25-11-2020, 12:46 PM
(This post was last modified: 25-11-2020, 12:46 PM by ddey333. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
ঝর্নাকেও নিয়ে যাবার জন্য বললাম ! মা বললেন " যা মেয়েটাকে একটু ঘুরিয়ে নিয়ে আয় ! " সবাইকার জন্য লুচি আর তরকারি ব্রেকফাস্টে ! সবাই খেয়ে রেডি হয়ে বসে আছি ! বাড়ির বাইরে গাড়ির হর্ন ! বেরিয়ে দেখি একটা ম্যাটাডোর ভ্যান দাঁড়িয়ে ! ড্রাইভার ছেলেটাকে আমি ঠিক চিনিনা ! ও বললো কানাইদা পাঠিয়েছে !
- কানাই কোথায় ? ও যাবে না আমাদের সঙ্গে ?
- ও মোরে দাঁড়িয়ে আছে ! ওখান থেকেই উঠবে ! সবাই উঠে পড়লাম ! মেয়েদের কলকলানিতে পুরো গাড়ি মেতে রয়েছে ! মোড়ের মাথায় কানাইকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ড্রাইভার ছেলেটি গাড়ি দাঁড় করলো ! কানাই উঠে সমীর আর রাজুর সাথে হাত মেলালো ! রাজু কোয়েল, সুজাতা আর হরপ্রীতের সাথে কানাইয়ের পরিচয় করিয়ে দিলো ! যে কাজটা আমার করার ছিল সেটা রাজু বেশ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে করে নিলো ! কথায় কথায় জানতে পারলাম যে গাড়িটি আমাদের ক্লাসের বন্ধু ববি বাগ্গার ! সর্দার ! আমাদের সাথেই পড়তো ! এখন গাড়ির ব্যবসা খুলে বসেছে ! আমার কথা শুনে গাড়িতে ডিজেল ফুল লোড করে পাঠিয়েছে ! সন্ধ্যে বেলায় ক্লাবে আসবে দেখা করতে !
সমীর বললো "তোদের বন্ধুরা খুব ভালো রে ! কেউ এখানে পয়সার কদর করে না ! সবাই বন্ধুত্তের কদর করে ! যদি আমাদের ওখানেও এইরকম বন্ধু পাওয়া যেত তাহলে জীবনটা কত সুখের হতো !
আমি কানাইকে বললাম আমরা দিল্লি রোড হয়ে বৈদ্যবাটী ঢুকবো আগে ! সেখান থেকে আরো একজন কে নিয়ে কলকাতা যাবো !
মিনিট চল্লিশের মধ্যেই আমরা লাহিড়ীদার বাড়ির সামনে পৌঁছে গেলাম ! লাহিড়ীদা বেরিয়ে এসে সবাইকে অভ্যর্থনা করলেন ! বিশাল ড্রয়িং রুমে সবাই গিয়ে বসলো ! লাহিড়ীদা একটা ফোন করে কিছুক্ষন কথা বলে কোয়েলের দিকে ফোনটা এগিয়ে দিলেন ! কোয়েল এগিয়ে গিয়ে ফোন নিয়ে বেশ কিছুক্ষন কথা বলে ফোনটা রেখে দিয়ে লাহিড়ীদাকে থাঙ্কস জানালো ! বুঝলাম লাহিড়ীদা সুভাষ বাবুর সাথে নিজে কথা বললেন আর কোয়েলেরও কথা বলিয়ে দিলেন !
আমার দিকে তাকিয়ে লাহিড়ীদা বললেন ফেরার পথে একটু তাড়াতাড়ি এস ! আমরা সবাই একটু আড্ডা মারবো ! সাথে গাড়ি রয়েছেই ফিরতে কোনো অসুবিধা হবে না ! চৈতালি রেডি হয়ে বেরিয়ে এসে মঞ্জু কে জড়িয়ে ধরলো ! মঞ্জু একে একে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো ! কানাই আর চৈতালি ঘন ঘন একে অপরের দিকে তাকাতে শুরু করে দিলো ! কানাইয়ের দিকে তাকিয়ে একটা ছোট্ট করে চোখ মেরে বুঝিয়ে দিলাম চালিয়ে যাও গুরু ! সবাই আবার গাড়িতে উঠে পড়লাম ! ঘন্টাখানেকের মধ্যেই কলকাতা পৌঁছে গেলাম ! সমীর রাজু কোয়েল হরপ্রীত এবং সুজাতা সবাই কলকাতার রাস্তাঘাট পুজো প্যান্ডেল খুব উপভোগ করছিলো ! ওদের চোখে মুখে মুগ্ধতার ছোঁয়া ! ওদের ভালো লাগা দেখে আমারও একটু গর্ব হচ্ছিলো !
