07-01-2021, 03:45 PM
৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷ মায়ের আত্মত্যাগ ৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷৷
এই গল্পটি কোনো কাল্পনিক বা মনগড়া কাহিনী নয়,এটি একটি সামাজিক জীবন যাপনের প্রেক্ষাপটে গড়ে ওঠা বাস্তব কাহিনী। যেখানে একটি মা ও ছেলের অতীত জীবনের ফেলে আসা দুঃস্বপ্নের দিনগুলোর কাহিনী থেকে বর্তমানের সুখের দিন সবই সবিস্তারে জানানো হবে। আর একটা অনুরোধ যারা ইন্সেস্ট ভালোবাসেন না তারা দয়া করে এই থ্রেড থেকে দূরে থাকুন। এই গল্পের নায়ক হলেন কমল,গল্পটি তার মুখ থেকে শোনা আমি ওর বন্ধু ও আমাকে অনেক অনুরোধের পর এই গল্পটি শুনিয়েছিলো আজ আমরা কমলের মুখ থেকে তার জীবনের বাস্তব কাহিনীটি শুনবো।
তিতলি এই তিতলি এদিকে এসো মা দুস্টুমি করেনা মা,কি মিস্টি নাম তাইনা"তিতলি" এটা আমার মেয়ের নাম যেমন মিস্টি তেমনি দুস্টু মাত্র ৫ বছর বয়স ওর আমাদের সংসারের মধ্যমনি ও, ওকে ছাড়া আমরা কিছুই ভাবিনা সারাদিন অফিস করে এসে সন্ধা থেকে শোয়ার আগে অব্ধি ওই আমার সব। আমার যখন ২২ বছর তখন ওর জন্ম প্রতিবছর ঘটা করে ওর জন্মদিন পালন করি আমরা, ও ছাড়া আর নতুন কোন সন্তান আমাদের জীবনে আর আসবে না তাই ওই আমাদের জীবনে সব। এইতো ওর এবারের জন্মদিনে সবাই কতো করে রিকোয়েস্ট করেছিলো আরেকটা বেবি নেওয়ার জন্য কিন্তু ওর মায়ের করুন মুখের দিকে তাকিয়েই সবার অনুরোধকে নাকচ করে দিই আমি কারন একটা সন্তানের জন্য আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষটাকে আমি হারাতে চাইনা। কেন আমার স্ত্রী নতুন করে সন্তান ধারনে অক্ষম সেই গল্প জানতে গেলে আমাদের ফিরে যেতে হবে আজ থেকে ৬ বছর আগে।
বীরভূম জেলার হরিপুর গ্রামে এক পরিবারে চার জনের বাস আমি ঃ- কমল সেন, মা ঃ- কামিনী সেন, দাদু ঃ- হরিধন দাস(মায়ের বাবা), দিদিমা ঃ- কাকলী দাস,এই হোল আমাদের পরিবারের সদস্যগন। চারজনের ফ্যামিলি দাদু ছোটোখাট একটা ব্যবসা করেন দিদা ও মা পুরোপুরি গৃহিনী, ছোটবেলা থেকে পড়াশোনায় আমি ভালো চাকরির পরিক্ষা দিতে দিতে ভাগ্যটা হঠাৎ সুপ্রসন্ন হলো সরকারি চাকরি একটা জুটে গেলো, কিন্তু মুস্কিল হলো চাকরির পোস্টিং হলো কলকাতায়।