Thread Rating:
  • 24 Vote(s) - 3.29 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
Adultery ঝর্ণা The Untold story ! সমাপ্ত
কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজুর বাবা এসে হাজির ! আমি আগে সমিরের বাবার সাথে আলাপ করিয়ে দিলাম ! কারন উনি আমাকে আগে থেকেই চিনতেন ! একবার উনি রাজুকে দেখতে হ্যদেরাবাদে এসেছহিলেন ! তখন স্মাদের সাথে পরিচয় হয়েছিল ! উনি সুজাতাকেও আগে দেখেছেন ! তবে মনে রেখেছেন কিনা সেটাই ভাবার বিষয় ! দুই বাবা আলাপ হলেন ! দুজনেই বেশ সপ্রিতভ ! সমিরের বাবা বললেন " চলুন আগে কোনও হোটেলে উঠি ! তারপর না হয় এই গাধাগাধি গুলর কথা ভাবা যাবে ! হরপ্রিত সমিরের মায়ের সাথে লেপটে আছে ! যেহেতু রাজুর মা আসেনি তাই হয়ত সুজাতা লেপটাতে পারেনি ! 

আমাদের কলেজের কাছেই হোটেল হায়দেরাবাদে সবাই উঠলেন ! আমাদের গোল টেবিল বৈঠক শুরু হোল ! সমিরের বাবা সুখবিন্দার সিংহ আগেই হরপ্রিতকে নেজের বউ বলে মেনে নিয়েছেন ! সুতরাং ওদের কোনও আসুবিধা নেই ! শুধু হরপ্রিতের বাড়িতে গিয়ে ওর বাবা মাকে রাজি করানোর দেরি ! রাজুর বাবা দিপক শ্রীভাস্তব সুজাতাকে বেশ কিছুক্ষণ ধরে দেখে গেলেন ! সুজাতা হরপ্রিতের একটা হাত ধরে কুঁকড়ে বসে আছে ! 
দিপক বাবু সুজাতাকে বললেন "একবার উঠে দাঁরাও দেখি ! " ভয়ে ভয়ে সুজাতা উঠে দাঁড়ালো ! 
- একদম ঠিক আছে ! আমি চাইনা আমাদের বংশের ছহেলে মেয়ে বেঁটে হোক ! চলো তোমার বাবার সাথে কথা বলতে হবে ! 
সুজাতার শরির বেশ বড়সড় ! লম্বায় প্রায় ৫ ফুট আট ইঞ্চি ! রাজুও প্রায় ছ ফুটের কাছাকাছি ! দুজনের জোরি দেখতে বেশ ভালই লাগে !    
- কি নাম তোমার বাবার ? 
সুজাতা ধীর গলায় বলল " পি কে জে রেডডী"
- দাঁরাও দাঁরাও পি কে জে রেডডী মানে টাইকুন পাম্পের সাউথের ডিস্ট্রিবিউটর ?
- হ্যাঁ !
- তাহলে তো ঝামেলা মিটে গেলো ! বলেই উনি হোটেলের রিসেপ্সনে একটা নাম্বার মিলিয়ে দিতে বললেন ! মিনিট পাঁচের মধ্যেই রুমের ফোনের ঘণ্টি বেজে উঠল ! দিপক বাবু হ্যালো বলতেই ওপার থেকে হ্যালো শোনা গেলো ! সাথে সাথেই স্পিকার অফ করে দিয়ে দিপক বাবু বললেন রেডডী তারাতারি হোটেল হ্যদেরাবাদে চলে এসো ! আর সাথে তোমার বউকেও আনতে ভুলোনা ! ...। আরে আমি কবে এসেছি কখন এসেছি সেটা তখন বোঝা যাবে ! ......। কি বললে ? আধঘণ্টা ? ঠিক আছে ! আমার রুম নম্বর ২০৮ ! হাসি মুখে ফোন রেখে দিলেন ! সুজাতা রিতিমত ঘাব্রাতে শুরু করেছে ! " আরে তুমি কেন ঘাবড়াচ্ছ ! জাস্ট রিলাক্স ! যাও তোমরা ঘুরে এসো ! আমি আর সুখবিন্দার বাবু একটু গল্প করে নিই ! ব্যবসাদার লোক দুজনেই ! এবার হয়ত এনাদের নতুন ব্যবসা শুরু হবে ! 
