24-09-2020, 04:02 PM
৩৬ পর্ব
অমিতের দিন কাঁটছে বাড়িতে বসে বসে।অঞ্জলীর কড়া আদেশ বাইরে বের হওয়া যাবেনা একা।অমিত বলেছিলো কেন? বিপদের ভয়ে ঘরে বসে থাকা ছেলে আমি না।তার উত্তরে অঞ্জলী যেটা বলেছিলো সেটার পক্ষে কোন যুক্তি কিংবা উত্তর অমিতের কাছে নেই।অঞ্জলী অমিতের কথা শুনে বলেছিলো রাজকুমার আমি দ্বিতীয় বার বিধবা হতে চাইনা!!অমিত বিছানায় হেলান দিয়ে বসে এসব যখন ভাবছে তখন বিন্দু ঢুকলো রুমে,কি গো ঠাকুর পো অঞ্জলীর কাছ থেকে আসার পর তো তুমি একদম দেবদাসের মত বসে আছো!!বড্ড ছেঁকা লাগছে বুঝি??ওহহ বৌদি তুমিও না,অমিত লজ্জা পেয়ে বললো।তা হা ঠাকুর-পো সত্যি করে বলোতো,কবে বিয়ে করছো?
- সে আমি কি জানি!তোমরা থাকতে যদি আমাকে বিয়ের কথা বলতে হয়,তাহলে আর বিয়ে কেন দাদাদের জিনিস দিয়েই না হয় কাজটা চালালাম।একদম মোক্ষম জবাব দিলো অমিত।
- ও বাবা!ঠাকুরপো তোমার তো ভালই বুলি ফুঁটেছে।না কাল সারা রাত কি করলে গো তোমরা??
- কাল রাতের কথা মনে হতেই অমিত নিজের শরীরে শিরশিরানি অনুভব করলো, তবুও সেটা লুকিয়ে বললো,কি আর করবো বৌদি,এই কারা আমার উপর হামলা করছে এসব নিয়ে আলোচনা করতেই সময় চলে গেল।
বিন্দু এবার একটু গম্ভীর হয়ে গেল।হা ঠাকুর পো এটা নিয়ে আমরাও সবাই চিন্তিত,তুমি বরং অঞ্জলীকে নিয়ে বিদেশ ফিরে যাও।যেখানেই থাকো জানবো ভালো তো আছো।বিন্দুর কথা শুনে অমিত বললো তা হয়না বৌদি এর একটা শেষ দেখা দরকার।আরো কিছুটা মজা ঠাট্টা করে বিন্দু বেড়িয়ে গেল।অনেক দিন ম্যাগীর সাথে দেখা হয়নি অমিত ভাবলো একবার ম্যাগীকে কল করে দেখা করতে বলি।ফোনে হাতে নিয়ে রিং দিতেই ম্যাগী ধরলো।
- হ্যা কোথায় তুমি ম্যাগী??
- আমি একটু বাইরে আছি কাজে!কেন কিছু বলবে?
- না!একটু দেখা করার দরকার ছিলো।অনেকদিন দেখা হয়না।
- হুম!!কিন্তু কয়েক দিন তোমার সাথে দেখা করতে পারবোনা।সরি !!
- কিন্তু কেন???
- একটু বিজি থাকবো,সব বিস্তারিত বলা সম্ভব না।কিন্তু এতোটুকু তোমাকে জানাতে পারি যে এটা তোমার অঞ্জলীর দেওয়া কাজ।সো তোমার আর আপত্তি থাকার কথা না।?
অঞ্জলীর কথা শুনে অমিত আর কিছু বললো না ফোন রেখে একটা ম্যাগাজিন নিয়ে বসলো।
অঞ্জলী সুব্রতকে ফোন করে দেখা করতে বলেছে।সুব্রত বিকালের দিকে আসবে কথা দিয়েছে।অঞ্জলী চিন্তিত ভাবে নিজের ঘরে বসে আছে।হঠাৎই মোবাইলে কল করলো রিসেপসনের সুদিপ্তা,
-ম্যাডাম সুব্রত স্যার এসেছে,আপনার সাথে দেখা করতে চায়?!
