08-10-2020, 11:19 PM
অনুপমা, দেবায়নের হাত নিজের হাতের মধ্যে ধরে আলতো করে নিস্তেজ হাতের মধ্যে হাতে বুলাতে বুলাতে কাতর কণ্ঠে কেঁদে ওঠে, “পুচ্চু, তুই আমাকে ছেড়ে যেতে পারিস না…..” বারেবারে বলতে বলতে শেষ পর্যন্ত বিছানায় উঠে ওর বুকের ওপরে আছড়ে পড়ে। বুকের মধ্যে মাথা গুঁজে ডুকরে কেঁদে ওঠে, “পুচ্চু প্লিস সোনা একবার চোখ খোল…..” বুকের ওপরে কান চেপে অতি ধীরে চলা হৃদপিণ্ডের ধ্বনি একমনে শোনে, হুপ হুপ হুপ হুপ….. ভয় হয় যদি এই শব্দ থেমে যায়।
কতক্ষণ ওইভাবে দেবায়নের বুকের ওপরে মাথা গুঁজে একমনে ওর হৃদয়ের ডাক শুনছিল সঠিক মনে নেই অনুপমার। তবে হটাত দেবায়নের হৃদয়ের ধ্বনি বেড়ে যাওয়াতে ওর সম্বিত ফেরে, সেই সাথে একটা যান্ত্রিক টিঁ টিঁ টিঁ আওয়াজে বেজে। হৃদয়ের ধুকপুকানির শব্দ বেড়ে উঠতেই অনুপমা সতর্ক হয়ে দেবায়নের বুক থেকে উঠে ওর মুখের দিকে তাকায়। বন্ধ চোখের পাতা ঝরা পাতার মতন ধীরে ধীরে নড়ে ওঠে। হিমশীতল শরীরে উত্তাপের সঞ্চার হয়।
অনুপমা ডাক ছেড়ে কেঁদে ওঠে, “কাবেরি” নার্সের নাম কাবেরি।
ওর ডাক শুনে সঙ্গে সঙ্গে নার্স, দেবশ্রী দিলিপ বাবু কণিকা দেবী সবাই দৌড়ে আসে। কাবেরি, সঙ্গে সঙ্গে দেবায়নকে পরীক্ষা করে, দেবায়নের হাত একটু একটু করে নড়ে ওঠে, চোখের পাতা নড়ে ওঠে। অনুপমার চোখ জোড়া ভরে আসে জলে। অবশেষে ওর হৃদয় ডানা মেলেছে। নার্সের চেহারায় উদ্বিগ্ন ভরা। দেবায়ন বহু কষ্টে চোখ খুলে সবার দিকে তাকায়। দেবশ্রী ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে কেঁদে ফেলে। দেবায়ন আলতো মাথা দুলিয়ে মাকে কাছে ডাকে। দেবশ্রী দৌড়ে গিয়ে ছেলেকে জড়িয়ে ধরে।
বহু কষ্টে দেবায়ন মায়ের কানে কানে বলে, “মা,” ছেলের মুখে অনেক দিন পরে “মা” ডাক শুনে দেবশ্রী কেঁদে ফেলে, “হ্যাঁ বাবা বল, এই তো আমি।”
দেবায়ন অতি কষ্টে ফিসফিস করে মায়ের কানে বলে, “বাবা চকলেট দিতে চেয়েছিল মা, কিন্তু তোমাকে একা ফেলে যেতে পারলাম না মা।”
ছেলেকে বুকে জড়িয়ে কেঁদে ফেলে দেবশ্রী।
সবার চোখে জল চলে আসে। অনুপমা ওর পাশে বসে ওর হাত ধরে কেঁদে ফেলে, “পুচ্চু…..”
নিঃশ্বাস নিতে একটু কষ্ট হয় দেবায়নের তাও বহু কষ্টে অনুপমার কানেকানে বলে, “তুই…..”
