12-11-2020, 12:24 PM
(This post was last modified: 12-11-2020, 12:25 PM by ddey333. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
সেদিন খুব মজা করলাম ! প্রথমে সকালেই বেরিয়ে গেলাম ! গেট ওয়ে অফ ইন্ডিয়া তে ! সেখান থেকে লঞ্চ করে সমুদ্রের বুকে ভেসে পড়লাম ! অনেক ছোট বড় জাহাজ ভেসে চলেছে সমুদ্রের বুকে ! লাহিড়ীদা আর বিজয় জয়সাওয়াল নিজেদের ব্যাগ থেকে ক্যামেরা বের করে ফটো তুলতে লাগলো ! প্রায় ১ ঘন্টার সুমদ্র সফরে পৌঁছলাম এলিফ্যান্টা কেভ ! মাঝ সমুদ্রে একটা দ্বীপ ! তাতে পুরানো ভাস্কর্যের মন্দির ! বিরাট বোরো দ্বীপটা ! প্রায় ১০০০ টা সিঁড়ি পেরিয়ে উঠে এলাম মন্দির চত্বরে ! বিরাট পুরানো মন্দির সমস্তটাই কালো পাথরে বানানো ! গাইডের কাছে শুনলাম যে এটি একটি প্রাচীন শিব মন্দির ! পুরানের সময়কার ! এই মন্দির টি নাকি রাবনের নিজের হাতে বানানো ! যদিও আমরা মন্দিরে কোনো শিব মূর্তি বা অন্য কোনো মূর্তির দেখা পেলাম না ! কারণ জিজ্ঞাসা করলে জানতে পারলাম যে ইংরেজরা এই মন্দিরের সব সম্পদ লুঠ করে মূর্তিগুলোও নিয়ে চলে গেছে ! এলিফ্যান্টা কেভ এই অনেক রেস্টুরেন্ট ও বার রয়েছে ! যে যার মতো ঘুরছে ! কিন্তু কমলদা আর লাহিড়ীদার নজর বার বার সেই বারগুলোর দিকে চলে যাচ্ছে ! বুঝলাম এখন ওদের মাল খাবার ইচ্ছা হয়েছে ! এখনো প্রচুর সময় রয়েছে হাতে ! সাড়ে চারটের সময় আমাদের লঞ্চ আসবে আমাদের নিতে ! ততক্ষন সম্পূর্ণ দ্বীপটা ঘোরার জন্য যথেষ্ট ! তৃপ্তিদিকে একটু ক্লান্ত লাগছে ! একে তো এক হাজার সিঁড়ি ছোড়ে ওঠা তার উপর পুরো মন্দিরটা ঘুরে ঘুরে দেখা ! একটা পাথরের উপর তৃপ্তিদি বসে পড়লেন ! আমি তাড়াতাড়ি পাশের দোকান থেকে একটা জলের বোতল কিনে তৃপ্তিদির হাতে ধরিয়ে দিলাম ! খুব তেষ্টা পেয়েছিলো তৃপ্তিদির ! জলের বোতল খুলে চুমুক দিতে না দিতেই কথা থেকে একটা বাঁদর ছুটে এসে তৃপ্তিদির মুখ থেকে জলের বোতলটা ছিনিয়ে নিয়ে তড়াক করে একটা গাছের উপরে বসে পিছনের পা দিয়ে জলের বোতলটাকে উঁচু করে ধরে ঠিক মানুষের মতোই জল খেতে লাগলো ! লাহিড়ীদা ফটাফট ছবি তুলে নিলেন ! সমস্ত লোকেরা এই দৃশ্য দেখে হাসতে শুরু করে দিলো ! তৃপ্তিদি বললেন "আহা রে খুব জল তেষ্টা পেয়েছিলো ! তাই কেড়ে নিয়ে কেমন সব জলটাই শেষ করে দিলো ! হয়ত খিদেও পেয়েছে বেচারার !"
আর বেচারা ! এবার অঞ্জলিদির ভ্যানিটি ব্যাগ গাছের উপর ! সেটা অন্য একটি বাঁদরের কর্ম ! অঞ্জলিদি হৈ হৈ করে উঠলো ! ভালো করে তাকিয়ে দেখি প্রায় ১০০ /১৫০ বাঁদর ঘুরে বেড়াচ্ছে ! অঞ্জলিদি ব্যাগ নেবার আশায় গাছের দিকে তাকিয়ে লাফাচ্ছে !
