Thread Rating:
  • 28 Vote(s) - 3.18 Average
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
পাপ কাম ভালবাসা
জানতে পারতে না কে তোমাকে মারল। আমি হলফ করে বলতে পারি আততায়ী আমাদের জন্য রাস্তায় অপেক্ষা করেছিল কিন্তু সাধারণত সব মানুষ কালিম্পং হয়ে লাভা আসে। যেহেতু আমরা গরুবাথান হয়ে লাভা এসেছি সেই জন্য আততায়ী আর সুযোগ পায়নি আক্রমন করার। চল এইবারে আআদের বেড়িয়ে পড়তে হবে। আততায়ী ট্রেনে করে ফিরবে বলে মনে হয় না, নিশ্চয় প্লেন ধরবে। বাগডোগরা গিয়ে প্যাসেঞ্জার লিস্ট দেখলেই বোঝা যাবে।”

রূপক বেশ কিছুক্ষণ ভাবার পরে চোখ বড় বড় করে অবাক হয়ে বলে, “আচ্ছা এইবারে চিনেছি কে। শালা এইবারে আর আমার হাত থেকে রেহাই পাবে না।”
অনুপমা জিজ্ঞেস করে, “কে এই লোক?”
 
পর্ব ২৯ (#০৭)
 
রূপক উত্তর দেয়, “অগ্নিহোত্রীর বাবা, সমীর বাবু।”
অনুপমার মনে পড়ে যায় পায়েলের অপহরনের ঘটনা। পায়েলের পিসির ছেলে, বিনয় আর তার বন্ধু অগ্নিহোত্রী পায়েলকে অপহরন করে নৈহাটি নিয়ে গিয়েছিল। রূপক দেবায়ন দলবল নিয়ে গিয়ে পায়েলকে বাঁচিয়ে এনেছিল, কিন্তু অগ্নিহোত্রীর বাবা কেন ওদের মারতে চায় সেটা ঠিক বুঝতে পারে না তাই জিজ্ঞেস করে, “সমীর বাবু কেন তোদের মারতে চায়?”
রূপক উত্তর দেয়, “আসলে সেদিন অগ্নিহোত্রী আর বিনয় পালায়নি। দেবায়ন সেইদিন ওদের খুন করে দিত। কিন্তু আমরা সবাই বাধা দিয়েছিলাম তাই আর দেবায়ন খুন করেনি। কিন্তু অগ্নিহোত্রী বেঁচে যাবে সেই দেখে আমার আর দেবায়নের খুব দুঃখ হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত একটা নকল পলাতকের ঘটনা তৈরি করা হয় আর ফাঁকা মাঠে ওদের ছেড়ে দেওয়া হয়। ওরা যখন পালাতে যায় তখন নিরঞ্জন বাবু ওদের পলাতক ঘোষণা করে গুলি করেন। যাকে পুলিসের ভাষায় এনকাউন্টার বলে।”
অনুপমার কাছে এইবারে সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যায়। নিরঞ্জন বাবু বলেন, “এইবারে সমীর বাবুকে হাতেনাতে ধরতে হবে। এখন পর্যন্ত ওনার বিরুদ্ধে অকাট্য প্রমান পাওয়া যায়নি। আর সমীর বাবু সেই ছেলেটাকেও খুন করেছে সুতরাং এই কেস উত্তরাখন্ড পুলিসের কাছেও যাবে। আমি একবার রোহনকে ফোন করে দিচ্ছি আর সেই সাথে বাগডোগরা গিয়ে ফ্লাইটের প্যাসেঞ্জার লিস্ট দেখলে সব পরিস্কার হয়ে যাবে।”
রূপক জিজ্ঞেস করে, “কিন্তু কি করে ধরব?”
