26-11-2020, 12:33 PM
(This post was last modified: 26-11-2020, 12:36 PM by ddey333. Edited 2 times in total. Edited 2 times in total.)
আমি কানাইকে বললাম তোরা গাড়ি নিয়ে ব্রাবোন রোডের মুখে দাঁড়া ! এদের আমি হাওড়া ব্রিজ দেখিয়ে নিয়ে আসছে !
গাড়ি থেকে কানাই চৈতালি নিলয় এবং স্বরস্বতী নামলো না ! হাওড়া ব্রিজ পার হতে হতে ওরা বার বার উপরের দিকে আর নিচের দিকে তাকাচ্ছিলো ! অবাক হয়ে যাচ্ছিলো যে ব্রিজের নিচে কোনো পিলার নেই ! শুধু ওরাই কেন যারাই এই ব্রিজ প্রথম দেখে তারাই আশ্চর্য হয়ে যায় ! ব্রিজের উপর হাঁটতে হাঁটতেই আমি ওদের হাওড়া ব্রিজ তৈরির ইতিহাস জানালাম ! " ১৮৬২ সালে যখন হাওড়া রেল স্টেশন তৈরী হলো তখন ব্রিটিশ বেঙ্গল গভর্নমেন্ট শিপিং কর্পোরেশনর চিফ ইঞ্জিনিয়ার জর্জ টার্নবুলকে কলকাতা এবং হাওড়ার সাথে যোগ সৃষ্টি করার জন্য একটি ব্রিজ বানানোর সমিখ্যা করতে বললো ! ২৫ বছর ধরে তিনি সমীক্ষা করে জানালেন কলকাতা থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে হুগলির শ্রীরামপুরে এই ব্রিজ বানানো যেতে পারে ! ব্রিটিশ সরকার জর্জ টার্নবুলের এই সমীক্ষার রিপোর্টে খুশি হন না ! কারণ কলকাতা আর হাওড়ার ব্যবধান মাত্র তিন কিলোমিটার ! এই তিন কিলোমিটার ব্রিটিশ সরকারের লোকেদের যাওয়া আসার জন্য একমাত্র সাধন স্টিমার ! তাতে অনেক বেশি সময় লাগে আর তা ছাড়া তখন গঙ্গার গতিবেগ অনেক বেশি ছিল যে কোনো সময়ে স্টিমার ডুবি হয়ে যেত ! ব্রিটিশ সরকার হাল ছাড়েন নি ! ১৯৩৬ সালে জর্জ টার্নবুল ইংল্যান্ড থেকে ফিরে ব্রিটিশ সরকারকে একটি বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার এর কথা বলেন ! উনি বলেন ওই বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার এর সাথে ইংল্যান্ডে বসে হাওড়ার ব্রিজ বানানোর ব্যাপারে অনেক কথা হয়েছে এবং তিনি নাকি বলেছেন যে উনি মাত্র ১০বছরের মধ্যেই হাওড়া এবং কলকাতার সংযোগকারী ব্রিজ বানাতে পারবেন ! ব্রিটিশ সরকার সেই বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার কে তৎক্ষণাৎ আমন্ত্রণ জানিয়ে কলকাতায় নিয়ে আসলেন ! তার সাথে কথা ঠিক হলো যে ব্রিজ হাওড়া স্টেশন আর কলকাতার মধ্যেই হওয়া চাই ! এদিক ওদিক নয় ! সেই বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার বলেন হাওড়া স্টেশন থেকেই ব্রিজ তৈরী হবে ! কিন্তু সেই ব্রিজটি হবে সম্পূর্ণ স্টিলের ! লোহা এখানে ব্যবহার করা যাবেনা ! আর এই ব্রিজ তৈরির টেকনোলজি তিনি কাউকে দেবেন না ! সেই ইঞ্জিনিয়ার এর নাম ছিল অতনু মুখার্জি ! দীর্ঘ সাত বছরের অক্লান্ত