10-12-2020, 12:05 PM
(This post was last modified: 10-12-2020, 12:05 PM by ddey333. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
তিনদিন পরে কমলদাকে রিলিজ করে দিলো ! হোটেলেই কমলদার সেবা শ্রুশ্রষা চলতে থাকলো ! আরও সাতদিন পরে মিতালি ছুটি পেলো ! কিন্তু ডাক্তার এডভাইস করলেন যে এখন মিতালি যেন ট্রেনের যাত্রা না করে ! হাসপাতাল থেকে হুইল চেয়ারে বসিয়ে মিতালীকে হোটেলে নিয়ে আসা হলো ! এখন মিতালীর মুখে একটু হাসি দেখে সবাই খুশি !
সন্ধেবেলায় সবাই মিটিংয়ে বসলাম ! মিতালীকে কি ভাবে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে ! লাহিড়ীদা বললেন এখানকার ব্যাংকে যদি কারুর একাউন্ট থাকে তাহলে আমি সেই একাউন্ট এ টাকা আনতে পারি ! যা এনেছিলাম সব শেষ হয়ে গেছে ! পয়সার চিন্তা নেই ! শুধু একটা ফোন করলেই একাউন্টে টাকা জমা হয়ে যাবে ! তারপর না হয় ফ্লাইটের টিকিট কেটে ফিরে যাওয়া যায় ! সমীর বললো " চিন্তা করতে হবে না ! আমি সবার টিকিট করে দিচ্ছি ! "
- সেতো অনেক টাকার ব্যাপার ! তুমি কোথা থেকে পাবে ? লাহিড়ীদা বললেন ! আর তাছাড়া তোমার কাছ থেকে আমরা কোনো টাকা পয়সা নিতে পারবো না !
সমীর বললো চিন্তার কিছুই নেই ! আমি টিকিট করিয়ে দিচ্ছি ! আমার একাউন্ট নাম্বার নিয়ে যান ! ওখানে গিয়ে জমা করে দেবেন ! তাহলেই হয়ে যাবে !
আমিও লাহিড়ীদাকে বললাম " সমীর ঠিক কোথায় বলেছে ! আপনি বাড়ি গিয়ে ওর একাউন্টে টাকা জমা করে দেবেন তাহলেই হবে !
- ঠিক আছে ! তাহলে কাল সকালের ফ্লাইটের টিকিট দেখো ! আমি আর সমীর হোটেলের সামনের ট্রাভেল এজেন্টের কাছে গিয়ে টিকিটের ব্যবস্থা করলাম ! এমার্জেন্সির জন্য সমীর বাবার পাঠানো টাকাটা পুরোটাই তুলে নিজের কাছে রেখেছিলো !
সকাল দশটার ইস্ট ওয়েস্ট এয়ারলাইন্স এর ফ্লাইট ! পুরো পয়সা মিটিয়ে দেওয়া হলো ! টোটাল বাষট্টি হাজার সাতশো টাকার টিকিট হলো !
টিকিট নিয়ে আমরা হোটেলে ফিরে এলাম ! আসার আগে আমি দুবোতল মাল কিনে নিলাম ! আজ কমলদা ছাড়া আমরা সবাই আনন্দ করবো ! কমলদার একেবারেই বারণ হয়ে গেছে ! হোটেলে ফিরে এসে লাহিড়ীদার হাতে সমস্ত টিকিট দিয়ে দিলো সমীর ! লাহিড়ীদা ভালো করে সমস্ত টিকিট গুলো দেখেনিলেন ! সমীর আরো কুড়ি হাজার টাকা লাহিড়ীদাকে দিয়ে বললো " রাস্তায় অনেক খরচ আছে ! এটা রেখে দিন !