ঘুরে ঘুরে মোটামুটি সবাই ক্লান্ত হয়ে গেছে ! দুপুর প্রায় তিনটে বাজে ! কানাই সবাইকে নিয়ে কফি হাউসে নিয়ে এলো ! ওদের সবাইকে কফি হাউসের গল্প শোনাতে লাগলো ! সবাই মুগ্ধ হয়ে গল্প শুনতে থাকলো ! আর নানান প্রশ্নে কানাইকে জর্জরিত করতে থাকলো ! কানাই হাসি মুখেই সবার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে থাকলো ! মাঝখানে সবার জন্য মোঘলাই পরোটা আর কষা মাংসের অর্ডার দিয়ে দিলো কানাই !
কানাই যে ভাবে ওদের সব বোঝাচ্ছিলো দেখে আমি নিজেই অবাক হয়ে গেলাম ! যে কানাইকে আমি বা আমাদের বন্ধু মহল ছ্যাঁচড়া বলে জানি সেই কানাই আর এই কানাইয়ের মাঝে আকাশ পাতাল তফাৎ !
কানাইয়ের জ্ঞান দেখে আমিও মুগ্দ্ধ হয়ে গেলাম ! শুধু রাজুরাই নয় মঞ্জু চৈতালি ঝর্ণা সবাই মন দিয়ে কানাইয়ের কথা শুনে যাচ্ছিলো ! চৈতালির চোখে অবাধ মুগ্ধতা ! বুঝলাম এতদিনে চৈতালি কোথাও নৌকা বাঁধার জায়গা পেয়েছে !
কফি হাউসের মোগলাই খেয়ে সবাই খুব প্রশংসা করলো ! কানাই বললো কাল কলকাতায় এসে অনাদির মোগলাই খাওয়াবে ! ওখানকার মোঘলাই ভারত বিখ্যাত !
মোঘলাই পর্ব শেষ হতেই আরো দু চারটে ঠাকুর দেখে আমিই বললাম " চলো এইবার ফেরা যাক ! " চৈতালীদের বাড়ি যেতে হবে ! লাহিড়ীদা অপেখ্যা করছেন ! "
বিকেল পাঁচটা নাগাদ আমরা রওনা দিলাম !
সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ লাহিড়ীদার বাড়ির সামনে পৌঁছতেই লাহিড়ীদা বেরিয়ে এসে বললেন "সোজা চলো কমল বাবুর বাড়ি ! উনি অপেখ্যা করছেন ! " নিজেই ড্রাইভারের পাশে বসে পড়লেন ! গাড়ি মিনিট দশেকের মধ্যেই কমলদার বাড়িতে এসে গেলো !
