22-09-2020, 02:39 PM
৩৫ পর্ব
সুব্রত তো আর জানে না।যে ওর ফোনে এসএমএস করেছিলো স্বয়ং অঞ্জলী,তার গোপন সিম থেকে,আর তারপর সেটা নষ্ট করে ফেলেছে।আর সেদিন মিলের পিছে অবয়বটি আর কেউ না সেটা অঞ্জলী ছিলো।সেদিন সকালে অমিত চলে যাবার পর অঞ্জলী অনেক ভেবেও অমিতের শক্রকে এটা বের করতে পারছিলো না,তাই অঞ্জলী সিদ্ধান্ত নেয় অমিতের মিল বা কারখানার উপর নজর রাখবে যদি কোন ক্লু পাওয়া যায়।কিন্তু তবুও ও আরো নিশ্চিত হবার জন্য তখন ম্যাগী কে কল করে আর বলে ছদ্দবেশে আশ্রমে তার সাথে এখনি দেখা করতে।ম্যাগী তখন হোটেলেই ছিলো,অঞ্জলীর ফোন পেয়ে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব আশ্রমে আসে।ম্যাগী আসলে ঠাকুমার নথি থেকে জানা তথ্য যেগুলো ম্যাগীকে বলা যায় সব বলে।ম্যাগী শুনে থ মেরে যায় পরিবারের ভিতর এমন শক্রতা।
অঞ্জলী মনি শংকরের কথা বলতে ম্যাগী বলে দেখুন ম্যাডাম আমিও প্রথমে মনি শংকরকে সন্দেহ করেছিলাম,আর এটাও সত্যি যে সে আপনার উপর এবং অমিতের উপর প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে আঘাত করেছে কিন্তু এখন মনি শংকরকে একটু অন্য রকম লাগছে।
- হ্যা মাগী তুমি ভুল বলোনি,কিন্তু তাই বলে তাকে তো আমরা সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ দিতে পারিনা।
- হা সেটা ঠিক ম্যাডাম।তো আমাকে কি করতে হবে এখন।
- ম্যাগীর কথা শুনে অঞ্জলী বললো,আমি জানি ম্যাগী আমার মতো তুমিও অমিতের ক্ষতি চাও না।তাই এই মূহুর্তে তোমাকে একটা কাজ করতে হবে।হয়ত এই কাজ করতে গিয়ে কোন খারাপ মনের মানুষের কাছে নিজের শরীরও বিলিয়ে দিতে হতে পারে!!তুমি কি পারবে??
- অঞ্জলীর কথা শুনে ম্যাগী কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলো।তারপর বললো আসলে ম্যাডাম!!
- ওয়েট প্লিজ ১ মিনিট!! ম্যাগীকে থামিয়ে দিলো অঞ্জলী।ম্যাডাম না অঞ্জু!আর আপনি না তুমি!!ওকে!??
- ম্যাগী ও হেসে বললো ওকে!! তো শোন অঞ্জু সেক্সটা আমার কাছে জলভাত কিন্তু সেটা সব সময় আমার নিজের রুচিতে করি।আজ যদি একটা ভালো কাজের জন্য একটা খারাপ মানুষের সাথে করতে হয় তো আমার সমস্যা নেই।আর সাইজ ভালো হলে তো আমারও মজা। বলেই ম্যাগী হেসে দিলো।
- অঞ্জলী ও হেসে বললো,তুমি আসলেই দুষ্টু।
এখন শোন আজ তুমি যখন অফিস যাবে তখন একটু চোখ কান খুলে রাখবে,আমার ধারণা অমিত কোথায় যায় শক্র তা খবর রাখে যেহেতু কাল অমিত ব্যাংকে গেছিলো তাই যদি মনি শংকর শক্র হয় তো কোন কিছু আলোচনা হতে পারে।তাছাড়া মনি শংকরের শালা সিধু,যে সাধু পুরুষের বেশ ধরে তার দিকে একটু বেশি লক্ষ্য রাখবে।আর যদি পারো তার একটু বেশি কাছে যাবে,যদি কিছু পাওয়া যায়।
