23-11-2020, 12:24 PM
(This post was last modified: 23-11-2020, 12:24 PM by ddey333. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
একটু ভালো করে দেখতেই বুঝতে পারলাম ওই দুটি মেয়ের একটি হরপ্রীত আর একটি সুজাতা ! এতক্ষনে সমীর আর রাজুর আমার পিছনে লোকানোর কারণ ধরতে পারলাম ! কোয়েলরা এগিয়ে এসে আমাদের হাই করলো ! আমরাও হাই করলাম ! সুভাষ বাবু বললেন এরাও তোমাদের সাথে যাবে ! এরা আমার মেয়ের বান্ধবী !
কোয়েল তো বলেছিলো যে পঞ্চমী বলে কেউ যাবে ! এখানে তো পঞ্চমী বলে কাউকে দেখতে পাচ্ছিনা !
- কি রে কি রকম সারপ্রাইজ দিলাম বলতো ! রাজু আর সমীরের দিকে চোখ টিপে কোয়েল ইশারা করলো ! এ হচ্ছে হরপ্রীত ! আর এ হচ্ছে পঞ্চমী মানে সুজাতা ! সুজাতার ডাক নাম পঞ্চমী !
সুভাষ বাবু বললেন এখন থেকেই তোমাদের ব্রেকফাস্ট কিনে নাও ! রাস্তায় ট্রেনের প্যান্ট্রি থেকে দুপুরের আর রাতের খাবার কিনে নিও !
আমাদের চারজনের সিট্ একটা কূপের মধ্যেই ! শুধু হরপ্রীতের একদম শেষের দিকে ! সুভাষ বাবু ট্রেনে উঠে সবাইকে আমাদের সীটে বসিয়ে দিলেন ! বললেন হরপ্রীতের সিট্ যাতে তোমাদের সাথে হয় সে ব্যবস্থা করে আসি !
হরপ্রীত সুজাতা আর কোয়েল সমীর আর রাজুর পিছিনে পরে গেলো ! আমাদের সামনের সীটে এক ভদ্দরলোক এলে তাকে আমি রিকোয়েস্ট করলাম যদি উনি হরপ্রীতের সীটে নিজেকে এডজাস্ট করে নিতে পারেন ! ভদ্রলোক বললেন কোনো ব্যাপার নয় ! উনি হরপ্রীতের সিটে চলে গেলেন ! কিছুক্ষন পরেই সুভাষ বাবু একজন টিটিকে সঙ্গে নিয়ে এসে আমাদের দেখিয়ে দিলেন এবং হরপ্রীতের সিটের ব্যাপারে বললেন ! আমি বললাম আমরা সিট চেঞ্জ করে নিয়েছি ! হরপ্রীতের সিটে এক ভদ্রলোক কে পাঠিয়ে দিয়েছি !
- তাহলে তো প্রব্লেম সল্ভ হয়ে গেলো ! সুভাষ বাবু বললেন ! টিটি সাহেবের সাথে আগে নিজের মেয়ের পরিচয় করলেন তারপর আমাদের সবার সাথে ওনার মেয়ের বন্ধু হিসাবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বললেন যেন আমাদের প্রতি উনি খেয়াল রাখেন ! বিশেষ করে আমাদের খাওয়াদাওয়ার যেন কোনো প্রব্লেম না হয় ! টিটি সাহেব সুভাষ বাবুকে আশ্বস্ত করলে সুভাষ বাবু আমাদের সবাইকে সাবধানে যাবার সতর্কবাণী শুনিয়ে চলে গেলেন !
ট্রেন ছাড়তেই আমাদের হৈ হুল্লোড় শুরু হয়ে গেলো ! তিনটে মেয়েই পুরো কম্পার্টমেন্টকে মাতিয়ে রাখলো ! সাথে রাজু আর সমীর তো আছেই ! সাধারণত আমি চুপচাপ ছিলাম ! আমার মাথায় একটাই চিন্তা মঞ্জুকে কি করে বোঝাবো কোয়েল শুধুই আমার বন্ধু ! যাই হোক ! আমাদের আনন্দের মাঝেই কখন যে আমাদের সফরের তিনদিন পেরিয়ে গেলো আমরা বুঝতেই পারলাম না ! ওদেরকে নিয়ে সোজা আমাদের বাড়ির উদেশ্যে রওনা দিলাম ! স্টেশন থেকেই পিসির বাড়িতে ফোন করে দিয়েছিলাম মঞ্জুকে আমাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেবার জন্য !