ছোট্ট থেকে বাড়ি ছেড়ে বেশিদিনের জন্য কোথাও যাইনি ওই এক দুবার বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে দীঘা গেছিলাম কিন্তু এতো বাড়ি ছেড়ে কলকাতায় এসে থাকতে হবে, দাদু দিদা ও মা সবার মনমরা অবস্থা আমাকে ছাড়া ওরা থাকবে কিভাবে সেই নিয়েই বাড়ির নাওয়া খাওয়া বন্ধ হবার জোগাড়। চাকরির দিন যতই কাছে আসতে শুরু করলো মা প্রায়ই লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদতে থাকে বিষয়টি আমার নজর এড়ায় না আসলে আমার বাবা মারা যাবার পর থেকে আমিই মায়ের সবকিছু আমাকে আঁকড়ে ধরে মা বাঁচতে চায়,আর আমিও বাবাকে না পেয়ে মাকেই আমার জীবনের সব কিছু মেনে নিয়েছি।অন্তঃপর চাকরিতে জয়েন করার কিছুদিন আগে দাদুর সঙ্গে কোলকাতায় এসে অফিসের কাছাকাছি একটি ঘর ভাড়া নিয়ে যাবতীয় জিনিসপত্র কিনে গুছিয়ে আবার দেশের বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলাম। জয়েনিং এর একদিন আগে কান্নামুখে সবাই দেওয়ার আগে প্রত্যেকের পা ছুঁয়ে প্রনাম করলাম মা আমাকে বুকের মধ্যে আঁকড়ে ধরেছিলো যেন ছাড়তেই চাইছিলো না,পুত্রের বিহনে মায়ের বুকভরা কান্নায় বিহ্বল হয়ে পড়েছিলো দাদু- দিদা মায়ের চোখের জ্বলে ভিজে উঠেছিলো আমার কাঁধ,মা যেভাবে আমাকে জাপটে ধরেছিলো তার নরম মশৃন স্তন চেপ্টে গিয়েছে আমার বুকের সাথে সেটা বোঝার উপায় তার ছিলো না। শেষমেষ দাদুর ডাকা ডাকিতে হুস ফেরে মার, গাড়িতে উঠে পড়লাম ধীরে ধীরে গ্রাম থেকে শহরে এসে পৌঁছলাম।অফিসে প্রথম দিনটা খুব একটা ভালো গেলো না মায়ের জন্য খুব খারাপ লাগছিলো রাতে ঘরে এসে প্রথম মাকে ফোন করলাম।
আমিঃ হ্যালো মা।মা নিশ্চুপ, কথা বলছো না কেন?
মাঃ কাঁদতে কাঁদতে বল বাবু এতোক্ষণ পরে মাকে মনে পড়লো।
আমিঃ কি করবো অফিসের প্রথম দিন একটু টেনশনে ছিলাম।
মাঃ আর আমি!
আমিঃ মা। আবারও মা কাঁদতে থাকলো,মা একদম কাঁদতে না আমি সপ্তাহ শেষে বাড়িতে আসছি।আমার সোনা মা কাঁদবে না কেমন।
এভাবেই কেটে গেলো একটা সপ্তাহ মনের মধ্যে কেমন একটা বাড়িতে ফেরার তাগিদ কাজ করতে লাগলো।বাড়ি ফিরে মায়ের মুখটা দেখতে পাবো।
বাড়িতে ফিরলাম মা দরজায় আমার জন্য অপেক্ষা করছিলো,মার পা ছুঁয়ে প্রনাম করলাম মা আমাকে বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরলো,দাদু দিদাকেও প্রনাম করলাম। মা কিচেনে চলে গেলো আমিও ঘরে বিশ্রাম নিতে গেলাম,এদিকে দাদু দিদা আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে শুরু করে দিলেন।
দিদাঃ শুনছো।
দাদুঃ হুম বলো।
দিদাঃ কমলের ব্যাপারে একটা কথা বলার ছিলো।
দাদুঃ বলো শুনছি।
দিদাঃ আমরা আর কতদিনই বা বাঁঁচবো মরার আগে কমলের বিয়েটা দেখে যেতে চাই।
দাদুঃ বেশতো ভালো কথা কমল এখন ভালো চাকরি করছে ওর জন্য মেয়ের অভাব হবেনা।
দিদাঃ কিন্তু আমার একটাই ভয় হয়,যে বিয়ের পরে কমলের বউ আমাদের সবাইকে মানিয়ে নিয়ে চলতে পারবে তো?