অনুপমা ধরা কণ্ঠে বলে, “আর তোকে ছেড়ে যাবো না কোথাও।”
কাবেরি সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারদের ফোন করে দেয়। সেই রাতেই ডাক্তারেরা দিলিপ বাবুর বাড়িতে ওকে দেখতে চলে আসে। দিলিপ বাবু সোমেশ, পারমিতাকেও ফোন করে জানিয়ে দেয় যে দেবায়নের জ্ঞান ফিরে এসেছে। রাতের মধ্যে দিলিপ বাবুর বাড়িতে লোক জনের সমাগম বসে যায়, খুশির ছোঁয়া লাগে সবার বুকে। অবশেষে দেবায়ন আবার ওদের মাঝে ফিরে এসেছে। ডাক্তারেরা পরীক্ষা করে জানায়, এইবারে অপারেশান করা যেতে পারে। দেবায়নের ডান পায়ের হাড় ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। হাড়ের বদলে স্টিল রড অথবা টাইটেনিয়াম রড বসাতে হবে, না হলে দেবায়ন আর কোনোদিন হাঁটতে পারবে না। সেই শুনে সবাই চিন্তিত হয়ে পরে। টাইটেনিয়াম রড বসাতে অনেক খরচ পরে যাবে বলে ডাক্তারেরা জানায়। টাকার ব্যাপারে সেই সময়ে কারুর মাথা ব্যাথা ছিল না। দিলিপ বাবু, সোমেশ বাবু স্বমস্বরে জানিয়ে দেয় টাকার চেয়ে দেবায়নের উঠে দাঁড়ানো ওদের কাছে বেশি জরুরি। বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা করার পরে দেবশ্রী জানায় হাড়ের বদলে টাইটেনিয়াম রড বসানোর জন্য। দিন দুইয়েক পরে দেবায়নের পায়ের অপারেশান করা হয়। তারপরে ওর শরীরে বেশ কয়েক জায়গায় অপারেশান করা হয়, শিরদাঁড়ার, হাতের। এই অপারেশান করতে করতে আরও বেশ কয়েকদিনে লেগে যায়। ডাক্তারেরা জানায়, দেবায়নের উঠে দাঁড়াতে বেশ সময় লাগবে। কোলকাতা ফিরে যেন এক ফিজিওথেরাপিস্ট নিযুক্ত করে যাতে দেবায়ন আবার চলাফেরা করতে পারে। দেবায়ন চোখ খোলার পরেরদিন শ্রেয়া কোলকাতায় খবর দিয়ে জানিয়ে দেয়।
সোমেশ বাবুর অফিস আর অঙ্কনের কলেজের পড়াশুনার ব্যাঘাত ঘটার জন্য অনুপমা ওদের বাড়ি ফিরে যেতে বলে দেয়। সোমেশ বাবু, অঙ্কন আর পায়েলকে নিয়ে কোলকাতা ফিরে আসে।
কতক্ষণ ওইভাবে দেবায়নের বুকের ওপরে মাথা গুঁজে একমনে ওর হৃদয়ের ডাক শুনছিল সঠিক মনে নেই অনুপমার। তবে হটাত দেবায়নের হৃদয়ের ধ্বনি বেড়ে যাওয়াতে ওর সম্বিত ফেরে, সেই সাথে একটা যান্ত্রিক টিঁ টিঁ টিঁ আওয়াজে বেজে। হৃদয়ের ধুকপুকানির শব্দ বেড়ে উঠতেই অনুপমা সতর্ক হয়ে দেবায়নের বুক থেকে উঠে ওর মুখের দিকে তাকায়। বন্ধ চোখের পাতা ঝরা পাতার মতন ধীরে ধীরে নড়ে ওঠে। হিমশীতল শরীরে উত্তাপের সঞ্চার হয়।
অনুপমা ডাক ছেড়ে কেঁদে ওঠে, “কাবেরি” নার্সের নাম কাবেরি।
ওর ডাক শুনে সঙ্গে সঙ্গে নার্স, দেবশ্রী দিলিপ বাবু কণিকা দেবী সবাই দৌড়ে আসে। কাবেরি, সঙ্গে সঙ্গে দেবায়নকে পরীক্ষা করে, দেবায়নের হাত একটু একটু করে নড়ে ওঠে, চোখের পাতা নড়ে ওঠে। অনুপমার চোখ জোড়া ভরে আসে জলে। অবশেষে ওর হৃদয় ডানা মেলেছে। নার্সের চেহারায় উদ্বিগ্ন ভরা। দেবায়ন বহু কষ্টে চোখ খুলে সবার দিকে তাকায়। দেবশ্রী ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে কেঁদে ফেলে। দেবায়ন আলতো মাথা দুলিয়ে মাকে কাছে ডাকে। দেবশ্রী দৌড়ে গিয়ে ছেলেকে জড়িয়ে ধরে।
বহু কষ্টে দেবায়ন মায়ের কানে কানে বলে, “মা,” ছেলের মুখে অনেক দিন পরে “মা” ডাক শুনে দেবশ্রী কেঁদে ফেলে, “হ্যাঁ বাবা বল, এই তো আমি।”
দেবায়ন অতি কষ্টে ফিসফিস করে মায়ের কানে বলে, “বাবা চকলেট দিতে চেয়েছিল মা, কিন্তু তোমাকে একা ফেলে যেতে পারলাম না মা।”
ছেলেকে বুকে জড়িয়ে কেঁদে ফেলে দেবশ্রী।
সবার চোখে জল চলে আসে। অনুপমা ওর পাশে বসে ওর হাত ধরে কেঁদে ফেলে, “পুচ্চু…..”