লাহিড়ীদা টাকাটা নিয়ে সমীরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দিলেন ! উনি এতোটা সমীর বা রাজুর কাছে আশা করেননি ! কিন্তু যে ভাবে সমীর আর রাজু দুজনেই হাসপাতালে সবার দেখাশোনা করেছে সেটা দেখে লাহিড়ীদা আপ্লুত ! সমীর আর রাজুর হাত ধরে কৃত্যজ্ঞতা জানালেন ! বললেন "পরশুর মধ্যেই তোমার একাউন্টে আমি টাকা পাঠিয়ে দেব ! "
- এতো তাড়াহুড়ো করার কোনো দরকার নেই ! আগে মিতালি আর কমলদার যত্ন নিন ! হয়তো ওখানেও ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন হতে পারে ! যখন সময় হবে তখন পাঠিয়ে দেবেন !
আজ সবাই মিলে হোটেলের ছাদে মাল খেতে বসেছি ! কমলদা আর মিতালীর দেখাশোনা করার দায়িত্ত আজ মঞ্জু আর চৈতালির উপর ! ওরা নিচে ওদের সাথেই আছে !
আজ ঘোষদাও খুব ভালো মুডে আছে ! আমাদের সবাইকে বিশেষ করে কানাই সমীর আর রাজুকে বারবার ধন্যবাদ জানাচ্ছেন ! দুপেগ মাল খাবার পর আমি লাহিড়ীদাকে বললাম "লাহিড়ীদা একটু বাইরে যাবে ? কিছু কথা আছে তোমার সাথে ! " কি বলবি এখানেই বলনা !
- না সবার সামনে বলা যাবেনা ! তুমি একটু উঠে এসো ! সবার চোখেতেই প্রশ্ন কি এমন হলো যে লাহিড়ীদার সাথে আলাদা করে কথা বলতে হবে ! লাহিড়ীদা উঠে বললেন "চল কোথায় নিয়ে যেতে চাস !"
আমি লাহিড়ীদাকে ছাদের এক কোনায় নিয়ে গিয়ে বললাম " লাহিড়ীদা আগে তোমাকে কথা দিতে হবে যে তুমি আমার কথায় রাগ করবে না বা আমাকে গালাগালি দেবেনা ! "
- তোর উপর কি করে রাগ করি বলতো ? তুই কি তো লাহিড়ীদাকে এতদিনে এই চিনলি ?
- কথা দিলে তো ?
- হ্যা কথা দিলাম ! তুই বল কি বলবি !
- দেখো লাহিড়ীদা কি ভাবে তোমাকে বলব সেটা ঠিক বুঝতে পারছিনা ! কিন্তু না বলেও থাকতে পারছিনা ! .
- ভান্তারা না করে বলে ফেল !
- কানাই আর চৈতালি একে অপর কে ভালোবাসে ! আর ওরা চায় আমি ওদের হয়ে তোমার কাছে অনুমতি চাই !
আমার কথা শুনে লাহিড়ীদা একটু গুম হয়ে গেলেন ! একদৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন ! একবার পিছন ফিরে কানাইয়ের দিকে তাকাচ্ছেন আবার একবার আমার দিকে। ..
চিন্তায় পরে গেলাম ! হয়তো লাহিড়ীদা মেনে নেবেন না ! হয়তো এখুনি আমাকে মেরে বসবেন ! বেশ কিছুক্ষন পরে গম্ভীর গলায় বললেন "এটা কতদিন ধরে চলছে ?"
- না মানে শেষ বার আমি যখন আমার বন্ধু বান্ধবীদের নিয়ে কলকাতা গেছিলাম তখন থেকেই চলছে !
- হুমম ! কিন্তু কানাই কি করে ? কোনো কাজকর্ম করে নাকি বেকার ! আর লেখাপড়া কতদূর ?
- কানাই নিজের গাড়ি কিনেছে ! সেটা ভাড়া খাটায় ! আর তা ছাড়া ওদের চাষের জমি প্রচুর আছে ! সেখান থেকেও ভালোই আমদানি হয় ! বাকি থাকে লেখা পড়ার কথা কানাই কমার্স গ্রাজুয়েট !
বেশ কিছুক্ষন চুপ করে থেকে লাহিড়ীদা বললেন "কানাইকে ডাক একবার !"