অনুপমা খানিক চিন্তা করে বলে, “এইবারে আমাদের চাল চালতে হবে, ফাঁদ আমাদের পাততে হবে। তোর কাছে যে ইমেল গুলো এসেছিল সেই ইমেল গুলোর সেন্ডার আই.পি. এড্রেস দেখ। মনে হয় ওই আই.পি. অ্যাড্রেস থেকে সার্ভিস প্রোভাইডারের খবর পাওয়া যাবে, সেই থেকে অনায়াসে আমরা ওই আই.পি. অ্যাড্রেসের লোকেসান বের করে নিতে পারব। এর পরে তুই ওই ইমেলে একটা উত্তর দে, যে কোন এক দুর্ঘটনা জনিত কারনে তোদের খাটলিং ভ্রমন সুখকর হয়নি। সমীর বাবু তাহলে ধরতে পারবেন না যে আমরা তাকে সন্দেহ করেছি। তুই ধন্যবাদ জানিয়ে লেখ যে তুই ওর সাথে দেখা করতে চাস। আমি হলফ করে বলতে পারি একা একা দেখা করার কথা শুনে এই ফাঁদে সমীর বাবু পা দেবেন আর তিনি তোকে মারার জন্য তৈরি হয়েই আসবেন।”
শ্রেয়া আঁতকে ওঠে, “না ও একা যাবে না আমিও যাবো।”
নিরঞ্জন বাবু হেসে বলেন, “ও অথবা তুমি কেউই একা যাবে না। আমি নৈহাটি থানায় ফোন করে বলে দিচ্ছি সমীর বাবুর ওপরে নজর রাখার জন্য। যদি সমীর বাবু ফাঁদে পা দেয় তাহলে আমরা সবাই ওর পিছু নেব। হাতেনাতে ধরতে পারলে ওর বিরুদ্ধে আর বেশি প্রমানের দরকার নেই। একবার আমার হাতে পরুক তারপরে ওর মুখ থেকে কি করে কবুল করাতে হয় সেই উপায় আমাদের বেশ ভালো ভাবেই জানা আছে।”
নিরঞ্জন বাবু নৈহাটি থানায় ফোন করে সমীর বাবুর বাড়ির ওপরে নজর রাখতে বলে দেয়। সেই সাথে বাগডোগরা এয়ারপোর্টে ফোন করে এয়ারপোর্ট ম্যানেজারের সাথে কথা বলে ফ্লাইটের লিস্ট জানতে চান। তিনি জানান সকালের ফ্লাইট সব চলে গেছে এরপরের ফ্লাইট বিকেল পাঁচটায়। নিরঞ্জন বাবু ওদের বলেন তাড়াতাড়ি বেড়িয়ে পড়লে এয়ারপোর্ট পৌঁছান যাবে, কিন্তু প্রমান ছাড়া গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা যাবে না। সুতরাং ওদের শুধু মাত্র অনুসরন করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। লাভা থেকে গাড়ি নিয়ে সবাই কোলকাতার উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পরে। বাগডোগরাতে নিরঞ্জন বাবু একজন অফিসারকে নামিয়ে দিয়ে ফ্লাইটে করে সমীর বাবুকে অনুসরন করতে বলে দেন। তারপরে ওরা সবাই কোলকাতার উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পরে। পথে যেতে যেতে ল্যাপটপ খুলে রূপক ওর ইমেল দেখতে বসে যায়। ইমেল থেকে সেন্ডার আই.পি. এড্রেস বের করে ট্রেস করে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারের নাম বের করে ফেলে। নিরঞ্জন বাবু সেই সারভিস প্রোভাইডারকে ফোন করে নিজের পরিচয় আর খুনের তদন্ত করছেন জানিয়ে আই.