02-12-2020, 03:45 PM
৫৮ পর্ব
অঞ্জলী স্থির হয়ে বসলে ম্যাগী বললো তার মানে আমি যা সন্দেহ করছি সেটাই হয়েছি কি?তুমি কি ভাবছো তা আমি জানিনা কিন্তু বলতে যখন এসেছি তখন সবই বলবো তোমাকে,অঞ্জলী বললো।ম্যাগী আর কোন কথা না বলে অঞ্জলী কে সময় দিলো নিজেকে প্রস্তুত করার আর অধীর আগ্রহে বসে রইলো অঞ্জলী কি বলে সেটা শোনার জন্য।তুমিতো জানো ম্যাগী সিধু আর মনি শংকরের কি প্ল্যান ছিলো।ম্যাগী ঘাঁড় নাড়িয়ে হ্যা সূচক ইঙ্গিত করলো।অঞ্জলী আবার বললো তোমার কাছ থেকে সিধুর কাছ থেকে বের করা তথ্য পেয়েও কোন কূল কিনারা পাচ্ছিলাম না।এদিকে মনি শংকরের সম্পর্কে বিশেষ ভাবে খোঁজ খবর করে তাকে সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিলাম।আর বিন্দু বৌদির বেবি হবে এই খবর দিতে এসে মনিদা নিজে আমার পায়ে পরে সব দোষ স্বীকার করেছে।আর এটা বলেছে যে সে আর আগের মত নেই।আর আমিও জানি মনি শংকর আর আগের মত নেই বিন্দুর পবিএ ভালবাসা তাকে ভাল পথে ফিরিয়ে এনেছে।ম্যাগী অবাক হয়ে বলে মনি শংকর তোমার পায়ে ধরে এসব বলেছে?হ্যা মাগী তার অপরাধ বোধ তাকে এতোটা ছোট হতে বাধ্য করেছে।তারপর বাকি থাকলো সিধু যদিও সিধুকে এতো তাড়াতাড়ি শেষ করার আমার কোন প্লান ছিলো না।তবুও সেটা ঘটেই গেল।আমি একদিন রাতে এক অভিযানে নামি আর সেখান থেকে সিধুর সাথে তার বসের কথোপকথন শুনে আমার শিরদ্বারা ঠান্ডা হয়ে যায়।সিধুর বসের কথা শুনলেও আমি তাকে চোখে দেখিনি তবুও আমি একজনকে সন্দেহ করছি কিন্তু সেটা তোমাকে এখন বলতে পারছিনা কারণ আমি শিউর না তাই।তারপরে ড্রাগ পাচারের সময় আমি সিধুকে কিডন্যাপ করি।আর সুব্রতকে দিয়ে তাদের প্লাণ বানচাল করি,সুব্রত কিভাবে সব করেছে জানিনা কিন্তু সুব্রত আমার কাছে ড্রাগ পাচারের রোড চালান দেয় যেটা অমিতের নিজের হাতে সই করা।বলো কি অমিত কিছু জানে?ম্যাগী বললো।না ও এসবের কিছুই জানেনা আর আমি ওকে এসব থেকে দুরে রাখতে চাই।তারপর সিধুকে আমি আমার পাশের রুমে রেখে অনেক মেরেও কোন কথা বের করতে পারিনি ভাবলাম কাল আবার দেখবো কিন্তু সেদিন রাতেই কেউ একজন মনি শংকরের পরিচয় দিয়ে আশ্রমে ঢুকে সিধুকে মেরে দেয়।আর তারপর কিভাবে নিজেকে বাঁচালো আর সিধুর লাশ গুম করলো সব ম্যাগীকে বললো অঞ্জলী।সব শুনে ম্যাগীর মুখে কথা জোটেনা সে বিশ্বাসই করতে পারছে না অঞ্জলী এতো কিছু করেছে অথচ এসবের খবর কারো কাছে নেই।তার মনে হয় যেন অঞ্জলী সিনেমার গল্প বলছে।