আমরা হোটেলের বাইরে বসে গল্প করছি ! হরপ্রিত একটু খুসি হলেও একটু ভয়ে আছে ! ওর বাড়ি থেকে যদি কোনও আপত্তি আসে ! আর সুজাতা ভয়ে মরছে কারন ওর বাবা খুব কড়া লোক ! 
যাই হোক কিছুক্ষণের মধ্যেই রেডডী সাহেব স্বস্ত্রিক চলে এলেন ! সুজাতাদের বাইরে বসিয়ে ওনাদের অভ্যর্থনা করে আমি দিপক বাবুর রুমে নিয়ে গেলাম ! সেখানে তখন দিপক বাবু আর সুখবিন্দার সাহেবের জোর মিতিং চলছে ! ওনাদের সাদর সম্ভাসনে ডেকে মিসেস রেডডীকে বসতে বলে রেডডী সাহেবকে বুকে জরিয়ে ধরলেন ! 
- তোমার মেয়েকে আমি চাই ! মানে আমার ছেলের বউ করতে চাই ! তোমাদের কোন আপত্তি আছে ?
হটাত এইরকম সোজাসাপটা কথায় রেডডী সাহেব ঘাবরে  গেলেন !   
- মানে কি বলতে চাইছ তুমি ? 
- তোমার মেয়ে আর আমার ছেলে একে অপরকে ভালবাসে ! তাই ওরা চাইছে পরিক্ষার আগেই রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করে নিতে ! 
রেডডী সাহেব একবার বউয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে বললেন " আমার কোন আপত্তি নেই ! তোমার ছেলে বলেই আমি রাজি আছি ! তোমাকে না বলে কি আমি আমার ব্যাবসা লাটে তুলব?" দিপক বাবু হেসে উঠলেন ! আমার মুখেতেও হাসি ফুটে  উঠল ! রেডডী সাহেবের সাথে সুখবিন্দার বাবুর পরিচয় করানোর মাঝেই আমাকে ইশারা করলেন সবাইকে ডাকতে ! এক ছুটে নিচে নেমে এলাম ! সবাইকে উপরে আসতে বললাম ! 
রাজুর সাথে রেডডী সাহেবের পরিচয় করিয়ে দিলেন দিপক বাবু ! ঠিক হোল পরিক্ষার আগেই ওদের রেজিস্ট্রি করিয়ে দেবে যাতে করে ওরা নির্ভাবনায় পরিখ্যা দিতে পারে ! কিন্তু প্রশ্ন হরপ্রিতের পরিবার কে নিয়ে ! 
দিপক বাবু আর সুখবিন্দার সাহেব দুজনেই বিজনেসম্যান ! কোন জিনিস ফেলে রাখতে পছন্দ করেন না ! তার উপর সাথে আছে হ্যদেরাবাদের কিং রেডডী সাহেব ! 
- তোমার বাবার নাম্বার দাও ! হাঁসতে হাঁসতে সুখবিন্দার বাবু হরপ্রিতকে বললেন ! কারন হরপ্রিতের ফ্যামিলি পাঞ্জাবে থাকে ! 