হাওড়া স্টেশন থেকে লোকাল ট্রেনের টিকিট কেটে বর্ধমান লোকালে চেপে গেলাম ! ওদের বোঝালাম যে হাওড়া হলো কলকাতার একটি বড়ো স্টেশন ! এখানে দুটো বড়ো স্টেশন আছে ! একটা শিয়ালদহ আর অন্যটি হাওড়া ! এখন থেকে আমাদের বাড়ির দূরত্ব মাত্র ৫০ কিলোমিটার ! ওরা সবাই অবাক হয়ে হাওড়া স্টেশনের ভিড় দেখছিলো ! লক্ষ লক্ষ লোক কেমন ছুঁটে বেড়াচ্ছে ! এতো লোক ওরা আগে কোথাও এইভাবে ছুঁটতে দেখেনি ! ট্রেনে বসে ওরা আরও অবাক ! কারণ লোকাল ট্রেনে যাত্রীর থেকে হকার বেশি ! আমি ওদের কে বাংলার বেকার সমস্যার কথা বোঝালাম ! বললাম এই হকারি করেই কত লক্ষ লক্ষ লোকের সংসার চলে এখানে ! এটাও একটা প্রধান জীবিকা এখানে !
ঘন্টা খানেকের মধ্যেই আমরা আমাদের স্টেশনে নেমে পড়লাম ! দূর থেকে দেখি পিসি আর মঞ্জুও অন্য কম্পার্টমেন্ট থেকে নামছে ! আমি মঞ্জুর নাম ধরে চিৎকার করতেই মঞ্জু ছুঁটে আমাদের কাছে চলে আসলো ! কিন্তু আমার সাথে দুইজন অপিরিচিত যুবক আর তিনজন যুবতীকে দেখে থমকে দাঁড়িয়ে পড়লো ! আমি সবার সাথে মঞ্জুর পরিচয় করিয়ে দিলাম ! বললাম ওরা সবাই কলকাতার দূর্গা পুজো দেখতে এসেছে ! একটু মুখটা গম্ভীর হলেও কোয়েলদের ব্যবহারে মঞ্জু ওদের সাথে মিশে গেলো ! আমি পিসির পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করা দেখে ওরা সবাই পিসিকে প্রণাম করলো ! পিসি সবার মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করলেন !
সবাই হই হই করে রিক্সাতে চেপে বসলাম ! রাস্তায় যাদের সাথেই দেখা হচ্ছে সবাই আমার কুশল জিজ্ঞাস্যা করছে ! দেখছে যে আমি এখনই আসছি তবুও একটাই প্রশ্ন " কবে এলি ? কতদিন থাকবি !" উত্তর দিতে দিতে আমার নাজেহাল অবস্থা ! বুঝি এটাই সকলের আমার প্রতি ভালোবাসা দেখানোর প্রতীক তবুও মাঝে মাঝে খুব বিরক্ত লাগে ! বাড়িতে আগেই আমি আমার বন্ধু বান্ধবী নিয়ে আসার কথা বলে দিয়েছিলাম ! তাই বাড়িতে কোনো অসুবিধা হবার কথা নয় !
বাড়ির গেটে আসতেই ঝর্ণা এক ছুঁটে ভিতরে গিয়ে চেল্লাতে লাগলো ! " দাদা এসে গেছে ! " মা আর বাবা দুজনেই বাইরে বেরিয়ে এলেন হাসি মুখে ! " সবাইকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন ! আমার বন্ধু বান্ধবীরা অভিভূত আমাদের অথিতি পরায়ণতা দেখে !