প্ররিশ্রমে এবং তখন কার দিনের হিসাব অনুযায়ী ১৪০০ কোটিই টাকার ব্যায়ে ১৯৪৩ সালে ব্রিজটি সম্পূর্ণ হলো ! সমগ্র ব্রিটিশ শাসন ব্রিজটিকে দেখে অবাক হয়ে গেলেন ! এমন কি সেই ইঞ্জিনিয়ার তখন দাবি করেন যদি এই ব্রিজকে বোমা মেরেও ওড়াতে কেউ চায় সেটা কোনোদিন সম্ভব হবে না ! ব্রিটিশ সরকার তখন তাকে প্রশ্ন করলো " এই ব্রিজ বানাতে তুমি সাত বছর নিলে ! এই ব্রিজটি ধ্বংস করতে কত বছর নেবে ! তখন অতনু মুখার্জি উত্তর দিয়েছিলেন মাত্র সাত মিনিট ! কারণ পুরো ব্রিজ রিভেট এর উপর বাঁধা ! এমন একটা মেইন রিভেট আছে যেটাকে খুলে নিলেই এই ব্রিজ ধরধরিয়ে ভেঙে পড়বে ! ব্রিটিশ সরকার অতনু মুখার্জিকে সম্মান জানানোর জন্য তাকে ইংল্যান্ড এ নিয়ে যান ! তারপর তার আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি ! যতোদুন জানা গেছে ইংরেজরা অতনু মুখার্জি কে পাগলাগারদে রেখে তিলে তিলে শেষ করে দিয়েছে ! ( তথ্য ইঞ্জিনিয়ারিং মিউজিয়াম অফ লন্ডন ১৯৫০ by জর্জ টার্নবুল ! তিনি নিজে ইংরেজদের এই আচরণে এতই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন যে ব্রিটিশ সরকার তাকেও ৭ বছরের জেল দিয়েছিলো ! ভারতের স্বাধীনতার পর তাকে মুক্ত করা হয়েছিল ) আজ এই ব্রিজের কোথাও সেই মহান ইঞ্জিনিয়ার অতনু মুখার্জির নাম নেই ! আমাদের স্বাধীন ভারতবর্ষের কোনো সরকার, নেতা মন্ত্রী কেউ তার কথা জানতে চান না !
সবাই হাওড়া ব্রিজের ইতিহাস শুনে যৎপরোনাস্তি অবাক এবং দুঃখিত হয়ে গেলো এমন মহান ইঞ্জিনিয়ার এর হারিয়ে যাওয়াতে !
গল্প করতে করতেই আমরা আমাদের গাড়িতে এসে গেলাম !
সমীর ব্রিজের উপর থেকে ফটো নেবার চেষ্টা করতেই আমি ওকে বারণ করলাম কারণ ব্রিজের উপর ফটোগ্রাফি নিষিদ্ধ ! বাইরে থেকে ও যত খুশি ফটো নিতে পারে ! তখন রাজু বললো আসার সময় যদি আমরা লঞ্চ করে পার হই তাহলে লঞ্চ থেকে ফটো নেওয়া যাবে ?
আমি বললাম হ্যা সেটা নেওয়া যাবে !
গাড়িতে উঠে কলকাতার নতুন দিক সাউথ এর দিকে চললাম ! এখানেও অনেক পূজা মণ্ডপ আছে ! দুপুর তিনটে নাগাদ আমরা ধর্মতলার মোড়ে অনাদির রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম অনাদির মোঘলাই খাবার জন্য !
মোঘলাই খেয়ে ওরা খুব খুশি ! শুধু ওদের একটাই দুঃখ যে ট্রেনে ওরা মোঘলাই নিয়ে যেতে পারবে না ! কারণ অনাদির মোঘলাই দুপুর ১২টার পরেই পাওয়া যায় ! আর আমাদের ট্রেন সাড়ে এগারোটায় ! সব ঘুরে মঞ্জু আর চৈতালিকে ওদের বাড়ি ছেড়ে দিয়ে আমরা যখন বাড়ি ঢুকলাম তখন সন্ধ্যে আটটা বাজে ! নিলয় বললো তোরা আধঘন্টার মধ্যে ক্লাবে চলে যায় আমি স্বরস্বতীকে বাড়ি ছেড়ে আসছি !