- ওকে,পাঠিয়ে দাও আমার রুমে আর দু-কাপ চা পাঠিয়ে দিও।বলে ফোন রেখে দিলো। সুব্রত আসছে তাই নিজেকে একটু গুছিয়ে নিলো অঞ্জলী ।
-আসবো ম্যাম??সুব্রত দরজার মুখে দাঁড়িয়ে!
- হ্যা ব্যাটা এসো!তো কেমন আছো?
- ভাল ম্যাম! কিন্তু এতো জরুরি তলব কোন সমস্যা ম্যাম?? সুব্রতর কষ্ঠে উদ্বেগ।
- না বেটা।কিন্তু তোমার সাথে কিছু বিষয়ে আলোচনা করতে চাই।
এর মাঝে কাজের মহিলা চা দিয়ে গেল।তাই কথায় একটু ব্যাঘাত ঘটলো।অঞ্জলী নিজে একটা কাপ তুলে নিয়ে সুব্রত বললো নাও ব্যাটা চা খাও,সুব্রত চায়ের কাপ তুলে নিয়ে বললো তো কি ব্যাপার বলুন না ম্যাম আপনার জন্য আমি সব করতে পারি ন্যায়ের পথে থেকে।
- চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে অঞ্জলী বললো সেটা আমি জানি।আচ্ছা আগে বলো কালকের ড্রাগসের ব্যাপারটা কি করলে?
- ওটা ম্যাম আমি ম্যানেজ করেছি।আপনি চিন্তা করবেন না,ওখানে অমিত স্যারের নাম এমনকি উনার কোম্পানির কোন নাম জড়াবে না।
- থ্যাংকু ব্যাটা।
- কিন্তু ম্যাম যে আমাকে ইনফর্ম করলো তাকে ট্রাস করতে পারলাম না।অসহায় ভাবে বললো সুব্রত।
- অঞ্জলী একটু চুপ থেকে বললো ওটা আমি ছিলাম ব্যাটা!
- সুব্রত বিষ্ময়ের দৃষ্টিতে তাকালো।ম্যাম আপনি!!???কিন্তু কিভাবে??
-সে সব পরে বলবো আগে তুমি বলো,ডাঃ মুখাজির কেসে কি পেলে?
- ম্যাম।কেসটা আমি নিজে কিছুটা এগিয়ে নিয়ে গেছি।কিন্তু আপনি জানেন সেদিন আপনাকে ফোনে বলেছিলাম সে ব্যাপারে।
- হুম তো কি পেলে?
- আমি ওখান থেকে একটা সিরিঞ্জ পেয়েছি সাথে রক্ত, যদিও এটা অফিসিয়ালী ব্যাপার আপনাকে জানানো উচিত না,তবুও বলছি,রক্তটা ডা. মুখার্জির,আর তাতে দুটি আঙ্গুলের ছাপ আছে একটা ডাঃ মুখার্জির,আর একটা আপনার!!এই বলে একটু থামলো সুব্রত,এখন আমার কি করা উচিত ম্যাম,আপনি শিখিয়েছেন ন্যায়ের সাথে চলতে!!
