29-11-2020, 11:29 AM
(This post was last modified: 29-11-2020, 11:30 AM by ddey333. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
সকাল বেলায় তাড়াতাড়ি উঠে সবাই তৈরী হয়ে নিলাম ! মা রান্না ঘরে ঝর্ণা সাথে মায়ের যোগানের কাজ করছে ! সাড়ে সাতটার মধ্যেই রিকশা চলে এলো ! মাকে বাবাকে প্রণাম করে রিকশায় উঠে বসলাম ! স্টেশনে কানাই আর নিলয় ছিল ! ওদের হাতে একটা প্যাকেট ! আমি জিজ্ঞাসা করলাম " কি আছে রে তোর প্যাকেটে ?"
- তোদের সকালের ব্রেকফাস্ট ! হাওড়া স্টেশনে বসে খেয়ে নিবি ! ট্রেন আসলে সবাই উঠে পড়লাম ! ট্রেনে ভালোই ভিড় ! বান্ডেলে গিয়ে মোটামুটি সবাই বসার সিট পেয়ে গেলাম ! একটা পলিথিন ছিল নিলয়ের হাতে ! ভিতরে শক্ত কিছু ছিল ! বার বার আমার গায়ে লাগছিলো ! আমি পলিথিনটার গায়ে হাত দিয়ে বোঝার চেষ্টা করলাম কি আছে ওতে ! বুঝলাম মালের বোতল ! আমাদের ট্রেনের খোরাকের জন্যই হয়তো নিয়ে এসেছে নিলয় !
দশটার মধ্যেই হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে গেলাম ! অফিস টাইম ! প্রচুর ভিড় ! সমস্ত ভিড় কাটিয়ে আমরা যে প্লাটফর্মে ট্রেন দেবে তার সামনের ওয়েটিং এরিয়া তে বসে পড়লাম ! নিলয় প্যাকেট খুলে সবার হাতে ডোঙা ধরিয়ে দিলো ! দুটো করে কচুরি আর তরকারি দিলো সবাইকে ! ব্রেকফাস্ট সেরে নিলাম ! কিছুক্ষনের মধ্যেই লাহিড়ীদা কমলদা সবাই এসে হাজির ! সময়টা কথা দিয়ে কেটে গেলো বুঝতে পারলাম না ! ট্রেন দিয়ে দিয়েছে ! আমাদের টিকিট থার্ড এসি তে ! এ এস ৪ ! সবাই নিজের নিজের সিট গ্রহণ করলাম ! দরজার সামনে সবাই দাঁড়িয়ে গল্প করতে থাকলাম ! রাজু, সমীর নিলয় আর কানাইয়ের হাত ধরে ওদের হায়দরাবাদে যাবার অনুরোধ করলো ! রাজু কমলদাকে কথা দিলো সুযোগ পেলেই ও এসে কমলদার অনাথ আশ্রমে সময় কাটাবে ! কোয়েল লাহিড়ীদার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলো ! ওর দেখা দেখি সবাই লাহিড়ীদা আর কমলদাকে প্রণাম করলো ! ট্রেন নড়ে উঠলে সবাই তাড়াতাড়ি উঠে পড়লাম ! গেটে দাঁড়িয়ে সবাইকে বিদায় জানালাম ! কানাই আর নিলয় যতক্ষণ পারলো ট্রেনের সাথে সাথে চলতে চলতে অনেক কথা বললো ! কিছুই মাথায় ঢুকছিল না ! ওদের সবাইকে ছেড়ে যেতে খুব কষ্ট হচ্ছিলো ! ধীরে ধীরে সবাই অদৃশ্য হয়ে গেলো !
আমাদের কূপেতেই আমাদের সবার সিট ! তাই এখানে অন্য কোনো বাইরের যাত্রীর জায়গা নেই ! কিছুক্ষনের মধ্যেই টিটি সাহেব চলে এলেন ! আমাদের দেখেই চিনতে পারলেন ! আসার দিন উনিই ছিলেন আমাদের টিটি ! আমাদের টিকিট আর চেক করলেন না ! শুধু বললেন আমি প্যান্ট্রির লোকেদের বলে দিচ্ছি যাতে তোমাদের খাবারের ব্যবস্থা ঠিক করে করে ! আমি বললাম আজকের খাবারের সমস্ত ব্যবস্থাই আছে ! কাল আর পরশু সকালের ব্যবস্থা করতে হবে ! উনি মাথা নাড়িয়ে চলে গেলেন !