যে দোকান থেকে জল নিয়েছিলাম সেই লোকটি বললেন পাউরুটি নিয়ে ওর দিকে ছুঁড়তে ! যেমন বলা তেমনি কাজ ! একটা পাউরুটির পিস্ ছুঁড়তেই ব্যাগ ছেড়ে সে রুটির পিস্ ধরার জন্য লাফালো ! অঞ্জলিদি ব্যাগ ফেরত পেয়ে খুব খুশি ! তিনিও গাছের উপরে বসে পাউরুটি খেতে খেতে মুখ ভ্যাংচাতে লাগলো ! ধীরে ধীরে সব বাঁদর গুলো আমাদের ঘিরে দাঁড়ালো ! দোকানদার বললেন "ভয় পাবেন না ! সবাইকে দুটো করে পাউরুটির পিস্ দিন ! সবাই খেয়ে চলে যাবে !"
ওনার কথা মতো সমস্ত বাঁদরগুলোকে পাউরুটি দিতে শুরু করলাম ! কেউ তো আবার আমার হাত থেকে পাউরুটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেলো ! তিন প্যাকেট পাউরুটি শেষ করা পর দেখলাম আসে পাশে আর কেউই নেই !
সবাই মিলে একটা বার কাম রেস্টুরেন্টে বসে পড়লাম দুপুরের লাঞ্চ করার জন্য ! লাহিড়ীদা, কমলদা,ঘোষদা, মাহেন্দ্রা সিং, জয়সোয়াল সাহেব অর্জুন, কৈলাশ আর আমি বিয়ার খেতে শুরু করলাম ! বাকি সবাই নিজের পছন্দ মতো খাবারের অর্ডার করে দিলো ! বিয়ার এর সাথেই চললো এখানকার বাঁদরের গল্প ! বিয়ারের সাথে আমরা কিছু ফিশফ্রাই নিয়েছিলাম ! পেট তাতেই ভোরে গেলো ! খাওয়া দাওয়া সেরে আমরা লঞ্চঘাটে উপস্থিত হলাম তখন সাড়ে তিনটে বাজে ! একটা লঞ্চ দাঁড়িয়ে আছে ! আমাদের ডাকতে লাগলো ! লাহিড়ীদা বললেন যে আমরা অন্য লঞ্চে এসেছি ! তাতেই ফিরে যাবো ! লোকটি বললো সেটা আস্তে অনেক দেরি আছে ! এতেই চলে আসুন ! কোনো পয়সা লাগবে না ! আপনারা যে টিকিট কেটেছেন তাতেই হবে !
সবাই হৈ হৈ করে লঞ্চে উঠে পড়লাম ! আবার সমুদ্রের যাত্রা ! হালকা হালকা বৃষ্টি পড়তে শুরু করেছে ! সুমুদ্রের মাঝে বৃষ্টি দেখার সৌভাগ্য আমাদের প্রথম হলো !
গেট ওয়ে অফ ইন্ডিয়াতে এসে আমরা হোটেলের দিকে ফিরে চললাম !
হোটেলে ফিরে সবাই বেশ ক্লান্ত ছিল তাই গা এলিয়ে দিলো ! ঘুমিয়ে পড়েছিলাম ! কমলদা ডাকলেন ! এই সুনন্দ ওঠ ! সন্ধ্যে হয়ে গেছে ! চোখ খুলে দেখি সত্যিই সন্ধ্যে হয়ে গেছে ! হোটেলের বেয়ারা চা দিয়ে গেছে ! নিশ্চই কেউ অর্ডার করে ছিল ! চা খেয়ে নিলাম ! লাহিড়ীদাকে জিজ্ঞাসা করলাম রাতের খাবারের প্রোগ্রাম কি ?
উনি বললেন আমাদের হোটেলের পাশেই সিভিল রেস্টুরেন্ট আছে সেখানেই খাওয়া হবে !
কমলদা বললেন আমাদের রাতের জোগাড়?
মাহেন্দ্রা সিং বললেন "আমাদের হোটেলের পিছনেই একটা বার আছে ! সেখানেই সব পাওয়া যাবে !"
- কিন্তু বারে মাল খাওয়া তো এক্সপেন্সিভ পরবে ? লাহিড়ীদা বললেন !
- না না ! শেষ বারে আমি যখন এসেছিলাম তখন ওদের ওখানেই খেয়েছিলাম ! শুধু মদ আর খাবা ওদের থেকেই কিনে খেতে হবে !
- তাহলে তো ভালোই হলো ! এখানে ঝামেলা করার কোনো প্রয়োজন নেই !