সবাই ঘরে ঢুকে বসে পড়লাম ! মা এসে বললেন রাজু আর সমীরকে বললেন তোমরা দুজন সুনন্দর সাথে এই ঘরেই থাকবে আর ওরা তিনজন মঞ্জু আর ঝর্ণার সাথে অন্য ঘরে থাকবে ! মেয়েরা হই হই করে উঠলো ! আমরা সবাই একসাথে থাকবো ! মা ওদের বোঝালেন একটা ঘরে এতজনের জায়গা হবে না তাই...
কেউ আর কোনো কথা বললো না ! প্রায় ১২টা বাজে ! আমি ওদের বললাম যে ওরা স্নান কোথায় করবে বাড়িতে না আমাদের সামনের নদীতে ! নদীর নাম শুনে সবাই নদীতে স্নান করার ইচ্ছা প্রকাশ করলো ! মঞ্জু আর ঝর্ণা সবার আগে ওদের রাস্তা দেখিয়ে নিয়ে চললো ! বেশ কিছুক্ষন নদীতে হৈ হুল্লোড় করার পর সবাই বাড়িতে এসে খেতে বসে পড়লাম ! ভাত মুগের ডাল আলু পোস্ত মাছের ঝাল ওরা বেশ তৃপ্তি করেই খেয়ে নিলো ! রাজু বললো " যাবার সময় ট্রেনের জন্য আলুপোস্ত আর ভাত প্যাক করে দিতে !"
মা হেসে ফেললো !
দুপুরে বাবা আমার পড়াশোনার কথা জিজ্ঞেস করলেন ! আমি বললাম সব ভালো চলছে ! বাবাকেই বললাম "ওদের দুর্গাপুজো কি ভাবে দেখাবো ? বাবা বললেন যে কানাই অ্যাম্বাসেডর গাড়ি কিনে ভাড়াটে খাটাচ্ছে ! ওকে বলে দিলেই হবে !
দুপুর বেলায় সবাই আমার ঘরে বসে আড্ডা দিতে শুরু করলাম ! মঞ্জু, কোয়েল, সুজাতা, হরপ্রীত আর ঝর্ণার কলকলানি কিছুতেই থামছে না ! দেখে মনেই হচ্ছে না ঝর্ণা আর মঞ্জুর সাথে এদের তিনজনের আজকেই পরিচয় হয়েছে !
বিকেল বেলাতে ওদের সবাইকে নিয়ে আমাদের ক্লাবে গেলাম ! ক্লাবের সবাই ওদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাল
কোয়েল তো বলেছিলো যে পঞ্চমী বলে কেউ যাবে ! এখানে তো পঞ্চমী বলে কাউকে দেখতে পাচ্ছিনা !
- কি রে কি রকম সারপ্রাইজ দিলাম বলতো ! রাজু আর সমীরের দিকে চোখ টিপে কোয়েল ইশারা করলো ! এ হচ্ছে হরপ্রীত ! আর এ হচ্ছে পঞ্চমী মানে সুজাতা ! সুজাতার ডাক নাম পঞ্চমী !
সুভাষ বাবু বললেন এখন থেকেই তোমাদের ব্রেকফাস্ট কিনে নাও ! রাস্তায় ট্রেনের প্যান্ট্রি থেকে দুপুরের আর রাতের খাবার কিনে নিও !
আমাদের চারজনের সিট্ একটা কূপের মধ্যেই ! শুধু হরপ্রীতের একদম শেষের দিকে ! সুভাষ বাবু ট্রেনে উঠে সবাইকে আমাদের সীটে বসিয়ে দিলেন ! বললেন হরপ্রীতের সিট্ যাতে তোমাদের সাথে হয় সে ব্যবস্থা করে আসি !
হরপ্রীত সুজাতা আর কোয়েল সমীর আর রাজুর পিছিনে পরে গেলো ! আমাদের সামনের সীটে এক ভদ্দরলোক এলে তাকে আমি রিকোয়েস্ট করলাম যদি উনি হরপ্রীতের সীটে নিজেকে এডজাস্ট করে নিতে পারেন ! ভদ্রলোক বললেন কোনো ব্যাপার নয় ! উনি হরপ্রীতের সিটে চলে গেলেন ! কিছুক্ষন পরেই সুভাষ বাবু একজন টিটিকে সঙ্গে নিয়ে এসে আমাদের দেখিয়ে দিলেন এবং হরপ্রীতের সিটের ব্যাপারে বললেন ! আমি বললাম আমরা সিট চেঞ্জ করে নিয়েছি ! হরপ্রীতের সিটে এক ভদ্রলোক কে পাঠিয়ে দিয়েছি !