কমলদার বাড়ির ভোল পুরো পাল্টে গেছে ! বাড়ির একদিকটা একটা কলেজের শেপ নিয়েছে আর অন্য দিকটা নিজের বসবাসের জন্য বানানো হয়েছে ! বাড়ির গেটে একটা সাইনবোর্ডে লেখা "তৃপ্তির শান্তি"
নাম টা দেখে বুকটা একটু যেন ভারী হয়ে গেলো ! আমার বন্ধুরা কেউই জানেনা কমলদা বা তৃপ্তিদির ব্যাপারে ! ওরা একটু অবাক হলেও মুখে কিছুই বললো না ! কানাইয়ের সাথে লাহিড়ীদার বেশ জমে গেছে ! দুজনেই খুব জোরে পলিটিক্সের গল্প করে চলেছে ! বুঝলাম কানাইয়ের পলিটিক্সেরও জ্ঞান রয়েছে ! কমলদা বেরিয়ে এলেন ! সাথে ঘোষ দা আর মুখার্জি দা ! সবাই আমাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালো ! কমলদার মধ্যে এখন সেই ঝিমিয়ে যাওয়া ভাবটা একেবারেই নেই ! এখন একজন চনমনে উচ্ছল একজন মানুষ ! সবাইকে নিয়ে কমলদা পুরো বাড়িটা ঘুরিয়ে দেখালেন ! এটি একটি অনাথ আশ্রম ! প্রায় জনা দশেক খুদি খুদেদের দেখা পেলাম ! কেউ কমলদার পা জড়িয়ে ধরছে কেউ লাহিড়ীদার কাঁধে চেপে পড়ছে ! কেউ ঘোষ দা আর মুখার্জিদার পিছনে পরে গেছে ! সবাই বাচ্ছাদের নিয়ে মেতে উঠেছে ! হটাৎ পিছন থেকে একটি মেয়েলি কণ্ঠ " অনেক হয়েছে ! যায় সবাই খেয়ে শুয়ে পর !ঘুরে দেখি রেবা দি ! তৃপ্তিদির কলেজের হেডমিস্ট্রেস !
পরে জানতে পারলাম উনি কলেজের চাকরি ছেড়ে দিয়ে এই সমস্ত বাচ্ছাদের মা হয়েছেন আর কমলদা হয়েছেন বাবা ! কি নির্মল পরিবেশ ! সবার মন ভরে গেলো !
আমি নিজে খুব খুশি কমলদাকে একটা বিষন্ন জীবন থেকে বেরিয়ে আর একটা নতুন জীবনে ফিরে আসার জন্য !
- চলো সবাই এবার আমার ছাদে গিয়ে বসি ! যদিও অক্টোবর মাস কিন্তু এখনো এখানে ঠান্ডা পড়েনি ! একটা সুন্দর আবহাওয়া এখানে ! মেয়েদের রেবাদি নিয়ে চলে গেলেন ! ছাদে শুধু আমরা ছেলেরা ! সবার সাথে সবার পরিচয় করিয়ে দিলাম ! রাজু কমলদার হাত দুটো জড়িয়ে বললো " দাদা আপনার এই মহৎ কাজে কি আমি কিছু যোগদান দিতে পারি ?"
- টাকা পয়সা আমাদের চাইনা ! তবে যদি পারো মাঝে মাঝে এসে এই বাচ্ছাগুলোর সাথে একটু সময় কাটিয়ে যেও !
- কানাই কোথায় ? ও যাবে না আমাদের সঙ্গে ?
- ও মোরে দাঁড়িয়ে আছে ! ওখান থেকেই উঠবে ! সবাই উঠে পড়লাম ! মেয়েদের কলকলানিতে পুরো গাড়ি মেতে রয়েছে ! মোড়ের মাথায় কানাইকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ড্রাইভার ছেলেটি গাড়ি দাঁড় করলো ! কানাই উঠে সমীর আর রাজুর সাথে হাত মেলালো ! রাজু কোয়েল, সুজাতা আর হরপ্রীতের সাথে কানাইয়ের পরিচয় করিয়ে দিলো ! যে কাজটা আমার করার ছিল সেটা রাজু বেশ স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে করে নিলো ! কথায় কথায় জানতে পারলাম যে গাড়িটি আমাদের ক্লাসের বন্ধু ববি বাগ্গার ! সর্দার ! আমাদের সাথেই পড়তো ! এখন গাড়ির ব্যবসা খুলে বসেছে ! আমার কথা শুনে গাড়িতে ডিজেল ফুল লোড করে পাঠিয়েছে ! সন্ধ্যে বেলায় ক্লাবে আসবে দেখা করতে !
সমীর বললো "তোদের বন্ধুরা খুব ভালো রে ! কেউ এখানে পয়সার কদর করে না ! সবাই বন্ধুত্তের কদর করে ! যদি আমাদের ওখানেও এইরকম বন্ধু পাওয়া যেত তাহলে জীবনটা কত সুখের হতো !
আমি কানাইকে বললাম আমরা দিল্লি রোড হয়ে বৈদ্যবাটী ঢুকবো আগে ! সেখান থেকে আরো একজন কে নিয়ে কলকাতা যাবো !