- একটা ঝামেলা আছে ! এখানে মদ খাবার জন্য লাইসেন্স করতে হয় ! সেটা এখুনি করিয়ে নেওয়া ভালো !
- এই সন্ধ্যেবেলায় কোথায় লাইসেন্স করবেন ?
- এখানে মোদের দোকানে ২৫ টাকা দিলে সঙ্গে সঙ্গে লাইসেন্স বানিয়ে দেয় ! বিনা লাইসেন্সে মদ খেয়ে ধরা পড়লে ৫০০ টাকা জরিমানা হতে পারে !
একটা নতুন নিয়ম শুনলাম এবং জানলাম ! সবাই মিলে কাছের মোদের দোকানে গিয়ে লাইসেন্স বানিয়ে নিলাম ! একটি কাগজ যাতে লেখা আছে সবাই প্রাপ্তবয়স্ক এবং মদ খাবার পারমিশনসরকার দিয়েছে ! এটাই লাইসেন্স !
সন্ধ্যে বেলায় নিজাদ সাহেবের উপর দায়িত্ব দেওয়া হলো যে সমস্ত মেয়েদের ঠিক সময়ে নিয়ে গিয়ে সিভিল রেস্টুরেন্ট থেকে যেন ডিনার করিয়ে আনেন ! নিজাদ সাহেব সম্মতি জানালেন ! ওনার আবার সব জায়গায় খাবার খাওয়ার সমস্যা আছে ! কিন্তু এই রেস্টুরেন্টে নেই কারণ এখানকার মালিক একজন '. ! আর আমাদের কোথাও খেতে কোনো অসুবিধা নেই !
বাড়ে গিয়ে দেখি বেশ ভালোই ভিড় আছে ! আমাদের টীম কে দেখে বারের মালিক আমাদের নিয়ে প্রথম তোলে নিয়ে এলেন ! সেখানে এসি হল আর একটা বিরাট টেবিল পাতা ! আমাদের ভালোই লাগলো !
আর বেচারা ! এবার অঞ্জলিদির ভ্যানিটি ব্যাগ গাছের উপর ! সেটা অন্য একটি বাঁদরের কর্ম ! অঞ্জলিদি হৈ হৈ করে উঠলো ! ভালো করে তাকিয়ে দেখি প্রায় ১০০ /১৫০ বাঁদর ঘুরে বেড়াচ্ছে ! অঞ্জলিদি ব্যাগ নেবার আশায় গাছের দিকে তাকিয়ে লাফাচ্ছে !
যে দোকান থেকে জল নিয়েছিলাম সেই লোকটি বললেন পাউরুটি নিয়ে ওর দিকে ছুঁড়তে ! যেমন বলা তেমনি কাজ ! একটা পাউরুটির পিস্ ছুঁড়তেই ব্যাগ ছেড়ে সে রুটির পিস্ ধরার জন্য লাফালো ! অঞ্জলিদি ব্যাগ ফেরত পেয়ে খুব খুশি ! তিনিও গাছের উপরে বসে পাউরুটি খেতে খেতে মুখ ভ্যাংচাতে লাগলো ! ধীরে ধীরে সব বাঁদর গুলো আমাদের ঘিরে দাঁড়ালো ! দোকানদার বললেন "ভয় পাবেন না ! সবাইকে দুটো করে পাউরুটির পিস্ দিন ! সবাই খেয়ে চলে যাবে !"
ওনার কথা মতো সমস্ত বাঁদরগুলোকে পাউরুটি দিতে শুরু করলাম ! কেউ তো আবার আমার হাত থেকে পাউরুটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে গেলো ! তিন প্যাকেট পাউরুটি শেষ করা পর দেখলাম আসে পাশে আর কেউই নেই !
সবাই মিলে একটা বার কাম রেস্টুরেন্টে বসে পড়লাম দুপুরের লাঞ্চ করার জন্য ! লাহিড়ীদা, কমলদা,ঘোষদা, মাহেন্দ্রা সিং, জয়সোয়াল সাহেব অর্জুন, কৈলাশ আর আমি বিয়ার খেতে শুরু করলাম ! বাকি সবাই নিজের পছন্দ মতো খাবারের অর্ডার করে দিলো ! বিয়ার এর সাথেই চললো এখানকার বাঁদরের গল্প ! বিয়ারের সাথে আমরা কিছু ফিশফ্রাই নিয়েছিলাম ! পেট তাতেই ভোরে গেলো ! খাওয়া দাওয়া সেরে আমরা লঞ্চঘাটে উপস্থিত হলাম তখন সাড়ে তিনটে বাজে ! একটা লঞ্চ দাঁড়িয়ে আছে ! আমাদের ডাকতে লাগলো ! লাহিড়ীদা বললেন যে আমরা অন্য লঞ্চে এসেছি ! তাতেই ফিরে যাবো ! লোকটি বললো সেটা আস্তে অনেক দেরি আছে ! এতেই চলে আসুন ! কোনো পয়সা লাগবে না ! আপনারা যে টিকিট কেটেছেন তাতেই হবে !