আমার মনে ভয় হয়তো লাহিড়ীদা কানাইকে ধরে পিটিয়ে দেবেন ! আমার মুখের কথা লাহিড়ীদা বুঝে গেলেন ! বললেন "ভয় নেই ! আমি ওকে বকবোও না আর মারবোও না ! শুধু ওর সাথে কথা বলবো ! "
আমি কানাইকে ডাকলাম !সমীর আর রাজুও উঠে আস্তে চাইছিলো ! ওদের ইশারায় বসিয়ে দিলাম ! কানাই খুব ভয়ে ভয়ে আমার পাশে এসে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে পড়লো !
- কবে থেকে তুমি আমার মেয়ের সাথে প্রেম করছো ?
- মানে। ..প্রায় একবছর হবে !
- তুমি কি জানো আমার মেয়ে কোন পরিস্থিতিতে আর কোন পরিবেশে বড়ো হয়েছে ?
- জানি ! আপনাদের বনেদি বংশ ! অনেক বড়োলোক আপনারা ! তবুও একটা কথা বলবো যদি হিসাব করি আমাদের জমি বাড়ি সব কিছু নিয়ে আমরাও কোটিপতি ! কিন্তু আমাদের মনে কোনো গর্ব নেই ! নিজের মেহনতে নিজেরা খাই ! আশা করবো আপনার মেয়েকে আমি সুখী রাখতে পারবো !
কানাইয়ের সপাট জবাবে লাহিড়ীদা অভিভূত ! বললেন "ঠিক আছে তোমার বাড়িতে কথা বলে জানিয়ে দাও !তারপর না হয় সব ঠিক করবো ! "
- আমার বাবা নেই ! মা আর বড়দা আছেন ! বরদা বিয়ে করেননি ! বোনেদের বিয়ে দিতে দিতেই তার বয়স এখন ৪০ ! তিনিই আমাদের বাবা ! আমার বাড়িতে আমার দাদা সব কিছুই জানেন ! উনি নিজেই আমাকে জোর করছেন তাড়াতাড়ি বিয়ে করার জন্য !
- গুড ! তোমাকে আমি চিনি সুনন্দর জন্য ! আর সুনন্দর বন্ধুরা খারাপ হবে সেটা আমি ভাবতে পারিনা ! আমি তোমাদের ভালোবাসতে বাধা হবোনা !
সন্ধেবেলায় সবাই মিটিংয়ে বসলাম ! মিতালীকে কি ভাবে বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে ! লাহিড়ীদা বললেন এখানকার ব্যাংকে যদি কারুর একাউন্ট থাকে তাহলে আমি সেই একাউন্ট এ টাকা আনতে পারি ! যা এনেছিলাম সব শেষ হয়ে গেছে ! পয়সার চিন্তা নেই ! শুধু একটা ফোন করলেই একাউন্টে টাকা জমা হয়ে যাবে ! তারপর না হয় ফ্লাইটের টিকিট কেটে ফিরে যাওয়া যায় ! সমীর বললো " চিন্তা করতে হবে না ! আমি সবার টিকিট করে দিচ্ছি ! "
- সেতো অনেক টাকার ব্যাপার ! তুমি কোথা থেকে পাবে ? লাহিড়ীদা বললেন ! আর তাছাড়া তোমার কাছ থেকে আমরা কোনো টাকা পয়সা নিতে পারবো না !
সমীর বললো চিন্তার কিছুই নেই ! আমি টিকিট করিয়ে দিচ্ছি ! আমার একাউন্ট নাম্বার নিয়ে যান ! ওখানে গিয়ে জমা করে দেবেন ! তাহলেই হয়ে যাবে !
আমিও লাহিড়ীদাকে বললাম " সমীর ঠিক কোথায় বলেছে ! আপনি বাড়ি গিয়ে ওর একাউন্টে টাকা জমা করে দেবেন তাহলেই হবে !
