24-09-2020, 09:28 PM
৩৭ পর্ব
এদিকে অঞ্জলী বসে বসে ছক কষছে,কিভাবে কি করা যায়।প্রতাপ হাজরার লোক অমিতের উপর হামলা করেছিলো,আর ডাঃ কে দিয়েও মারতে চেয়েছিলো কিন্তু কেন ? কে আছে এর পিছনে ? তাহলে কি মনি শংকর দা!! নিজে না পেরে এখন লোক লাগিয়েছে টাকার বিনিময়ে,আর নিজে সবার কাছে সাধু সাজছে ? এখানে ডাঃ মুখার্জীকে হয়ত বাধ্য করা হয়েছিলো তাই হয়ত তিনি এটা করতে গেছিলো,অমিতের জায়গায় অন্য কেউ হলেও তিনি এমনটাই করতেই । নিজে লোক দিয়ে হামলা করেছে,করে সেটা আবার থানায় এসে বলছে তাই,এমন লোককে সহজে কাত করা যাবেনা। তারপর অঞ্জলী হঠাৎই সুব্রতকে কল করলো সুব্রত তখন ম্যাগীর সাথে পাশাপাশি বসে কফির মগে চুমুক দিচ্ছে আর কথা বলছে। হঠাৎ ফোন বেঁজে ওঠাই একটু বিরক্তই হলো,কিন্তু যখন দেখলো অঞ্জলী ফোন করেছে, ম্যাগীকে সরি বলে কল রিসিফ করলো,,,
- হ্যা ম্যাম বলুন!!
- কোথায় ব্যাটা??
- না মানে ম্যাম,সুব্রত একটু বিবৃত বোধ করে,ম্যাম আমি এখন ম্যাগীর সাথে একটু ঘুরতে এসেছি।কোন রকমে বললো কথাটা।
- বাঃ আমার ব্যাটা যে বড় হয়ে গেছে,আমি ও ভুলেই গেছি। তো ম্যাম্মি কে না জানিয়েই এসব হচ্ছে!! সুযোগ পেয়ে একটু মজা করলো অঞ্জলী ।সুব্রত লজ্জায় কিছু বলতে পারলো না। অঞ্জলী আবার বললো শোন ব্যাটা তোমার আন অফিসিয়ালি কাজ আজ থেকে শুরু।
- এবার সুব্রত স্বাভাবিক ভাবে বললো ,তো ম্যাম বলুন আমার কি করতে হবে।
- দেখ ব্যাটা আমরা সাধারণ ছাঁ পোষা মানুষ,তাই একটা কথা মনে রাখতে হবে আমরা কাউকে বঞ্চিত করবো না কিছু থেকে কিন্তু আমাদের অধিকার থেকে নিজেরাও বঞ্চিত হবো না বিনা যুদ্ধে।আজ থেকে তোমার কাজ হলো প্রতাপ হাজরা কি করে ?
মন্ত্রীর সাথে আসলেই তার সম্পর্ক কেমন ? নিজের কার্য সিদ্ধির জন্য সে মানুষকে কিভাবে কাজে লাগায়? সব কিছু !!
- বুঝে গেছি ম্যাম। ওর টিকুজি গুষ্টি বের করতে হবে।
- এই তো আমার গুড বয়। ওকে ম্যাগীর সাথে সময় কাঁটাও।দেখো ম্যাম্মি কে আবার ভুলে যেও না। বলে ফোন রেখে দিলো অঞ্জলী।
মোটামুটি একটা কাজ হলো,এখন মনি শংকর আর সিধুকে দেখতে হবে। আর এই কাজটা ম্যাগী দ্বারাই এখন সব থেকে ভালো ভাবে সম্ভব।দুদিন অমিতের সাথে দেখা হয়নি অঞ্জলীর তাই আজ একবার ও বাড়িতে যাবে ভাবছে।রোহিত ইদানিং খুব ব্যাস্ত মাঝে মাঝে যেতে হচ্ছে ,শুনছি কালও আবার দুবাই না কোথায় যাবে। এই একটা মানুষই শুধু চুপচাপ কাজই করে যায়।এরপর অঞ্জলী অনেক দিন পর রায় গ্রুপের নাম করে নিজের মোবাইল থেকে একটা কল করলো,তারপর কি সব
দিন সময়ের কথা বলে ফোন রেখে দিলো।
শহরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুব একটা ভালো যাচ্ছেনা।মানুষকে দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পুরণে ব্যার্থ সরকার। আমরা বিরোধীরা সব একজোট হয়ে তীব্র আন্দোলনে নামবো,আর এই ক্ষমতা লোভী সরকারকে গদি থেকে নামাবো!! আমরা জনগনের পক্ষে কথা বলি!জনগন আমাদের সাথে আছে।
টিভিতে নিজের দেওয়া ভাষণ শুনে নিজেই খুশি হলেন বতমান বিরোধী দলীয় নেতা ডাঃ কমলেশ মুখার্জী । কিন্তু তিনি জানেন সরকারি দল অত্যন্ত শক্তিশালী আর সাথে আছে দেশের বড় বড় ধনী ব্যবসায়ীদের যোগসূএ সহজে এদের হারানো যাবেনা।
যদি সেটা আমি সহজ করে দিই!!
