13-11-2020, 02:43 PM
বছর কয়েক আগের কথা। বছর ঘুরে মা আসছেন আমাদের ঘরে। তা, দক্ষিন কলকাতার একটি বিখ্যাত ক্লাবের পুজোর সেবারের থিম ছিল হাজার হাতের মা দুর্গা। সেই পুজোটি ছিল আমার ভূতপূর্ব অফিসের খুব কাছে। প্রাণান্তকর ভিড় ঠেলে বাড়ি ফিরছি, হঠাৎ শুনি একজন মাঝবয়সী ভদ্রমহিলা যানজটের মধ্যে অটোয় বসে বসে বিরক্ত হয়ে বললেন "হাজার হাতের মা তো আমাদের শিবপুরেই আছে বাপু...সারাবছর পুজো হয়...জাগ্রত মা আমাদের! সেখানে না গিয়ে এখানে এত ভিড়...যত্ত হুজুগ!"
সেদিন ওনার থেকে মোটামুটি শুনেছিলাম লোকেশান টা। তারপর, ভাগ্য...এখন আমার বাসস্থান এই শিবপুরের কাছেই। তাই অনেকদিন ধরেই ভেবেছিলাম একবার মায়ের দর্শন করে আসব। আমার এক দাদাকে জিজ্ঞেস করে জেনেও নিয়েছিলাম আসল জায়গাটা। তারপর... ওই আমি যা করি আর কি...হুউউউউউশ করে চলে গেলাম একদিন...মায়ের কাছে!
বিদ্যাসাগর সেতু পেরিয়ে মন্দিরতলা। সেখান থেকে টোটো করে যাওয়া যায় এই মন্দিরে। টোটো -দাদাদের বললেই নিয়ে আসবে... আর জায়গাটির পোষাকি নাম ওলাবিবি তলা। মাত্র দশ টাকা ভাড়া, মন্দিরতলা থেকে এখানে।
বাইরে থেকে ছাপোষা, আটপৌরে মন্দির। লাল রং করা। প্রবেশ করার পরে বজরংবলির ছোট্ট মন্দির আছে। আর আছেন মা স্বয়ং।
এখনকার এই নিউ নর্ম্যাল পরিস্থিতির জন্য একটু দূর থেকে দর্শন করতে হচ্ছে মা কে। কিন্তু কী অপরূপ শোভা মায়ের! আহা! বড্ড ভালো লাগল দেখে!
পরিবারের এক সদস্যের কাছ থেকে শুনলাম, এই পরিবারের এক পূর্বপুরুষ নিমতলা শ্মশানঘাটে সাধন -ভজন করতেন। সেখানেই স্বপ্নাদেশ পান মায়ের। এই হাজার হাত বিশিষ্ট রূপে মহিষাসুরকে দেখা দিয়েছিলেন মা। সেইরূপেই এবং ঘরের মেয়ের মতো পূজিতা হন মা এখানে। এখানে মা কে আমিষভোগ দেওয়া হয়।
বেশ খানিকক্ষণ মুগ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে ফিরলাম বাড়ি। বারবার মনে হচ্ছিল... সময় আর পরিস্থিতি আমাকে আজন্মের পরিচিত জায়গা থেকে অনেক দূরে এনে রেখেছে... কিন্তু.. খারাপ নেই আমি...ভালোই তো আছি! সুস্থ আছি...নিজের লোকের সাথে আছি...
এই যে অপার শান্তি... নিজের লোকের সাথে থাকা... এই যে খুব আপনার একটা ব্যাপার...এই তো, এইইই তো আসলে আমাদের কলকাতার জাদুমন্ত্র...যার প্রধান উপাচার...ভালোবাসা
সেদিন ওনার থেকে মোটামুটি শুনেছিলাম লোকেশান টা। তারপর, ভাগ্য...এখন আমার বাসস্থান এই শিবপুরের কাছেই। তাই অনেকদিন ধরেই ভেবেছিলাম একবার মায়ের দর্শন করে আসব। আমার এক দাদাকে জিজ্ঞেস করে জেনেও নিয়েছিলাম আসল জায়গাটা। তারপর... ওই আমি যা করি আর কি...হুউউউউউশ করে চলে গেলাম একদিন...মায়ের কাছে!
বিদ্যাসাগর সেতু পেরিয়ে মন্দিরতলা। সেখান থেকে টোটো করে যাওয়া যায় এই মন্দিরে। টোটো -দাদাদের বললেই নিয়ে আসবে... আর জায়গাটির পোষাকি নাম ওলাবিবি তলা। মাত্র দশ টাকা ভাড়া, মন্দিরতলা থেকে এখানে।
বাইরে থেকে ছাপোষা, আটপৌরে মন্দির। লাল রং করা। প্রবেশ করার পরে বজরংবলির ছোট্ট মন্দির আছে। আর আছেন মা স্বয়ং।
এখনকার এই নিউ নর্ম্যাল পরিস্থিতির জন্য একটু দূর থেকে দর্শন করতে হচ্ছে মা কে। কিন্তু কী অপরূপ শোভা মায়ের! আহা! বড্ড ভালো লাগল দেখে!
পরিবারের এক সদস্যের কাছ থেকে শুনলাম, এই পরিবারের এক পূর্বপুরুষ নিমতলা শ্মশানঘাটে সাধন -ভজন করতেন। সেখানেই স্বপ্নাদেশ পান মায়ের। এই হাজার হাত বিশিষ্ট রূপে মহিষাসুরকে দেখা দিয়েছিলেন মা। সেইরূপেই এবং ঘরের মেয়ের মতো পূজিতা হন মা এখানে। এখানে মা কে আমিষভোগ দেওয়া হয়।
বেশ খানিকক্ষণ মুগ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে ফিরলাম বাড়ি। বারবার মনে হচ্ছিল... সময় আর পরিস্থিতি আমাকে আজন্মের পরিচিত জায়গা থেকে অনেক দূরে এনে রেখেছে... কিন্তু.. খারাপ নেই আমি...ভালোই তো আছি! সুস্থ আছি...নিজের লোকের সাথে আছি...
এই যে অপার শান্তি... নিজের লোকের সাথে থাকা... এই যে খুব আপনার একটা ব্যাপার...এই তো, এইইই তো আসলে আমাদের কলকাতার জাদুমন্ত্র...যার প্রধান উপাচার...ভালোবাসা