নানান কথার মাঝেই হটাৎ কোয়েল আমাকে চেপে ধরলো ! এবার বলতো চাঁদু মঞ্জুর কেস টা কি ! আমি এড়িয়ে যেতে চাইলাম ! কিন্তু ওরা নাছোড়বান্দা ! তখন আমি ওদের ধীরে ধীরে সমস্ত কথা বললাম ! তৃপ্তিদির মৃত্যু পর্যন্ত বলে আর বলতে পারলাম না !! আমার গলা বুঁজে এলো !
কোয়েলের চোখে জল ! সেই অবস্থাতেই বললো " জানি সুনন্দ তুমি মঞ্জুর ! কিন্তু আমিও যে তোমাকে ভালোবাসি !"
- আমি তৃপ্তিদিকে কথা দিয়েছিলাম যে আমি মানুষ হবো ! আর যতদিন না মানুষ হতে পারছি ততদিন আমার মঞ্জুকে কাছে পাবো না ! কারণ আমাদের সম্পর্ক আমাদের মাঝের বাধা ! তুমি আমাদের এই সম্পর্কের মধ্যে ঢুকোনা কোয়েল ! আমি আর কাউকে দুঃখী করতে বা দেখতে চাইনা !
- কোয়েল কোনো কথা বললো না ! সমীর রাজু হরপ্রীত সুজাতা সবাই চুপ !
আমিই ঝেড়ে নড়েচড়ে বসলাম ! " আরে ছাড়না ওই সব কথা !" যতক্ষণ কলেজে আছি ততক্ষন তো আমরা একে অপরের সাথেই আছি ! পরের কথা পরে ভাবা যাবে ! "
টুক টাক কথার মাঝেই আবার সবার মুড্ ঠিক হয়ে গেলো কিন্তু কোয়েল গম্ভীর ! আমি কোয়েলকে বেশি ঘাঁটালাম না ! দুপুর বারোটা বাজে ! এতোদূরের রাস্তা এমনিতেই খুব ক্লান্তিকর আর একঘেয়ে !
হটাৎ হরপ্রীতের প্রস্তাব " এই সুজাতা ! ভদকার বোতলটা বের কর ! গ্লাস বের কর ! লাঞ্চের আগে দু পেগ করে ছড়িয়ে নিই ! তাহলে দুপুরের ঘুমটা ভালো হবে ! ওর কথায় রাজু লাফিয়ে উঠলো ! " তোরা ভদকার বোতল কোথায় পেলি ?"
- কাল সন্ধ্যে বেলায় নিলয়দা দিয়ে গেছে চুপি চুপি !
প্যান্ট্রি থেকে সমীর গিয়ে ঠান্ডা জলের বোতল নিয়ে এলো ! সুজাতা বললো এখনই যদি শেষ করে দিস তাহলে সন্ধ্যে বেলায় কি খাবি আর কাল কি করে কাটবে ?