- ঠিক আছে ! তাহলে কাল সকালের ফ্লাইটের টিকিট দেখো ! আমি আর সমীর হোটেলের সামনের ট্রাভেল এজেন্টের কাছে গিয়ে টিকিটের ব্যবস্থা করলাম ! এমার্জেন্সির জন্য সমীর বাবার পাঠানো টাকাটা পুরোটাই তুলে নিজের কাছে রেখেছিলো !
সকাল দশটার ইস্ট ওয়েস্ট এয়ারলাইন্স এর ফ্লাইট ! পুরো পয়সা মিটিয়ে দেওয়া হলো ! টোটাল বাষট্টি হাজার সাতশো টাকার টিকিট হলো !
টিকিট নিয়ে আমরা হোটেলে ফিরে এলাম ! আসার আগে আমি দুবোতল মাল কিনে নিলাম ! আজ কমলদা ছাড়া আমরা সবাই আনন্দ করবো ! কমলদার একেবারেই বারণ হয়ে গেছে ! হোটেলে ফিরে এসে লাহিড়ীদার হাতে সমস্ত টিকিট দিয়ে দিলো সমীর ! লাহিড়ীদা ভালো করে সমস্ত টিকিট গুলো দেখেনিলেন ! সমীর আরো কুড়ি হাজার টাকা লাহিড়ীদাকে দিয়ে বললো " রাস্তায় অনেক খরচ আছে ! এটা রেখে দিন !
লাহিড়ীদা টাকাটা নিয়ে সমীরকে অনেক অনেক ধন্যবাদ দিলেন ! উনি এতোটা সমীর বা রাজুর কাছে আশা করেননি ! কিন্তু যে ভাবে সমীর আর রাজু দুজনেই হাসপাতালে সবার দেখাশোনা করেছে সেটা দেখে লাহিড়ীদা আপ্লুত ! সমীর আর রাজুর হাত ধরে কৃত্যজ্ঞতা জানালেন ! বললেন "পরশুর মধ্যেই তোমার একাউন্টে আমি টাকা পাঠিয়ে দেব ! "
- এতো তাড়াহুড়ো করার কোনো দরকার নেই ! আগে মিতালি আর কমলদার যত্ন নিন ! হয়তো ওখানেও ডাক্তার দেখানোর প্রয়োজন হতে পারে ! যখন সময় হবে তখন পাঠিয়ে দেবেন !
আজ সবাই মিলে হোটেলের ছাদে মাল খেতে বসেছি ! কমলদা আর মিতালীর দেখাশোনা করার দায়িত্ত আজ মঞ্জু আর চৈতালির উপর ! ওরা নিচে ওদের সাথেই আছে !
আজ ঘোষদাও খুব ভালো মুডে আছে ! আমাদের সবাইকে বিশেষ করে কানাই সমীর আর রাজুকে বারবার ধন্যবাদ জানাচ্ছেন ! দুপেগ মাল খাবার পর আমি লাহিড়ীদাকে বললাম "লাহিড়ীদা একটু বাইরে যাবে ? কিছু কথা আছে তোমার সাথে ! " কি বলবি এখানেই বলনা !
- না সবার সামনে বলা যাবেনা ! তুমি একটু উঠে এসো ! সবার চোখেতেই প্রশ্ন কি এমন হলো যে লাহিড়ীদার সাথে আলাদা করে কথা বলতে হবে ! লাহিড়ীদা উঠে বললেন "চল কোথায় নিয়ে যেতে চাস !"
আমি লাহিড়ীদাকে ছাদের এক কোনায় নিয়ে গিয়ে বললাম " লাহিড়ীদা আগে তোমাকে কথা দিতে হবে যে তুমি আমার কথায় রাগ করবে না বা আমাকে গালাগালি দেবেনা ! "
- তোর উপর কি করে রাগ করি বলতো ? তুই কি তো লাহিড়ীদাকে এতদিনে এই চিনলি ?
- কথা দিলে তো ?
- হ্যা কথা দিলাম ! তুই বল কি বলবি !
- দেখো লাহিড়ীদা কি ভাবে তোমাকে বলব সেটা ঠিক বুঝতে পারছিনা ! কিন্তু না বলেও থাকতে পারছিনা ! .