অঞ্জলী আবার শুরু করলো,সুব্রতর কাছ থেকে জানতে পারি বনের পথে অমিতকে হামলা করেছিলো প্রতাপ হাজরার লোক যে কিনা এখন একটা দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তাহলে বুঝতে পারছো তার গায়ে হাত দেওয়া কোন সাধারণ বিষয় না।তাই আমি নতুন প্লান তৈরি করি।বিরোধী দলের নেতা কমলেশ মুখার্জীর সাথে যোগাযোগ করি নিজের পরিচয় গোপন করে।তারপর অঞ্জলী কমলেশের সাথে সমস্ত কথাবার্তা ম্যাগীকে বললো।এবারও ম্যাগীর মুখ থেকে কোন কথা বের হলোনা শুধু চোখ দুটা আরো বড়ো হয়ে গেল যেন এখনি ঠিকরে বেড়িয়ে আসবে।
তারপর প্রতাপ হাজরার কাছে পৌছানোর জন্য কল করে এপয়েমেন্ট নেই।আর নিজের পরিচয় গোপন করে নাম বলি নার্গিস!!কিন্তু প্রতাপ হাজরার আমার আশ্রমের উপর অনেক দিনের নজর।তার উপর আমি চাচ্ছিলাম না আমার আসল চেহারাটা কেউ দেখুক।আমার কলেজের একটা বান্ধবী ছিলো কমলিকা ওর একটা বিউটি পালার আছে,যেটা কিনা খুব নাম করা।আমি ওখানে যেয়ে ওকে বলি আমার একটা বিশেষ কাজের জন্য নিজের চেহারার পরিবর্তন করতে হবে।কিন্তু সেটা প্লাস্টিক সাজারি না মেকাপের মাধ্যমে।ও জানতে চেয়েছিলো কেন?আমি পরে বলবো বলে এড়িয়ে গেছি।তখন ওর বিশেষ সহযোগিতায় নিজেকে অঞ্জলী থেকে নার্গিসে রুপান্তরিত করি।নিজেকে আয়নায় দেখে নিজেই চিনতে পারছিলাম না।তবুও সন্দেহ দুর করার জন্য সুব্রতকে নিজের নম্বর থেকে কল করে বলি আমার এক বান্ধবীর কিছু আর্থিক সাহায্য দরকার কিন্তু আমি ব্যস্ত তাই ও যেতে পারবে কিনা।আমি জানতাম সুব্রত আমার কথা ফেলবেনা।সুব্রত গেল নার্গিসকে টাকা দিতে কিন্তু ও নিজেই জানে না ওটা নার্গিস নামে আমাকেই টাকাটা দিলো।যখন দেখলাম যাকে ছোট থেকে মানুষ করলাম সেই চিনতে পারলো না তখন আমার সব চিন্তার অবসান হলো।
তারপর ম্যাগীকে অঞ্জলী প্রতাপ হাজরার সাথে প্রথম সাক্ষাতের কথা বললো।আমি জানতাম প্রতাপ হাজরার মত মানুষ নামে অমানুষদের ফাঁসাতে আঁটঘাট বেঁধেই নামতে হবে।আমার একটু ভুল হলেই সব শেষ হয়ে যাবে।তাই ওর বিশ্বাস অর্জন করলাম প্রথমে তারপর ও যেমন ডাঃ মুখার্জীকে ব্লাকমেল করে অমিতকে হসপিটালেই শেষ করতে চেয়েছিলো তেমনি আমিও ভাবলাম ওকে ব্লাকমেল করবো কিন্তু কিভাবে করবো,সেটা ভেবে উঠতে পারছিলাম না।তারপর জানতে পারলাম অন্য মানুষের দূর্বল মূহুর্তের ভিডিও করে ব্লাকমেল করতো।
