22-12-2020, 01:59 PM
(This post was last modified: 22-12-2020, 02:24 PM by pinuram. Edited 2 times in total. Edited 2 times in total.)
(21-12-2020, 10:19 PM)Mr Fantastic Wrote: এরকম কোনো অনর্থ হবে ভেবেছিলাম আগে। কি বলবো, খুব খারাপ লাগলো। একজন দায়িত্বশীল বড়ো দাদার জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে রিশু যা করেছে একদম ঠিক করেছে। জেন জেড যুগের অনেক উঠতি বয়সের মেয়েরা ভালোবাসা আসলে কি সেটা সত্যিই বোঝে না। স্বল্প পরিচয়ের ছেলে দুটোর নোংরামিকে প্রেম মনে করে প্রশ্রয় দিয়ে যে ভুল করতে যাচ্ছিল, সেখান থেকে রিশুর শাসনে সম্পূর্ণ সহমত আছে আমার। ওরা না হয় কাঁচা বয়সে মজে গিয়ে ভুল করেছে, কিন্তু ঝিনুক ? সে কি নিজের অভিজ্ঞতা থেকেও শেখেনি কিছু ? ও দেখেছে যে দিয়াকে দৃষ্টিকটু ভাবে স্পর্শ করেছে ছেলেটা, তাও প্রশ্রয় দিয়েছে বরং ওদের হয়ে সাফাই গাইছে ! সুরার প্রভাবে নিজের অবচেতন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের প্রকাশ ঘটিয়ে ঝিনুক যেভাবে রিশুকে উল্টো চোটপাট করেছে আর মাকে নিয়ে কথা শুনিয়েছে সেটা সত্যিই অপ্রীতিকর। ভেবেছিলাম জেদি বদমেজাজি ঝিনুক রিশুর সংস্পর্শে এসে আর নিজের অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে অনেক পাল্টে গেছে, কিন্তু না, একই আছে। একজন নামী খ্যাতিবান কর্তব্যপরায়ণ ডাক্তারের স্ত্রী হয়েও সেই পেশার গুরুত্ব বুঝতে পারছে না, ইমম্যাচিউরুটি এখনও যায়নি ঝিনুকের। তবে মদের প্রভাব কেটে যেতে ও যে অনুতপ্ত হয়েছে বা অপরাধবোধে ভুগছে সেটা দেখে সত্যিই মন ভারী হয়ে গেল। অন্যদিকে রিশুও নিজের অতিরিক্ত ক্রোধ আর দৃঢ় অটল সিদ্ধান্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারলো না। ছ' বছর আগের মতো সেই তীব্র রাগে অন্ধ হয়ে তাৎক্ষণিক হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে দুম করে আবারও একটা ডিসিশন নিয়ে নিল। রিশুর মধ্যে অভিমন্যুর ছায়া বেশ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, আমি অন্তত দেখতে পেলাম এক্ষেত্রে আসলে সবকিছুর মূলে এই সমাজ ব্যবস্থা। শরীর সর্বস্ব যুগের শিকার ঝিনুক, ওর দেখে উশৃঙ্খলতাকেই আধুনিকতা বলে মনে করা ঝিলিক, তার সঙ্গে থেকে প্রভাবিত হওয়া দিয়া, আর ওদের ভুলের অসহায় শিকার ঝিনুক-রিশু।
আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে। একদিন ঝড় থেমে যাবে, পৃথিবী আবার শান্ত হবে।
(দেরিতে মন্তব্য করার জন্য দুঃখিত, পর্বটা পড়ে কিছু ভালো লাগছিল না )
আমি নির্বাক, (নির্বাক শ্রোতা আর সুত্রধর) তবে ডক্টর অম্বরীশ এর সাথে অভিমন্যুর তুলনা, একটু বেমানান লাগলো! রিশুর মধ্যে কি দেখলে যা তোমাকে অভিমন্যুর কথা মনে করিয়ে দিল? অভি পরীকে ভীষণ ভালবাসত, বলতে পারা যায় নিজের থেকেও বেশি! সেই রুমাল দশ বছর পকেটে রেখে দেওয়া! অভি কোনদিন দুম করে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাত না! অভি শেষ পর্যন্ত লড়ে ছিল! অভি পরীর মাকেও হয়ত কোনভাবে বুঝিয়ে নিতে পারত! কিন্তু কপালের দোষ, বিধির বিধান অভি ফিরে আসার আগেই পরীর মা ইহলোক ত্যাগ করেন! যদি ওর মা পরীর মাথায় হাত রেখে প্রতিজ্ঞা না করাতে যেত তাহলে অভি পরীকে নিয়ে হয়ত বাড়ি থেকে চলে যেত! শুধু মাত্র পরীর কথা ভেবে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিল অভি! প্রেম হয়ত মরে যায় কিন্তু ভালোবাসা চিরজীবন বেঁচে থাকে! ভালো বাসা মানে কারুর ভালো তে বাস করা !!!!!
আরো একটা কথা বলতে চাই --
অশ্রু হয় গো যেখানে ভালোবাসা
সেখানে মানুষের থাকে না কোন আশা !!!!
Reps Added +1