- শান্ত হও ব্যাটা।আচ্ছা আমি বললে তুমি বিশ্বাস করবে?? সুব্রতর দিকে তাকিয়ে অঞ্জলী কথাটা বললো।
- সুব্রত দৃঢ় ভাবে বললো আমি ভগবানের থেকেও আপনাকে বিশ্বাস করি ম্যাম।আপনি বলুন।
- অঞ্জলী অমিতের জন্য নার্সের চাকরি নেওয়া থেকে শুরু করে ডাঃ মুখার্জির অসৎ কাজ পর্যন্ত বললো,এতোটুকু শুনে সুব্রত ও রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বললো আগে জানলে শালাকে আমি ইনকাউন্টারে দিতাম।
অঞ্জলী আবার শুরু করলো,আমি সঠিক সময়ে ডাঃ কে ধরে ফেলি।পরে তাকে রুমে নিয়ে গিয়ে নানা প্রশ্ন করি।আর সেটা রেকর্ড করি কিন্তু সত্যি আমি তাকে কিছু করিনি,আর সিরিঞ্জে আমার আঙ্গুলের ছাপ সেটা থাকতে পারে কারণ অনেক বার সেটা আমার স্পর্শ করা লেগেছে।সব শেষে আমি রুম থেকে বেড়িয়ে আসি,সকালে শুনি উনি মারা গেছে।
- হ্যা ম্যাম উনি ওই সিরিঞ্জ নিজের শরীরে পুশ করে,হার্ট এটাক করেছে।ওকে ম্যাম আপনার আর কোন চিন্তা নেই। বাকিটা আমি দেখবো,হয়ত এতে অন্যায় কিছু করা হবেনা।
- সেটা না হয় করলে ব্যাটা,কিন্তু ডাঃ কার কথায় এমন করছিলো।তুমি কিছু জানতে পারছো ??
- সেটা পুরোপুরি ভাবে জানিনা কিন্তু কিছুটা ধারনা করছি,সুব্রত বললো,
- অঞ্জলী অধৈয্য ভাবে বসা থেকে উঠে বললো কে ???
- প্রতাপ হাজরা!!মন্ত্রী বাহাদুরের খাশ লোক!আমি ডাঃ মুখার্জির কল লিষ্ট চেক করেছি। তাছাড়া আপনাকে একটা কথা জানাই ম্যাম,সেদিন যে অমিত স্যারের উপর আ্যটাক হয়েছিলো,যারা করেছিলো তারা উনার পাঠানো লোক।
- ওহ,শিট!!মাথায় হাত দিয়ে বসে পরলো অঞ্জলী।এর ভিতর প্রতাপ হাজরা কি করে এলো। সে তো অমিতকে হয়ত কোনদিন দেখেইনি!!
- সেটা আমিও ভেবেছি ম্যাম। কিন্তু বুঝতে পারছিনা।তাছাড়া আমি সব জেনেও সরাসরি উনার বিরুদ্ধে একশনে যেতে পারছিনা।
- সুব্রত !
- অঞ্জলীর ডাকে সুব্রত সরাসরি অঞ্জলীর চোখের দিকে তাকিয়ে কি পড়ার চেষ্টা করে বললো বলুন ম্যাম!?
- অঞ্জলী তার একটি হাত সুব্রতর কাঁধে রেখে বললো,ব্যাটা এই ম্যামের জন্য একটু আন অফিসিয়ালি কিছু করতে পারবে না??করুন ভাবে বললো অঞ্জলী । - একি বলবেন ম্যাম,আপনি আদেশ করুন।আমি জানি আপনি কখনো আমাকে ভুল পথে চালিত করবেন না! - থাংকু ব্যাটা,তুমি এখন যাও,সময় মত তোমাকে ডেকে নিবো। অঞ্জলীর ওখান থেকে বেড়িয়ে সুব্রত ম্যাগীকে কল করলো,যদি ম্যাগী ফ্রি থাকে কোথাও বসা যাবে,এমনিতে অফিস থেকে আজ বিশেষ কাজের জন্য ছুটি নিয়েই অঞ্জলীর কাছে এসেছিলো।একবার রিং হতেই ফোন ধরলো ম্যাগী।
- হাই!! কেমন আছো ??
- আই এম ফাইন! ইউ ?
- ভাল। ফ্রি আছো ?? থাকলে কোথাও কফি খেতে যাওয়া যেত!!
- হুম ফ্রিই আছি একটু আগেই অফিস থেকে ফিরলাম।ওকে তুমি বরং আমার হোটেলের সামনে চলে আসো,ততক্ষনে আমি রেডি হয়ে যাবো।
- ওকে আমি দশ মিনিটে আসছি। বলে ফোন রেখে দিলো সুব্রত। ম্যাগী রেড়ি হতে লাগলো।আজকাল সুব্রতর সাথে সময় কাঁটাতে ভালোই লাগে,সো কিউট আর হ্যান্ডসাম,আর মনটাও অনেক ভালো।!