আমিও সেই পথে হাটলাম প্রথমে ওর মনে ক্ষমতার লোভ ধরালাম কিভাবে বালেশ্বর ঝাঁকে সরিয়ে নিজের ক্ষমতার মধ্যোমনি হতে পারে এই ব্যাপারে ওকে লোভ ধরালাম আর সব কিছু রেকর্ড হলো আমার লাগানো গোপন ক্যামেরায়।আমি জানতাম আমার ব্যাগ চেক করতে পারে যদিও মূর্খ প্রতাপ সেটা করেনি তাই আমি আমার পেন্টির ভিতর করে খুব ছোট কিন্তু উন্নত মানের গোপন ক্যামেরা নিয়ে গেছিলাম।তারপর প্রতাপকে ছলকরে বাথরুমে পাঠিয়ে সেটা সেট করি।আমি জানতাম প্রতাপের মত নারী লোভী মানুষের কাছে আমার শরীরটা দেবার প্রয়োজন পরতে পারে।আমার আশংকা সত্যি হলো।জানো ম্যাগী খুব কষ্ট হচ্ছিলো তখন যার জন্য নিজের যৌবন আগলে রেখেছিলাম এতো বছর শেষে কিনা একজন নিচ জঘন্য মানুষের সাথে আমি ভাবতেই পারছিলাম।এতোটুকু বলেই অঞ্জলী ডুকরে কেঁদে উঠলো,ম্যাগী উঠে গিয়ে অঞ্জলীকে নিজের বুকের মাঝে চেপে ধরে সান্তনা দিতে লাগলো।তুমি কোন ভুল করোনি অঞ্জু যা করেছো নিজের ভালবাসার জন্য।এসব শুনে তোমার প্রতি বড্ড হিংসে হচ্ছে গো সত্যি তোমার জায়গায় যদি আমি থাকতাম নিজেকে ধন্য মনে করতাম।
ম্যাগীর থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে অঞ্জলী আবার শুরু করলো।তখন ভাবলাম নিজেকে বিলিয়েই যখন দিতে হচ্ছে তাহলে এই শরীর দেওয়াটা বৃথা যেতে দিবো না।তখন মিথ্যা একটা নাটক করি।নির্লজ্জের মতো বলি ;.,ের ফোর প্লের কথা।এমনি করতে আর ভালো লাগেনা।নারী লোভী প্রতাপ হাজরা যেন কথাটা শুনে সোনায় সোহাগা।আর বাকিটাতো ভিডিওতো নিশ্চয়ই দেখেছো।
হুম আর তাতেই প্রতাপ হাজরার কাল হলো ম্যাগী বললো।তারপর অঞ্জলীর গালে একটা চুমু দিয়ে বললো ইউ আর গ্রেট অঞ্জু।অঞ্জলী মৃদু হেঁসে আবার শুরু করলো বালেশ্বর ঝাঁয়ের গোপন পার্টিতে যাবার টিকিট প্রতাপ হাজরাই ব্যবস্থা করে দিয়েছিলো।একজন হাই সোসাইটির বেশ্যা হিসাবে।প্রতাপের সাথে কথা ছিলো শুধু আমি মন্ত্রীকে কাছ থেকে পরোক্ষ করে একবার দেখতে চাই।কিন্তু আমি যে সেদিনই ওকে শেষ করবো প্রতাপ জানতো না।ম্যাগী চোখ বড় বড় করে বললো তারমানে তুমি !!???ম্যাগীর কথা শেষ না করতে দিয়ে অঞ্জলী বললো হ্যা আমি!আমিই শেষ করেছি ওকে।এছাড়া উপায় ছিলো না।পিছন থেকে ওই প্রতাপকে মদত দিতো।তাছাড়া আমি কমলেশদা কে কথাও দিয়েছি।তাই এক ঢিলে দুই পাখি মারলাম বালেশ্বর ঝাঁ আর প্রতাপ হাজরাকে।
কিন্তু কিভাবে মারলে ওকে? ম্যাগী বললো!!
