03-09-2020, 01:53 PM
সিমোনকে নিজের দিকে এগিয়ে আসতে দেখে দানা সতর্ক হয়ে যায়, নিশ্চয় অনেক কিছু জিজ্ঞেস করবে। পুরুষ বেশ্যা দানা কি ভাবে কোটিপতি ব্যাবসায়ি মিস্টার বিশ্বজিৎ মণ্ডল হয়ে উঠল। হাতের মদের গেলাস অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। নয়না অন্য দিকে চলে গেছে, বিমান আর মোহন তখন পর্যন্ত গুঢ় আলোচনায় ব্যাস্ত।
সিমোনের চোখে চোখ রেখে দানা এগিয়ে যায়। স্মিত হেসে হাত বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করে, "তুমি কেমন আছো?"
সিমোন দানাকে আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করে জিজ্ঞেস করে, "তুমি এখন এই শহরে আছো?"
প্রশ্ন শুনে দানা অবাক হয়ে পাল্টা প্রশ্ন করে, "কেন আমি কোথায় যাবো?"
সিমোনে ভুরু কুঁচকে কিছু একটা ভেবে বলে, "না মানে, আমি যতদূর জানতাম তুমি শহর ছেড়ে চলে গেছ।"
দানার মাথার শিরা ওকে জানিয়ে দেয়, নিশ্চয় কঙ্কনা আর নাসরিন ওর ওপরে নজর রেখেছিল। কালী পাড়ার বস্তি কাউকে না বলেই ছেড়ে চলে গেছিল বেশ কয়েক মাসের জন্য। নিশ্চয় তার মাঝে কঙ্কনা আর নাসরিন ওর খোঁজ নিতে বস্তিতে লোক পাঠিয়েছিল। ওকে খুঁজে না পেয়ে নিশ্চিন্ত হয় কঙ্কনা আর নাসরিন, সেই খবর সিমোনেকে দেয়। কঙ্কনা আর নাসরিনের সাথে সিমোনে, রমলা, রাগিণী, নীলাঞ্জনা এমন অনেক ক্ষমতাশালী নারীদের যোগাযোগ রয়েছে সেটা দানা আগে থেকেই জানে। সিমোনকে চেপে ধরলে নিশ্চয় কঙ্কনার খবর পাওয়া যাবে সেটা আর বুঝতে বাকি থাকে না। কিন্তু এখুনি সিমোনকে চাপ সৃষ্টি করা মস্ত বড় ভুল। হাতের থেকে পাখী ফস্কে উড়ে চলে যেতে বাধ্য। আরো একটু রয়েসয়ে চাল খেলতে হবে ওকে।
দানা বাঁকা হেসে উত্তর দেয়, "তাই নাকি? না না, আমি এই মহানগরে ছিলাম।"
সিমোন আমতা আমতা করে বলে, "না মানে উড়ো খবর তাহলে। কিন্তু তোমাকে এই রূপে দেখতে পাবো আশা করিনি।"
দানা ভালো ভাবেই জানে এই রূপ অনেকের আশাতীত। শুধু মাত্র প্রেয়সীর জন্য এটা সম্ভব না হলে দানা হয়ত ভেসে যেত। কোনোদিন প্রতিশোধ নেওয়ার চিন্তা করত না। দানা একটা বেয়ারাকে ডেকে এক গেলাস মদ আনিয়ে নেয়। মদের গেলাসে চুমুক দিয়ে সিমোনের চোখে চোখ রেখে বলে, "এখন দেখতে পেলে। আরো বলো কি চলছে?"
সিমোন হেসে বলে, "তুমি প্রচন্ড কানিং (খুব ধূর্ত) তাই না? একদিকে বাপ্পা নস্করকে খেলাচ্ছো অন্যদিকে বিমানকে খেলাচ্ছো?"