শহরের মেয়ে সব ! ড্রিংক করা নিয়ে ওদের কোনো মাথাব্যথা নেই ! কিন্তু সুজাতার কথায় সবাই আমার মুখের দিকে তাকালো ! আমি বললাম আমার কাছে দু বোতল হুইস্কি আছে ! কাল নিজে একটা কিনেছিলাম ! আজ নিলয় একটা দিয়ে গেলো ! আজকের সন্ধ্যা আর কালকের দিন ভালো ভাবেই কেটে যাবে ! আমরা আমাদের কূপের পর্দা লিগিয়ে দিয়ে বসে গেলাম ড্রিংক করতে ! আমি নিজে কিছু চানাচুর কিনেছিলাম আর গোটা কুড়ি প্লাস্টিকের গ্লাস নিয়ে এসেছিলাম ! সেগুলোই এখন কাজে লাগলো ! আমি সবাইকে গ্লাস ফেলতে বারণ করলাম ! কারণ এইগুলো দিয়েই আমাদের এখনো দুদিন কাটাতে হবে ! আমাদের গ্লাসে ভদকা ঢালার মাঝেই আমাদের পর্দা সরিয়ে দুজন আরপিএফের লোক দাঁড়িয়ে পড়লো ! ওরা বোধ হয় খড়গপুর থেকে উঠেছে ! শুরু হলো আমাদের সাথে টানা পুরোন ! সমীর আর রাজু তো রীতিমতো ঝগড়া শুরু করে দিলো ! ওদের কথা ট্রেনে মদ্যপান নিষেধ তার জন্য ১০০০ টাকা করে প্রতি ব্যক্তি জরিমানা দিতে হবে ! অনাদায়ে ৩ মাসের জেল ! সামনের জামশেদপুর স্টেশনে আমাদের নামিয়ে নিয়ে যাবে ! আমাদের বিতর্কের মাঝেই টিটি সাহেবের আবির্ভাব ! উনি এসে পরিস্থিতি সামাল দিলেন ! আরপিএফ দুজন গজর গজর করতে করতে চলে গেলো ! টিটি সাহেব আমাদের স্বস্নেহে একটু ধমক দিলেন ! এবং একটু সাবধানে থাকতে বললেন ! দু পেগ করে খেয়ে আর খেতে ইচ্ছা করলো না ! এমনিতেই দিনের বেলায় ড্রিংক করতে ভালো লাগে না ! সমস্ত গুছিয়ে মায়ের দেওয়া ব্যাগ বের করলাম ! ভাত, আলুপোস্ত ! মাছের ঝোল সহকারে আমাদের লাঞ্চ সারা হয়ে গেলো ! এখনো যা বেঁচে আছে তাতে হয়তো কালকের খাবারও হয়ে যাবে ! শুধু দেখতে হবে এগুলো যেন নষ্ট না হয়ে যায় ! নিচের একটা টিফিনে কষা মাংস এবং অন্য টিফিনে অনেক রুটি !
ঠিক করলাম ! মাংস আর রুটি এখানেই রেখে দেব ! বাকি খাবার প্যান্ট্রি কারের ফ্রিজে রেখে দেওয়া যাবে ! কোয়েল বললো শুধু রুটি গুলো এখানে রাখো ! বাকি সব প্যান্ট্রিতে রেখে এস ! সন্ধ্যে বেলায় ওদের ওখান থেকেই মাংস গরম হবে !
- তোদের সকালের ব্রেকফাস্ট ! হাওড়া স্টেশনে বসে খেয়ে নিবি ! ট্রেন আসলে সবাই উঠে পড়লাম ! ট্রেনে ভালোই ভিড় ! বান্ডেলে গিয়ে মোটামুটি সবাই বসার সিট পেয়ে গেলাম ! একটা পলিথিন ছিল নিলয়ের হাতে ! ভিতরে শক্ত কিছু ছিল ! বার বার আমার গায়ে লাগছিলো ! আমি পলিথিনটার গায়ে হাত দিয়ে বোঝার চেষ্টা করলাম কি আছে ওতে ! বুঝলাম মালের বোতল ! আমাদের ট্রেনের খোরাকের জন্যই হয়তো নিয়ে এসেছে নিলয় !