অঞ্জলী স্থির হয়ে বসলে ম্যাগী বললো তার মানে আমি যা সন্দেহ করছি সেটাই হয়েছি কি?তুমি কি ভাবছো তা আমি জানিনা কিন্তু বলতে যখন এসেছি তখন সবই বলবো তোমাকে,অঞ্জলী বললো।ম্যাগী আর কোন কথা না বলে অঞ্জলী কে সময় দিলো নিজেকে প্রস্তুত করার আর অধীর আগ্রহে বসে রইলো অঞ্জলী কি বলে সেটা শোনার জন্য।তুমিতো জানো ম্যাগী সিধু আর মনি শংকরের কি প্ল্যান ছিলো।ম্যাগী ঘাঁড় নাড়িয়ে হ্যা সূচক ইঙ্গিত করলো।অঞ্জলী আবার বললো তোমার কাছ থেকে সিধুর কাছ থেকে বের করা তথ্য পেয়েও কোন কূল কিনারা পাচ্ছিলাম না।এদিকে মনি শংকরের সম্পর্কে বিশেষ ভাবে খোঁজ খবর করে তাকে সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিলাম।আর বিন্দু বৌদির বেবি হবে এই খবর দিতে এসে মনিদা নিজে আমার পায়ে পরে সব দোষ স্বীকার করেছে।আর এটা বলেছে যে সে আর আগের মত নেই।আর আমিও জানি মনি শংকর আর আগের মত নেই বিন্দুর পবিএ ভালবাসা তাকে ভাল পথে ফিরিয়ে এনেছে।ম্যাগী অবাক হয়ে বলে মনি শংকর তোমার পায়ে ধরে এসব বলেছে?হ্যা মাগী তার অপরাধ বোধ তাকে এতোটা ছোট হতে বাধ্য করেছে।তারপর বাকি থাকলো সিধু যদিও সিধুকে এতো তাড়াতাড়ি শেষ করার আমার কোন প্লান ছিলো না।তবুও সেটা ঘটেই গেল।আমি একদিন রাতে এক অভিযানে নামি আর সেখান থেকে সিধুর সাথে তার বসের কথোপকথন শুনে আমার শিরদ্বারা ঠান্ডা হয়ে যায়।সিধুর বসের কথা শুনলেও আমি তাকে চোখে দেখিনি তবুও আমি একজনকে সন্দেহ করছি কিন্তু সেটা তোমাকে এখন বলতে পারছিনা কারণ আমি শিউর না তাই।তারপরে ড্রাগ পাচারের সময় আমি সিধুকে কিডন্যাপ করি।আর সুব্রতকে দিয়ে তাদের প্লাণ বানচাল করি,সুব্রত কিভাবে সব করেছে জানিনা কিন্তু সুব্রত আমার কাছে ড্রাগ পাচারের রোড চালান দেয় যেটা অমিতের নিজের হাতে সই করা।বলো কি অমিত কিছু জানে?ম্যাগী বললো।না ও এসবের কিছুই জানেনা আর আমি ওকে এসব থেকে দুরে রাখতে চাই।তারপর সিধুকে আমি আমার পাশের রুমে রেখে অনেক মেরেও কোন কথা বের করতে পারিনি ভাবলাম কাল আবার দেখবো কিন্তু সেদিন রাতেই কেউ একজন মনি শংকরের পরিচয় দিয়ে আশ্রমে ঢুকে সিধুকে মেরে দেয়।আর তারপর কিভাবে নিজেকে বাঁচালো আর সিধুর লাশ গুম করলো সব ম্যাগীকে বললো অঞ্জলী।সব শুনে ম্যাগীর মুখে কথা জোটেনা সে বিশ্বাসই করতে পারছে না অঞ্জলী এতো কিছু করেছে অথচ এসবের খবর কারো কাছে নেই।তার মনে হয় যেন অঞ্জলী সিনেমার গল্প বলছে।