অমিতের দিন কাঁটছে বাড়িতে বসে বসে।অঞ্জলীর কড়া আদেশ বাইরে বের হওয়া যাবেনা একা।অমিত বলেছিলো কেন? বিপদের ভয়ে ঘরে বসে থাকা ছেলে আমি না।তার উত্তরে অঞ্জলী যেটা বলেছিলো সেটার পক্ষে কোন যুক্তি কিংবা উত্তর অমিতের কাছে নেই।অঞ্জলী অমিতের কথা শুনে বলেছিলো রাজকুমার আমি দ্বিতীয় বার বিধবা হতে চাইনা!!অমিত বিছানায় হেলান দিয়ে বসে এসব যখন ভাবছে তখন বিন্দু ঢুকলো রুমে,কি গো ঠাকুর পো অঞ্জলীর কাছ থেকে আসার পর তো তুমি একদম দেবদাসের মত বসে আছো!!বড্ড ছেঁকা লাগছে বুঝি??ওহহ বৌদি তুমিও না,অমিত লজ্জা পেয়ে বললো।তা হা ঠাকুর-পো সত্যি করে বলোতো,কবে বিয়ে করছো?
- সে আমি কি জানি!তোমরা থাকতে যদি আমাকে বিয়ের কথা বলতে হয়,তাহলে আর বিয়ে কেন দাদাদের জিনিস দিয়েই না হয় কাজটা চালালাম।একদম মোক্ষম জবাব দিলো অমিত।
- ও বাবা!ঠাকুরপো তোমার তো ভালই বুলি ফুঁটেছে।না কাল সারা রাত কি করলে গো তোমরা??
- কাল রাতের কথা মনে হতেই অমিত নিজের শরীরে শিরশিরানি অনুভব করলো, তবুও সেটা লুকিয়ে বললো,কি আর করবো বৌদি,এই কারা আমার উপর হামলা করছে এসব নিয়ে আলোচনা করতেই সময় চলে গেল।
বিন্দু এবার একটু গম্ভীর হয়ে গেল।হা ঠাকুর পো এটা নিয়ে আমরাও সবাই চিন্তিত,তুমি বরং অঞ্জলীকে নিয়ে বিদেশ ফিরে যাও।যেখানেই থাকো জানবো ভালো তো আছো।বিন্দুর কথা শুনে অমিত বললো তা হয়না বৌদি এর একটা শেষ দেখা দরকার।আরো কিছুটা মজা ঠাট্টা করে বিন্দু বেড়িয়ে গেল।অনেক দিন ম্যাগীর সাথে দেখা হয়নি অমিত ভাবলো একবার ম্যাগীকে কল করে দেখা করতে বলি।ফোনে হাতে নিয়ে রিং দিতেই ম্যাগী ধরলো।
- হ্যা কোথায় তুমি ম্যাগী??
- আমি একটু বাইরে আছি কাজে!কেন কিছু বলবে?
- না!একটু দেখা করার দরকার ছিলো।অনেকদিন দেখা হয়না।
- হুম!!কিন্তু কয়েক দিন তোমার সাথে দেখা করতে পারবোনা।সরি !!
- কিন্তু কেন???
- একটু বিজি থাকবো,সব বিস্তারিত বলা সম্ভব না।কিন্তু এতোটুকু তোমাকে জানাতে পারি যে এটা তোমার অঞ্জলীর দেওয়া কাজ।সো তোমার আর আপত্তি থাকার কথা না।?
অঞ্জলীর কথা শুনে অমিত আর কিছু বললো না ফোন রেখে একটা ম্যাগাজিন নিয়ে বসলো।
অঞ্জলী সুব্রতকে ফোন করে দেখা করতে বলেছে।সুব্রত বিকালের দিকে আসবে কথা দিয়েছে।অঞ্জলী চিন্তিত ভাবে নিজের ঘরে বসে আছে।হঠাৎই মোবাইলে কল করলো রিসেপসনের সুদিপ্তা,
-ম্যাডাম সুব্রত স্যার এসেছে,আপনার সাথে দেখা করতে চায়?!