ক্লাবে আজ আমরা প্রায় জনা দশেক মানুষ ! ববিও এসে বসে আছে ! কাল আর কোথাও ঘোরার নেই ! কাল বিকালে জাগরণী সংঘের সাথে ফুটবল ম্যাচ ! সবাই মিলে দু তিন পেগ করে মাল খেয়ে বাড়ি ফিরে গেলাম !
রাতে খাওয়া দাওয়া করে সবাই ঘুমাতে যাবো তখন হরপ্রীত আমাদের রুমে ঢুকে বললো সুজাতার খুব পেটে যন্ত্রনা করছে ! যদি কোনো ওষুধ থাকে তাহলে ওকে দেওয়া যেতে পারে ! আমি মা কে গিয়ে বললাম যে সুজাতার পেটে যন্ত্রনা করছে কি করা যায় !
মা ওদের রুমে গিয়ে সুজাতার সাথে কিছুক্ষন কথা বলে বেরিয়ে এসে বললেন "কোনো ব্যাপার নয় ! এক ব্যারেলগান দিয়ে দাও ঠিক হয়ে যাবে !" মা হরপ্রীতের হাতে একটা ব্যারালাগান ট্যাবলেট ধরিয়ে দিলেন ! কিছুক্ষনের মধ্যেই সুজাতার যন্ত্রণার উপশম হলো ! সবাই শুয়ে পড়লাম ! শুয়েও শান্তি নেই ! এবার কোয়েল এসে বাংলায় বললো " এই সুনন্দ এখন কি কোনো ওষুধের দোকান খোলা আছে ?"
- কেন কার আবার কি হলো ?
-আরে ন্যাপকিন চাই সুজাতার !
- আগে ঝর্ণার কাছে জিজ্ঞাসা কর ! যদি ওর থাকে তো কাজ মিতে যাবে ! না থাকলে আমাকে বলে যাস আমি এনে দেব !
হরপ্রীত ফিরে এসে বললো " পাওয়া গেছে ! আর কোনো চিন্তা নেই ! তোরা এবার আরামে ঘুমিয়ে পর !
বেশ কিছুটা ক্লান্ত সবাই ছিলাম ! তাই ঘুম আসতে বেশি সময় লাগলো না ! সবাই তলিয়ে গেলাম ঘুমের অতলে !
গাড়ি থেকে কানাই চৈতালি নিলয় এবং স্বরস্বতী নামলো না ! হাওড়া ব্রিজ পার হতে হতে ওরা বার বার উপরের দিকে আর নিচের দিকে তাকাচ্ছিলো ! অবাক হয়ে যাচ্ছিলো যে ব্রিজের নিচে কোনো পিলার নেই ! শুধু ওরাই কেন যারাই এই ব্রিজ প্রথম দেখে তারাই আশ্চর্য হয়ে যায় ! ব্রিজের উপর হাঁটতে হাঁটতেই আমি ওদের হাওড়া ব্রিজ তৈরির ইতিহাস জানালাম ! " ১৮৬২ সালে যখন হাওড়া রেল স্টেশন তৈরী হলো তখন ব্রিটিশ বেঙ্গল গভর্নমেন্ট শিপিং কর্পোরেশনর চিফ ইঞ্জিনিয়ার জর্জ টার্নবুলকে কলকাতা এবং হাওড়ার সাথে যোগ সৃষ্টি করার জন্য একটি ব্রিজ বানানোর সমিখ্যা করতে বললো ! ২৫ বছর ধরে তিনি সমীক্ষা করে জানালেন কলকাতা থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে হুগলির শ্রীরামপুরে এই ব্রিজ বানানো যেতে পারে ! ব্রিটিশ সরকার জর্জ টার্নবুলের এই সমীক্ষার রিপোর্টে খুশি হন না ! কারণ কলকাতা আর হাওড়ার ব্যবধান মাত্র তিন কিলোমিটার ! এই তিন কিলোমিটার ব্রিটিশ সরকারের লোকেদের যাওয়া আসার জন্য একমাত্র সাধন স্টিমার ! তাতে অনেক বেশি সময় লাগে আর তা ছাড়া তখন গঙ্গার গতিবেগ অনেক বেশি ছিল যে কোনো সময়ে স্টিমার ডুবি হয়ে যেত ! ব্রিটিশ সরকার হাল ছাড়েন নি ! ১৯৩৬ সালে