30-11-2020, 09:41 PM
(This post was last modified: 30-11-2020, 09:42 PM by ddey333. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
রাত তখন প্রায় ১২টা ! হটাৎ ট্রেনের মধ্যে হুলুস্থূলুস পরে গেলো ! আরপিএফ জিআরপিএফ সাধারণ মানুষের ছোঁটা ছুঁটি ! ট্রেনের দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে সবাই ! ট্রেন দাঁড়িয়ে আছে ! আমি নেমে দেখতে চেষ্টা করলাম ! প্যান্ট্রির একটা ছেলে আমাকে বাইরে যেতে বারণ করলো ! কেন কিসের জন্য কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না ! ট্রেনের বডিতে দুমদাম শব্দ ! মোটামুটি সবাই জেগে গেছে ! কি হচ্ছে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না ! জানালায় পাথর এসে পড়ছে ধুপধাপ ! যেহেতু ট্রেনের এসি কোচের সমস্ত জানালা সহজে ভাঙতে চায়না তবুও সবাই খুব ভয় পেয়ে গেছে ! বাইরে গুলির শব্দ ! ট্রেনের সমস্ত লাইট অফ করে দেওয়া হয়েছে ! বেশ কিছুক্ষন এই ভাবে চলার পর সমস্ত ঠান্ডা হয়ে গেলো ! কাঁচের বাইরে শুধুই পুলিশের টর্চের আলো ! প্রায় ঘন্টা তিনেক সেখানে দাঁড়িয়ে থাকার পর ট্রেন নড়ে উঠলো ! ঘন্টাখানেক চলার পর একটা স্টেশনে থামলো তখন সকাল পাঁচটা বেজে গেছে ! ট্রেনের চারিপাশে পুলিশ এম্বুলেন্স আর স্ট্রেচারের ছড়াছড়ি ! আমাদের কম্পার্টমেন্টের দরজা খুলে কিছু পুলিশ ঢুকলো !সঙ্গে স্ট্রেচার ! কেউ এখানে আঘাত পেয়েছেন ? ওনারা প্রশ্ন করলো ! সবাই সমস্বরে না বললো ! ওরা স্ট্রেচার নিয়ে আগের দিকে এগিয়ে গেলো ! প্যান্ট্রির ছেলেটাকে দেখে ওকে জিজ্ঞাসা করলাম " কি হয়েছে ?"
- তেলেঙ্গনা রাজ্যের দাবিতে সমস্ত অন্ধ্রপ্রদেশে ২৪ ঘন্টার বন্ধ ডাকা হয়েছে ! রাজামুন্ড্রি স্টেশনে পুরো ট্রেনে ওদের সমর্থকরা হামলা করেছিল ! ঠিক সময়ে পুলিশ এসে বাঁচিয়ে দিয়েছে ! স্লিপার ক্লাসের অনেক লোক ঘায়েল হয়েছে ! ওদের এখানে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ! আমরা এখন নিডাডাভল্লু (NDD ) জংশনে দাঁড়িয়ে আছি ! ট্রেন আজ আর ছাড়বে না ! হয়তো রাতের বেলায় ছাড়তে পারে ! ! এটা তামিলনাড়ুর স্টেশন ! এখানে কোনো প্রব্লেম নেই ! এর পরেই আবার অন্ধ্রপ্রদেশ শুরু হয়ে যাবে ! তাই এখানে ট্রেন কে দাঁড় করানো হয়েছে ! আমি প্লাটফর্মে নেমে পড়লাম ! দেখলাম পুলিশ আর স্বাস্থকর্মীদের তৎপরতা ! মুগ্ধ হয়ে গেলাম ! সমস্ত প্লাটফর্মে গাড়ি দাঁড়িয়ে ! বুঝলাম আমাদের কপালে অনেক ভোগান্তি আছে !
আমাদের টিটি সাহেবের সাথে দেখা হয়ে গেলো ! অনেক কথা হলো ! উনি বললেন যদি তোমরা বাইরে ঘুরতে চাও তাহলে ঘুরে এসো ! কারণ আজ আর ট্রেন ছাড়বে না ! নিজেদের খাবার দাবারের ব্যবস্থা করে নাও ! আমার পিছু পিছু সবাই নেমে এসেছে ! এতো সকাল বেলায় কি কারুর খিদে পায় ? সবে মাত্র সকাল সাতটা বাজে ! সুজাতা সমীরকে নিয়ে স্টেশনের বাইরে বেরিয়ে গেলো ! হরপ্রীত আর রাজু আমার সাথেই আছে ! আমার গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে কোয়েল ! ওর মুখে চোখে এখনো আতংক ! পাথর ছোঁড়ার পর থেকেই ও আমার সাথে সেঁটে রয়েছে ! প্লাটফর্মের সমস্ত স্টলেই খুব ভিড় ! সেই ভিড় ঠেলে আমি চায়ের অর্ডার করলাম ! সকাল হয়ে গেছে ! চা না পেলে খুব খারাপ লাগে !