হরপ্রিত নাম্বার দিলে আবার অপারেটর কে ফোন করে সেই নাম্বারে মিলিয়ে দিতে বললেন ! হরপ্রিতের বাবার নাম দলজিত সিং ! পাঞ্জাবের একজন বিরাট কৃষক ! এ ছারাও উনি রিয়েল স্টেটের কাজ করেন ! রুমের ফোন বেজে উঠতেই সুখবিন্দার বাবু ফোন তুলে নিজের পরিচয় দিলেন ঠাট পাঞ্জাবিতে ! বেশ কিছুক্ষণ ওনাদের কথা হোল ! ফোন রেখে বললেন উনি পরশু হায়দেরাবাদে  আসবেন ! আমাদের সাথে দেখা করতে ! 
মতামুতি ঝামেলা মিটে গেলো ! রেডডী সাহেব সবাইকেঅনুরধ করলেন ওনাদের বাড়িতে ডিনার করতে ! সুজাতাকে নিয়ে উনি চলে গেলেন ! হরপ্রিত নিজের হস্টেলে ফিরে গেলো ! আমাদের মন ফুর্তির গড়ের মাঠ ! সেই রাতে জমিয়ে আমরা মাল খেয়ে শুয়ে পরলাম ! দিপক বাবুর কথা অনুসারে পরেরদিন সকালে সমির নিজে গিয়ে দুটো রেজিস্ট্রির ফর্ম নিয়ে এলো ! সারাদিন আমাদের বেশ ভালই কেটে গেলো ! সন্ধ্যেবেলায় আমরা সবাই হোটেলে গিয়ে ওনাদের সাথে দেখা করে ফিরে এলাম ! জানলাম হরপ্রিতের বাবা কাল সকালেই হায়দেরাবাদ পৌঁছে যাবেন ! যদি সম্ভব হয় কালই ওদের রেজিস্ট্রি হয়ে যাবে ! এখন কলেজের স্টাডি লিভ ! তাই আমাদের কোন তারা নেই ! সকাল বেলাতেই আমি হরপ্রিতকে নিয়ে এয়ারপোর্ট পৌঁছে গেলাম ! সমিরকে নিই নি ! কারন সুখবিন্দারবাবু বারন করে দিয়েছিলেন ! হরপ্রিতের বাবাকে রিসিভ করে আমরা সোজা হোটেলে ফিরে এলাম ! রাস্তায় উনি হরপ্রিতের সাথে কিছু টুকরো কথা বার্তা বলেছিলেন ! কিন্তু যেহেতু আমি পাঞ্জাবি বুঝিনা তাই কিছুই বুঝতে পারিনি !
হোটেলে আসতেই সুখবিন্দার বাবু করমরদনের জন্য নিজের হাত বারিয়ে দিয়ে বললেন " হাই ! আমি সুখবিন্দার সিংহ ! অপর প্রান্ত থেকে হাত বেরিয়ে এসে করমরদন হোল ! আমি দলজিত সিংহ !"
সাদর আপ্যায়নে সুখবিন্দার বাবু ওনার রুমে গিয়ে বসালেন ! ঠেট পাঞ্জাবি ভাসায় বেশ কিছুক্ষণ নিজেদের মধ্যে আলোচনা করলেন ! ইশারায় আমাকে সমির আর হরপ্রিতকে ডাকতে বললেন ! 
আমি দুজঙ্কেই নিয়ে ফিরে এলাম ! 
- চলুন তাহলে ! আজকেই এদের রেজিস্ট্রি সেরে দিয়ে যাই ! দলজিত সিং বলে উঠলেন ! যেখানে অভিবাবকের পারমিসন আছে সেখানে রেজিস্ট্রি হতে সময় লাগেনা ! আর লাগলও না ! প্রত্যেকে বিরিয়ানি মুখ করলেন ! (হায়দেরাবাদ এ কেউ মিষ্টি খায় নাকি ?) 
