03-11-2020, 11:49 AM
(This post was last modified: 03-11-2020, 11:49 AM by ddey333. Edited 1 time in total. Edited 1 time in total.)
-- ও বুড়ো , তুই কাঁদিস কেন ?
ছেলে খোঁজ নেয় না ?
ভালোই করে , তুই-ই তো শিখিয়েছিলি একদিন , মনে নেই তোর ? যখনই কোথাও যেতিস , বইতে দিস নি ব্যাগ কখনও ছেলেকে । বাসে দাঁড়িয়ে থাকা বৃদ্ধাকে বসতে দেয় নি তোর ছেলে তোর সামনে যখন সে কলেজে পড়ছিল , তখন তো গর্ব হতো তোর , ভাবতিস , শুধু তোর ছেলে সোনার টুকরো !
--- ও বুড়ি , তুই কাঁদছিস কেন ?
ছেলে বুঝি খেতে দেয় না ?
ভালোই তো করে , শিখিয়েছিলি তো তুই-ই একদিন , মনে পড়ে আজ ? খাওয়ার পাতে বেছে বেছে ভালোটা দিতিস , নিজে খারাপটা খেয়ে , কম খেয়ে , কখনও না খেয়ে মহান সাজতিস । অতিথি বাড়িতে আসলে ছেলের খাবারটা লুকিয়ে রাখতিস , পাছে অন্য কাউকে ভাগ দিতে হয় । বলতিস , এতো লেখাপড়া করে , ভালো না খেলে চলবে ? তখন তো গর্বে বুক ভরে উঠতো , ভাবতিস , শুধু তোর ছেলেই হীরের টুকরো !
ভালোবাসা , স্নেহ , মমতা দেখাতে গিয়ে পঙ্গু করেছিস তোরা একটা প্রজন্মকে । বাছাই করা ভালো খাবার খাইয়ে স্বার্থপর করে তুলেছিস তোরা সহজ সরল শিশুদের , শিক্ষক-গুরুজনের সমালোচনা করে অসম্মান করতে শিখিয়েছিস তোরা , মানুষের কষ্টের কথা ওদের থেকে লুকিয়ে আবেগহীন , মমতাহীন বানিয়েছিস ওদেরকে তোরা , ছেলের জন্যে কত কষ্ট করেছিস সে সব গল্পের ছলে না বলে ওদেরকে বেইমান বানিয়েছিস তোরা ।
তবে কেন আজ আফশোস করিস ? কেন কষ্ট পাস ? কেন বৃদ্ধাশ্রম দেখে ভয় পাস ? সারাজীবন শ্রেষ্ঠ মা-বাবা হওয়ার প্রমাণ দেখিয়েছিস সবাইকে । একবারও ভাবিস নি , ঘষে-মেজে চক চক করতে গিয়ে আসল জিনিসটাই ক্ষয় করে ফেলেছিস ।
শ্রেষ্ঠ বাবা-মা নয় , সাধারণ হয়েই থাক তোরা ; এক টুকরো খাবার সবাই ভাগ করে খাওয়া , ব্যাগ নিজে বয়ে নিয়ে যাওয়া , সন্তানকে সাথে করে বাজার-হাটে নিয়ে যাওয়া , বড়দের শ্রদ্ধা করা , যার কাছ থেকে যতটুকু পেয়েছে , তার কাছে কৃতজ্ঞ থাকা , প্রকৃতির সাথে পরিচয় করে দেওয়া , সহজ সরল জীবন যাপন করা -- এটাই তো জীবন ।
নাই বা হলি বেস্ট বাবা -মা , সন্তান হোক বেস্ট , রোজগারে নয় , বেস্ট হোক ব্যবহারে , বেস্ট হোক ভদ্রতায় , সভ্যতায় , ভালোবাসায় , সততায় , পরম্পরায় ।
সার্থক হোক মা-বাবার জীবন ..... ওরা যেন কখনও আপন সন্তানের কাছে বোঝা হয়ে না ওঠে .... সন্তান হয়ে উঠুক বাবা-মায়ের শেষ বয়সের অবলম্বন ।
ছেলে খোঁজ নেয় না ?