- ভান্তারা না করে বলে ফেল !
- কানাই আর চৈতালি একে অপর কে ভালোবাসে ! আর ওরা চায় আমি ওদের হয়ে তোমার কাছে অনুমতি চাই !
আমার কথা শুনে লাহিড়ীদা একটু গুম হয়ে গেলেন ! একদৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন ! একবার পিছন ফিরে কানাইয়ের দিকে তাকাচ্ছেন আবার একবার আমার দিকে। ..
চিন্তায় পরে গেলাম ! হয়তো লাহিড়ীদা মেনে নেবেন না ! হয়তো এখুনি আমাকে মেরে বসবেন ! বেশ কিছুক্ষন পরে গম্ভীর গলায় বললেন "এটা কতদিন ধরে চলছে ?"
- না মানে শেষ বার আমি যখন আমার বন্ধু বান্ধবীদের নিয়ে কলকাতা গেছিলাম তখন থেকেই চলছে !
- হুমম ! কিন্তু কানাই কি করে ? কোনো কাজকর্ম করে নাকি বেকার ! আর লেখাপড়া কতদূর ?
- কানাই নিজের গাড়ি কিনেছে ! সেটা ভাড়া খাটায় ! আর তা ছাড়া ওদের চাষের জমি প্রচুর আছে ! সেখান থেকেও ভালোই আমদানি হয় ! বাকি থাকে লেখা পড়ার কথা কানাই কমার্স গ্রাজুয়েট !
বেশ কিছুক্ষন চুপ করে থেকে লাহিড়ীদা বললেন "কানাইকে ডাক একবার !"
আমার মনে ভয় হয়তো লাহিড়ীদা কানাইকে ধরে পিটিয়ে দেবেন ! আমার মুখের কথা লাহিড়ীদা বুঝে গেলেন ! বললেন "ভয় নেই ! আমি ওকে বকবোও না আর মারবোও না ! শুধু ওর সাথে কথা বলবো ! "
আমি কানাইকে ডাকলাম !সমীর আর রাজুও উঠে আস্তে চাইছিলো ! ওদের ইশারায় বসিয়ে দিলাম ! কানাই খুব ভয়ে ভয়ে আমার পাশে এসে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে পড়লো !
- কবে থেকে তুমি আমার মেয়ের সাথে প্রেম করছো ?
- মানে। ..প্রায় একবছর হবে !
- তুমি কি জানো আমার মেয়ে কোন পরিস্থিতিতে আর কোন পরিবেশে বড়ো হয়েছে ?
- জানি ! আপনাদের বনেদি বংশ ! অনেক বড়োলোক আপনারা ! তবুও একটা কথা বলবো যদি হিসাব করি আমাদের জমি বাড়ি সব কিছু নিয়ে আমরাও কোটিপতি ! কিন্তু আমাদের মনে কোনো গর্ব নেই ! নিজের মেহনতে নিজেরা খাই ! আশা করবো আপনার মেয়েকে আমি সুখী রাখতে পারবো !
কানাইয়ের সপাট জবাবে লাহিড়ীদা অভিভূত ! বললেন "ঠিক আছে তোমার বাড়িতে কথা বলে জানিয়ে দাও !তারপর না হয় সব ঠিক করবো ! "
- আমার বাবা নেই ! মা আর বড়দা আছেন ! বরদা বিয়ে করেননি ! বোনেদের বিয়ে দিতে দিতেই তার বয়স এখন ৪০ ! তিনিই আমাদের বাবা ! আমার বাড়িতে আমার দাদা সব কিছুই জানেন ! উনি নিজেই আমাকে জোর করছেন তাড়াতাড়ি বিয়ে করার জন্য !
- গুড ! তোমাকে আমি চিনি সুনন্দর জন্য ! আর সুনন্দর বন্ধুরা খারাপ হবে সেটা আমি ভাবতে পারিনা ! আমি তোমাদের ভালোবাসতে বাধা হবোনা !