অনেক ভিড় ঠেলে স্টলের লোক আমাদের চা দিলো ! সেটাকে চা না বলে ঘোড়ার মুত বললে হয়তো ভালো হতো !
চা খেয়ে আমি ওদের বললাম চল একটু ফ্রেশ হয়ে নিই ! প্লাটফর্মের লাউডস্পিকারে ঘোষণা করা হচ্ছে কেউ যেন ট্রেনের টয়লেট ব্যবহার না করেন ! বাইরে সুলভ শৌচালয় আছে সেখানে গিয়ে প্রাতঃকৃত্যাদি সারতে পারেন !
একটা জিনিস আমি দেখেছি যে সাউথ ইন্ডিয়ার রেলওয়ে স্টেশন গুলো খুব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ! আর সবাই যদি ট্রেনের টয়লেটে পায়খানা করে তাহলে নিজেরাই টিকতে পারবে না ! (তখনকার দিনে বায়ো টয়লেট বলে কোনো জিনিস ছিলোনা ! আমি নিজের অজান্তেই কোয়েলের হাত ধরে টেনে নিয়ে সুলভ শৌচালয়ের সামনে দাঁড়ালাম ! কোয়েল লেডিসের লাইন এ চলে গেলো ! মিনিট দশেকের অপেখ্যার পরে আমাদের নাম্বার আসলো ! ফ্রেশ হয়ে স্টেশনের বাইরেই এক কাপ করে চা খেলাম ! এটা তবুও পদে আছে !
নিজেদের কূপে ফিরে এলাম ! কম্পার্টমেন্টের গেটে সেই পুরানো আরপিএফগুলো দাঁড়িয়ে আছে ! পুরো ট্রেন খালি ! মুহুর্মুহু ঘোষণা করা হচ্ছে "অন্ধ্রপ্রদেশে বন্ধের কারণে এখন কোনো ট্রেন চলবে না ! সবাই শান্তি বজায় রাখুন ! "
কিছুই ভালো লাগছে না ! কোয়েল আমার গা সেটেই বসে আছে ! খুব ভয় পেয়ে গেছে !
কিছুক্ষন পরেই সুজাতা আর সমীর একটা বড়ো প্যাকেট নিয়ে ফিরে এলো ! আমায় তাকাতেই সুজাতা বললো "কাল সকাল পর্যন্ত খাবারের ব্যবস্থা করে নিলাম ! "
সমীর বললো অনেক ইডলি নিয়ে নিয়েছি ! আর ইডলি খারাপ হয়না ! কাল সকাল পর্যন্ত ইডলি সাম্বর আর চাটনি থাকবে ! আমাদের খাবারের চিন্তা নেই !
- তাহলে ব্রেকফাস্টের কি হবে ?
ধোসার অর্ডার দিয়ে এসেছি ! বলেছে এক ঘন্টার ভিতর পৌঁছে দেবে !
সুজাতার দূরদর্শিতার প্রশংসা করলাম মনে মনে ! এতগুলো ট্রেন ! এতো প্যাসেঞ্জার ! হয়তো আর কিছুক্ষন পরে খাবার হয়তো পাওয়া যাবে না !
এইরকম পরিস্থিতির মধ্যে আগেও আমি পড়েছি ! বাংলায় সিপিএমের ডাকা ২৪ ঘন্টার বন্ধে অনেক কে না খেতে পেয়ে থাকতে দেখেছি ট্রেনে বাসে !
সবাই নিজেদের সিট এ ফিরে এলাম ! কোয়েল কিছুতেই আমার সাথ ছাড়ছেনা ! মুখে কোনো কথা নেই ! কিন্তু। .......
কোয়েলকে জোর করে হরপ্রীত বাথরুমের বাইরের বেসিনে নিয়ে গিয়ে ব্রাশ করিয়ে নিয়ে এলো ! ফিরে এসে আবার আমার পাশে বসে পড়লো !
কেন জানিনা বিব্রত হলেও সময়ের পরিস্থিতি বুঝে আমি কিছুই বললাম না !
একঘন্টার মধ্যেই আমাদের ধোসা চলে এলো ! ভিড়ের মাঝে যে রকম খাবার পাওয়া যায় ঠিক সেইরকমই ! এখন আমাদের কোনো উপায় নেই ! পেট ভরানোর জন্য যা পাওয়া যায় তাই মুখ বুঁজে খেয়ে নেওয়াই শ্রেয় ! প্যান্ট্রির কোনো লোক জনের পাত্তা নেই ! এদিকে আমাদের জল ও শেষ হয়ে গেছে ! আমি কোয়েলকে বললাম" এখানেই বসে থাকো ! আমি আসছি ! ! " সোজা বাইরে চলে এলাম ! আমার পিছনে রাজু !