পি. এড্রেসের ঠিকানা জানতে চায়। সার্ভিস প্রোভাইডার জানায়, এই আই পি এড্রেস ডাটা কার্ডের, ওদের ডেটাবেস খুঁজে সমীর বাবুর নাম ঠিকানা পেয়ে নিরঞ্জন বাবুকে জানায়। রূপক সাথে সাথে একটা ইমেল করে দেয় যে এক দুর্ঘটনার জন্য ওদের ট্রেকিং সুখকর হয়নি, কিন্তু সুন্দর একটা জায়গার খবর দিয়েছে বলে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে। সেই সাথে আরো লেখে যে রূপক এই আগন্তুকের সাথে দেখা করতে চায়। ওইদিকে যে অফিসার বাগডোগরা এয়ারপোর্টে থেকে গিয়েছিল সে ফোন করে জানিয়ে দেয় ওদের ধারনা অনুযায়ী সমীর বাবু ফ্লাইটে করেই কোলকাতা ফিরছে। ওদের কোলকাতা ফিরতে বেশ রাত হয়ে যাবে, তাই সেই অফিসারকে ফ্লাইটে করেই সমীর বাবুকে অনুসরন করে কোলকাতা ফিরতে নির্দেশ দেয়।
কোলকাতা ফিরতে ওদের মধ্যরাত হয়ে যায়। অনুপমাকে একা বাড়িতে ফিরতে দেয় না শ্রেয়া। ওকে সঙ্গে নিয়ে নিজের বাড়িতে চলে যায়। ব্যাঙ্গালোরে ফোন করে মামনিকে মাকে বাকি সবাইকে জানিয়ে দেয় যে আততায়ীকে খুঁজে পাওয়া গেছে। সেই শুনে সবাই বেশ খুশি কিন্তু দেবায়নের শারীরিক অবস্থার উন্নতির খবর নেই শুনেই অনুপমা মুষড়ে পড়ে। রূপক, শ্রেয়া আর অনুপমাকে ব্যাঙ্গালোর দেবায়নের কাছে চলে যেতে অনুরোধ করে। এবারে যখন আততায়ীর আসল পরিচয় জানা গেছে আর নিরঞ্জন বাবু সাথে আছেন তাহলে সমীর বাবুকে ধরতে ওদের কোন অসুবিধে হবে না। শ্রেয়ার সাথে থাকলেও ওর মন পড়ে থাকে দেবায়নের কাছে।
রাতের বেলা চোখের পাতা এক করতে পারে না অনুপমা। একা বিছানায় শুয়ে বালিশে মুখ গুঁজে নীরবে বুকের অশ্রু ঝরায়। কি পাপ করেছে দেবায়ন যে ওকে এই মর্মান্তিক অবস্থার মধ্যে পড়তে হল? দেবায়ন কখন দোষ করেনি, বরং সবার ভালোই চেয়ে এসেছে। ওদের পরিবারের মধ্যে, বাবা মায়ের মধ্যে, ওর আর মায়ের মধ্যে যে কঠিন দেয়াল এতদিনে গড়ে উঠেছিল সেটা ভেঙ্গে দিয়েছে। ওর সব থেকে ভালো বান্ধবী পায়েলকে বাঁচিয়ে এনেছে। একটা হারিয়ে যাওয়া প্রেমকে চাগিয়ে তুলেছে। ওর এক ভাই আছে সেটা জানত না, তাকেও খুঁজে বের করেছে আর অতি সুকৌশলে ওর সাথে নিবেদিতার বন্ধুত্ব করিয়েছে যাতে ভবিষ্যতে ওদের মাঝে কোন দ্বন্দ না হয়। তাহলে কোন পাপের শাস্তি পেয়েছে ওর পুচ্চু।
সকাল বেলায় শ্রেয়া আর নিজের জন্য ব্যাঙ্গালোরের টিকিট কাটে। খাবার টেবিলে শ্রেয়ার বাড়ির লোকের সাথে দেখা হয়। সবাই দুঃখ ব্যাক্ত করে। শ্রেয়া সবাইকে জানিয়ে দেয় কেউ যেন কোন দুঃখ না প্রকাশ করে, দেবায়ন ভালো আছে, দেবায়ন ভালো হয়ে আবার অনুপমার কাছে ফিরে আসবে।
অনুপমা আর শ্রেয়া দুপুরের পরে এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়ে। রূপক ওদের এয়ারপোর্টে পৌঁছে দিতে এসেছিল।
গাড়িতে যাওয়ার সময়ে অনুপমা শ্রেয়াকে জিজ্ঞেস করে, “হ্যাঁ রে, ওই পঞ্চাশ লাখ টাকা কোথা থেকে যোগাড় করলি বললি না তো?”