দশটার মধ্যেই হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে গেলাম ! অফিস টাইম ! প্রচুর ভিড় ! সমস্ত ভিড় কাটিয়ে আমরা যে প্লাটফর্মে ট্রেন দেবে তার সামনের ওয়েটিং এরিয়া তে বসে পড়লাম ! নিলয় প্যাকেট খুলে সবার হাতে ডোঙা ধরিয়ে দিলো ! দুটো করে কচুরি আর তরকারি দিলো সবাইকে ! ব্রেকফাস্ট সেরে নিলাম ! কিছুক্ষনের মধ্যেই লাহিড়ীদা কমলদা সবাই এসে হাজির ! সময়টা কথা দিয়ে কেটে গেলো বুঝতে পারলাম না ! ট্রেন দিয়ে দিয়েছে ! আমাদের টিকিট থার্ড এসি তে ! এ এস ৪ ! সবাই নিজের নিজের সিট গ্রহণ করলাম ! দরজার সামনে সবাই দাঁড়িয়ে গল্প করতে থাকলাম ! রাজু, সমীর নিলয় আর কানাইয়ের হাত ধরে ওদের হায়দরাবাদে যাবার অনুরোধ করলো ! রাজু কমলদাকে কথা দিলো সুযোগ পেলেই ও এসে কমলদার অনাথ আশ্রমে সময় কাটাবে ! কোয়েল লাহিড়ীদার পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করলো ! ওর দেখা দেখি সবাই লাহিড়ীদা আর কমলদাকে প্রণাম করলো ! ট্রেন নড়ে উঠলে সবাই তাড়াতাড়ি উঠে পড়লাম ! গেটে দাঁড়িয়ে সবাইকে বিদায় জানালাম ! কানাই আর নিলয় যতক্ষণ পারলো ট্রেনের সাথে সাথে চলতে চলতে অনেক কথা বললো ! কিছুই মাথায় ঢুকছিল না ! ওদের সবাইকে ছেড়ে যেতে খুব কষ্ট হচ্ছিলো ! ধীরে ধীরে সবাই অদৃশ্য হয়ে গেলো !
আমাদের কূপেতেই আমাদের সবার সিট ! তাই এখানে অন্য কোনো বাইরের যাত্রীর জায়গা নেই ! কিছুক্ষনের মধ্যেই টিটি সাহেব চলে এলেন ! আমাদের দেখেই চিনতে পারলেন ! আসার দিন উনিই ছিলেন আমাদের টিটি ! আমাদের টিকিট আর চেক করলেন না ! শুধু বললেন আমি প্যান্ট্রির লোকেদের বলে দিচ্ছি যাতে তোমাদের খাবারের ব্যবস্থা ঠিক করে করে ! আমি বললাম আজকের খাবারের সমস্ত ব্যবস্থাই আছে ! কাল আর পরশু সকালের ব্যবস্থা করতে হবে ! উনি মাথা নাড়িয়ে চলে গেলেন !
নানান কথার মাঝেই হটাৎ কোয়েল আমাকে চেপে ধরলো ! এবার বলতো চাঁদু মঞ্জুর কেস টা কি ! আমি এড়িয়ে যেতে চাইলাম ! কিন্তু ওরা নাছোড়বান্দা ! তখন আমি ওদের ধীরে ধীরে সমস্ত কথা বললাম ! তৃপ্তিদির মৃত্যু পর্যন্ত বলে আর বলতে পারলাম না !! আমার গলা বুঁজে এলো !
কোয়েলের চোখে জল ! সেই অবস্থাতেই বললো " জানি সুনন্দ তুমি মঞ্জুর ! কিন্তু আমিও যে তোমাকে ভালোবাসি !"
- আমি তৃপ্তিদিকে কথা দিয়েছিলাম যে আমি মানুষ হবো ! আর যতদিন না মানুষ হতে পারছি ততদিন আমার মঞ্জুকে কাছে পাবো না ! কারণ আমাদের সম্পর্ক আমাদের মাঝের বাধা ! তুমি আমাদের এই সম্পর্কের মধ্যে ঢুকোনা কোয়েল ! আমি আর কাউকে দুঃখী করতে বা দেখতে চাইনা !
- কোয়েল কোনো কথা বললো না ! সমীর রাজু হরপ্রীত সুজাতা সবাই চুপ !
আমিই ঝেড়ে নড়েচড়ে বসলাম ! " আরে ছাড়না ওই সব কথা !" যতক্ষণ কলেজে আছি ততক্ষন তো আমরা একে অপরের সাথেই আছি ! পরের কথা পরে ভাবা যাবে ! "
টুক টাক কথার মাঝেই আবার সবার মুড্ ঠিক হয়ে গেলো কিন্তু কোয়েল গম্ভীর ! আমি কোয়েলকে বেশি ঘাঁটালাম না ! দুপুর বারোটা বাজে ! এতোদূরের রাস্তা এমনিতেই খুব ক্লান্তিকর আর একঘেয়ে !