দাদুঃ সেটা তুমি ঠিকই বলেছো, কিন্তু বিয়ে তো এক না একদিন ওকে দিতেই হবে। আর ভবিষ্যতে ওই তো আমদেরকে দেখবে।
দিদাঃ কিন্তু বিয়ের পর কমল যদি পালটে যায়,ওর মাকে যদি না দেখে তাহলে তো আমাদের মেয়েটার কপালে সারাটা জীবন দুঃখই বয়ে বেড়াতে হবে।
দাদুঃ কি করবে ভেবে দেখো, যাতে সবাই ভালো থাকে সে ব্যবস্থাই করো।
আমি এসবের কিছুই জানিনা ২ দিন বাড়িতে থেকে কলকাতা রওনা দিলাম,জমিয়ে চাকরিতে মন দিলাম এর মাঝে বাড়ির সবার সাথেই কথা হলো। মাকে বললাম মন খারাপ করবে না আমি ভালো আছি, তুমি একদম আমার কথা ভাববে না।
দিদা আমার বিয়ে নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়ে গেলেন কিছুই ভেবে উঠতে পারছিলেন না,শেষমেষ একটা সিদ্ধান্তে এসে উপনিত হলেন।রাতে বিছানায় শুয়ে দাদুকে কথাটা শোনালেন।
দাদুঃ কি বলছো কাকলী! তোমার মাথার ঠিক আছে তো।
দিদাঃ হ্যাঁ,আমি অনেক ভেবেছি তারপর এই সিদ্ধান্তে এসে উপনিত হয়েছি। আমি আমাদের সকলের ভালোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি,মরার আগে আমার মেয়েটিকে সুখী দেখে যেতে চাই। বলে দাদুর বুকে মাথা রেখে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে লাগলো।
দাদুঃ শান্ত হও কাকলী,এমন করে কেঁদোনা আমাদের মেয়ে ও নাতিটার ভালো মন্দ আমরা ভাববো না তো কে ভাববে। তুমি আগে কামিনীর সাথে কথা বলো ও কি বলছে সেটা শুনেই আমি সিদ্ধান্ত নেব, এবার ঘুমিয়ে পড়ো অনেক রাত হলো।
এই গল্পটি কোনো কাল্পনিক বা মনগড়া কাহিনী নয়,এটি একটি সামাজিক জীবন যাপনের প্রেক্ষাপটে গড়ে ওঠা বাস্তব কাহিনী। যেখানে একটি মা ও ছেলের অতীত জীবনের ফেলে আসা দুঃস্বপ্নের দিনগুলোর কাহিনী থেকে বর্তমানের সুখের দিন সবই সবিস্তারে জানানো হবে। আর একটা অনুরোধ যারা ইন্সেস্ট ভালোবাসেন না তারা দয়া করে এই থ্রেড থেকে দূরে থাকুন। এই গল্পের নায়ক হলেন কমল,গল্পটি তার মুখ থেকে শোনা আমি ওর বন্ধু ও আমাকে অনেক অনুরোধের পর এই গল্পটি শুনিয়েছিলো আজ আমরা কমলের মুখ থেকে তার জীবনের বাস্তব কাহিনীটি শুনবো।
তিতলি এই তিতলি এদিকে এসো মা দুস্টুমি করেনা মা,কি মিস্টি নাম তাইনা"তিতলি" এটা আমার মেয়ের নাম যেমন মিস্টি তেমনি দুস্টু মাত্র ৫ বছর বয়স ওর আমাদের সংসারের মধ্যমনি ও, ওকে ছাড়া আমরা কিছুই ভাবিনা সারাদিন অফিস করে এসে সন্ধা থেকে শোয়ার আগে অব্ধি ওই আমার সব। আমার যখন ২২ বছর তখন ওর জন্ম প্রতিবছর ঘটা করে ওর জন্মদিন পালন করি আমরা, ও ছাড়া আর নতুন কোন সন্তান আমাদের জীবনে আর আসবে না তাই ওই আমাদের জীবনে সব। এইতো ওর এবারের জন্মদিনে সবাই কতো করে