নিঃশ্বাস নিতে একটু কষ্ট হয় দেবায়নের তাও বহু কষ্টে অনুপমার কানেকানে বলে, “তুই…..”
অনুপমা ধরা কণ্ঠে বলে, “আর তোকে ছেড়ে যাবো না কোথাও।”
কাবেরি সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারদের ফোন করে দেয়। সেই রাতেই ডাক্তারেরা দিলিপ বাবুর বাড়িতে ওকে দেখতে চলে আসে। দিলিপ বাবু সোমেশ, পারমিতাকেও ফোন করে জানিয়ে দেয় যে দেবায়নের জ্ঞান ফিরে এসেছে। রাতের মধ্যে দিলিপ বাবুর বাড়িতে লোক জনের সমাগম বসে যায়, খুশির ছোঁয়া লাগে সবার বুকে। অবশেষে দেবায়ন আবার ওদের মাঝে ফিরে এসেছে। ডাক্তারেরা পরীক্ষা করে জানায়, এইবারে অপারেশান করা যেতে পারে। দেবায়নের ডান পায়ের হাড় ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। হাড়ের বদলে স্টিল রড অথবা টাইটেনিয়াম রড বসাতে হবে, না হলে দেবায়ন আর কোনোদিন হাঁটতে পারবে না। সেই শুনে সবাই চিন্তিত হয়ে পরে। টাইটেনিয়াম রড বসাতে অনেক খরচ পরে যাবে বলে ডাক্তারেরা জানায়। টাকার ব্যাপারে সেই সময়ে কারুর মাথা ব্যাথা ছিল না। দিলিপ বাবু, সোমেশ বাবু স্বমস্বরে জানিয়ে দেয় টাকার চেয়ে দেবায়নের উঠে দাঁড়ানো ওদের কাছে বেশি জরুরি। বেশ কিছুক্ষণ আলোচনা করার পরে দেবশ্রী জানায় হাড়ের বদলে টাইটেনিয়াম রড বসানোর জন্য। দিন দুইয়েক পরে দেবায়নের পায়ের অপারেশান করা হয়। তারপরে ওর শরীরে বেশ কয়েক জায়গায় অপারেশান করা হয়, শিরদাঁড়ার, হাতের। এই অপারেশান করতে করতে আরও বেশ কয়েকদিনে লেগে যায়। ডাক্তারেরা জানায়, দেবায়নের উঠে দাঁড়াতে বেশ সময় লাগবে। কোলকাতা ফিরে যেন এক ফিজিওথেরাপিস্ট নিযুক্ত করে যাতে দেবায়ন আবার চলাফেরা করতে পারে। দেবায়ন চোখ খোলার পরেরদিন শ্রেয়া কোলকাতায় খবর দিয়ে জানিয়ে দেয়।
সোমেশ বাবুর অফিস আর অঙ্কনের কলেজের পড়াশুনার ব্যাঘাত ঘটার জন্য অনুপমা ওদের বাড়ি ফিরে যেতে বলে দেয়। সোমেশ বাবু, অঙ্কন আর পায়েলকে নিয়ে কোলকাতা ফিরে আসে।