জর্জ টার্নবুল ইংল্যান্ড থেকে ফিরে ব্রিটিশ সরকারকে একটি বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার এর কথা বলেন ! উনি বলেন ওই বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার এর সাথে ইংল্যান্ডে বসে হাওড়ার ব্রিজ বানানোর ব্যাপারে অনেক কথা হয়েছে এবং তিনি নাকি বলেছেন যে উনি মাত্র ১০বছরের মধ্যেই হাওড়া এবং কলকাতার সংযোগকারী ব্রিজ বানাতে পারবেন ! ব্রিটিশ সরকার সেই বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার কে তৎক্ষণাৎ আমন্ত্রণ জানিয়ে কলকাতায় নিয়ে আসলেন ! তার সাথে কথা ঠিক হলো যে ব্রিজ হাওড়া স্টেশন আর কলকাতার মধ্যেই হওয়া চাই ! এদিক ওদিক নয় ! সেই বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার বলেন হাওড়া স্টেশন থেকেই ব্রিজ তৈরী হবে ! কিন্তু সেই ব্রিজটি হবে সম্পূর্ণ স্টিলের ! লোহা এখানে ব্যবহার করা যাবেনা ! আর এই ব্রিজ তৈরির টেকনোলজি তিনি কাউকে দেবেন না ! সেই ইঞ্জিনিয়ার এর নাম ছিল অতনু মুখার্জি ! দীর্ঘ সাত বছরের অক্লান্ত প্ররিশ্রমে এবং তখন কার দিনের হিসাব অনুযায়ী ১৪০০ কোটিই টাকার ব্যায়ে ১৯৪৩ সালে ব্রিজটি সম্পূর্ণ হলো ! সমগ্র ব্রিটিশ শাসন ব্রিজটিকে দেখে অবাক হয়ে গেলেন ! এমন কি সেই ইঞ্জিনিয়ার তখন দাবি করেন যদি এই ব্রিজকে বোমা মেরেও ওড়াতে কেউ চায় সেটা কোনোদিন সম্ভব হবে না ! ব্রিটিশ সরকার তখন তাকে প্রশ্ন করলো " এই ব্রিজ বানাতে তুমি সাত বছর নিলে ! এই ব্রিজটি ধ্বংস করতে কত বছর নেবে ! তখন অতনু মুখার্জি উত্তর দিয়েছিলেন মাত্র সাত মিনিট ! কারণ পুরো ব্রিজ রিভেট এর উপর বাঁধা ! এমন একটা মেইন রিভেট আছে যেটাকে খুলে নিলেই এই ব্রিজ ধরধরিয়ে ভেঙে পড়বে ! ব্রিটিশ সরকার অতনু মুখার্জিকে সম্মান জানানোর জন্য তাকে ইংল্যান্ড এ নিয়ে যান ! তারপর তার আর কোনো খবর পাওয়া যায়নি ! যতোদুন জানা গেছে ইংরেজরা অতনু মুখার্জি কে পাগলাগারদে রেখে তিলে তিলে শেষ করে দিয়েছে ! ( তথ্য ইঞ্জিনিয়ারিং মিউজিয়াম অফ লন্ডন ১৯৫০ by জর্জ টার্নবুল ! তিনি নিজে ইংরেজদের এই আচরণে এতই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন যে ব্রিটিশ সরকার তাকেও ৭ বছরের জেল দিয়েছিলো ! ভারতের স্বাধীনতার পর তাকে মুক্ত করা হয়েছিল ) আজ এই ব্রিজের কোথাও সেই মহান ইঞ্জিনিয়ার অতনু মুখার্জির নাম নেই ! আমাদের স্বাধীন ভারতবর্ষের কোনো সরকার, নেতা মন্ত্রী কেউ তার কথা জানতে চান না !
সবাই হাওড়া ব্রিজের ইতিহাস শুনে যৎপরোনাস্তি অবাক এবং দুঃখিত হয়ে গেলো এমন মহান ইঞ্জিনিয়ার এর হারিয়ে যাওয়াতে !