শ্রেয়া স্মিত হেসে বলে, “তোর জেনে কি দরকার।”
অনুপমার জোরাজুরির পরে শ্রেয়া উত্তর দেয়, “রূপক আর আমি পাগলপ্রায় হয়ে গিয়েছিলাম আততায়ীর খবর জানার জন্য কিন্তু আমাদের হাতে অত টাকা নেই। ফোন করলাম সব বন্ধু বান্ধবীদের, যার যতটা ক্ষমতা সে ততটা দিল, ধীমান, প্রবালের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা, সঙ্গীতা আর তনিমা এক লাখ করে দিল। আমার কাছে তিন সাড়ে তিনের মতন ছিল কিন্তু তাতেও কুলায় না।”
কথা গুলো শুনতে শুনতে অনুপমার চোখে জল চলে আসে। ওর পাশে সত্যি অনেকে দাঁড়িয়ে কিন্তু এত ভিড়েও যে অনুপমা একা, বড় একা। দেবায়ন পাশে না থাকলে এই ভিড় এই বন্ধু বান্ধবী এই সুখ দিয়ে কি করবে? শ্রেয়া তারপরে বলে, “রূপকের কাছে পাঁচ লাখ টাকা ছিল কিন্তু সব মিলিয়ে পঞ্চাসের কাছাকাছিও যাচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত রূপক একজনের কাছে হাত পাতে। সেই অবশ্য আমাদের সবার টাকা ফেরত দিয়ে নিজেই পঞ্চাশ লাখ টাকা আমাদের দেয়।”
অনুপমা উৎসুক হয়ে প্রশ্ন করে, “কে দিয়েছে?”
রূপক স্মিত হেসে বলে, “না রে নাম বলা বারন, তাই বলতে পারছি না। তবে ওই নিয়ে চিন্তা করিস না, তুই নিশ্চিন্ত মনে ব্যাঙ্গালোর যা আর দেবায়নকে ফিরিয়ে নিয়ে আয়। এইবারে তোদের বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত তোদের চোখে চোখে রাখব, যেমন ভাবে বেহুলা লক্ষিনদরকে আটকে রাখা হয়েছিল ঠিক সেই মতন এক বাড়ি বানিয়ে তোদের রেখে দেব।”
অনুপমার চোখ জোড়া ছলকে ওঠে, শ্রেয়া ওকে প্রবোধ দিয়ে বলে, “প্লিস সোনা কাঁদিস না আর, আমার মন বলছে দেবু এইবারে ঠিক উঠে দাঁড়াবে।”
অনুপমা ধরা কণ্ঠে বলে, “এইবারে না ওঠা পর্যন্ত আর আমি ওর পাশ ছাড়ব না।”
ব্যাঙ্গালোর পৌঁছাতে ওদের বিকেল হয়ে যায়। দিলিপ বাবু ওদের জন্য গাড়ি পাঠিয়েছিল, এয়ারপোর্টে অঙ্কন ওদের নিতে এসেছিল। অঙ্কনের মুখে জানতে পারে যে দেবায়নের অবস্থা এখন আগের মতন, নাকে অক্সিজেনের নল, ওষুধপত্র সব কিছু আই.ভি. করে দেওয়া হচ্ছে, শ্বাসের গতি অতি ধীরে। পারমিতাকে কাছে পেয়ে দেবশ্রী একটু সুস্থ হয়েছেন না হলে এই কয়দিনে ছেলের এই অবস্থায় শুকিয়ে কাঠ হয়ে গিয়েছিলেন। দিলিপ বাবুর বাড়ি আর বাড়ি নেই, ছোট খাটো নার্সিং হোম হয়ে গেছে, সকাল বিকেল ডাক্তারদের আনাগোনা, সর্বদার জন্য তিনটে নার্স মোতায়ন করা।