সেদিন বিকালের দিকে ম্যাগী অঞ্জলী কে জানিয়ে ছিলো ফোনে যে সিধু কাকে নাকি ফোনে বলছে,রাতে মাল ডেলিভারী আছে,তৈরি থাকিস।অঞ্জলী দুই দুই চার করে নিয়েছিলো হয়ত আগের দিনের মত আজও অমিতের ফ্যাক্টরীর থেকে মাল সরাবে গোপনে। তারপর চুরি গেছে বলে কিছু টাকাও হাতাবে।কিন্তু অঞ্জলী জানতো না এখানে ড্রাগসের ব্যাপার থাকবে।তাই জানতে পরে সুব্রতকে মেসেজ করে। কিন্তু অঞ্জলী সেদিনের বস টাইপের ব্যাক্তিটা কে চিনতে পারিনি।কিন্তু যেহেতু ম্যাগী বলেছিলো সিধু ফোনে ডেলিভারীর কথা বলেছে।তাই ওটা সিধু হতে পারে আবার এতো রাতে সিধু মনি শংকরের অফিসে!তাহলে এই ব্যাপারে কি মনি শংকরও জড়িত।ধ্যাত সব তালগোল পাঁকিয়ে যাচ্ছে অঞ্জলীর।
অঞ্জলী আবার ভাবতে শুরু করলো সবকিছু গোড়া থেকে অমিতের প্রথম শক্র সিদ্ধার্থ রায় চৌধুরী এখন মৃত।তাহলে উনি লিষ্ট থেকে বাদ।তারপর মনি শংকর কিন্তু অমিত আহত হবার পর থেকে তিনি কেমন পাল্টে গেছেন।তবুও মনে কি চলছে বোঝা যাচ্ছেনা।তারপর সাধু পুরুষ সিধু,খুব ধুর্ত লোক,নিজের লাভ ছাড়া কিছুই বোঝে না।সেদিন যা শুনলাম অমিতের হামলার পিছনে তার হাত থাকতে পারে,কিন্তু সে তো মনি শংকরের কথায় উঠে আর বসে,তাহলে কি মনি শংকর!!? উফ ঘুরে ফিরে আবার মনি শংকর! ডাঃ মুখাজী কেন অমিত কে মারতে চেয়েছিলো এর পিছে কার হাত??!!
না কিছুই মাথায় আসছেনা অঞ্জলীর।কেউ একজন মিসিং থাকছে।ওদিকে সুব্রতকে থামিয়ে রাখছে পুজো অব্দি না হলে ডাঃ মুখাজীর কেসটা নিয়ে ও তদন্ত শুরু করে দিতো।আরো কিছুক্ষণ ভেবে অঞ্জলী সিদ্ধান্ত নিলো ম্যাগীকে আরো গভীর ভাবে ব্যবহার করতে হবে।আর কাল সুব্রতকে একবার ডেকে কিছু কথা বলতে হবে।
সুব্রত তো আর জানে না।যে ওর ফোনে এসএমএস করেছিলো স্বয়ং অঞ্জলী,তার গোপন সিম থেকে,আর তারপর সেটা নষ্ট করে ফেলেছে।আর সেদিন মিলের পিছে অবয়বটি আর কেউ না সেটা অঞ্জলী ছিলো।সেদিন সকালে অমিত চলে যাবার পর অঞ্জলী অনেক ভেবেও অমিতের শক্রকে এটা বের করতে পারছিলো না,তাই অঞ্জলী সিদ্ধান্ত নেয় অমিতের মিল বা কারখানার উপর নজর রাখবে যদি কোন ক্লু পাওয়া যায়।কিন্তু তবুও ও আরো নিশ্চিত হবার জন্য তখন ম্যাগী কে কল করে আর বলে ছদ্দবেশে আশ্রমে তার সাথে এখনি দেখা করতে।ম্যাগী তখন হোটেলেই ছিলো,অঞ্জলীর ফোন পেয়ে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব আশ্রমে আসে।ম্যাগী আসলে ঠাকুমার নথি থেকে জানা তথ্য যেগুলো ম্যাগীকে বলা যায় সব বলে।ম্যাগী শুনে থ মেরে যায় পরিবারের ভিতর এমন শক্রতা।
অঞ্জলী মনি শংকরের কথা বলতে ম্যাগী বলে দেখুন ম্যাডাম আমিও প্রথমে মনি শংকরকে সন্দেহ করেছিলাম,আর এটাও সত্যি যে সে আপনার উপর এবং অমিতের উপর প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে আঘাত করেছে কিন্তু এখন মনি শংকরকে একটু অন্য রকম লাগছে।
- হ্যা মাগী তুমি ভুল বলোনি,কিন্তু তাই বলে তাকে তো আমরা সন্দেহের তালিকা থেকে বাদ দিতে পারিনা।
- হা সেটা ঠিক ম্যাডাম।তো আমাকে কি করতে হবে এখন।
- ম্যাগীর কথা শুনে অঞ্জলী বললো,আমি জানি ম্যাগী আমার মতো তুমিও অমিতের ক্ষতি চাও না।তাই এই মূহুর্তে তোমাকে একটা কাজ করতে হবে।হয়ত এই কাজ করতে গিয়ে কোন খারাপ মনের মানুষের কাছে নিজের শরীরও বিলিয়ে দিতে হতে পারে!!তুমি কি পারবে??