সবাই হৈ হৈ করে লঞ্চে উঠে পড়লাম ! আবার সমুদ্রের যাত্রা ! হালকা হালকা বৃষ্টি পড়তে শুরু করেছে ! সুমুদ্রের মাঝে বৃষ্টি দেখার সৌভাগ্য আমাদের প্রথম হলো !
গেট ওয়ে অফ ইন্ডিয়াতে এসে আমরা হোটেলের দিকে ফিরে চললাম !
হোটেলে ফিরে সবাই বেশ ক্লান্ত ছিল তাই গা এলিয়ে দিলো ! ঘুমিয়ে পড়েছিলাম ! কমলদা ডাকলেন ! এই সুনন্দ ওঠ ! সন্ধ্যে হয়ে গেছে ! চোখ খুলে দেখি সত্যিই সন্ধ্যে হয়ে গেছে ! হোটেলের বেয়ারা চা দিয়ে গেছে ! নিশ্চই কেউ অর্ডার করে ছিল ! চা খেয়ে নিলাম ! লাহিড়ীদাকে জিজ্ঞাসা করলাম রাতের খাবারের প্রোগ্রাম কি ?
উনি বললেন আমাদের হোটেলের পাশেই সিভিল রেস্টুরেন্ট আছে সেখানেই খাওয়া হবে !
কমলদা বললেন আমাদের রাতের জোগাড়?
মাহেন্দ্রা সিং বললেন "আমাদের হোটেলের পিছনেই একটা বার আছে ! সেখানেই সব পাওয়া যাবে !"
- কিন্তু বারে মাল খাওয়া তো এক্সপেন্সিভ পরবে ? লাহিড়ীদা বললেন !
- না না ! শেষ বারে আমি যখন এসেছিলাম তখন ওদের ওখানেই খেয়েছিলাম ! শুধু মদ আর খাবা ওদের থেকেই কিনে খেতে হবে !
- তাহলে তো ভালোই হলো ! এখানে ঝামেলা করার কোনো প্রয়োজন নেই !
- একটা ঝামেলা আছে ! এখানে মদ খাবার জন্য লাইসেন্স করতে হয় ! সেটা এখুনি করিয়ে নেওয়া ভালো !
- এই সন্ধ্যেবেলায় কোথায় লাইসেন্স করবেন ?
- এখানে মোদের দোকানে ২৫ টাকা দিলে সঙ্গে সঙ্গে লাইসেন্স বানিয়ে দেয় ! বিনা লাইসেন্সে মদ খেয়ে ধরা পড়লে ৫০০ টাকা জরিমানা হতে পারে !
একটা নতুন নিয়ম শুনলাম এবং জানলাম ! সবাই মিলে কাছের মোদের দোকানে গিয়ে লাইসেন্স বানিয়ে নিলাম ! একটি কাগজ যাতে লেখা আছে সবাই প্রাপ্তবয়স্ক এবং মদ খাবার পারমিশনসরকার দিয়েছে ! এটাই লাইসেন্স !
সন্ধ্যে বেলায় নিজাদ সাহেবের উপর দায়িত্ব দেওয়া হলো যে সমস্ত মেয়েদের ঠিক সময়ে নিয়ে গিয়ে সিভিল রেস্টুরেন্ট থেকে যেন ডিনার করিয়ে আনেন ! নিজাদ সাহেব সম্মতি জানালেন ! ওনার আবার সব জায়গায় খাবার খাওয়ার সমস্যা আছে ! কিন্তু এই রেস্টুরেন্টে নেই কারণ এখানকার মালিক একজন '. ! আর আমাদের কোথাও খেতে কোনো অসুবিধা নেই !
বাড়ে গিয়ে দেখি বেশ ভালোই ভিড় আছে ! আমাদের টীম কে দেখে বারের মালিক আমাদের নিয়ে প্রথম তোলে নিয়ে এলেন ! সেখানে এসি হল আর একটা বিরাট টেবিল পাতা ! আমাদের ভালোই লাগলো !