বাড়িতে ঢুকে ওকে দেখে সবাই শুকনো মুখে ওর দিকে তাকিয়ে থাকে। অনুপমা সোজা দেবায়নের ঘরে ঢুকে পড়ে। বিছানায় শায়িত নিস্তেজ একটা শরীর, কোন সারা শব্দ নেই, নড়ন চড়ন নেই, দুই চোখ বোজা, সারা শরীরে ব্যান্ডেজ বাঁধা। দিলিপ বাবু জানালেন, কোমা থেকে বেরিয়ে না আসা পর্যন্ত ডাক্তারেরা অপারেশান করতে পারছে না। সবাই বড় চিন্তায়, কেউ কিছু বুঝতে পারছে না কি ভাবে দেবায়নের জ্ঞান ফিরিয়ে আনবে। প্রেমিকার চেয়ে বেশি এক মায়ের হৃদয় তার এক মাত্র ছেলের জন্য বেশি ভেঙ্গে পড়েছে। তাও দেবশ্রী মন শক্ত করে অনুপমাকে শক্তির জোগান দেয়।
দেবশ্রী অনুপমাকে বলে, “এইবারে ওকে বাড়িতে নিয়ে যাবার ব্যাবস্থা করো। এইখানে দিলিপ বাবুর কাছে কত দিন রাখা যায় বল।”
অনুপমা মাথা দোলায়, হ্যাঁ এইবারে দেবায়নকে কোলকাতা নিয়ে যাওয়ার ব্যাবস্থা করা দরকার। সেই খবর শুনে দিলিপ বাবু জানিয়ে দিলেন যে ব্যাঙ্গালোরের ডাক্তারদের যখন শুরু থেকে দেখান হচ্ছে তখন দেবায়ন ঠিক না হয়ে যাওয়া পর্যন্ত তার বাড়িতে রেখে দেওয়া হোক। সোমেশ বাবু বলেন, যে দেবায়ন কবে এই কোমা থেকে চোখ খুলবে….. কথাটা বলে ফেলে বুঝতে পারলেন যে বড় ভুল করছেন। দেবশ্রী ছলছল চোখে ছেলের বিছানার এক পাশে বসে অন্যপাশে অনুপমা দেবায়নের নিস্তেজ হিমশীতল হাত নিজের হাতের মধ্যে ধরে বসে। দিলিপ বাবু জানিয়ে দেন, যতদিন না দেবায়ন চোখ খুলবে ততদিন তার সেই সামরথ আছে যে অনুপমা, দেবশ্রী দেবায়ন আর ওর চিকিৎসা সব করাতে পারবেন। দিলিপ বাবু আর কণিকা দেবী কিছুতেই ওদের যেতে দিতে নারাজ। শেষ পর্যন্ত সবাই হাল ছেড়ে দেয়।
দেবশ্রী বাদে বাকি সবার জন্য হোটেলে থাকার ব্যাবস্থা করা হয়। হোটেল অবশ্য বাড়ি থেকে বেশি দূরে নয় তাই সকালে উঠেই সবাই বাড়িতে চলে আসে। সারা রাত অনুপমা দেবায়নের হাত নিজের হাতের মধ্যে নিয়ে চুপচাপ বসে থাকে। সবাই যে যার ঘরে ঘুমিয়ে পড়েছে, রাতের ডিউটির জন্য যে নার্স কে রাখা হয়েছিল সে বসার ঘরে বসে একটা গল্পের বই পড়ছিল।
[+] 1 user Likes Mr Fantastic's post
Like Reply


Messages In This Thread
RE: পাপ কাম ভালবাসা - by Mr Fantastic - 08-10-2020, 06:14 PM



Users browsing this thread: 9 Guest(s)