11-03-2019, 01:57 AM
“মালতি দি একটু দারিয়ে যাও আমার স্নান হয়ে যাক।
আজ আবার কারেন্ট নেই। কি জ্বালা বল ত”
মায়ের কথা শুনে মালতি পিসিও উঠন এর দিকে চলে গেল।
“এই দরজা টা বন্ধ করে এসেছ ত?”
আরে হ্যা বউদি। এত কেন ভাব বল ত। “
এক টু ফিস ফিস করে বললেও আমি মায়ের কথা স্পষ্ট শুনতে পেলাম
“আরে না এরম নয়। তমার দাদা জানলে খুবখুব রাগারাগি করে। “
আমার ই বাড়ির এতো খবর আমি নিজেই জানতাম না। মা প্রায় ই উথনে স্নান করে। বাবা তা জানলে রাগ করে।
কিছুক্ষনের মধ্যেই জল ধালার ছমছম শব্দ শুরু হল। বুঝলাম মা স্নান করছে।
বারবার মনে হচ্ছিল মালতি পিসির সাথে ওই খেলা টা খেলি। কিন্তু ভয় করছিল। যদি কেউ বুঝে যায়। সাহস হলেও পারলাম না।
মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল শাহবাজ চাচার মুখ টা। শাহবাজ চাচা আমাদের বাড়ি তে বহু বছর ভাড়া থাকে। বয়সে হয়ত আমার বাবার ই মতন হবে। কিন্তু বাবার চেয়ে একদম আলাদা।
শাহবাজ চাচা সকালে কুস্তি লড়ে। শরিরে খুব শক্তি। আর আমাদের বাড়ি ভাড়া থাকে বলেই হয়ত পাড়ার বদমাশ রা কখনই আমাদের বাড়ির আশেপাসে ঘেসে না।
আমাদের বাড়ি টা অনেক পুরনো। কল পাড় এর দিকে বাড়ি লাগোয়া বেশ কয়েক টা ঘর আছে। সব ই এক তলা। চাচা অবিবাহিত। তাই সেভাবে বেশি জায়গার দরকার ও হয়না। সন্ধ্যে বেলা আমাদের টিউশন পড়ায় ও। আমি বাপি আর মিলন যাই পড়তে। শাহবাজ চাচা আমাদের বকেনা কখনো। কিন্তু ওকে বেশ ভয় লাগে।
“বাবু বাবু….. খেলতে যাবি? “
বুঝলাম বাপি এসেছে। ওর ওপর এক টু রাগ ই হয়েছে। সেদিন যদি ও আমার সাথে বাড়ি ফিরত তাহলে আমি এরম একা বিপদে পড়তাম না।
“বাবু চল। আরে চল না। কথা আছে।”
আমি কিছু বলার আগেই টানতে টানতে আমায় নিয়ে গেল।
মাঠ এর ধারেই গাছের তলায় এক টা বসার জায়গা। ওটা কে আমরা ঠেক বলি। বাপির মুখ দেখে মনে হচ্ছিল ও যেন কিছু বলতে চায়। আমি কিছু জিজ্ঞেস করিনি। ও নিজের থেকেই বলল
“জানিস ক্ষ্যাপাবাবা কেন খুন হয়েছে?”
বাপির স্বভাব টা ই হল গুল মারা। আমি জানি ও কিছু এক টা গুল মারবে। কিন্তু আমার ও হাতে আছে ভয়ানক এক অস্ত্র।
ও কিছু বলার আগেই আমি ওর চোখের দিকে তাকালাম আর বললাম “আয়না”.
সাথে সাথে ভেসে এলো অদ্ভুত এক টা গল্প।
“বাবুকে এমনভাবে বলব সত্যি ভেবে নেবে। বলব আমি ক্ষ্যাপাবাবার বর পেয়েছি। ক্ষ্যাপাবাবাকে কারা মেরেছে তাও জানি “
আমি আর থাকতে পারলাম না। হেসে ফেললাম।
বাপি কিছু এক টা বলার চেষ্টা করছিল। আমার কানেই এলনা। কিকরেই বা আসবে আমি আত্মহারা ক্ষ্যাপাবাবার অলউকিক বলে।
বাপি কখন যে রেগে বাড়ি চলে গেছিল খেয়াল নেই।
দেখি দূর থেকে মালতি পিসি আসছে। আমি জানি আমায় দেখে দাড়াবেই। আমার সা্হস বেড়ে ১০০ গুন হয়ে গেছে। আমি আবার ওর সাথে খেলব। তবে খেলার রাশ টা আমায় নিজের হাতে টান তে হবে। ও কি ভাবছে তা ভেবে লাভ নেই। ওকে ভাবাতে হবে। যেভাবে হক। শাহবাজ চাচার ওই অচেনা মুখ ব্যাস অত টুকু ই দেখেছিলাম। ওকে নিয়ে যেতে হবে ওখানে।
যা ভেবেছিলাম ঠিক তাই।
“আরে বাবু তুমি এখানে। বউদি কত খুঁজছে তমায়।
এক টু মাথা খাটালাম। তারপর বললাম
“হা যাচ্ছি। আচ্ছা মালতি পিসি আজ কি শাহবাজ চাচা বাড়িতে আছে? তুমি কি দেখেছ।
দেখলাম মনে মনে হাসল। আমি বুঝলাম এটাই সেরা চান্স। ওর চোখের দিকে তাকিয়ে বলে দিলাম “আয়না
আজ আবার কারেন্ট নেই। কি জ্বালা বল ত”
মায়ের কথা শুনে মালতি পিসিও উঠন এর দিকে চলে গেল।
“এই দরজা টা বন্ধ করে এসেছ ত?”
