14-01-2021, 04:27 PM
(13-01-2021, 11:52 PM)pinuram Wrote: Mr Fantastic
অনেক অনেক ধন্যবাদ বাবান ভাই !!![]()
![]()
দেখাতে চেয়েছিলাম কিভাবে নিঃস্বার্থ প্রেমের সান্নিধ্যে এলে একজন স্বার্থলোভী মানুষও কিভাবে নিজের অজান্তেই নিজেকে নতুন ভাবে উপলব্ধি করতে পারে।
আসলে মনুষ্যজাতির এই অনুভূতি, এই ভাবাবেগ, এই ভালোবাসার আকাঙ্খা - এগুলোই তো মানুষকে অন্যান্য প্রাণীদের থেকে আলাদা করে দেয়। তাই হাত মেলাক ধনীর সাথে গরিব, দুর্বলের সাথে সবল, সুন্দরের সাথে অসুন্দর, জ্ঞানীর সাথে মূর্খ, তবেই না পৃথিবীতে তথা এই ব্রহ্মাণ্ডে চিরস্থায়ী ভাবে বিরাজমান হবে![]()
![]()
![]()
এই জায়গায় আমার কিছু বলার আছে, অনুভূতি ভাবাবেগ ভালোবাসা অন্য প্রাণীদের মধ্যেও আছে! বন্য প্রাণীরাও ভালবাসতে জানে, হাতির পালে দেখবে তারা প্রচন্ড ভাবে একত্রে থাকে, এমন প্রচুর প্রাণী আছে যাদের মধ্যে এই অনুভূতি ভাবাবেগ ভালোবাসা আছে! যেটা মানুষ কে অন্য প্রাণীদের থেকে আলাদা করে সেটা হচ্ছে ধ্বংস করার মানসিকতা! যখন মানুষ বন্য ছিল তখন সব কিছু তার মধ্যে ছিল কিন্তু এই ধ্বংসের মানসিকতা তাদের মধ্যে ছিল না! মানুষ যত সভ্য হয়েছে তত মানুষ নিজেকে ধ্বংস করেছে এবং তার সাথে পারিপার্শ্বিক সকল কে ধ্বংস করেছে! এই যুগে, নিউজিল্যান্ড এবং আফ্রিকাতে বেশ কিছু বহু পুরাতন আদিবাসী এখন জীবিত আছে, যারা বন্য যাদের এই সভ্য সমাজ মানুষ বলে মনেই করে না! সেখানে ধনী গরিব নেই! তারা একপ্রকার প্রাণী বন্য প্রাণীর মতন, কিন্তু তাদের মধ্যে ভালোবাসা আছে! মানুষ কথাটার অর্থ আমার মতে, মান আর হুঁশ মিলে মানুষ! যেদিন মানুষের মধ্যে মান সন্মান গজিয়ে গেল, ও ছোট আমি বড়, যেদিন হুঁশ এলো ও আমার চেয়ে বড় লোক হয়ে গেল আমি ওর থেকে গরিব কেন? সেদিন থেকেই মানুষের পতন! মান আর হুঁশ ছাড়াও এই প্রাণী এই জগতে চলতে পারত, কিন্তু না, এই মান সন্মান আর হুঁশের অধিন হয়েই আজকে মানুষ ধ্বংসের দিকে পা বাড়িয়েছে! কি দরকার ছিল আমেরিকার জাপানের ওপরে এটম বোম্ব ফেলার, ওই যে বললাম, মানে আঘাত লেগেছে তাই নির্দোষ মানুষকে হত্যা করল! কি দরকার ছিল ব্রিটিশদের এই ভারতে আসার, ওই যে হুঁশ হল এদের শিক্ষা দিতে হবে!!!!!
হ্যাঁ এটা একদম যথার্থ বলেছ, বন্যপ্রাণীদের মধ্যেও অনেক সময় এমন কিছু মানবিক গুণাবলী দেখা যায় যা হয়তো তথাকথিত সভ্য মানুষদের মধ্যে নেই। যবে থেকে এই উচ্চ-নীচ ভেদাভেদ, সামাজিক বৈষম্য, ক্ষমতার অধিকার এসব বাড়তে লাগলো তখন থেকেই জন্ম নিলো হিংসা, ক্রোধ, প্রতিশোধ স্পৃহা, জিঘাংসা, হানাহানি যা মানব সভ্যতাকে ক্রমশ ধংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

( তবে একটা কথা কিন্তু অস্বীকার করা যায় না, ব্রিটিশরা এসেছিল বলেই ভারত কিন্তু মধ্যযুগ থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে। ভালো দিকটা দ্যাখো, সবদিক থেকে প্রচুর উন্নতি করে গেছে। বিশেষ করে তৎকালীন রাজধানী কলকাতার এই খ্যাতির সুত্রপাত কিন্তু ব্রিটিশদের হাত ধরেই। শিক্ষা, সমাজ ব্যবস্থা (সতীদাহ, বাল্য বিবাহ, বহুবিবাহ), নগর পরিকল্পনা, শিল্প সবকিছুই আমূল বদলে দিয়ে গেছে।
