22-09-2020, 10:14 AM
৩৪ পর্ব
অঞ্জলীর ওখান থেকে বেড়িয়ে অমিতের নিজেকে কেমন দিশেহারা লাগছে,মাএ একটা রাতের ভিতর কতো কিছু না জানা কথা জানতে পেল।তার পিতৃপরিচয়,তার শক্র সম্পর্কে,এমনকি ঠাকুমা শেষ দিনে এসেও তাকে পাগলের মত চেয়েছে অথচ সে নিজে অভিমান করে বসে থেকেছে সুদূর আমেরিকায়।সব শেষে কাল অঞ্জলী কে নিজের করে পাওয়া।ভাল মন্দ মিলিয়ে কি করবে কোথায় যাবে ভেবে কূল পাচ্ছেনা।সব ভেবে ম্যাগীকে ফোন দিলো রিং হয়ে কেটে গেল।ধরলো না,বাধ্য হয়ে বাসার দিকে রওনা দিলো।
রাত ১১টা একটা ডার্ক ব্লু রঙের বেন্টলী রায় টেক্সটাইলের পাশ দিয়ে চলে গেল,পরে একটু দুরে গিয়েই থেমে গেলো,গাড়ি থেকে নামলেন কালো কোটে ঢাকা এক অবয়ব,ছেলে না মেয়ে বুঝা গেলনা।অবয়বটি চারপাশে সতর্কভাবে দেখে মিলের পিছন দিকে চলে গেল,যে দিকটায় একটু জঙ্গলের মত।বিল্ডিং এর পিছন দিকে একটা দরজা আছে ভিতরে প্রবেশ করার কিন্তু তালা দেওয়া।তাই অবয়বটি না ঢুকে বা তালা ভাংগার চেষ্টা না করে,আরো একটু এগিয়ে গেল যেখানটা সামনে থেকে ঢুকার অংশ।তারপর চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকলেন যেন বাঘ কোন হরিণকে শিকার করার জন্য ওত পেতে আছে।বার বার ঘড়ি দেখছেন অবয়বটি,কিছু সময় পর একটা শব্দ আর মিলের ভিতরের রুমে লাইট জ্বলে ওঠতে আরো সতর্ক হয়ে কান খাঁড়া করলো।দেয়ালের এপাশ থেকে খুব বেশি ভালো শোনা সম্ভব না,তবুও চেষ্টা করলো কতটা শোনা যায়।
- স্যার,কাল ওই অঞ্জলী মাগীটার সাথে অমিত স্যার ব্যাংকে গেছিলো।কিন্তু তেমন কোন কিছু নিয়ে ঢুকতে কিংবা বের হতে দেখা যাইনি।
- এবার একটা কন্ঠ গমগম করে উঠলো।হয়ত উনিই এদের লিডার বা বস!হা তোরা কি বাল ছিড়বি,তা আমার জানা আছে সব শালা অকর্মার দল।একটা কাজ ও করতে পেরেছিস।শালা তিন তিন বার তোরা চ্যান্স মিস করেছিস।শালা এখন তো পুলিশ মিডিয়া এমনকি ভিক্টিমও সতর্ক হয়ে গেছে।শোন এবার কিছুদিন চুপ থাক,হাতে মাল কড়িও একটু টান টান,সব দিক একটু ঠান্ডা হোক তারপর আবার একশনে যাবো।
এখন মেলা বকিস না।পিছনের গেটটা খোল আর গাড়ি লাগা,বার্মা থেকে আনা মাল গুলো আজই ডেলিভারী দিতে হবে আমি এখন চলে যাচ্ছি সব ঠিকঠাক ভাবে করিস।
- ওকে বস!!
পিছনের গেট খোলার কথা শুনে অবয়বটা সতর্ক হলো,দ্রুত আবার পিছন দিকে ফিরে এসে গাড়িটার কাছে দাঁড়ালো। একজন লোক পিছনের গেট খুলতেই ভিতরের আলো এসে বাইরে পরতেই অবয়বটা দেখলো,গাড়ির চাকা গিয়ে গিয়ে একটা রাস্তা মত হয়ে গেছে আর সেটা ফ্যাক্টারির পিছন দিক দিয়ে বড় রাস্তায় উঠেছে।অবয়বটি আর ওখানে না দাঁড়িয়ে তাড়াতাড়ি নিজের গাড়িতে উঠে,হেড লাইট না জ্বালিয়ে,ফ্যাক্টারির সামনের রাস্তার এক সাইডে অপেক্ষা করছে,কারো জন্য।কিছুক্ষণ পর একটু আগে যে বস গোছের লোকটি ছিলো তার গাড়ি বেরিয়ে এলো,তারপর সোজা রাস্তা ধরলো,অবয়বটি তার গাড়ি ছুটালো সামনের গাড়িকে ফলো করে।প্রায় পনেরো মিনিট পর সামনের গাড়িটি একটা অফিসের গেট পার করে ভিতরে ঢুকলো।অবয়বটি দেখেই চিনলো অফিসটি আর কারো না।এটা মনি শংকরের অফিস!!ওখানে না দাঁড়িয়ে গাড়ি ছুটালো সামনে রাস্তা বরাবর!কিছুদুর গিয়েই গাড়ি থামিয়ে ফোন হাতে একজনকে এসএমএস করলো,তারপর ফোন থেকে সিমটা খুলে নিয়ে ভেঙ্গে সেটা ছুড়ে ফেলে দিলো বাইরে।আবার নিজের পথ ধরে চলতে শুরু করলো।
রাত তিনটে নাগাত অঞ্জলীর ফোন বেঁজে উঠলো,হাতে নিয়ে দেখে সুব্রত কল করেছে।রিসিভ করে কানে ধরতেই।
- হ্যালো মিস!আমি সুব্রত বলছি!