নিজের কক্ষে হঠাৎ এক মহিলা কষ্ঠ স্বরে শুনে টিভি থেকে চোখ সরিয়ে সেই আগন্তকের দিকে তাকালো। আর দেখেই মৌহনীয় ভাবে হা করে তাকিয়ে রইলো বিরোধী দলের নেতা কমলেশ মুখার্জী।
মহিলাটির দিকে ওভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে মহিলা আগন্তক এবার গম্ভীর স্বরে বললেন,এই হলো আপনাদের সমস্যা মহিলা দেখলেই মাথা শুধু অন্য চিন্তা আসে!! তাদের দিয়ে যে বড় বড় কাজ হাসিল করা যায়,সেটা আপনাদের মাথায় আছেনা।
মহিলাটির কথা শুনে কমলেশ মুখার্জী একটু অপস্তুত হয়ে পরলেন। তারপর নিজের ব্যক্তিত্ব বজায় রেখে বললেন ,কে আপনি ?
মহিলাটি এবার নরম সুরেই বললো সকালে আপনার একটা আ্যয়মেণ্ট চেয়েছিলাম,আর আমাকে এখন আসতে বলা হয়েছে। সরি এসেই আপনাদের কথার ভিতর কথা বলে ফেলেছি। ইটস ওকে বসুন আপনি ! বিনয়ের সাথে বললো ৫৫ বছরের কমলেশ মুখার্জী।
মহিলাটি ধন্যবাদ জানিয়ে বসলো।
তো কি নিয়ে যেন আলোচনা করছিলেন আপনারা,ওখানে উপস্তিত সবাই একটু অবাকই হচ্ছে।কমলেশ মুখার্জী এবার একটু গম্ভীর ভাবেই বললেন,সেটা জেনে আপনি কি করবেন? আপনি কেন এসেছেন সেটা বলুন?
মহিলাটি ধীরে কিন্তু দৃঢ় ভাবে বললেন ,ওই যে বললাম আপনাদের কাজটা সহজ করতে।
মুখার্জী এবার একটু রেগেই গেলেন দেখুন হেয়ালি রাখুন আগে বলুন কি দরকার আমার সাথে।আর কে আপনি ?