হটাৎ হরপ্রীতের প্রস্তাব " এই সুজাতা ! ভদকার বোতলটা বের কর ! গ্লাস বের কর ! লাঞ্চের আগে দু পেগ করে ছড়িয়ে নিই ! তাহলে দুপুরের ঘুমটা ভালো হবে ! ওর কথায় রাজু লাফিয়ে উঠলো ! " তোরা ভদকার বোতল কোথায় পেলি ?"
- কাল সন্ধ্যে বেলায় নিলয়দা দিয়ে গেছে চুপি চুপি !
প্যান্ট্রি থেকে সমীর গিয়ে ঠান্ডা জলের বোতল নিয়ে এলো ! সুজাতা বললো এখনই যদি শেষ করে দিস তাহলে সন্ধ্যে বেলায় কি খাবি আর কাল কি করে কাটবে ?
শহরের মেয়ে সব ! ড্রিংক করা নিয়ে ওদের কোনো মাথাব্যথা নেই ! কিন্তু সুজাতার কথায় সবাই আমার মুখের দিকে তাকালো ! আমি বললাম আমার কাছে দু বোতল হুইস্কি আছে ! কাল নিজে একটা কিনেছিলাম ! আজ নিলয় একটা দিয়ে গেলো ! আজকের সন্ধ্যা আর কালকের দিন ভালো ভাবেই কেটে যাবে ! আমরা আমাদের কূপের পর্দা লিগিয়ে দিয়ে বসে গেলাম ড্রিংক করতে ! আমি নিজে কিছু চানাচুর কিনেছিলাম আর গোটা কুড়ি প্লাস্টিকের গ্লাস নিয়ে এসেছিলাম ! সেগুলোই এখন কাজে লাগলো ! আমি সবাইকে গ্লাস ফেলতে বারণ করলাম ! কারণ এইগুলো দিয়েই আমাদের এখনো দুদিন কাটাতে হবে ! আমাদের গ্লাসে ভদকা ঢালার মাঝেই আমাদের পর্দা সরিয়ে দুজন আরপিএফের লোক দাঁড়িয়ে পড়লো ! ওরা বোধ হয় খড়গপুর থেকে উঠেছে ! শুরু হলো আমাদের সাথে টানা পুরোন ! সমীর আর রাজু তো রীতিমতো ঝগড়া শুরু করে দিলো ! ওদের কথা ট্রেনে মদ্যপান নিষেধ তার জন্য ১০০০ টাকা করে প্রতি ব্যক্তি জরিমানা দিতে হবে ! অনাদায়ে ৩ মাসের জেল ! সামনের জামশেদপুর স্টেশনে আমাদের নামিয়ে নিয়ে যাবে ! আমাদের বিতর্কের মাঝেই টিটি সাহেবের আবির্ভাব ! উনি এসে পরিস্থিতি সামাল দিলেন ! আরপিএফ দুজন গজর গজর করতে করতে চলে গেলো ! টিটি সাহেব আমাদের স্বস্নেহে একটু ধমক দিলেন ! এবং একটু সাবধানে থাকতে বললেন ! দু পেগ করে খেয়ে আর খেতে ইচ্ছা করলো না ! এমনিতেই দিনের বেলায় ড্রিংক করতে ভালো লাগে না ! সমস্ত গুছিয়ে মায়ের দেওয়া ব্যাগ বের করলাম ! ভাত, আলুপোস্ত ! মাছের ঝোল সহকারে আমাদের লাঞ্চ সারা হয়ে গেলো ! এখনো যা বেঁচে আছে তাতে হয়তো কালকের খাবারও হয়ে যাবে ! শুধু দেখতে হবে এগুলো যেন নষ্ট না হয়ে যায় ! নিচের একটা টিফিনে কষা মাংস এবং অন্য টিফিনে অনেক রুটি !
ঠিক করলাম ! মাংস আর রুটি এখানেই রেখে দেব ! বাকি খাবার প্যান্ট্রি কারের ফ্রিজে রেখে দেওয়া যাবে ! কোয়েল বললো শুধু রুটি গুলো এখানে রাখো ! বাকি সব প্যান্ট্রিতে রেখে এস ! সন্ধ্যে বেলায় ওদের ওখান থেকেই মাংস গরম হবে !