- হা ব্যাটা বলো।
- সরি এতো রাতে আপনাকে কল করলাম কিছু মনে করবেন না।
- ইটস ওকে ব্যাটা!কি হয়েছে এতো উদ্বেগ লাগছে কেন তোমাকে?
- ম্যাম,আমি একটা ইনফরমেশন পেয়ে একটা গাড়ি আটক করেছি কিন্তু,কিন্তু কাউকে ধরতে পারিনি।এটা অমিত স্যারের টেক্সটাইল মিলের নিজস্ব গাড়ি,যাতে করে ড্রাগস পাচার হচ্ছিলো।এখন আপনি বুঝতেই পারছেন গাড়ি সহ থানায় নিলে অমিত স্যারের নাম জড়াবে।কিন্তু আমি জানি উনি এসব করেন নি।কিন্তু যেহেতু উনি দেশে আছেন সো বুঝতেই পারছেন।তাই আপনাকে কল করা।
- সেকি!!এতো খুব চিন্তার কথা।বাট থ্যাংকু ব্যাটা তুমি যদি পারো গাড়িটা একটু চেন্স করে ফেলো।
- ওকে ম্যাম এটুকু আমি করতেই পারি।
- ওকে ব্যাটা!এসে মামনির হাতের চা খেয়ে যেও।বলে ফোন রেখে দিলো অঞ্জলী ।
অঞ্জলীর ওখান থেকে বেড়িয়ে অমিতের নিজেকে কেমন দিশেহারা লাগছে,মাএ একটা রাতের ভিতর কতো কিছু না জানা কথা জানতে পেল।তার পিতৃপরিচয়,তার শক্র সম্পর্কে,এমনকি ঠাকুমা শেষ দিনে এসেও তাকে পাগলের মত চেয়েছে অথচ সে নিজে অভিমান করে বসে থেকেছে সুদূর আমেরিকায়।সব শেষে কাল অঞ্জলী কে নিজের করে পাওয়া।ভাল মন্দ মিলিয়ে কি করবে কোথায় যাবে ভেবে কূল পাচ্ছেনা।সব ভেবে ম্যাগীকে ফোন দিলো রিং হয়ে কেটে গেল।ধরলো না,বাধ্য হয়ে বাসার দিকে রওনা দিলো।
রাত ১১টা একটা ডার্ক ব্লু রঙের বেন্টলী রায় টেক্সটাইলের পাশ দিয়ে চলে গেল,পরে একটু দুরে গিয়েই থেমে গেলো,গাড়ি থেকে নামলেন কালো কোটে ঢাকা এক অবয়ব,ছেলে না মেয়ে বুঝা গেলনা।অবয়বটি চারপাশে সতর্কভাবে দেখে মিলের পিছন দিকে চলে গেল,যে দিকটায় একটু জঙ্গলের মত।বিল্ডিং এর পিছন দিকে একটা দরজা আছে ভিতরে প্রবেশ করার কিন্তু তালা দেওয়া।তাই অবয়বটি না ঢুকে বা তালা ভাংগার চেষ্টা না করে,আরো একটু এগিয়ে গেল যেখানটা সামনে থেকে ঢুকার অংশ।তারপর চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকলেন যেন বাঘ কোন হরিণকে শিকার করার জন্য ওত পেতে আছে।বার বার ঘড়ি দেখছেন অবয়বটি,কিছু সময় পর একটা শব্দ আর মিলের ভিতরের রুমে লাইট জ্বলে ওঠতে আরো সতর্ক হয়ে কান খাঁড়া করলো।দেয়ালের এপাশ থেকে খুব বেশি ভালো শোনা সম্ভব না,তবুও চেষ্টা করলো কতটা শোনা যায়।
- স্যার,কাল ওই অঞ্জলী মাগীটার সাথে অমিত স্যার ব্যাংকে গেছিলো।কিন্তু তেমন কোন কিছু নিয়ে ঢুকতে কিংবা বের হতে দেখা যাইনি।
- এবার একটা কন্ঠ গমগম করে উঠলো।হয়ত উনিই এদের লিডার বা বস!হা তোরা কি বাল ছিড়বি,তা আমার জানা আছে সব শালা অকর্মার দল।একটা কাজ ও করতে পেরেছিস।শালা তিন তিন বার তোরা চ্যান্স মিস করেছিস।শালা এখন তো পুলিশ মিডিয়া এমনকি ভিক্টিমও সতর্ক হয়ে গেছে।শোন এবার কিছুদিন চুপ থাক,হাতে মাল কড়িও একটু টান টান,সব দিক একটু ঠান্ডা হোক তারপর আবার একশনে যাবো।
এখন মেলা বকিস না।পিছনের গেটটা খোল আর গাড়ি লাগা,বার্মা থেকে আনা মাল গুলো আজই ডেলিভারী দিতে হবে আমি এখন চলে যাচ্ছি সব ঠিকঠাক ভাবে করিস।
- ওকে বস!!