আরে হ্যা বউদি। এত কেন ভাব বল ত। “
এক টু ফিস ফিস করে বললেও আমি মায়ের কথা স্পষ্ট শুনতে পেলাম
“আরে না এরম নয়। তমার দাদা জানলে খুবখুব রাগারাগি করে। “
আমার ই বাড়ির এতো খবর আমি নিজেই জানতাম না। মা প্রায় ই উথনে স্নান করে। বাবা তা জানলে রাগ করে।
কিছুক্ষনের মধ্যেই জল ধালার ছমছম শব্দ শুরু হল। বুঝলাম মা স্নান করছে।
বারবার মনে হচ্ছিল মালতি পিসির সাথে ওই খেলা টা খেলি। কিন্তু ভয় করছিল। যদি কেউ বুঝে যায়। সাহস হলেও পারলাম না।
মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল শাহবাজ চাচার মুখ টা। শাহবাজ চাচা আমাদের বাড়ি তে বহু বছর ভাড়া থাকে। বয়সে হয়ত আমার বাবার ই মতন হবে। কিন্তু বাবার চেয়ে একদম আলাদা।
শাহবাজ চাচা সকালে কুস্তি লড়ে। শরিরে খুব শক্তি। আর আমাদের বাড়ি ভাড়া থাকে বলেই হয়ত পাড়ার বদমাশ রা কখনই আমাদের বাড়ির আশেপাসে ঘেসে না।
আমাদের বাড়ি টা অনেক পুরনো। কল পাড় এর দিকে বাড়ি লাগোয়া বেশ কয়েক টা ঘর আছে। সব ই এক তলা। চাচা অবিবাহিত। তাই সেভাবে বেশি জায়গার দরকার ও হয়না। সন্ধ্যে বেলা আমাদের টিউশন পড়ায় ও। আমি বাপি আর মিলন যাই পড়তে। শাহবাজ চাচা আমাদের বকেনা কখনো। কিন্তু ওকে বেশ ভয় লাগে।
“বাবু বাবু….. খেলতে যাবি? “
বুঝলাম বাপি এসেছে। ওর ওপর এক টু রাগ ই হয়েছে। সেদিন যদি ও আমার সাথে বাড়ি ফিরত তাহলে আমি এরম একা বিপদে পড়তাম না।
“বাবু চল। আরে চল না। কথা আছে।”
আমি কিছু বলার আগেই টানতে টানতে আমায় নিয়ে গেল।
মাঠ এর ধারেই গাছের তলায় এক টা বসার জায়গা। ওটা কে আমরা ঠেক বলি। বাপির মুখ দেখে মনে হচ্ছিল ও যেন কিছু বলতে চায়। আমি কিছু জিজ্ঞেস করিনি। ও নিজের থেকেই বলল
“জানিস ক্ষ্যাপাবাবা কেন খুন হয়েছে?”
বাপির স্বভাব টা ই হল গুল মারা। আমি জানি ও কিছু এক টা গুল মারবে। কিন্তু আমার ও হাতে আছে ভয়ানক এক অস্ত্র।
ও কিছু বলার আগেই আমি ওর চোখের দিকে তাকালাম আর বললাম “আয়না”.
সাথে সাথে ভেসে এলো অদ্ভুত এক টা গল্প।
“বাবুকে এমনভাবে বলব সত্যি ভেবে নেবে। বলব আমি ক্ষ্যাপাবাবার বর পেয়েছি। ক্ষ্যাপাবাবাকে কারা মেরেছে তাও জানি “
আমি আর থাকতে পারলাম না। হেসে ফেললাম।
বাপি কিছু এক টা বলার চেষ্টা করছিল। আমার কানেই এলনা। কিকরেই বা আসবে আমি আত্মহারা ক্ষ্যাপাবাবার অলউকিক বলে।
বাপি কখন যে রেগে বাড়ি চলে গেছিল খেয়াল নেই।
দেখি দূর থেকে মালতি পিসি আসছে। আমি জানি আমায় দেখে দাড়াবেই। আমার সা্হস বেড়ে ১০০ গুন হয়ে গেছে। আমি আবার ওর সাথে খেলব। তবে খেলার রাশ টা আমায় নিজের হাতে টান তে হবে। ও কি ভাবছে তা ভেবে লাভ নেই। ওকে ভাবাতে হবে। যেভাবে হক। শাহবাজ চাচার ওই অচেনা মুখ ব্যাস অত টুকু ই দেখেছিলাম। ওকে নিয়ে যেতে হবে ওখানে।
যা ভেবেছিলাম ঠিক তাই।
“আরে বাবু তুমি এখানে। বউদি কত খুঁজছে তমায়।
এক টু মাথা খাটালাম। তারপর বললাম
“হা যাচ্ছি। আচ্ছা মালতি পিসি আজ কি শাহবাজ চাচা বাড়িতে আছে? তুমি কি দেখেছ।
দেখলাম মনে মনে হাসল। আমি বুঝলাম এটাই সেরা চান্স। ওর চোখের দিকে তাকিয়ে বলে দিলাম “আয়না