দানার মাথা সঙ্গে সঙ্গে গরম হয়ে যায়, কিন্তু মেপে উত্তর না দিলে সিমোন ওর চাল বুঝতে পেরে যাবে। এখুনি কারুর সন্দেহ ভাজন হতে চায় না দানা। মিচকি হেসে নয়নার দিকে ইশারা করে বলে, "আমি না বাপ্পা নস্করের দলের, না বিমান চন্দের দলের। আমি নয়নার পক্ষের।"
চোখ পাকিয়ে চটুল হাসি দিয়ে বলে, "আচ্ছা তাই নাকি?" গলা নামিয়ে ফিসফিস করে বলে, "সাবধানে থেকো ওর কাছ থেকে। ও কিন্তু বিমানকেও খেলায়।"
দানা জানে তাও না জানার ভান করে বলে, "আচ্ছা তাই নাকি? এইবারে তাহলে তোমার কাছে শলা পরামর্শ নিতে আসবো।"
সিমোন হেসে বলে, "ঠিক আছে, আগে এই ব্যাবসায়ী লেনদেন হয়ে যাক। একদিন না হয় হারিয়ে যাওয়া দিন গুলো খোঁজা যাবে আর শলা পরামর্শ করা যাবে।"
দানা মিচকি হেসে বলে, "তোমার খাই খাই ভাব এখন সেই রকম আছে না একটু বেড়েছে?"
সিমোন কামুকী হাসি দিয়ে বলে, "তুমি নেই, কঙ্কনা নাসরিন চলে গেছে। খুঁজতে একটু অসুবিধে হয় তবে পেয়ে যাই।"
হুম, তাহলে রমলা সঠিক খবর দিয়েছিল। সিমোন মুখ ফসকে সেই কথা দানাকে জানিয়ে দিল শেষ পর্যন্ত। আর সঙ্গে সঙ্গে দানা কথার প্রেক্ষিতে প্রশ্ন করে, "তুমি কি জানো কঙ্কনা আর নাসরিন কোথায়?"
মুখ ফসকে ওদের নাম নিয়ে নেওয়াতে বেশ বিবৃত বোধ করে সিমোন। কিন্তু মুখের কথা হাতের ঢিল ছুঁড়লে পরে বড় মুশকিল। নিজে থেকে ফাঁদে পা দিয়েছে এইবারে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ছাড়া গতি নেই। ওর চোখে চোখ রেখে উত্তর দেয়, "না সঠিক জানা নেই, তবে যতদূর আমি জানি ওরা আর এই শহরে নেই।" কথায় কথা বাড়ে তাই সিমোন আর কথা না বাড়িয়ে দানাকে বলে, "চল ডিনার সেরে ফেলি। তুমি আবার নয়নাকে নিয়ে ফিরবে তাই তো?"
দানা মাথা দোলায়, "হ্যাঁ। তোমরা কি আজ রাতে এইখানে কাটাবে?"
সিমোন ফিক করে হেসে ফেলে, "ওই দুই বুড়ো মদ্দ আর মদ। হ্যাঁ আজ রাতে এইখানেই কাটাবো আমরা।"
রাতের খাবার দাবার শেষ হল আরও বেশ কিছু ব্যাবসায়িক আলোচনায়। মোহন চায় যত তাড়াতাড়ি এই প্রকল্প গুলোতে কাজ শুরু করতে। দানা জানিয়ে দেয়, কাগজ হাতে আসার পর দিন থেকেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। একবার বাপ্পা নস্কর সরে যাওয়ার পরেই নিজের অংশ কেটে বাকি সব কিছু মোহনকে ফিরিয়ে দেবে। মনে মনে দানা জানে, একবার হাতের মুঠিতে এলে আগে এদের সবাইকে পিষে ধরবে তারপরে যা করার করবে। কাউকে এখুনি প্রানে মারার পরিকল্পনা ওর নেই। তবে সময় হলে চারজনকেই চির নিদ্রায় শুইয়ে দেবে। বাপ্পা নস্করকে খেপিয়ে লাভ নেই, অন্তত বাপ্পা নস্কর ওর কোন ক্ষতি করেনি।
বাড়ি ফেরার সারা পথ, নয়নার হাবিজাবি গল্পে কেটে যায়। কিছু কথা কানে ঢোকে কিছু ঢোকে না, ইচ্ছে করেই ঢুকায় না দানা। আর ওই ফাঁদে পা দিতে রাজি নয়। দানা ওকে বিশ্বাস করে সেটা জেনে নয়না ভারী উৎসাহিত। গাড়ি মধ্যেই গলা জড়িয়ে বেশ কয়েকটা চুমু খেয়ে নেয়। দানার সেদিকে বিশেষ ভ্রূক্ষেপ নেই, আগের দানা আর এই দানা অনেক আলাদা। সেটা কিছুক্ষণের মধ্যে ওর শান্ত রূপ দেখে টের পেয়ে যায় নয়না।
গাড়ি থেকে নামার আগে ওর হাত ধরে বলে, "এই দানা, একদিন মিসেস আর মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে এসো।"
দানা মৃদু হেসে বিদায় জানিয়ে বলে, "মিসেস মাঝে মাঝেই তোমার কথা বলে, নিশ্চয় আসবো।"
সিমোনের চোখে চোখ রেখে দানা এগিয়ে যায়। স্মিত হেসে হাত বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করে, "তুমি কেমন আছো?"