স্টেশনের বাইরের দোকান থেকে পাঁচ লিটারের পাঁচখানা বোতল কিনলাম ! কারণ আমি ভালোই জানতাম ! হয়তো আর কিছুক্ষন পর জল ও পাওয়া যাবে না ! বন্ধের সাথে আমি ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িয়ে আছি ! ৭৮ সাল থেকে সিপিএমের দৌরাত্ত দেখে শিখে গেছি ! তাই নিজেদের ব্যবস্থা নিজেরা করে নিলাম !
সময় কিছুতেই কাটতে চায় না ! ট্রেনের বাইরে গিয়ে লাভ নেই ! চারিদিকে শুধু লোক আর লোক ! এতো হইচই আমার কোনোদিন ভালো লাগে না !
সমীর আমাকে জিজ্ঞাসা করলো " হ্যারে সারাদিন কি করে কাটবে ? মালের জোগাড় আছে ?"
- তেলেঙ্গনা রাজ্যের দাবিতে সমস্ত অন্ধ্রপ্রদেশে ২৪ ঘন্টার বন্ধ ডাকা হয়েছে ! রাজামুন্ড্রি স্টেশনে পুরো ট্রেনে ওদের সমর্থকরা হামলা করেছিল ! ঠিক সময়ে পুলিশ এসে বাঁচিয়ে দিয়েছে ! স্লিপার ক্লাসের অনেক লোক ঘায়েল হয়েছে ! ওদের এখানে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ! আমরা এখন নিডাডাভল্লু (NDD ) জংশনে দাঁড়িয়ে আছি ! ট্রেন আজ আর ছাড়বে না ! হয়তো রাতের বেলায় ছাড়তে পারে ! ! এটা তামিলনাড়ুর স্টেশন ! এখানে কোনো প্রব্লেম নেই ! এর পরেই আবার অন্ধ্রপ্রদেশ শুরু হয়ে যাবে ! তাই এখানে ট্রেন কে দাঁড় করানো হয়েছে ! আমি প্লাটফর্মে নেমে পড়লাম ! দেখলাম পুলিশ আর স্বাস্থকর্মীদের তৎপরতা ! মুগ্ধ হয়ে গেলাম ! সমস্ত প্লাটফর্মে গাড়ি দাঁড়িয়ে ! বুঝলাম আমাদের কপালে অনেক ভোগান্তি আছে !
আমাদের টিটি সাহেবের সাথে দেখা হয়ে গেলো ! অনেক কথা হলো ! উনি বললেন যদি তোমরা বাইরে ঘুরতে চাও তাহলে ঘুরে এসো ! কারণ আজ আর ট্রেন ছাড়বে না ! নিজেদের খাবার দাবারের ব্যবস্থা করে নাও ! আমার পিছু পিছু সবাই নেমে এসেছে ! এতো সকাল বেলায় কি কারুর খিদে পায় ? সবে মাত্র সকাল সাতটা বাজে ! সুজাতা সমীরকে নিয়ে স্টেশনের বাইরে বেরিয়ে গেলো ! হরপ্রীত আর রাজু আমার সাথেই আছে ! আমার গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে কোয়েল ! ওর মুখে চোখে এখনো আতংক ! পাথর ছোঁড়ার পর থেকেই ও আমার সাথে সেঁটে রয়েছে ! প্লাটফর্মের সমস্ত স্টলেই খুব ভিড় ! সেই ভিড় ঠেলে আমি চায়ের অর্ডার করলাম ! সকাল হয়ে গেছে ! চা না পেলে খুব খারাপ লাগে !
অনেক ভিড় ঠেলে স্টলের লোক আমাদের চা দিলো ! সেটাকে চা না বলে ঘোড়ার মুত বললে হয়তো ভালো হতো !
চা খেয়ে আমি ওদের বললাম চল একটু ফ্রেশ হয়ে নিই ! প্লাটফর্মের লাউডস্পিকারে ঘোষণা করা হচ্ছে কেউ যেন ট্রেনের টয়লেট ব্যবহার না করেন ! বাইরে সুলভ শৌচালয় আছে সেখানে গিয়ে প্রাতঃকৃত্যাদি সারতে পারেন !