অঞ্জলী আবার শুরু করলো,সুব্রতর কাছ থেকে জানতে পারি বনের পথে অমিতকে হামলা করেছিলো প্রতাপ হাজরার লোক যে কিনা এখন একটা দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী তাহলে বুঝতে পারছো তার গায়ে হাত দেওয়া কোন সাধারণ বিষয় না।তাই আমি নতুন প্লান তৈরি করি।বিরোধী দলের নেতা কমলেশ মুখার্জীর সাথে যোগাযোগ করি নিজের পরিচয় গোপন করে।তারপর অঞ্জলী কমলেশের সাথে সমস্ত কথাবার্তা ম্যাগীকে বললো।এবারও ম্যাগীর মুখ থেকে কোন কথা বের হলোনা শুধু চোখ দুটা আরো বড়ো হয়ে গেল যেন এখনি ঠিকরে বেড়িয়ে আসবে।
তারপর প্রতাপ হাজরার কাছে পৌছানোর জন্য কল করে এপয়েমেন্ট নেই।আর নিজের পরিচয় গোপন করে নাম বলি নার্গিস!!কিন্তু প্রতাপ হাজরার আমার আশ্রমের উপর অনেক দিনের নজর।তার উপর আমি চাচ্ছিলাম না আমার আসল চেহারাটা কেউ দেখুক।আমার কলেজের একটা বান্ধবী ছিলো কমলিকা ওর একটা বিউটি পালার আছে,যেটা কিনা খুব নাম করা।আমি ওখানে যেয়ে ওকে বলি আমার একটা বিশেষ কাজের জন্য নিজের চেহারার পরিবর্তন করতে হবে।কিন্তু সেটা প্লাস্টিক সাজারি না মেকাপের মাধ্যমে।ও জানতে চেয়েছিলো কেন?আমি পরে বলবো বলে এড়িয়ে গেছি।তখন ওর বিশেষ সহযোগিতায় নিজেকে অঞ্জলী থেকে নার্গিসে রুপান্তরিত করি।নিজেকে আয়নায় দেখে নিজেই চিনতে পারছিলাম না।তবুও সন্দেহ দুর করার জন্য সুব্রতকে নিজের নম্বর থেকে কল করে বলি আমার এক বান্ধবীর কিছু আর্থিক সাহায্য দরকার কিন্তু আমি ব্যস্ত তাই ও যেতে পারবে কিনা।আমি জানতাম সুব্রত আমার কথা ফেলবেনা।সুব্রত গেল নার্গিসকে টাকা দিতে কিন্তু ও নিজেই জানে না ওটা নার্গিস নামে আমাকেই টাকাটা দিলো।যখন দেখলাম যাকে ছোট থেকে মানুষ করলাম সেই চিনতে পারলো না তখন আমার সব চিন্তার অবসান হলো।
তারপর ম্যাগীকে অঞ্জলী প্রতাপ হাজরার সাথে প্রথম সাক্ষাতের কথা বললো।আমি জানতাম প্রতাপ হাজরার মত মানুষ নামে অমানুষদের ফাঁসাতে আঁটঘাট বেঁধেই নামতে হবে।আমার একটু ভুল হলেই সব শেষ হয়ে যাবে।তাই ওর বিশ্বাস অর্জন করলাম প্রথমে তারপর ও যেমন ডাঃ মুখার্জীকে ব্লাকমেল করে অমিতকে হসপিটালেই শেষ করতে চেয়েছিলো তেমনি আমিও ভাবলাম ওকে ব্লাকমেল করবো কিন্তু কিভাবে করবো,সেটা ভেবে উঠতে পারছিলাম না।তারপর জানতে পারলাম অন্য মানুষের দূর্বল মূহুর্তের ভিডিও করে ব্লাকমেল করতো।