সমির রাজু হরপ্রিত সুজাতা সবাই খুব খুশি ! আমাকে জরিয়ে ধরে আমাকে অনেক অনেক অভিনন্দন জানাল ! আমার জন্যই ওদের রেজিস্ট্রি সম্ভব হোল ! সন্ধ্যে বেলায় সবাই ফিরে গেলেন ! যাবার আগে উপদেশ দিয়ে গেলেন "আসল বিয়ের আগে যেন বিয়ের ফসল না আসে ! "
সুজাতাকে নিয়ে পরেরদিন আমি কোয়েলের বাড়ি গেলাম ! ওর দাদাকে বোঝালাম যে কোয়েল কেন নিজের ভবিষ্যৎ বরবাদ করতে চাইছে ? ও যেন এসে ফাইনাল পরিখ্যা দিয়ে দেয় ! 
সময় কোথা দিয়ে কেটে গেলো বুঝতে পারলাম না ! একে একে সব পরিখ্যা শেষ হয়ে গেলো নভেম্বরের মাঝামাঝি ! রেজাল্ট বেরুবে ডিসেম্বরের ৯ তারিখে ! হাতে অনেক সময় ! যে যার বাড়িতে ফিরে গেলো ! আমিও বাড়িতে ফিরে এলাম ! বাবা মা সবার প্রশ্নবাণে জর্জরিত হলাম ! সবাইকে বললাম যে আমার পরিক্ষা খুবই ভালো হয়েছে ! আর তাছাড়া ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্টে আমি জার্মানির একটা বিরাট কম্পানি "ম্যান রোনালদ " কম্পানিতে সিলেক্টেড হয়েছি ! সবাই খুব খুশিতে আছে ! বেশি খুশি ঝর্না ! কলকল করে কতো কথা বলে গেলো আমার মাথায় ঢুকল  না ! আমার একটাই চিন্তা মঞ্জু !@ 
একদিন পরেই আমি মাকে বললাম যে আমি পিসির বাড়ি যেতে চাই ! মাঞ্জুর সাথে দেখা হবে আর কমলদা আর মিতালির সাথেও দেখা করব ! 
- যা বাবা ! ঘুরে আয় ! 
বাইক স্টার্ট করে সোজা পিসির বাড়ি পৌঁছে গেলাম ! পিসিমা পিসেমসাই মঞ্জু সবাই ছিল ! আমি পিসি আর পিসেমসাইকে প্রনাম করলাম ! মঞ্জুর থুতনি ধরে একটু নারিয়ে দিলাম !  ! আমার রিক্রুটমেন্টের খবর শুনে পিসেমসাই আমার পিঠ থাবড়ে আমাকে সাবাসি দিলেন ! মঞ্জুর মুখ গম্ভির !
আমি পিসিকে বললাম যে আমি মঞ্জুকে নিয়ে একটু কমলদা আর মিতালিকে দেখে আসি ! 
ওনারা আমাকে বললেন "যা বাবা ! ওনারা তকে খুব ভালবাসে ~! তোকে দেখলে অনেক আনন্দ পাবেন ! 
মঞ্জুকে পিছনে বসিয়ে সোজা পৌঁছে গেলাম বিড়লা মন্দিরের গঙ্গার তীরে ! একটা ছোট ঝোপ দেখে তার নিচে মঞ্জুকে নিয়ে বসে পরে ওকে জরিয়ে ধরলাম ! 
 আমাকে ছাড়িয়ে দিয়ে বলল " তোমার তো খুবই ভালো হোল ! আমাকে ছেরে তুমি বিদেশে পারি দেবে ! এখন আমাকে আর কি দরকার ?"
বুঝলাম মানিনির মান  হয়েছে ! বললাম "তোমাকে নিয়ে যাবার জন্যই তো এত দূরে বিদেশে চাকরি  নিলাম ! আর এখন তুমিই মুখ ফুলিয়ে বসে আছো ?"
   
[+] 5 users Like ddey333's post
Like Reply


Messages In This Thread
RE: ঝর্ণা The Untold story ! - by dada_of_india - 14-12-2020, 08:50 PM



Users browsing this thread: 32 Guest(s)