- তাহলে তো প্রব্লেম সল্ভ হয়ে গেলো ! সুভাষ বাবু বললেন ! টিটি সাহেবের সাথে আগে নিজের মেয়ের পরিচয় করলেন তারপর আমাদের সবার সাথে ওনার মেয়ের বন্ধু হিসাবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বললেন যেন আমাদের প্রতি উনি খেয়াল রাখেন ! বিশেষ করে আমাদের খাওয়াদাওয়ার যেন কোনো প্রব্লেম না হয় ! টিটি সাহেব সুভাষ বাবুকে আশ্বস্ত করলে সুভাষ বাবু আমাদের সবাইকে সাবধানে যাবার সতর্কবাণী শুনিয়ে চলে গেলেন !
ট্রেন ছাড়তেই আমাদের হৈ হুল্লোড় শুরু হয়ে গেলো ! তিনটে মেয়েই পুরো কম্পার্টমেন্টকে মাতিয়ে রাখলো ! সাথে রাজু আর সমীর তো আছেই ! সাধারণত আমি চুপচাপ ছিলাম ! আমার মাথায় একটাই চিন্তা মঞ্জুকে কি করে বোঝাবো কোয়েল শুধুই আমার বন্ধু ! যাই হোক ! আমাদের আনন্দের মাঝেই কখন যে আমাদের সফরের তিনদিন পেরিয়ে গেলো আমরা বুঝতেই পারলাম না ! ওদেরকে নিয়ে সোজা আমাদের বাড়ির উদেশ্যে রওনা দিলাম ! স্টেশন থেকেই পিসির বাড়িতে ফোন করে দিয়েছিলাম মঞ্জুকে আমাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেবার জন্য !
হাওড়া স্টেশন থেকে লোকাল ট্রেনের টিকিট কেটে বর্ধমান লোকালে চেপে গেলাম ! ওদের বোঝালাম যে হাওড়া হলো কলকাতার একটি বড়ো স্টেশন ! এখানে দুটো বড়ো স্টেশন আছে ! একটা শিয়ালদহ আর অন্যটি হাওড়া ! এখন থেকে আমাদের বাড়ির দূরত্ব মাত্র ৫০ কিলোমিটার ! ওরা সবাই অবাক হয়ে হাওড়া স্টেশনের ভিড় দেখছিলো ! লক্ষ লক্ষ লোক কেমন ছুঁটে বেড়াচ্ছে ! এতো লোক ওরা আগে কোথাও এইভাবে ছুঁটতে দেখেনি ! ট্রেনে বসে ওরা আরও অবাক ! কারণ লোকাল ট্রেনে যাত্রীর থেকে হকার বেশি ! আমি ওদের কে বাংলার বেকার সমস্যার কথা বোঝালাম ! বললাম এই হকারি করেই কত লক্ষ লক্ষ লোকের সংসার চলে এখানে ! এটাও একটা প্রধান জীবিকা এখানে !
ঘন্টা খানেকের মধ্যেই আমরা আমাদের স্টেশনে নেমে পড়লাম ! দূর থেকে দেখি পিসি আর মঞ্জুও অন্য কম্পার্টমেন্ট থেকে নামছে ! আমি মঞ্জুর নাম ধরে চিৎকার করতেই মঞ্জু ছুঁটে আমাদের কাছে চলে আসলো ! কিন্তু আমার সাথে দুইজন অপিরিচিত যুবক আর তিনজন যুবতীকে দেখে থমকে দাঁড়িয়ে পড়লো ! আমি সবার সাথে মঞ্জুর পরিচয় করিয়ে দিলাম ! বললাম ওরা সবাই কলকাতার দূর্গা পুজো দেখতে এসেছে ! একটু মুখটা গম্ভীর হলেও কোয়েলদের ব্যবহারে মঞ্জু ওদের সাথে মিশে গেলো ! আমি পিসির পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করা দেখে ওরা সবাই পিসিকে প্রণাম করলো ! পিসি সবার মাথায় হাত দিয়ে আশীর্বাদ করলেন !