আমিও সেই পথে হাটলাম প্রথমে ওর মনে ক্ষমতার লোভ ধরালাম কিভাবে বালেশ্বর ঝাঁকে সরিয়ে নিজের ক্ষমতার মধ্যোমনি হতে পারে এই ব্যাপারে ওকে লোভ ধরালাম আর সব কিছু রেকর্ড হলো আমার লাগানো গোপন ক্যামেরায়।আমি জানতাম আমার ব্যাগ চেক করতে পারে যদিও মূর্খ প্রতাপ সেটা করেনি তাই আমি আমার পেন্টির ভিতর করে খুব ছোট কিন্তু উন্নত মানের গোপন ক্যামেরা নিয়ে গেছিলাম।তারপর প্রতাপকে ছলকরে বাথরুমে পাঠিয়ে সেটা সেট করি।আমি জানতাম প্রতাপের মত নারী লোভী মানুষের কাছে আমার শরীরটা দেবার প্রয়োজন পরতে পারে।আমার আশংকা সত্যি হলো।জানো ম্যাগী খুব কষ্ট হচ্ছিলো তখন যার জন্য নিজের যৌবন আগলে রেখেছিলাম এতো বছর শেষে কিনা একজন নিচ জঘন্য মানুষের সাথে আমি ভাবতেই পারছিলাম।এতোটুকু বলেই অঞ্জলী ডুকরে কেঁদে উঠলো,ম্যাগী উঠে গিয়ে অঞ্জলীকে নিজের বুকের মাঝে চেপে ধরে সান্তনা দিতে লাগলো।তুমি কোন ভুল করোনি অঞ্জু যা করেছো নিজের ভালবাসার জন্য।এসব শুনে তোমার প্রতি বড্ড হিংসে হচ্ছে গো সত্যি তোমার জায়গায় যদি আমি থাকতাম নিজেকে ধন্য মনে করতাম।
ম্যাগীর থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে অঞ্জলী আবার শুরু করলো।তখন ভাবলাম নিজেকে বিলিয়েই যখন দিতে হচ্ছে তাহলে এই শরীর দেওয়াটা বৃথা যেতে দিবো না।তখন মিথ্যা একটা নাটক করি।নির্লজ্জের মতো বলি ;.,ের ফোর প্লের কথা।এমনি করতে আর ভালো লাগেনা।নারী লোভী প্রতাপ হাজরা যেন কথাটা শুনে সোনায় সোহাগা।আর বাকিটাতো ভিডিওতো নিশ্চয়ই দেখেছো।
হুম আর তাতেই প্রতাপ হাজরার কাল হলো ম্যাগী বললো।তারপর অঞ্জলীর গালে একটা চুমু দিয়ে বললো ইউ আর গ্রেট অঞ্জু।অঞ্জলী মৃদু হেঁসে আবার শুরু করলো বালেশ্বর ঝাঁয়ের গোপন পার্টিতে যাবার টিকিট প্রতাপ হাজরাই ব্যবস্থা করে দিয়েছিলো।একজন হাই সোসাইটির বেশ্যা হিসাবে।প্রতাপের সাথে কথা ছিলো শুধু আমি মন্ত্রীকে কাছ থেকে পরোক্ষ করে একবার দেখতে চাই।কিন্তু আমি যে সেদিনই ওকে শেষ করবো প্রতাপ জানতো না।ম্যাগী চোখ বড় বড় করে বললো তারমানে তুমি !!???ম্যাগীর কথা শেষ না করতে দিয়ে অঞ্জলী বললো হ্যা আমি!আমিই শেষ করেছি ওকে।এছাড়া উপায় ছিলো না।পিছন থেকে ওই প্রতাপকে মদত দিতো।তাছাড়া আমি কমলেশদা কে কথাও দিয়েছি।তাই এক ঢিলে দুই পাখি মারলাম বালেশ্বর ঝাঁ আর প্রতাপ হাজরাকে।
কিন্তু কিভাবে মারলে ওকে? ম্যাগী বললো!!
""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!