রিকোয়েস্ট করেছিলো আরেকটা বেবি নেওয়ার জন্য কিন্তু ওর মায়ের করুন মুখের দিকে তাকিয়েই সবার অনুরোধকে নাকচ করে দিই আমি কারন একটা সন্তানের জন্য আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষটাকে আমি হারাতে চাইনা। কেন আমার স্ত্রী নতুন করে সন্তান ধারনে অক্ষম সেই গল্প জানতে গেলে আমাদের ফিরে যেতে হবে আজ থেকে ৬ বছর আগে।
বীরভূম জেলার হরিপুর গ্রামে এক পরিবারে চার জনের বাস আমি ঃ- কমল সেন, মা ঃ- কামিনী সেন, দাদু ঃ- হরিধন দাস(মায়ের বাবা), দিদিমা ঃ- কাকলী দাস,এই হোল আমাদের পরিবারের সদস্যগন। চারজনের ফ্যামিলি দাদু ছোটোখাট একটা ব্যবসা করেন দিদা ও মা পুরোপুরি গৃহিনী, ছোটবেলা থেকে পড়াশোনায় আমি ভালো চাকরির পরিক্ষা দিতে দিতে ভাগ্যটা হঠাৎ সুপ্রসন্ন হলো সরকারি চাকরি একটা জুটে গেলো, কিন্তু মুস্কিল হলো চাকরির পোস্টিং হলো কলকাতায়।ছোট্ট থেকে বাড়ি ছেড়ে বেশিদিনের জন্য কোথাও যাইনি ওই এক দুবার বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে দীঘা গেছিলাম কিন্তু এতো বাড়ি ছেড়ে কলকাতায় এসে থাকতে হবে, দাদু দিদা ও মা সবার মনমরা অবস্থা আমাকে ছাড়া ওরা থাকবে কিভাবে সেই নিয়েই বাড়ির নাওয়া খাওয়া বন্ধ হবার জোগাড়। চাকরির দিন যতই কাছে আসতে শুরু করলো মা প্রায়ই লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদতে থাকে বিষয়টি আমার নজর এড়ায় না আসলে আমার বাবা মারা যাবার পর থেকে আমিই মায়ের সবকিছু আমাকে আঁকড়ে ধরে মা বাঁচতে চায়,আর আমিও বাবাকে না পেয়ে মাকেই আমার জীবনের সব কিছু মেনে নিয়েছি।অন্তঃপর চাকরিতে জয়েন করার কিছুদিন আগে দাদুর সঙ্গে কোলকাতায় এসে অফিসের কাছাকাছি একটি ঘর ভাড়া নিয়ে যাবতীয় জিনিসপত্র কিনে গুছিয়ে আবার দেশের বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলাম। জয়েনিং এর একদিন আগে কান্নামুখে সবাই দেওয়ার আগে প্রত্যেকের পা ছুঁয়ে প্রনাম করলাম মা আমাকে বুকের মধ্যে আঁকড়ে ধরেছিলো যেন ছাড়তেই চাইছিলো না,পুত্রের বিহনে মায়ের বুকভরা কান্নায় বিহ্বল হয়ে পড়েছিলো দাদু- দিদা মায়ের চোখের জ্বলে ভিজে উঠেছিলো আমার কাঁধ,মা যেভাবে আমাকে জাপটে ধরেছিলো তার নরম মশৃন স্তন চেপ্টে গিয়েছে আমার বুকের সাথে সেটা বোঝার উপায় তার ছিলো না। শেষমেষ দাদুর ডাকা ডাকিতে হুস ফেরে মার, গাড়িতে উঠে পড়লাম ধীরে ধীরে গ্রাম থেকে শহরে এসে পৌঁছলাম।অফিসে প্রথম দিনটা খুব একটা ভালো গেলো না মায়ের জন্য খুব খারাপ লাগছিলো রাতে ঘরে এসে প্রথম মাকে ফোন করলাম।
আমিঃ হ্যালো মা।মা নিশ্চুপ, কথা বলছো না কেন?