ভালোই করে , তুই-ই তো শিখিয়েছিলি একদিন , মনে নেই তোর ? যখনই কোথাও যেতিস , বইতে দিস নি ব্যাগ কখনও ছেলেকে । বাসে দাঁড়িয়ে থাকা বৃদ্ধাকে বসতে দেয় নি তোর ছেলে তোর সামনে যখন সে কলেজে পড়ছিল , তখন তো গর্ব হতো তোর , ভাবতিস , শুধু তোর ছেলে সোনার টুকরো !
--- ও বুড়ি , তুই কাঁদছিস কেন ?
ছেলে বুঝি খেতে দেয় না ?
ভালোই তো করে , শিখিয়েছিলি তো তুই-ই একদিন , মনে পড়ে আজ ? খাওয়ার পাতে বেছে বেছে ভালোটা দিতিস , নিজে খারাপটা খেয়ে , কম খেয়ে , কখনও না খেয়ে মহান সাজতিস । অতিথি বাড়িতে আসলে ছেলের খাবারটা লুকিয়ে রাখতিস , পাছে অন্য কাউকে ভাগ দিতে হয় । বলতিস , এতো লেখাপড়া করে , ভালো না খেলে চলবে ? তখন তো গর্বে বুক ভরে উঠতো , ভাবতিস , শুধু তোর ছেলেই হীরের টুকরো !
ভালোবাসা , স্নেহ , মমতা দেখাতে গিয়ে পঙ্গু করেছিস তোরা একটা প্রজন্মকে । বাছাই করা ভালো খাবার খাইয়ে স্বার্থপর করে তুলেছিস তোরা সহজ সরল শিশুদের , শিক্ষক-গুরুজনের সমালোচনা করে অসম্মান করতে শিখিয়েছিস তোরা , মানুষের কষ্টের কথা ওদের থেকে লুকিয়ে আবেগহীন , মমতাহীন বানিয়েছিস ওদেরকে তোরা , ছেলের জন্যে কত কষ্ট করেছিস সে সব গল্পের ছলে না বলে ওদেরকে বেইমান বানিয়েছিস তোরা ।
তবে কেন আজ আফশোস করিস ? কেন কষ্ট পাস ? কেন বৃদ্ধাশ্রম দেখে ভয় পাস ? সারাজীবন শ্রেষ্ঠ মা-বাবা হওয়ার প্রমাণ দেখিয়েছিস সবাইকে । একবারও ভাবিস নি , ঘষে-মেজে চক চক করতে গিয়ে আসল জিনিসটাই ক্ষয় করে ফেলেছিস ।
শ্রেষ্ঠ বাবা-মা নয় , সাধারণ হয়েই থাক তোরা ; এক টুকরো খাবার সবাই ভাগ করে খাওয়া , ব্যাগ নিজে বয়ে নিয়ে যাওয়া , সন্তানকে সাথে করে বাজার-হাটে নিয়ে যাওয়া , বড়দের শ্রদ্ধা করা , যার কাছ থেকে যতটুকু পেয়েছে , তার কাছে কৃতজ্ঞ থাকা , প্রকৃতির সাথে পরিচয় করে দেওয়া , সহজ সরল জীবন যাপন করা -- এটাই তো জীবন ।
নাই বা হলি বেস্ট বাবা -মা , সন্তান হোক বেস্ট , রোজগারে নয় , বেস্ট হোক ব্যবহারে , বেস্ট হোক ভদ্রতায় , সভ্যতায় , ভালোবাসায় , সততায় , পরম্পরায় ।
সার্থক হোক মা-বাবার জীবন ..... ওরা যেন কখনও আপন সন্তানের কাছে বোঝা হয়ে না ওঠে .... সন্তান হয়ে উঠুক বাবা-মায়ের শেষ বয়সের অবলম্বন ।