সিমোন দানাকে আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করে জিজ্ঞেস করে, "তুমি এখন এই শহরে আছো?"
প্রশ্ন শুনে দানা অবাক হয়ে পাল্টা প্রশ্ন করে, "কেন আমি কোথায় যাবো?"
সিমোনে ভুরু কুঁচকে কিছু একটা ভেবে বলে, "না মানে, আমি যতদূর জানতাম তুমি শহর ছেড়ে চলে গেছ।"
দানার মাথার শিরা ওকে জানিয়ে দেয়, নিশ্চয় কঙ্কনা আর নাসরিন ওর ওপরে নজর রেখেছিল। কালী পাড়ার বস্তি কাউকে না বলেই ছেড়ে চলে গেছিল বেশ কয়েক মাসের জন্য। নিশ্চয় তার মাঝে কঙ্কনা আর নাসরিন ওর খোঁজ নিতে বস্তিতে লোক পাঠিয়েছিল। ওকে খুঁজে না পেয়ে নিশ্চিন্ত হয় কঙ্কনা আর নাসরিন, সেই খবর সিমোনেকে দেয়। কঙ্কনা আর নাসরিনের সাথে সিমোনে, রমলা, রাগিণী, নীলাঞ্জনা এমন অনেক ক্ষমতাশালী নারীদের যোগাযোগ রয়েছে সেটা দানা আগে থেকেই জানে। সিমোনকে চেপে ধরলে নিশ্চয় কঙ্কনার খবর পাওয়া যাবে সেটা আর বুঝতে বাকি থাকে না। কিন্তু এখুনি সিমোনকে চাপ সৃষ্টি করা মস্ত বড় ভুল। হাতের থেকে পাখী ফস্কে উড়ে চলে যেতে বাধ্য। আরো একটু রয়েসয়ে চাল খেলতে হবে ওকে।
দানা বাঁকা হেসে উত্তর দেয়, "তাই নাকি? না না, আমি এই মহানগরে ছিলাম।"
সিমোন আমতা আমতা করে বলে, "না মানে উড়ো খবর তাহলে। কিন্তু তোমাকে এই রূপে দেখতে পাবো আশা করিনি।"
দানা ভালো ভাবেই জানে এই রূপ অনেকের আশাতীত। শুধু মাত্র প্রেয়সীর জন্য এটা সম্ভব না হলে দানা হয়ত ভেসে যেত। কোনোদিন প্রতিশোধ নেওয়ার চিন্তা করত না। দানা একটা বেয়ারাকে ডেকে এক গেলাস মদ আনিয়ে নেয়। মদের গেলাসে চুমুক দিয়ে সিমোনের চোখে চোখ রেখে বলে, "এখন দেখতে পেলে। আরো বলো কি চলছে?"
সিমোন হেসে বলে, "তুমি প্রচন্ড কানিং (খুব ধূর্ত) তাই না? একদিকে বাপ্পা নস্করকে খেলাচ্ছো অন্যদিকে বিমানকে খেলাচ্ছো?"
দানার মাথা সঙ্গে সঙ্গে গরম হয়ে যায়, কিন্তু মেপে উত্তর না দিলে সিমোন ওর চাল বুঝতে পেরে যাবে। এখুনি কারুর সন্দেহ ভাজন হতে চায় না দানা। মিচকি হেসে নয়নার দিকে ইশারা করে বলে, "আমি না বাপ্পা নস্করের দলের, না বিমান চন্দের দলের। আমি নয়নার পক্ষের।"
চোখ পাকিয়ে চটুল হাসি দিয়ে বলে, "আচ্ছা তাই নাকি?" গলা নামিয়ে ফিসফিস করে বলে, "সাবধানে থেকো ওর কাছ থেকে। ও কিন্তু বিমানকেও খেলায়।"
দানা জানে তাও না জানার ভান করে বলে, "আচ্ছা তাই নাকি? এইবারে তাহলে তোমার কাছে শলা পরামর্শ নিতে আসবো।"
সিমোন হেসে বলে, "ঠিক আছে, আগে এই ব্যাবসায়ী লেনদেন হয়ে যাক। একদিন না হয় হারিয়ে যাওয়া দিন গুলো খোঁজা যাবে আর শলা পরামর্শ করা যাবে।"
দানা মিচকি হেসে বলে, "তোমার খাই খাই ভাব এখন সেই রকম আছে না একটু বেড়েছে?"