একটা জিনিস আমি দেখেছি যে সাউথ ইন্ডিয়ার রেলওয়ে স্টেশন গুলো খুব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ! আর সবাই যদি ট্রেনের টয়লেটে পায়খানা করে তাহলে নিজেরাই টিকতে পারবে না ! (তখনকার দিনে বায়ো টয়লেট বলে কোনো জিনিস ছিলোনা ! আমি নিজের অজান্তেই কোয়েলের হাত ধরে টেনে নিয়ে সুলভ শৌচালয়ের সামনে দাঁড়ালাম ! কোয়েল লেডিসের লাইন এ চলে গেলো ! মিনিট দশেকের অপেখ্যার পরে আমাদের নাম্বার আসলো ! ফ্রেশ হয়ে স্টেশনের বাইরেই এক কাপ করে চা খেলাম ! এটা তবুও পদে আছে !
নিজেদের কূপে ফিরে এলাম ! কম্পার্টমেন্টের গেটে সেই পুরানো আরপিএফগুলো দাঁড়িয়ে আছে ! পুরো ট্রেন খালি ! মুহুর্মুহু ঘোষণা করা হচ্ছে "অন্ধ্রপ্রদেশে বন্ধের কারণে এখন কোনো ট্রেন চলবে না ! সবাই শান্তি বজায় রাখুন ! "
কিছুই ভালো লাগছে না ! কোয়েল আমার গা সেটেই বসে আছে ! খুব ভয় পেয়ে গেছে !
কিছুক্ষন পরেই সুজাতা আর সমীর একটা বড়ো প্যাকেট নিয়ে ফিরে এলো ! আমায় তাকাতেই সুজাতা বললো "কাল সকাল পর্যন্ত খাবারের ব্যবস্থা করে নিলাম ! "
সমীর বললো অনেক ইডলি নিয়ে নিয়েছি ! আর ইডলি খারাপ হয়না ! কাল সকাল পর্যন্ত ইডলি সাম্বর আর চাটনি থাকবে ! আমাদের খাবারের চিন্তা নেই !
- তাহলে ব্রেকফাস্টের কি হবে ?
ধোসার অর্ডার দিয়ে এসেছি ! বলেছে এক ঘন্টার ভিতর পৌঁছে দেবে !
সুজাতার দূরদর্শিতার প্রশংসা করলাম মনে মনে ! এতগুলো ট্রেন ! এতো প্যাসেঞ্জার ! হয়তো আর কিছুক্ষন পরে খাবার হয়তো পাওয়া যাবে না !
এইরকম পরিস্থিতির মধ্যে আগেও আমি পড়েছি ! বাংলায় সিপিএমের ডাকা ২৪ ঘন্টার বন্ধে অনেক কে না খেতে পেয়ে থাকতে দেখেছি ট্রেনে বাসে !
সবাই নিজেদের সিট এ ফিরে এলাম ! কোয়েল কিছুতেই আমার সাথ ছাড়ছেনা ! মুখে কোনো কথা নেই ! কিন্তু। .......
কোয়েলকে জোর করে হরপ্রীত বাথরুমের বাইরের বেসিনে নিয়ে গিয়ে ব্রাশ করিয়ে নিয়ে এলো ! ফিরে এসে আবার আমার পাশে বসে পড়লো !
কেন জানিনা বিব্রত হলেও সময়ের পরিস্থিতি বুঝে আমি কিছুই বললাম না !
একঘন্টার মধ্যেই আমাদের ধোসা চলে এলো ! ভিড়ের মাঝে যে রকম খাবার পাওয়া যায় ঠিক সেইরকমই ! এখন আমাদের কোনো উপায় নেই ! পেট ভরানোর জন্য যা পাওয়া যায় তাই মুখ বুঁজে খেয়ে নেওয়াই শ্রেয় ! প্যান্ট্রির কোনো লোক জনের পাত্তা নেই ! এদিকে আমাদের জল ও শেষ হয়ে গেছে ! আমি কোয়েলকে বললাম" এখানেই বসে থাকো ! আমি আসছি ! ! " সোজা বাইরে চলে এলাম ! আমার পিছনে রাজু !
স্টেশনের বাইরের দোকান থেকে পাঁচ লিটারের পাঁচখানা বোতল কিনলাম ! কারণ আমি ভালোই জানতাম ! হয়তো আর কিছুক্ষন পর জল ও পাওয়া যাবে না ! বন্ধের সাথে আমি ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িয়ে আছি ! ৭৮ সাল থেকে সিপিএমের দৌরাত্ত দেখে শিখে গেছি ! তাই নিজেদের ব্যবস্থা নিজেরা করে নিলাম !
সময় কিছুতেই কাটতে চায় না ! ট্রেনের বাইরে গিয়ে লাভ নেই ! চারিদিকে শুধু লোক আর লোক ! এতো হইচই আমার কোনোদিন ভালো লাগে না !
সমীর আমাকে জিজ্ঞাসা করলো " হ্যারে সারাদিন কি করে কাটবে ? মালের জোগাড় আছে ?"