মিনিট চল্লিশের মধ্যেই আমরা লাহিড়ীদার বাড়ির সামনে পৌঁছে গেলাম ! লাহিড়ীদা বেরিয়ে এসে সবাইকে অভ্যর্থনা করলেন ! বিশাল ড্রয়িং রুমে সবাই গিয়ে বসলো ! লাহিড়ীদা একটা ফোন করে কিছুক্ষন কথা বলে কোয়েলের দিকে ফোনটা এগিয়ে দিলেন ! কোয়েল এগিয়ে গিয়ে ফোন নিয়ে বেশ কিছুক্ষন কথা বলে ফোনটা রেখে দিয়ে লাহিড়ীদাকে থাঙ্কস জানালো ! বুঝলাম লাহিড়ীদা সুভাষ বাবুর সাথে নিজে কথা বললেন আর কোয়েলেরও কথা বলিয়ে দিলেন !
আমার দিকে তাকিয়ে লাহিড়ীদা বললেন ফেরার পথে একটু তাড়াতাড়ি এস ! আমরা সবাই একটু আড্ডা মারবো ! সাথে গাড়ি রয়েছেই ফিরতে কোনো অসুবিধা হবে না ! চৈতালি রেডি হয়ে বেরিয়ে এসে মঞ্জু কে জড়িয়ে ধরলো ! মঞ্জু একে একে সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো ! কানাই আর চৈতালি ঘন ঘন একে অপরের দিকে তাকাতে শুরু করে দিলো ! কানাইয়ের দিকে তাকিয়ে একটা ছোট্ট করে চোখ মেরে বুঝিয়ে দিলাম চালিয়ে যাও গুরু ! সবাই আবার গাড়িতে উঠে পড়লাম ! ঘন্টাখানেকের মধ্যেই কলকাতা পৌঁছে গেলাম ! সমীর রাজু কোয়েল হরপ্রীত এবং সুজাতা সবাই কলকাতার রাস্তাঘাট পুজো প্যান্ডেল খুব উপভোগ করছিলো ! ওদের চোখে মুখে মুগ্ধতার ছোঁয়া ! ওদের ভালো লাগা দেখে আমারও একটু গর্ব হচ্ছিলো !
ঘুরে ঘুরে মোটামুটি সবাই ক্লান্ত হয়ে গেছে ! দুপুর প্রায় তিনটে বাজে ! কানাই সবাইকে নিয়ে কফি হাউসে নিয়ে এলো ! ওদের সবাইকে কফি হাউসের গল্প শোনাতে লাগলো ! সবাই মুগ্ধ হয়ে গল্প শুনতে থাকলো ! আর নানান প্রশ্নে কানাইকে জর্জরিত করতে থাকলো ! কানাই হাসি মুখেই সবার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে থাকলো ! মাঝখানে সবার জন্য মোঘলাই পরোটা আর কষা মাংসের অর্ডার দিয়ে দিলো কানাই !
কানাই যে ভাবে ওদের সব বোঝাচ্ছিলো দেখে আমি নিজেই অবাক হয়ে গেলাম ! যে কানাইকে আমি বা আমাদের বন্ধু মহল ছ্যাঁচড়া বলে জানি সেই কানাই আর এই কানাইয়ের মাঝে আকাশ পাতাল তফাৎ !
কানাইয়ের জ্ঞান দেখে আমিও মুগ্দ্ধ হয়ে গেলাম ! শুধু রাজুরাই নয় মঞ্জু চৈতালি ঝর্ণা সবাই মন দিয়ে কানাইয়ের কথা শুনে যাচ্ছিলো ! চৈতালির চোখে অবাধ মুগ্ধতা ! বুঝলাম এতদিনে চৈতালি কোথাও নৌকা বাঁধার জায়গা পেয়েছে !
কফি হাউসের মোগলাই খেয়ে সবাই খুব প্রশংসা করলো ! কানাই বললো কাল কলকাতায় এসে অনাদির মোগলাই খাওয়াবে ! ওখানকার মোঘলাই ভারত বিখ্যাত !