সিমোন কামুকী হাসি দিয়ে বলে, "তুমি নেই, কঙ্কনা নাসরিন চলে গেছে। খুঁজতে একটু অসুবিধে হয় তবে পেয়ে যাই।"
হুম, তাহলে রমলা সঠিক খবর দিয়েছিল। সিমোন মুখ ফসকে সেই কথা দানাকে জানিয়ে দিল শেষ পর্যন্ত। আর সঙ্গে সঙ্গে দানা কথার প্রেক্ষিতে প্রশ্ন করে, "তুমি কি জানো কঙ্কনা আর নাসরিন কোথায়?"
মুখ ফসকে ওদের নাম নিয়ে নেওয়াতে বেশ বিবৃত বোধ করে সিমোন। কিন্তু মুখের কথা হাতের ঢিল ছুঁড়লে পরে বড় মুশকিল। নিজে থেকে ফাঁদে পা দিয়েছে এইবারে প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ছাড়া গতি নেই। ওর চোখে চোখ রেখে উত্তর দেয়, "না সঠিক জানা নেই, তবে যতদূর আমি জানি ওরা আর এই শহরে নেই।" কথায় কথা বাড়ে তাই সিমোন আর কথা না বাড়িয়ে দানাকে বলে, "চল ডিনার সেরে ফেলি। তুমি আবার নয়নাকে নিয়ে ফিরবে তাই তো?"
দানা মাথা দোলায়, "হ্যাঁ। তোমরা কি আজ রাতে এইখানে কাটাবে?"
সিমোন ফিক করে হেসে ফেলে, "ওই দুই বুড়ো মদ্দ আর মদ। হ্যাঁ আজ রাতে এইখানেই কাটাবো আমরা।"
রাতের খাবার দাবার শেষ হল আরও বেশ কিছু ব্যাবসায়িক আলোচনায়। মোহন চায় যত তাড়াতাড়ি এই প্রকল্প গুলোতে কাজ শুরু করতে। দানা জানিয়ে দেয়, কাগজ হাতে আসার পর দিন থেকেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। একবার বাপ্পা নস্কর সরে যাওয়ার পরেই নিজের অংশ কেটে বাকি সব কিছু মোহনকে ফিরিয়ে দেবে। মনে মনে দানা জানে, একবার হাতের মুঠিতে এলে আগে এদের সবাইকে পিষে ধরবে তারপরে যা করার করবে। কাউকে এখুনি প্রানে মারার পরিকল্পনা ওর নেই। তবে সময় হলে চারজনকেই চির নিদ্রায় শুইয়ে দেবে। বাপ্পা নস্করকে খেপিয়ে লাভ নেই, অন্তত বাপ্পা নস্কর ওর কোন ক্ষতি করেনি।
বাড়ি ফেরার সারা পথ, নয়নার হাবিজাবি গল্পে কেটে যায়। কিছু কথা কানে ঢোকে কিছু ঢোকে না, ইচ্ছে করেই ঢুকায় না দানা। আর ওই ফাঁদে পা দিতে রাজি নয়। দানা ওকে বিশ্বাস করে সেটা জেনে নয়না ভারী উৎসাহিত। গাড়ি মধ্যেই গলা জড়িয়ে বেশ কয়েকটা চুমু খেয়ে নেয়। দানার সেদিকে বিশেষ ভ্রূক্ষেপ নেই, আগের দানা আর এই দানা অনেক আলাদা। সেটা কিছুক্ষণের মধ্যে ওর শান্ত রূপ দেখে টের পেয়ে যায় নয়না।
গাড়ি থেকে নামার আগে ওর হাত ধরে বলে, "এই দানা, একদিন মিসেস আর মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে এসো।"
দানা মৃদু হেসে বিদায় জানিয়ে বলে, "মিসেস মাঝে মাঝেই তোমার কথা বলে, নিশ্চয় আসবো।"