ওকে ফাইন। আমি আপনার সাথে একটু পার্সোনাল কথা বলতে চাই। আমার কাছে কোন আর্মস নাই,সো চিন্তার কিছু নাই। আর পরিচয়টা তখনি দিবো। মুখার্জী একটু চিন্তা করে সবাইকে চলে যেতে বললেন। মহিলাটি রিমোট হাতে নিয়ে টিভিটা বন্ধ করে দিলেন ।
ওদিক ম্যাগীর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সুব্রত প্রতাপ হাজরার ব্যাপারে খোঁজ খবর শুরু করে দিয়েছে। তার যতো সোর্স ছিলো সব কাজে লাগিয়ে দিয়েছে।এখন পর্যন্ত বিশেষ কোন খবর পাওয়া যায়নি,কিন্তু একটা ব্যাপার জানা গেছে যে প্রতাপ হাজরা নিজের কাজের জন্য মানুষকে ব্লাকমেল করে। কিন্তুু কিভাবে করে সেটা এখনো জানা যায়নি। তাই এখনি এ ব্যাপারে অঞ্জলী কে না জানানোর সিন্ধাথ নিলো। আগে সে পুরো ব্যাপারটা পরিস্কার হতে চাই।
এদিকে অঞ্জলী বসে বসে ছক কষছে,কিভাবে কি করা যায়।প্রতাপ হাজরার লোক অমিতের উপর হামলা করেছিলো,আর ডাঃ কে দিয়েও মারতে চেয়েছিলো কিন্তু কেন ? কে আছে এর পিছনে ? তাহলে কি মনি শংকর দা!! নিজে না পেরে এখন লোক লাগিয়েছে টাকার বিনিময়ে,আর নিজে সবার কাছে সাধু সাজছে ? এখানে ডাঃ মুখার্জীকে হয়ত বাধ্য করা হয়েছিলো তাই হয়ত তিনি এটা করতে গেছিলো,অমিতের জায়গায় অন্য কেউ হলেও তিনি এমনটাই করতেই । নিজে লোক দিয়ে হামলা করেছে,করে সেটা আবার থানায় এসে বলছে তাই,এমন লোককে সহজে কাত করা যাবেনা। তারপর অঞ্জলী হঠাৎই সুব্রতকে কল করলো সুব্রত তখন ম্যাগীর সাথে পাশাপাশি বসে কফির মগে চুমুক দিচ্ছে আর কথা বলছে। হঠাৎ ফোন বেঁজে ওঠাই একটু বিরক্তই হলো,কিন্তু যখন দেখলো অঞ্জলী ফোন করেছে, ম্যাগীকে সরি বলে কল রিসিফ করলো,,,
- হ্যা ম্যাম বলুন!!
- কোথায় ব্যাটা??
- না মানে ম্যাম,সুব্রত একটু বিবৃত বোধ করে,ম্যাম আমি এখন ম্যাগীর সাথে একটু ঘুরতে এসেছি।কোন রকমে বললো কথাটা।
- বাঃ আমার ব্যাটা যে বড় হয়ে গেছে,আমি ও ভুলেই গেছি। তো ম্যাম্মি কে না জানিয়েই এসব হচ্ছে!! সুযোগ পেয়ে একটু মজা করলো অঞ্জলী ।সুব্রত লজ্জায় কিছু বলতে পারলো না। অঞ্জলী আবার বললো শোন ব্যাটা তোমার আন অফিসিয়ালি কাজ আজ থেকে শুরু।
- এবার সুব্রত স্বাভাবিক ভাবে বললো ,তো ম্যাম বলুন আমার কি করতে হবে।
- দেখ ব্যাটা আমরা সাধারণ ছাঁ পোষা মানুষ,তাই একটা কথা মনে রাখতে হবে আমরা কাউকে বঞ্চিত করবো না কিছু থেকে কিন্তু আমাদের অধিকার থেকে নিজেরাও বঞ্চিত হবো না বিনা যুদ্ধে।আজ থেকে তোমার কাজ হলো প্রতাপ হাজরা কি করে ?
মন্ত্রীর সাথে আসলেই তার সম্পর্ক কেমন ? নিজের কার্য সিদ্ধির জন্য সে মানুষকে কিভাবে কাজে লাগায়? সব কিছু !!
- বুঝে গেছি ম্যাম। ওর টিকুজি গুষ্টি বের করতে হবে।
- এই তো আমার গুড বয়। ওকে ম্যাগীর সাথে সময় কাঁটাও।দেখো ম্যাম্মি কে আবার ভুলে যেও না। বলে ফোন রেখে দিলো অঞ্জলী।
মোটামুটি একটা কাজ হলো,এখন মনি শংকর আর সিধুকে দেখতে হবে। আর এই কাজটা ম্যাগী দ্বারাই এখন সব থেকে ভালো ভাবে সম্ভব।দুদিন অমিতের সাথে দেখা হয়নি অঞ্জলীর তাই আজ একবার ও বাড়িতে যাবে ভাবছে।রোহিত ইদানিং খুব ব্যাস্ত মাঝে মাঝে যেতে হচ্ছে ,শুনছি কালও আবার দুবাই না কোথায় যাবে। এই একটা মানুষই শুধু চুপচাপ কাজই করে যায়।এরপর অঞ্জলী অনেক দিন পর রায় গ্রুপের নাম করে নিজের মোবাইল থেকে একটা কল করলো,তারপর কি সব
দিন সময়ের কথা বলে ফোন রেখে দিলো।
শহরের রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুব একটা ভালো যাচ্ছেনা।মানুষকে দেওয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পুরণে ব্যার্থ সরকার। আমরা বিরোধীরা সব একজোট হয়ে তীব্র আন্দোলনে নামবো,আর এই ক্ষমতা লোভী সরকারকে গদি থেকে নামাবো!! আমরা জনগনের পক্ষে কথা বলি!জনগন আমাদের সাথে আছে।
টিভিতে নিজের দেওয়া ভাষণ শুনে নিজেই খুশি হলেন বতমান বিরোধী দলীয় নেতা ডাঃ কমলেশ মুখার্জী । কিন্তু তিনি জানেন সরকারি দল অত্যন্ত শক্তিশালী আর সাথে আছে দেশের বড় বড় ধনী ব্যবসায়ীদের যোগসূএ সহজে এদের হারানো যাবেনা।
যদি সেটা আমি সহজ করে দিই!!
