ভরসা ল্যান্ডলাইন আর ওর থেকে পাওয়া ইন্টারনেট ! সেই নাম্বার আমি তোদের কাউকেই দিতে পারবো না ! দিনে রোজ পাঁচবার করে মেইল চেক করতে হয় ! যদি খুব প্রবলেম হয় তাহলে আমাকে জানাস !
ব্যাথিত হৃদয়ে মেয়ের ফোন কেটে দিলাম ! লক্ষ্মী আর কমলি আমার ফোনের কথোপকথন শুনে যাচ্ছিলো চুপচাপ ! যখন ফোন রাখলাম তখন আমার চোখের কল থেকে জলের ধারা বয়ে যাচ্ছে ! লক্ষ্মী এসে আমাকে জরিয়ে ধরে আমার গালে চুমু খেয়ে বলল " জানি বাবু তুমি খুব দুখি মানুষ ! কিন্তু কোন মানুষ এতো দুখি হয়েও যে কি করে সবাইকার দুঃখ মেটাতে চেষ্টা করে সেটাই আমি ভেবে পাইনা ! নিজে দুখি হয়েও আমাদের দুঃখ দূর করার জন্য হারুকে একটা নতুন জীবন দিলে ! আমাকে মা হবার সুযোগ দিলে ! হয়তো কমিলও কাল একটা নতুন জীবন পাবে ! যদিও আমি জানিনা সেটা আদৌ হবে কি না ! তবুও আমার মন বলছে তুমি কমলির জন্য কিছু না কিছু নিশ্চয়ই ভেবে রেখেছ ! এতো দুঃখ নিয়ে কি করে বেঁচে আছো বাবু ?
লক্ষিকে জরিয়ে ধরে বললাম "কোনোদিন কোন বড় গাছের গায়ে কোন লতাপাতাকে জরিয়ে আছে দেখেছো লক্ষ্মী? ঠিক সেই মতোই প্রত্যেকেই চায় কাউকে না কাউকে জরিয়ে ধরে বেঁচে থাকতে ! যেমন তোমরা আমাকে জরিয়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা করছ ঠিক তেমনই আমিও তোমাদের জরিয়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা করে যাচ্ছি লক্ষ্মী ! একে অপরকে জরিয়ে ধরে বাঁচার চেষ্টা করার নামই জীবন ! যেদিন জানবে আমাদের বন্ধন আলগা হয়ে যাবে সেইদিন কোন একজনকে এই পৃথিবী ছেরে চলে যেতে হবে !