মোঘলাই পর্ব শেষ হতেই আরো দু চারটে ঠাকুর দেখে আমিই বললাম " চলো এইবার ফেরা যাক ! " চৈতালীদের বাড়ি যেতে হবে ! লাহিড়ীদা অপেখ্যা করছেন ! "
বিকেল পাঁচটা নাগাদ আমরা রওনা দিলাম !
সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ লাহিড়ীদার বাড়ির সামনে পৌঁছতেই লাহিড়ীদা বেরিয়ে এসে বললেন "সোজা চলো কমল বাবুর বাড়ি ! উনি অপেখ্যা করছেন ! " নিজেই ড্রাইভারের পাশে বসে পড়লেন ! গাড়ি মিনিট দশেকের মধ্যেই কমলদার বাড়িতে এসে গেলো !
কমলদার বাড়ির ভোল পুরো পাল্টে গেছে ! বাড়ির একদিকটা একটা কলেজের শেপ নিয়েছে আর অন্য দিকটা নিজের বসবাসের জন্য বানানো হয়েছে ! বাড়ির গেটে একটা সাইনবোর্ডে লেখা "তৃপ্তির শান্তি"
নাম টা দেখে বুকটা একটু যেন ভারী হয়ে গেলো ! আমার বন্ধুরা কেউই জানেনা কমলদা বা তৃপ্তিদির ব্যাপারে ! ওরা একটু অবাক হলেও মুখে কিছুই বললো না ! কানাইয়ের সাথে লাহিড়ীদার বেশ জমে গেছে ! দুজনেই খুব জোরে পলিটিক্সের গল্প করে চলেছে ! বুঝলাম কানাইয়ের পলিটিক্সেরও জ্ঞান রয়েছে ! কমলদা বেরিয়ে এলেন ! সাথে ঘোষ দা আর মুখার্জি দা ! সবাই আমাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালো ! কমলদার মধ্যে এখন সেই ঝিমিয়ে যাওয়া ভাবটা একেবারেই নেই ! এখন একজন চনমনে উচ্ছল একজন মানুষ ! সবাইকে নিয়ে কমলদা পুরো বাড়িটা ঘুরিয়ে দেখালেন ! এটি একটি অনাথ আশ্রম ! প্রায় জনা দশেক খুদি খুদেদের দেখা পেলাম ! কেউ কমলদার পা জড়িয়ে ধরছে কেউ লাহিড়ীদার কাঁধে চেপে পড়ছে ! কেউ ঘোষ দা আর মুখার্জিদার পিছনে পরে গেছে ! সবাই বাচ্ছাদের নিয়ে মেতে উঠেছে ! হটাৎ পিছন থেকে একটি মেয়েলি কণ্ঠ " অনেক হয়েছে ! যায় সবাই খেয়ে শুয়ে পর !ঘুরে দেখি রেবা দি ! তৃপ্তিদির কলেজের হেডমিস্ট্রেস !
পরে জানতে পারলাম উনি কলেজের চাকরি ছেড়ে দিয়ে এই সমস্ত বাচ্ছাদের মা হয়েছেন আর কমলদা হয়েছেন বাবা ! কি নির্মল পরিবেশ ! সবার মন ভরে গেলো !
আমি নিজে খুব খুশি কমলদাকে একটা বিষন্ন জীবন থেকে বেরিয়ে আর একটা নতুন জীবনে ফিরে আসার জন্য !
- চলো সবাই এবার আমার ছাদে গিয়ে বসি ! যদিও অক্টোবর মাস কিন্তু এখনো এখানে ঠান্ডা পড়েনি ! একটা সুন্দর আবহাওয়া এখানে ! মেয়েদের রেবাদি নিয়ে চলে গেলেন ! ছাদে শুধু আমরা ছেলেরা ! সবার সাথে সবার পরিচয় করিয়ে দিলাম ! রাজু কমলদার হাত দুটো জড়িয়ে বললো " দাদা আপনার এই মহৎ কাজে কি আমি কিছু যোগদান দিতে পারি ?"
- টাকা পয়সা আমাদের চাইনা ! তবে যদি পারো মাঝে মাঝে এসে এই বাচ্ছাগুলোর সাথে একটু সময় কাটিয়ে যেও !