পিছনের গেট খোলার কথা শুনে অবয়বটা সতর্ক হলো,দ্রুত আবার পিছন দিকে ফিরে এসে গাড়িটার কাছে দাঁড়ালো। একজন লোক পিছনের গেট খুলতেই ভিতরের আলো এসে বাইরে পরতেই অবয়বটা দেখলো,গাড়ির চাকা গিয়ে গিয়ে একটা রাস্তা মত হয়ে গেছে আর সেটা ফ্যাক্টারির পিছন দিক দিয়ে বড় রাস্তায় উঠেছে।অবয়বটি আর ওখানে না দাঁড়িয়ে তাড়াতাড়ি নিজের গাড়িতে উঠে,হেড লাইট না জ্বালিয়ে,ফ্যাক্টারির সামনের রাস্তার এক সাইডে অপেক্ষা করছে,কারো জন্য।কিছুক্ষণ পর একটু আগে যে বস গোছের লোকটি ছিলো তার গাড়ি বেরিয়ে এলো,তারপর সোজা রাস্তা ধরলো,অবয়বটি তার গাড়ি ছুটালো সামনের গাড়িকে ফলো করে।প্রায় পনেরো মিনিট পর সামনের গাড়িটি একটা অফিসের গেট পার করে ভিতরে ঢুকলো।অবয়বটি দেখেই চিনলো অফিসটি আর কারো না।এটা মনি শংকরের অফিস!!ওখানে না দাঁড়িয়ে গাড়ি ছুটালো সামনে রাস্তা বরাবর!কিছুদুর গিয়েই গাড়ি থামিয়ে ফোন হাতে একজনকে এসএমএস করলো,তারপর ফোন থেকে সিমটা খুলে নিয়ে ভেঙ্গে সেটা ছুড়ে ফেলে দিলো বাইরে।আবার নিজের পথ ধরে চলতে শুরু করলো।
রাত তিনটে নাগাত অঞ্জলীর ফোন বেঁজে উঠলো,হাতে নিয়ে দেখে সুব্রত কল করেছে।রিসিভ করে কানে ধরতেই।
- হ্যালো মিস!আমি সুব্রত বলছি!
- হা ব্যাটা বলো।
- সরি এতো রাতে আপনাকে কল করলাম কিছু মনে করবেন না।
- ইটস ওকে ব্যাটা!কি হয়েছে এতো উদ্বেগ লাগছে কেন তোমাকে?
- ম্যাম,আমি একটা ইনফরমেশন পেয়ে একটা গাড়ি আটক করেছি কিন্তু,কিন্তু কাউকে ধরতে পারিনি।এটা অমিত স্যারের টেক্সটাইল মিলের নিজস্ব গাড়ি,যাতে করে ড্রাগস পাচার হচ্ছিলো।এখন আপনি বুঝতেই পারছেন গাড়ি সহ থানায় নিলে অমিত স্যারের নাম জড়াবে।কিন্তু আমি জানি উনি এসব করেন নি।কিন্তু যেহেতু উনি দেশে আছেন সো বুঝতেই পারছেন।তাই আপনাকে কল করা।
- সেকি!!এতো খুব চিন্তার কথা।বাট থ্যাংকু ব্যাটা তুমি যদি পারো গাড়িটা একটু চেন্স করে ফেলো।
- ওকে ম্যাম এটুকু আমি করতেই পারি।
- ওকে ব্যাটা!এসে মামনির হাতের চা খেয়ে যেও।বলে ফোন রেখে দিলো অঞ্জলী ।
""পৃথিবীটা রঙ্গমঞ্চ আমরা সবাই অভিনেতা"" !!