- ওকে,পাঠিয়ে দাও আমার রুমে আর দু-কাপ চা পাঠিয়ে দিও।বলে ফোন রেখে দিলো। সুব্রত আসছে তাই নিজেকে একটু গুছিয়ে নিলো অঞ্জলী ।
-আসবো ম্যাম??সুব্রত দরজার মুখে দাঁড়িয়ে!
- হ্যা ব্যাটা এসো!তো কেমন আছো?
- ভাল ম্যাম! কিন্তু এতো জরুরি তলব কোন সমস্যা ম্যাম?? সুব্রতর কষ্ঠে উদ্বেগ।
- না বেটা।কিন্তু তোমার সাথে কিছু বিষয়ে আলোচনা করতে চাই।
এর মাঝে কাজের মহিলা চা দিয়ে গেল।তাই কথায় একটু ব্যাঘাত ঘটলো।অঞ্জলী নিজে একটা কাপ তুলে নিয়ে সুব্রত বললো নাও ব্যাটা চা খাও,সুব্রত চায়ের কাপ তুলে নিয়ে বললো তো কি ব্যাপার বলুন না ম্যাম আপনার জন্য আমি সব করতে পারি ন্যায়ের পথে থেকে।
- চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে অঞ্জলী বললো সেটা আমি জানি।আচ্ছা আগে বলো কালকের ড্রাগসের ব্যাপারটা কি করলে?
- ওটা ম্যাম আমি ম্যানেজ করেছি।আপনি চিন্তা করবেন না,ওখানে অমিত স্যারের নাম এমনকি উনার কোম্পানির কোন নাম জড়াবে না।
- থ্যাংকু ব্যাটা।
- কিন্তু ম্যাম যে আমাকে ইনফর্ম করলো তাকে ট্রাস করতে পারলাম না।অসহায় ভাবে বললো সুব্রত।
- অঞ্জলী একটু চুপ থেকে বললো ওটা আমি ছিলাম ব্যাটা!
- সুব্রত বিষ্ময়ের দৃষ্টিতে তাকালো।ম্যাম আপনি!!???কিন্তু কিভাবে??
-সে সব পরে বলবো আগে তুমি বলো,ডাঃ মুখাজির কেসে কি পেলে?
- ম্যাম।কেসটা আমি নিজে কিছুটা এগিয়ে নিয়ে গেছি।কিন্তু আপনি জানেন সেদিন আপনাকে ফোনে বলেছিলাম সে ব্যাপারে।
- হুম তো কি পেলে?
- আমি ওখান থেকে একটা সিরিঞ্জ পেয়েছি সাথে রক্ত, যদিও এটা অফিসিয়ালী ব্যাপার আপনাকে জানানো উচিত না,তবুও বলছি,রক্তটা ডা. মুখার্জির,আর তাতে দুটি আঙ্গুলের ছাপ আছে একটা ডাঃ মুখার্জির,আর একটা আপনার!!এই বলে একটু থামলো সুব্রত,এখন আমার কি করা উচিত ম্যাম,আপনি শিখিয়েছেন ন্যায়ের সাথে চলতে!!
- শান্ত হও ব্যাটা।আচ্ছা আমি বললে তুমি বিশ্বাস করবে?? সুব্রতর দিকে তাকিয়ে অঞ্জলী কথাটা বললো।
- সুব্রত দৃঢ় ভাবে বললো আমি ভগবানের থেকেও আপনাকে বিশ্বাস করি ম্যাম।আপনি বলুন।
- অঞ্জলী অমিতের জন্য নার্সের চাকরি নেওয়া থেকে শুরু করে ডাঃ মুখার্জির অসৎ কাজ পর্যন্ত বললো,এতোটুকু শুনে সুব্রত ও রাগে ফুঁসতে ফুঁসতে বললো আগে জানলে শালাকে আমি ইনকাউন্টারে দিতাম।
অঞ্জলী আবার শুরু করলো,আমি সঠিক সময়ে ডাঃ কে ধরে ফেলি।পরে তাকে রুমে নিয়ে গিয়ে নানা প্রশ্ন করি।আর সেটা রেকর্ড করি কিন্তু সত্যি আমি তাকে কিছু করিনি,আর সিরিঞ্জে আমার আঙ্গুলের ছাপ সেটা থাকতে পারে কারণ অনেক বার সেটা আমার স্পর্শ করা লেগেছে।সব শেষে আমি রুম থেকে বেড়িয়ে আসি,সকালে শুনি উনি মারা গেছে।
- হ্যা ম্যাম উনি ওই সিরিঞ্জ নিজের শরীরে পুশ করে,হার্ট এটাক করেছে।ওকে ম্যাম আপনার আর কোন চিন্তা নেই। বাকিটা আমি দেখবো,হয়ত এতে অন্যায় কিছু করা হবেনা।
- সেটা না হয় করলে ব্যাটা,কিন্তু ডাঃ কার কথায় এমন করছিলো।তুমি কিছু জানতে পারছো ??