গল্প করতে করতেই আমরা আমাদের গাড়িতে এসে গেলাম !
সমীর ব্রিজের উপর থেকে ফটো নেবার চেষ্টা করতেই আমি ওকে বারণ করলাম কারণ ব্রিজের উপর ফটোগ্রাফি নিষিদ্ধ ! বাইরে থেকে ও যত খুশি ফটো নিতে পারে ! তখন রাজু বললো আসার সময় যদি আমরা লঞ্চ করে পার হই তাহলে লঞ্চ থেকে ফটো নেওয়া যাবে ?
আমি বললাম হ্যা সেটা নেওয়া যাবে !
গাড়িতে উঠে কলকাতার নতুন দিক সাউথ এর দিকে চললাম ! এখানেও অনেক পূজা মণ্ডপ আছে ! দুপুর তিনটে নাগাদ আমরা ধর্মতলার মোড়ে অনাদির রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম অনাদির মোঘলাই খাবার জন্য !
মোঘলাই খেয়ে ওরা খুব খুশি ! শুধু ওদের একটাই দুঃখ যে ট্রেনে ওরা মোঘলাই নিয়ে যেতে পারবে না ! কারণ অনাদির মোঘলাই দুপুর ১২টার পরেই পাওয়া যায় ! আর আমাদের ট্রেন সাড়ে এগারোটায় ! সব ঘুরে মঞ্জু আর চৈতালিকে ওদের বাড়ি ছেড়ে দিয়ে আমরা যখন বাড়ি ঢুকলাম তখন সন্ধ্যে আটটা বাজে ! নিলয় বললো তোরা আধঘন্টার মধ্যে ক্লাবে চলে যায় আমি স্বরস্বতীকে বাড়ি ছেড়ে আসছি !
ক্লাবে আজ আমরা প্রায় জনা দশেক মানুষ ! ববিও এসে বসে আছে ! কাল আর কোথাও ঘোরার নেই ! কাল বিকালে জাগরণী সংঘের সাথে ফুটবল ম্যাচ ! সবাই মিলে দু তিন পেগ করে মাল খেয়ে বাড়ি ফিরে গেলাম !
রাতে খাওয়া দাওয়া করে সবাই ঘুমাতে যাবো তখন হরপ্রীত আমাদের রুমে ঢুকে বললো সুজাতার খুব পেটে যন্ত্রনা করছে ! যদি কোনো ওষুধ থাকে তাহলে ওকে দেওয়া যেতে পারে ! আমি মা কে গিয়ে বললাম যে সুজাতার পেটে যন্ত্রনা করছে কি করা যায় !
মা ওদের রুমে গিয়ে সুজাতার সাথে কিছুক্ষন কথা বলে বেরিয়ে এসে বললেন "কোনো ব্যাপার নয় ! এক ব্যারেলগান দিয়ে দাও ঠিক হয়ে যাবে !" মা হরপ্রীতের হাতে একটা ব্যারালাগান ট্যাবলেট ধরিয়ে দিলেন ! কিছুক্ষনের মধ্যেই সুজাতার যন্ত্রণার উপশম হলো ! সবাই শুয়ে পড়লাম ! শুয়েও শান্তি নেই ! এবার কোয়েল এসে বাংলায় বললো " এই সুনন্দ এখন কি কোনো ওষুধের দোকান খোলা আছে ?"
- কেন কার আবার কি হলো ?
-আরে ন্যাপকিন চাই সুজাতার !
- আগে ঝর্ণার কাছে জিজ্ঞাসা কর ! যদি ওর থাকে তো কাজ মিতে যাবে ! না থাকলে আমাকে বলে যাস আমি এনে দেব !
হরপ্রীত ফিরে এসে বললো " পাওয়া গেছে ! আর কোনো চিন্তা নেই ! তোরা এবার আরামে ঘুমিয়ে পর !
বেশ কিছুটা ক্লান্ত সবাই ছিলাম ! তাই ঘুম আসতে বেশি সময় লাগলো না ! সবাই তলিয়ে গেলাম ঘুমের অতলে !