মাঃ কাঁদতে কাঁদতে বল বাবু এতোক্ষণ পরে মাকে মনে পড়লো।
আমিঃ কি করবো অফিসের প্রথম দিন একটু টেনশনে ছিলাম।
মাঃ আর আমি!
আমিঃ মা। আবারও মা কাঁদতে থাকলো,মা একদম কাঁদতে না আমি সপ্তাহ শেষে বাড়িতে আসছি।আমার সোনা মা কাঁদবে না কেমন।
এভাবেই কেটে গেলো একটা সপ্তাহ মনের মধ্যে কেমন একটা বাড়িতে ফেরার তাগিদ কাজ করতে লাগলো।বাড়ি ফিরে মায়ের মুখটা দেখতে পাবো।
বাড়িতে ফিরলাম মা দরজায় আমার জন্য অপেক্ষা করছিলো,মার পা ছুঁয়ে প্রনাম করলাম মা আমাকে বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরলো,দাদু দিদাকেও প্রনাম করলাম। মা কিচেনে চলে গেলো আমিও ঘরে বিশ্রাম নিতে গেলাম,এদিকে দাদু দিদা আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করতে শুরু করে দিলেন।
দিদাঃ শুনছো।
দাদুঃ হুম বলো।
দিদাঃ কমলের ব্যাপারে একটা কথা বলার ছিলো।
দাদুঃ বলো শুনছি।
দিদাঃ আমরা আর কতদিনই বা বাঁঁচবো মরার আগে কমলের বিয়েটা দেখে যেতে চাই।
দাদুঃ বেশতো ভালো কথা কমল এখন ভালো চাকরি করছে ওর জন্য মেয়ের অভাব হবেনা।
দিদাঃ কিন্তু আমার একটাই ভয় হয়,যে বিয়ের পরে কমলের বউ আমাদের সবাইকে মানিয়ে নিয়ে চলতে পারবে তো?
দাদুঃ সেটা তুমি ঠিকই বলেছো, কিন্তু বিয়ে তো এক না একদিন ওকে দিতেই হবে। আর ভবিষ্যতে ওই তো আমদেরকে দেখবে।
দিদাঃ কিন্তু বিয়ের পর কমল যদি পালটে যায়,ওর মাকে যদি না দেখে তাহলে তো আমাদের মেয়েটার কপালে সারাটা জীবন দুঃখই বয়ে বেড়াতে হবে।
দাদুঃ কি করবে ভেবে দেখো, যাতে সবাই ভালো থাকে সে ব্যবস্থাই করো।
আমি এসবের কিছুই জানিনা ২ দিন বাড়িতে থেকে কলকাতা রওনা দিলাম,জমিয়ে চাকরিতে মন দিলাম এর মাঝে বাড়ির সবার সাথেই কথা হলো। মাকে বললাম মন খারাপ করবে না আমি ভালো আছি, তুমি একদম আমার কথা ভাববে না।
দিদা আমার বিয়ে নিয়ে খুবই দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়ে গেলেন কিছুই ভেবে উঠতে পারছিলেন না,শেষমেষ একটা সিদ্ধান্তে এসে উপনিত হলেন।রাতে বিছানায় শুয়ে দাদুকে কথাটা শোনালেন।
দাদুঃ কি বলছো কাকলী! তোমার মাথার ঠিক আছে তো।
দিদাঃ হ্যাঁ,আমি অনেক ভেবেছি তারপর এই সিদ্ধান্তে এসে উপনিত হয়েছি। আমি আমাদের সকলের ভালোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি,মরার আগে আমার মেয়েটিকে সুখী দেখে যেতে চাই। বলে দাদুর বুকে মাথা রেখে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে লাগলো।
দাদুঃ শান্ত হও কাকলী,এমন করে কেঁদোনা আমাদের মেয়ে ও নাতিটার ভালো মন্দ আমরা ভাববো না তো কে ভাববে। তুমি আগে কামিনীর সাথে কথা বলো ও কি বলছে সেটা শুনেই আমি সিদ্ধান্ত নেব, এবার ঘুমিয়ে পড়ো অনেক রাত হলো।