- সেটা পুরোপুরি ভাবে জানিনা কিন্তু কিছুটা ধারনা করছি,সুব্রত বললো,
- অঞ্জলী অধৈয্য ভাবে বসা থেকে উঠে বললো কে ???
- প্রতাপ হাজরা!!মন্ত্রী বাহাদুরের খাশ লোক!আমি ডাঃ মুখার্জির কল লিষ্ট চেক করেছি। তাছাড়া আপনাকে একটা কথা জানাই ম্যাম,সেদিন যে অমিত স্যারের উপর আ্যটাক হয়েছিলো,যারা করেছিলো তারা উনার পাঠানো লোক।
- ওহ,শিট!!মাথায় হাত দিয়ে বসে পরলো অঞ্জলী।এর ভিতর প্রতাপ হাজরা কি করে এলো। সে তো অমিতকে হয়ত কোনদিন দেখেইনি!!
- সেটা আমিও ভেবেছি ম্যাম। কিন্তু বুঝতে পারছিনা।তাছাড়া আমি সব জেনেও সরাসরি উনার বিরুদ্ধে একশনে যেতে পারছিনা।
- সুব্রত !
- অঞ্জলীর ডাকে সুব্রত সরাসরি অঞ্জলীর চোখের দিকে তাকিয়ে কি পড়ার চেষ্টা করে বললো বলুন ম্যাম!?
- অঞ্জলী তার একটি হাত সুব্রতর কাঁধে রেখে বললো,ব্যাটা এই ম্যামের জন্য একটু আন অফিসিয়ালি কিছু করতে পারবে না??করুন ভাবে বললো অঞ্জলী । - একি বলবেন ম্যাম,আপনি আদেশ করুন।আমি জানি আপনি কখনো আমাকে ভুল পথে চালিত করবেন না! - থাংকু ব্যাটা,তুমি এখন যাও,সময় মত তোমাকে ডেকে নিবো। অঞ্জলীর ওখান থেকে বেড়িয়ে সুব্রত ম্যাগীকে কল করলো,যদি ম্যাগী ফ্রি থাকে কোথাও বসা যাবে,এমনিতে অফিস থেকে আজ বিশেষ কাজের জন্য ছুটি নিয়েই অঞ্জলীর কাছে এসেছিলো।একবার রিং হতেই ফোন ধরলো ম্যাগী।
- হাই!! কেমন আছো ??
- আই এম ফাইন! ইউ ?
- ভাল। ফ্রি আছো ?? থাকলে কোথাও কফি খেতে যাওয়া যেত!!
- হুম ফ্রিই আছি একটু আগেই অফিস থেকে ফিরলাম।ওকে তুমি বরং আমার হোটেলের সামনে চলে আসো,ততক্ষনে আমি রেডি হয়ে যাবো।
- ওকে আমি দশ মিনিটে আসছি। বলে ফোন রেখে দিলো সুব্রত। ম্যাগী রেড়ি হতে লাগলো।আজকাল সুব্রতর সাথে সময় কাঁটাতে ভালোই লাগে,সো কিউট আর হ্যান্ডসাম,আর মনটাও অনেক ভালো।!
""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!