- অঞ্জলীর কথা শুনে ম্যাগী কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলো।তারপর বললো আসলে ম্যাডাম!!
- ওয়েট প্লিজ ১ মিনিট!! ম্যাগীকে থামিয়ে দিলো অঞ্জলী।ম্যাডাম না অঞ্জু!আর আপনি না তুমি!!ওকে!??
- ম্যাগী ও হেসে বললো ওকে!! তো শোন অঞ্জু সেক্সটা আমার কাছে জলভাত কিন্তু সেটা সব সময় আমার নিজের রুচিতে করি।আজ যদি একটা ভালো কাজের জন্য একটা খারাপ মানুষের সাথে করতে হয় তো আমার সমস্যা নেই।আর সাইজ ভালো হলে তো আমারও মজা। বলেই ম্যাগী হেসে দিলো।
- অঞ্জলী ও হেসে বললো,তুমি আসলেই দুষ্টু।
এখন শোন আজ তুমি যখন অফিস যাবে তখন একটু চোখ কান খুলে রাখবে,আমার ধারণা অমিত কোথায় যায় শক্র তা খবর রাখে যেহেতু কাল অমিত ব্যাংকে গেছিলো তাই যদি মনি শংকর শক্র হয় তো কোন কিছু আলোচনা হতে পারে।তাছাড়া মনি শংকরের শালা সিধু,যে সাধু পুরুষের বেশ ধরে তার দিকে একটু বেশি লক্ষ্য রাখবে।আর যদি পারো তার একটু বেশি কাছে যাবে,যদি কিছু পাওয়া যায়।
সেদিন বিকালের দিকে ম্যাগী অঞ্জলী কে জানিয়ে ছিলো ফোনে যে সিধু কাকে নাকি ফোনে বলছে,রাতে মাল ডেলিভারী আছে,তৈরি থাকিস।অঞ্জলী দুই দুই চার করে নিয়েছিলো হয়ত আগের দিনের মত আজও অমিতের ফ্যাক্টরীর থেকে মাল সরাবে গোপনে। তারপর চুরি গেছে বলে কিছু টাকাও হাতাবে।কিন্তু অঞ্জলী জানতো না এখানে ড্রাগসের ব্যাপার থাকবে।তাই জানতে পরে সুব্রতকে মেসেজ করে। কিন্তু অঞ্জলী সেদিনের বস টাইপের ব্যাক্তিটা কে চিনতে পারিনি।কিন্তু যেহেতু ম্যাগী বলেছিলো সিধু ফোনে ডেলিভারীর কথা বলেছে।তাই ওটা সিধু হতে পারে আবার এতো রাতে সিধু মনি শংকরের অফিসে!তাহলে এই ব্যাপারে কি মনি শংকরও জড়িত।ধ্যাত সব তালগোল পাঁকিয়ে যাচ্ছে অঞ্জলীর।
অঞ্জলী আবার ভাবতে শুরু করলো সবকিছু গোড়া থেকে অমিতের প্রথম শক্র সিদ্ধার্থ রায় চৌধুরী এখন মৃত।তাহলে উনি লিষ্ট থেকে বাদ।তারপর মনি শংকর কিন্তু অমিত আহত হবার পর থেকে তিনি কেমন পাল্টে গেছেন।তবুও মনে কি চলছে বোঝা যাচ্ছেনা।তারপর সাধু পুরুষ সিধু,খুব ধুর্ত লোক,নিজের লাভ ছাড়া কিছুই বোঝে না।সেদিন যা শুনলাম অমিতের হামলার পিছনে তার হাত থাকতে পারে,কিন্তু সে তো মনি শংকরের কথায় উঠে আর বসে,তাহলে কি মনি শংকর!!? উফ ঘুরে ফিরে আবার মনি শংকর! ডাঃ মুখাজী কেন অমিত কে মারতে চেয়েছিলো এর পিছে কার হাত??!!
না কিছুই মাথায় আসছেনা অঞ্জলীর।কেউ একজন মিসিং থাকছে।ওদিকে সুব্রতকে থামিয়ে রাখছে পুজো অব্দি না হলে ডাঃ মুখাজীর কেসটা নিয়ে ও তদন্ত শুরু করে দিতো।আরো কিছুক্ষণ ভেবে অঞ্জলী সিদ্ধান্ত নিলো ম্যাগীকে আরো গভীর ভাবে ব্যবহার করতে হবে।আর কাল সুব্রতকে একবার ডেকে কিছু কথা বলতে হবে।
""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!