নিজের কক্ষে হঠাৎ এক মহিলা কষ্ঠ স্বরে শুনে টিভি থেকে চোখ সরিয়ে সেই আগন্তকের দিকে তাকালো। আর দেখেই মৌহনীয় ভাবে হা করে তাকিয়ে রইলো বিরোধী দলের নেতা কমলেশ মুখার্জী।
মহিলাটির দিকে ওভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে মহিলা আগন্তক এবার গম্ভীর স্বরে বললেন,এই হলো আপনাদের সমস্যা মহিলা দেখলেই মাথা শুধু অন্য চিন্তা আসে!! তাদের দিয়ে যে বড় বড় কাজ হাসিল করা যায়,সেটা আপনাদের মাথায় আছেনা।
মহিলাটির কথা শুনে কমলেশ মুখার্জী একটু অপস্তুত হয়ে পরলেন। তারপর নিজের ব্যক্তিত্ব বজায় রেখে বললেন ,কে আপনি ?
মহিলাটি এবার নরম সুরেই বললো সকালে আপনার একটা আ্যয়মেণ্ট চেয়েছিলাম,আর আমাকে এখন আসতে বলা হয়েছে। সরি এসেই আপনাদের কথার ভিতর কথা বলে ফেলেছি। ইটস ওকে বসুন আপনি ! বিনয়ের সাথে বললো ৫৫ বছরের কমলেশ মুখার্জী।
মহিলাটি ধন্যবাদ জানিয়ে বসলো।
তো কি নিয়ে যেন আলোচনা করছিলেন আপনারা,ওখানে উপস্তিত সবাই একটু অবাকই হচ্ছে।কমলেশ মুখার্জী এবার একটু গম্ভীর ভাবেই বললেন,সেটা জেনে আপনি কি করবেন? আপনি কেন এসেছেন সেটা বলুন?
মহিলাটি ধীরে কিন্তু দৃঢ় ভাবে বললেন ,ওই যে বললাম আপনাদের কাজটা সহজ করতে।
মুখার্জী এবার একটু রেগেই গেলেন দেখুন হেয়ালি রাখুন আগে বলুন কি দরকার আমার সাথে।আর কে আপনি ?
ওকে ফাইন। আমি আপনার সাথে একটু পার্সোনাল কথা বলতে চাই। আমার কাছে কোন আর্মস নাই,সো চিন্তার কিছু নাই। আর পরিচয়টা তখনি দিবো। মুখার্জী একটু চিন্তা করে সবাইকে চলে যেতে বললেন। মহিলাটি রিমোট হাতে নিয়ে টিভিটা বন্ধ করে দিলেন ।
ওদিক ম্যাগীর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সুব্রত প্রতাপ হাজরার ব্যাপারে খোঁজ খবর শুরু করে দিয়েছে। তার যতো সোর্স ছিলো সব কাজে লাগিয়ে দিয়েছে।এখন পর্যন্ত বিশেষ কোন খবর পাওয়া যায়নি,কিন্তু একটা ব্যাপার জানা গেছে যে প্রতাপ হাজরা নিজের কাজের জন্য মানুষকে ব্লাকমেল করে। কিন্তুু কিভাবে করে সেটা এখনো জানা যায়নি। তাই এখনি এ ব্যাপারে অঞ্জলী কে না জানানোর সিন্ধাথ নিলো। আগে সে পুরো ব্যাপারটা পরিস্কার হতে চাই।
""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!