সবাই হই হই করে রিক্সাতে চেপে বসলাম ! রাস্তায় যাদের সাথেই দেখা হচ্ছে সবাই আমার কুশল জিজ্ঞাস্যা করছে ! দেখছে যে আমি এখনই আসছি তবুও একটাই প্রশ্ন " কবে এলি ? কতদিন থাকবি !" উত্তর দিতে দিতে আমার নাজেহাল অবস্থা ! বুঝি এটাই সকলের আমার প্রতি ভালোবাসা দেখানোর প্রতীক তবুও মাঝে মাঝে খুব বিরক্ত লাগে ! বাড়িতে আগেই আমি আমার বন্ধু বান্ধবী নিয়ে আসার কথা বলে দিয়েছিলাম ! তাই বাড়িতে কোনো অসুবিধা হবার কথা নয় !
বাড়ির গেটে আসতেই ঝর্ণা এক ছুঁটে ভিতরে গিয়ে চেল্লাতে লাগলো ! " দাদা এসে গেছে ! " মা আর বাবা দুজনেই বাইরে বেরিয়ে এলেন হাসি মুখে ! " সবাইকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন ! আমার বন্ধু বান্ধবীরা অভিভূত আমাদের অথিতি পরায়ণতা দেখে !
সবাই ঘরে ঢুকে বসে পড়লাম ! মা এসে বললেন রাজু আর সমীরকে বললেন তোমরা দুজন সুনন্দর সাথে এই ঘরেই থাকবে আর ওরা তিনজন মঞ্জু আর ঝর্ণার সাথে অন্য ঘরে থাকবে ! মেয়েরা হই হই করে উঠলো ! আমরা সবাই একসাথে থাকবো ! মা ওদের বোঝালেন একটা ঘরে এতজনের জায়গা হবে না তাই...
কেউ আর কোনো কথা বললো না ! প্রায় ১২টা বাজে ! আমি ওদের বললাম যে ওরা স্নান কোথায় করবে বাড়িতে না আমাদের সামনের নদীতে ! নদীর নাম শুনে সবাই নদীতে স্নান করার ইচ্ছা প্রকাশ করলো ! মঞ্জু আর ঝর্ণা সবার আগে ওদের রাস্তা দেখিয়ে নিয়ে চললো ! বেশ কিছুক্ষন নদীতে হৈ হুল্লোড় করার পর সবাই বাড়িতে এসে খেতে বসে পড়লাম ! ভাত মুগের ডাল আলু পোস্ত মাছের ঝাল ওরা বেশ তৃপ্তি করেই খেয়ে নিলো ! রাজু বললো " যাবার সময় ট্রেনের জন্য আলুপোস্ত আর ভাত প্যাক করে দিতে !"
মা হেসে ফেললো !
দুপুরে বাবা আমার পড়াশোনার কথা জিজ্ঞেস করলেন ! আমি বললাম সব ভালো চলছে ! বাবাকেই বললাম "ওদের দুর্গাপুজো কি ভাবে দেখাবো ? বাবা বললেন যে কানাই অ্যাম্বাসেডর গাড়ি কিনে ভাড়াটে খাটাচ্ছে ! ওকে বলে দিলেই হবে !
দুপুর বেলায় সবাই আমার ঘরে বসে আড্ডা দিতে শুরু করলাম ! মঞ্জু, কোয়েল, সুজাতা, হরপ্রীত আর ঝর্ণার কলকলানি কিছুতেই থামছে না ! দেখে মনেই হচ্ছে না ঝর্ণা আর মঞ্জুর সাথে এদের তিনজনের আজকেই পরিচয় হয়েছে !
বিকেল বেলাতে ওদের সবাইকে নিয়ে আমাদের ক্লাবে গেলাম ! ক্লাবের সবাই ওদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাল