30-08-2020, 01:31 AM
৩
রাতে শুতে শুতে ওদের সাড়ে বারোটা হয়ে গেলো. কাল ছুটি. নিশ্চিন্তে টিভি দেখে ওরা ঘুমোয়. অর্ক এই সুযোগে অনেক্ষন টিভি দেখার সুযোগ পায় নইলে অন্য দিন ওর মা আগে অনেক আগেই ঘুম পাড়িয়ে দেন. আজ ভালো একটা ফিল্ম পুরোটা দেখে ওরা শুতে শুতে ওই দেরি হয়ে গেলো. যদিও আজকের সময় ওটা ওতো দেরিও নয়.
ঘরে ঢুকে যখন ঘরের দরজা ভিজিয়ে শ্রীপর্ণা বিছানায় আসছে তখন হটাত কি দেখে অবাক হয়ে গেলেন উনি.
শ্রীপর্ণা : একি? এটা এখানে এলো কিকরে? তুই এনেছিস?
অর্ক দেখলো মা ওই আজকের নিয়ে আসা মূর্তিটার দিকে তাকিয়ে বলছে.
অর্ক : না তো... আমি আনিনি মা.
মা : তাহলে তুমি এনেছো?
বাবা একটু কিন্তু কিন্তু করে : হ্যা.... মানে..... ভাবলাম এমন একটা জিনিস বসার ঘরে রাখাটা... মানে...
মা : এমন মানে? কেমন জিনিস?
অতনু বাবু ওনার স্ত্রীকে ইশারায় আরেকবার মূর্তিটা দেখতে বললেন. শ্রীপর্ণা আবার তাকিয়ে বুঝলো ওনার স্বামী কি বলতে চাইছেন. মূর্তির শরীরে কোনো আবরণ নেই.
মা একটু রাগী ভাব করে : অতই যদি চিন্তা তবে এরম জিনিস কিনলে কেন?
বাবা : ওই..... ওয়ার্ক অফ আর্ট বলে একটা কথা আছে জানোতো... সত্যি মানে যে বানিয়েছে...
মা : হয়েছে হয়েছে... আর ওতো তারিফ না করে শুয়ে পড়ো. বাবা ঘুম পাচ্ছে খুব.
শ্রীপর্ণা অর্ককে পাশে ফিরিয়ে ঘুম পাড়াতে লাগলেন. অর্ক মাকে জড়িয়ে চোখ বুজলো.
অতনু বাবুও লাইট নিভিয়ে নাইট লাইট জ্বালিয়ে শুয়ে পড়লেন. কিছুক্ষন পরেই ঘুমিয়ে পড়লেন. কখন যেন স্বপ্ন দেখতে শুরু করলেন তিনি. স্বপ্ন দেখা সাধারণ ব্যাপার. কিন্তু আজকের স্বপ্ন যেন অন্যান্য দিনের তুলনায় আলাদা. সাধারণ নয়. আজ এক অদ্ভুত স্বপ্ন দেখলেন উনি.
তিনি দেখলেন তিনি নিজের ঘরেই শুয়ে আছেন. পাশে কেউ নেই. শুধু তিনি একা শুয়ে. ঘরময় একটা দারুন গন্ধ. এই গন্ধ আগে কখনো পাননি তিনি. উনি এদিক ওদিক তাকালেন. তার পাশে স্ত্রী সন্তান নেই ঠিকই কিন্তু না....... তিনি একা নন. ওনার ঠিক ডান পাশে কেউ বসে আছে. বাইরের জানলা দিয়ে আসা প্রকৃতির আলোয় তিনি দেখলেন যে বসে আছে সে এক মহিলা. মুখটা স্পষ্ট নয় কিন্তু সে যে মহিলা তাতে কোনো সন্দেহ নেই.
ধড়মড় করে উঠে বসলেন ভয়. খিলখিল করে হাসির শব্দ এলো ওনার কানে.
- ভয় পেলে? আমাকে ভয় পেওনা.
বললো মেয়েটি. কি আকর্ষণ লুকিয়ে ওই আওয়াজে. গলার স্বর প্রচন্ড কামনায় ভরা.
অতনু বাবু তাও ভয় পাচ্ছেন. তিনি ঘাবড়ে গিয়ে বললেন - কে? কে আপনি?
আবার হাসির শব্দ. একটু পর মেয়েটি বললো - আমি? কি নাম বলি বলোতো? আমার যে অনেক নাম. কোনটা শুনতে চাও?
অতনু বাবু : ম.... ম... মানে? ক.. ক... কি বলছেন আপনি? আপনি কিকরে এলেন এখানে?
অন্ধকার থেকে আওয়াজ এলো - তুমিই তো আমায় এখানে নিয়ে এসেছো. এখন দেখো.. কেমন ভয় পাচ্ছ.
আবার সেই হাসি.
অতনু বাবু : আমি? কি বলছেন কি.... আপনি কে? সত্যি করে বলুন কি চাই আপনার?
মেয়েটি- তোমাকে.
অতনু : কি সব যাতা বলছেন.....কে আপনি? নিজের মুখ দেখান.
মেয়ে : আমার মুখ দেখবে? সামলাতে পারবে তো আমার রূপ? অনেকেই কিন্তু পারেনা আমায় সামলাতে...
আবার খিলখিল করে হাসি.
অতনু : আমি বলছি দেখান নিজেকে..... কে আপনি?
মহিলা এবারে অতনু বাবুর সামনে এগিয়ে এলো. বাইরের আলোয় এবারে ওই মহিলার মুখ স্পষ্ট হলো. অতনু বাবু অবাক হয়ে গেলেন.
এ কে? এমন রূপ... এমন সৌন্দর্যের অধিকারিণীও পৃথিবীতে আছে? কি রূপ... কি সৌন্দর্য... কি কামনাময় দেহ. দীর্ঘাঙ্গী সুন্দরী হাসিমুখে তাকিয়ে ওনার দিকে.
অতনু বাবু চেয়েই রইলেন. সামনে বসে থাকা অপরূপ সুন্দরীর দিকে. নীল চোখ দুটো যেন টানছে ওনাকে, ওই হাসি ওই রূপ উফফফ একবার তাকিয়ে মন ভোরবেনা একে দেখে.
মেয়েটি- কি?...... কেমন দেখতে আমায়?
অতনু বাবুর মুখ দিয়ে নিজের থেকেই বেরিয়ে এলো - অপূর্ব.
সুন্দরী আবার খিলখিল করে হেসে সেই কামুক চাহুনি দিয়ে বললো : তাই?
অতনু বাবু : কিন্তু.... কিন্তু কে আপনি?
মেয়ে : তুমি আমায় যা ইচ্ছে বলে ডাকতে পারো. আমি তোমার মুখে নিজের নাম শুনতে চাই.... তুমি বলো আমার নাম.
অতনু : আমি...?
মেয়ে : হ্যা...... তুমি বলো আমি কে?
অতনু বাবু ওই রূপে এতটাই হারিয়ে গেছিলেন যে উনি সব যেন ভুলে গেছিলেন. ভুলে গেছিলেন উনি বিবাহিত, উনি কারোর পিতা. এখন যেন তিনি শুধুই যেন পুরুষ. শুধুই একজন পুরুষ.
কিন্তু তখনি একটা আজব ব্যাপার হলো. ওই মেয়েটি এতক্ষন কামুক চাহুনিতে অতনু বাবুর দিকেই তাকিয়ে ছিল. কিন্তু এবারে হঠাৎ সে অতনু বাবুর থেকে চোখ সরিয়ে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে বিছানার মাঝের শুন্য জায়গাটাতে তাকালো.
অতনু বাবু : কি..... কি দেখছেন ওখানে?
মেয়েটি হঠাৎ বললো : আজ... আজ আমি যাই হ্যা.... আবার কাল আসবো.... আজ আমায় যেতে হবে.
এই বলে আবার অন্ধকারে মিলিয়ে গেলো রূপসী.
সামনে থেকে এমন অসাধারণ রূপসী চলে যেতেই তাকে ফিরে পেতে মনটা ছটফট করে উঠলো অতনু বাবুর. কোথায় গেলো সে? কেন চলে গেলো?
কোথায় আপনি? কোথায় চলেছে গেলেন?
ঘুমটা ভেঙে গেলো অতনু বাবুর. কই? কথাও কেউ নেই.
উফফফফফ.... এসব তাহলে স্বপ্ন. কিন্তু... কিন্তু ওই মুখটা.... কি অসাধারণ রূপ তার. হঠাৎ এমন একটা রূপের মেয়েকে উনি দেখলেন কেন? কিন্তু মুখটা যেন চেনা চান লাগছে এখন. যেন মুখটা কোথাও দেখেছেন উনি. কোথায়? সেটা বুঝে উঠতে পারলেন না তিনি.
যাকগে.... একটা স্বপ্ন নিয়ে ওতো ভাবার কি আছে? ঘুমোই আবার. উনি শুয়ে পড়লেন আবার.
ঘরে ঢুকে যখন ঘরের দরজা ভিজিয়ে শ্রীপর্ণা বিছানায় আসছে তখন হটাত কি দেখে অবাক হয়ে গেলেন উনি.
শ্রীপর্ণা : একি? এটা এখানে এলো কিকরে? তুই এনেছিস?
অর্ক দেখলো মা ওই আজকের নিয়ে আসা মূর্তিটার দিকে তাকিয়ে বলছে.
অর্ক : না তো... আমি আনিনি মা.
মা : তাহলে তুমি এনেছো?
বাবা একটু কিন্তু কিন্তু করে : হ্যা.... মানে..... ভাবলাম এমন একটা জিনিস বসার ঘরে রাখাটা... মানে...
মা : এমন মানে? কেমন জিনিস?
অতনু বাবু ওনার স্ত্রীকে ইশারায় আরেকবার মূর্তিটা দেখতে বললেন. শ্রীপর্ণা আবার তাকিয়ে বুঝলো ওনার স্বামী কি বলতে চাইছেন. মূর্তির শরীরে কোনো আবরণ নেই.
মা একটু রাগী ভাব করে : অতই যদি চিন্তা তবে এরম জিনিস কিনলে কেন?
বাবা : ওই..... ওয়ার্ক অফ আর্ট বলে একটা কথা আছে জানোতো... সত্যি মানে যে বানিয়েছে...
মা : হয়েছে হয়েছে... আর ওতো তারিফ না করে শুয়ে পড়ো. বাবা ঘুম পাচ্ছে খুব.
শ্রীপর্ণা অর্ককে পাশে ফিরিয়ে ঘুম পাড়াতে লাগলেন. অর্ক মাকে জড়িয়ে চোখ বুজলো.
অতনু বাবুও লাইট নিভিয়ে নাইট লাইট জ্বালিয়ে শুয়ে পড়লেন. কিছুক্ষন পরেই ঘুমিয়ে পড়লেন. কখন যেন স্বপ্ন দেখতে শুরু করলেন তিনি. স্বপ্ন দেখা সাধারণ ব্যাপার. কিন্তু আজকের স্বপ্ন যেন অন্যান্য দিনের তুলনায় আলাদা. সাধারণ নয়. আজ এক অদ্ভুত স্বপ্ন দেখলেন উনি.
তিনি দেখলেন তিনি নিজের ঘরেই শুয়ে আছেন. পাশে কেউ নেই. শুধু তিনি একা শুয়ে. ঘরময় একটা দারুন গন্ধ. এই গন্ধ আগে কখনো পাননি তিনি. উনি এদিক ওদিক তাকালেন. তার পাশে স্ত্রী সন্তান নেই ঠিকই কিন্তু না....... তিনি একা নন. ওনার ঠিক ডান পাশে কেউ বসে আছে. বাইরের জানলা দিয়ে আসা প্রকৃতির আলোয় তিনি দেখলেন যে বসে আছে সে এক মহিলা. মুখটা স্পষ্ট নয় কিন্তু সে যে মহিলা তাতে কোনো সন্দেহ নেই.
ধড়মড় করে উঠে বসলেন ভয়. খিলখিল করে হাসির শব্দ এলো ওনার কানে.
- ভয় পেলে? আমাকে ভয় পেওনা.
বললো মেয়েটি. কি আকর্ষণ লুকিয়ে ওই আওয়াজে. গলার স্বর প্রচন্ড কামনায় ভরা.
অতনু বাবু তাও ভয় পাচ্ছেন. তিনি ঘাবড়ে গিয়ে বললেন - কে? কে আপনি?
আবার হাসির শব্দ. একটু পর মেয়েটি বললো - আমি? কি নাম বলি বলোতো? আমার যে অনেক নাম. কোনটা শুনতে চাও?
অতনু বাবু : ম.... ম... মানে? ক.. ক... কি বলছেন আপনি? আপনি কিকরে এলেন এখানে?
অন্ধকার থেকে আওয়াজ এলো - তুমিই তো আমায় এখানে নিয়ে এসেছো. এখন দেখো.. কেমন ভয় পাচ্ছ.
আবার সেই হাসি.
অতনু বাবু : আমি? কি বলছেন কি.... আপনি কে? সত্যি করে বলুন কি চাই আপনার?
মেয়েটি- তোমাকে.
অতনু : কি সব যাতা বলছেন.....কে আপনি? নিজের মুখ দেখান.
মেয়ে : আমার মুখ দেখবে? সামলাতে পারবে তো আমার রূপ? অনেকেই কিন্তু পারেনা আমায় সামলাতে...
আবার খিলখিল করে হাসি.
অতনু : আমি বলছি দেখান নিজেকে..... কে আপনি?
মহিলা এবারে অতনু বাবুর সামনে এগিয়ে এলো. বাইরের আলোয় এবারে ওই মহিলার মুখ স্পষ্ট হলো. অতনু বাবু অবাক হয়ে গেলেন.
এ কে? এমন রূপ... এমন সৌন্দর্যের অধিকারিণীও পৃথিবীতে আছে? কি রূপ... কি সৌন্দর্য... কি কামনাময় দেহ. দীর্ঘাঙ্গী সুন্দরী হাসিমুখে তাকিয়ে ওনার দিকে.
অতনু বাবু চেয়েই রইলেন. সামনে বসে থাকা অপরূপ সুন্দরীর দিকে. নীল চোখ দুটো যেন টানছে ওনাকে, ওই হাসি ওই রূপ উফফফ একবার তাকিয়ে মন ভোরবেনা একে দেখে.
মেয়েটি- কি?...... কেমন দেখতে আমায়?
অতনু বাবুর মুখ দিয়ে নিজের থেকেই বেরিয়ে এলো - অপূর্ব.
সুন্দরী আবার খিলখিল করে হেসে সেই কামুক চাহুনি দিয়ে বললো : তাই?
অতনু বাবু : কিন্তু.... কিন্তু কে আপনি?
মেয়ে : তুমি আমায় যা ইচ্ছে বলে ডাকতে পারো. আমি তোমার মুখে নিজের নাম শুনতে চাই.... তুমি বলো আমার নাম.
অতনু : আমি...?
মেয়ে : হ্যা...... তুমি বলো আমি কে?
অতনু বাবু ওই রূপে এতটাই হারিয়ে গেছিলেন যে উনি সব যেন ভুলে গেছিলেন. ভুলে গেছিলেন উনি বিবাহিত, উনি কারোর পিতা. এখন যেন তিনি শুধুই যেন পুরুষ. শুধুই একজন পুরুষ.
কিন্তু তখনি একটা আজব ব্যাপার হলো. ওই মেয়েটি এতক্ষন কামুক চাহুনিতে অতনু বাবুর দিকেই তাকিয়ে ছিল. কিন্তু এবারে হঠাৎ সে অতনু বাবুর থেকে চোখ সরিয়ে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে বিছানার মাঝের শুন্য জায়গাটাতে তাকালো.
অতনু বাবু : কি..... কি দেখছেন ওখানে?
মেয়েটি হঠাৎ বললো : আজ... আজ আমি যাই হ্যা.... আবার কাল আসবো.... আজ আমায় যেতে হবে.
এই বলে আবার অন্ধকারে মিলিয়ে গেলো রূপসী.
সামনে থেকে এমন অসাধারণ রূপসী চলে যেতেই তাকে ফিরে পেতে মনটা ছটফট করে উঠলো অতনু বাবুর. কোথায় গেলো সে? কেন চলে গেলো?
কোথায় আপনি? কোথায় চলেছে গেলেন?
ঘুমটা ভেঙে গেলো অতনু বাবুর. কই? কথাও কেউ নেই.
উফফফফফ.... এসব তাহলে স্বপ্ন. কিন্তু... কিন্তু ওই মুখটা.... কি অসাধারণ রূপ তার. হঠাৎ এমন একটা রূপের মেয়েকে উনি দেখলেন কেন? কিন্তু মুখটা যেন চেনা চান লাগছে এখন. যেন মুখটা কোথাও দেখেছেন উনি. কোথায়? সেটা বুঝে উঠতে পারলেন না তিনি.
যাকগে.... একটা স্বপ্ন নিয়ে ওতো ভাবার কি আছে? ঘুমোই আবার. উনি শুয়ে পড়লেন আবার.
পরের দিন সকালে অতনু বাবু উঠে ফ্রেশ হয়ে এসে আয়নার সামনে শেভিং করছেন. ছেলে ঘুমিয়ে. শ্রীপর্ণা স্বামীর জন্য চা এনে টেবিলে রেখে ছেলেকে ডাকতে লাগলেন.
এই বাবাই?.... ওঠ বাবু...... ওঠ সকাল হয়ে গেছে সোনা... ওঠ
আড়মোড়া ভেঙে উঠে বসলো অর্ক. একটা হাই তুললো সে.
মা : যা ব্রাশ করেনে. খেতে দেবো. উফফ রবিবার বলে পড়ে পড়ে ঘুমোচ্ছে.
অর্ক উঠে বাইরে এলো মায়ের সাথে. বাইরে এসে বাবাকে সেভিং করতে দেখে ওর মনে পড়ে গেলো কাল রাতের ব্যাপারটা. একবার ভাবলো মাকে আর বাবাকে বলবে ব্যাপারটা কিন্তু মা হয়তো বকবে বলে আর কিছু বল্লোনা.
সত্যি বড্ড আজব দৃশ্য দেখেছিলো ও কাল রাতে. ঘুমটা কেন যেন হঠাৎ ভেঙে গেলো. ঘর একটা বিদঘুটে গন্ধে ভর্তি. এই গন্ধ আগে কখনোই পায়নি ও. এই গন্ধ ওর কাছে অজানা. কোথা থেকে আসছে? অনেকটা যেন পোড়া কিছু কোনো জিনিস রয়েছে ঘরে. এদিক ওদিক তাকাতে তাকাতে ওর নিজের ডান দিকে তাকাল. বাবা ঘুমিয়ে. কিন্তু একি ! বাবার পাশে ওটা কে?
বাবার পাশে বসে ঝুঁকে বাবাকে দেখছে. ছ্যাৎ করে উঠলো ওর বুকটা. মুখ দিয়ে হালকা আওয়াজ বেরিয়ে এলো আর তখনি ওর দিকে তাকালো সেই ছায়া. কালো ছায়া কিন্তু দুটো নীল চোখ জ্বল জ্বল করছে. ঠিক তখনি সেই ছায়া বাবার কাছ থেকে সরে অন্ধকারে মিশে গেলো. ও একবার উঠে দেখার চেষ্টা করলো কিন্তু তখনি বাবাও নড়ে উঠলো দেখে ও আবার শুয়ে পড়েছিল. সত্যি হঠাৎ এমন কেন দেখলো বোঝেনি অর্ক কিন্তু ভুল কিছু দেখেছে ভেবে এড়িয়ে গেলো তখনকার মতো.
সকালের রুটি তরকারি খেয়ে হাতে বাজারের ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে গেলেন অর্কর বাবা. রবিবারটা প্রায়ই মাংস খাওয়া হয়. অর্ক নিচের বারান্দার বাইরে দালানে বল নিয়ে খেলছে. মা ওর পাশেই দাঁড়িয়ে বাগানের গাছে জল দিচ্ছে.
এমন সময় ওদের ঠিক বিপরীত দিকের বাড়ির সুজাতা মাসিমা বাইরে থেকে বেরিয়ে অর্কর বাড়ির দিকে এগিয়ে এলেন. বয়স্ক মহিলা. স্বামীর সাথে থাকেন. মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে. দুজনেই থাকেন. অর্কদের বাড়ির সাথে খুবই ভালো সম্পর্ক. শ্রীপর্ণাকে মেয়ের মতোই দেখেন.
কি মা? কেমন আছিস? বললেন সুজাতা মাসিমা.
ওনাকে দেখে হাসিমুখে অর্কর মা ওনার কাছে এগিয়ে গেলেন. গেট খুলে বাইরে গিয়ে বললেন : আসুন না... ভেতরে.
মাসিমা : না মা.... আর আসবোনা. কিছু কাজ সারতে হবে. তা তোমার শশুর কেমন আছেন? তোমার শাশুড়ি কাল বলছিলো ওনার একটু জ্বর মতো হয়েছিল.
অর্কর মা : না.... এখন বেশ ভালো. আসলে জ্বর সেইভাবে আসার আগেই ওষুধ নিয়ে নিয়েছিলেন.
মাসিমা : বর কি বাজারে?
অর্কর মা : হ্যা.... জানেনতো আমার ওই ছেলে আবার মাংস ভক্ত. রবিবার হলে মাংস খেতেই হবে. তাই ওর বাবাকে বাজারে পাঠালাম.
মাসিমা হেসে : সে তো ছেলের আবদার রাখতেই হবে.
তারপরেই তিনি একটা অদ্ভুত কথা বললেন -
মাসিমা : তা মা..... কাল ওতো রাতে তুমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলে কেন? ঘুম আসছিলোনা?
অর্কর মা অবাক হয়ে : আমি? কখন?
মাসিমা : তা... ভালোই রাত.... আমি তখন বাথরুম করতে উঠেছি. জানোই তো আমার আবার সমস্যা আছে. তা ফিরে আসছি তখনি ওই জানলা দিয়ে বাইরে তোমাদের বাড়ির দিকে চোখ পড়লো. দেখলাম তুমি বারান্দায় চুপ করে দাঁড়িয়ে আছো.
অর্কর মা হেসে বললো : না মাসিমা.... আপনি বোধহয় ভুল দেখেছেন. আমি তো রাতে উঠিই নি. এক ঘুমে সকাল.
মাসিমা অবাক হয়ে : ওমা সেকি গো? স্পষ্ট দেখলাম বাইরে বারান্দায় দাঁড়িয়ে কেউ. একদম স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে. ভাবলাম একবার যাবো বারান্দায় আর গিয়ে কথা বলবো তোমার সাথে কিন্তু ব্যাপারটা ঠিক হবেনা ভেবে আর গেলাম না. আর তুমি বলছো তুমি ওঠোই নি রাতে?
অর্কর মা : না মাসিমা.... আপনি হয়তো কোনো কিছুর ছায়া দেখে থাকবেন.
মাসিমা : এতটা ভুল দেখলাম মা? পুরো মনে হলো......
তারপরে নিজেই আবার বললেন : অবশ্য চশমাটা ছিলোনা চোখে. তাই হয়তো..... ভুলই দেখে থাকবো. হ্যা ভুলই হবে. তোমার বাড়িতে তো আর চোর ঢুকে বারান্দায় চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকবেনা. হা... হা.... যাই হোক.. যাই মা.... উনি একা.... এলাম.
অর্কর মা : হ্যা.... আসুন. পরে আসবেন.
উনি নিজের ঘরে চলে গেলেন. অর্কর মা নিচ থেকে নিজেও একবার ওপরে বারান্দায় তাকালো. আর ভাবলো বয়স্কা মহিলা.... কি দেখতে কি দেখেছে. ভুল তো হতেই পারে.
দুপুরে আয়েশ করে খাওয়া দাওয়া হলো. মটন টা দারুন রাধে শ্রীপর্ণা. বাড়ির লোক তো চেটেপুটে খায়. তবে খাবার পরে উচ্ছিষ্ট আর মাংসের হাড় গুলো ফেলা হয়না. ভোলার জন্য রেখে দেওয়া হয়. ভোলা হলো ওদের পাড়ার পরিচিত কুকুর. রোজই দুবেলা করে আসবেই ওদের বাড়ির কাছে. অর্ক খুব আদর করে ভোলাকে. অর্কর দাদু আর অর্ক দুজনে মিলে খেতে দেয় ভোলাকে.
সেদিনও খাবার শেষে অর্কর দাদু আর অর্ক খাবার গুলো নিয়ে বাইরে গিয়ে গেট খুলে ভোলাকে কয়েকবার ডাকতেই ভোলা দৌড়ে চলে এলো. রোজই সে চলে আসে ডাকলে. কাছেই থাকে ও. কিন্তু অন্যদিনের সাথে আজকে একটা তফাৎ ঘটলো. আজ ভোলা দৌড়ে এলো ঠিকই কিন্তু ওদের বাড়ির কাছে আর এলোনা. ওপারে দাঁড়িয়ে লেজ নাড়তে লাগলো. অর্কর দাদু খাবার গুলো একটা থার্মোকলের থালায় এনেছিলেন. সেগুলো বাড়ির বাইরে রেখে ভোলাকে ডাকলেন. কিন্তু আশ্চর্য..... ভোলা খাবার দেখেও এগলোনা. দূর থেকেই কেউ কেউ করতে লাগলো. দাদু নাতি অবাক.
দাদু : কিরে? খাবিনা ভোলা? আয়.. আয়.. মাংস দেখ আয়
কিন্তু ভোলা এক পাও ওই বাড়ির দিকে বাড়ালোনা. শেষমেষ অনেক চেষ্টার পর অর্কর দাদু ওপারে গিয়ে একটা জায়গা দেখে থালাটা রাখতেই ভোলা হামলে পড়লো খাবারে. খুবই ক্ষুদার্ত সে. অর্কর দাদু তো অবাক. গপাগপ গিলছে ভাত মাংস ভোলা. এতোই যখন খিদে তাহলে বাড়ির সামনে এগোচ্ছিলোনা কেন কুকুরটা?
বিকেলের দিকে দাদুর সাথে হাঁটতে বেরোয় অর্ক. মাঠে যায় ওরা. খুব দূরে নয়. কাছেই একটা বড়ো মাঠ আছে. ওখানে কিছুক্ষন নাতির সাথে ঘোরাঘুরি করেন. এতে হাটাহাটিও হয় আর বয়স্ক চেনা পরিচিতদের সাথে আড্ডাও হয়. ঠিক সাড়ে ছটার মধ্যেই ফিরে আসেন তারা. ফিরে আসলে অর্কর মা ছেলেকে পড়তে বসান কিন্তু রবিবারটা ছেলেকে কিছুতেই পারেন না পড়াতে বসাতে. ওর বাবাও বলেছেন - আহা.... আমাদের ছেলেটাকে এই একটা দিন না হয় ছাড় দিলে. বাকি ৫ দিন তো পড়েই ও.
শ্রীপর্ণাও জানে এই একটা দিন বেচারা বাচ্চাটাকে আনন্দ করতে দেবাই ঠিক. এখনই তো খেলে বেড়ানোর বয়স. তাই বাইরে রাগ দেখালেও নিজেই ছেলের সাথে খেলা গল্প করা সব করে.
আজকেও ছটা মতো বাজতেই অর্কর দাদু নাতিকে নিয়ে ফিরতে প্রস্তুতি নিলেন. গলির মুখেই ভোলার সাথে দেখা. অর্ক ডাকলো ভোলাকে. ভোলা রাস্তার পাশে বসে গা চুলকোচ্ছিলো. অর্কর ডাক শুনে লেজ নাড়তে নাড়তে ওর কাছে চলে এলো. অর্ক ওকে আদর করতে করতে এগিয়ে চললো.
ওরা একসময় বাড়ির সামনে পৌঁছে গেলো. কিন্তু বাড়ির গেটের কাছে পৌঁছেই ভোলা আবার কেউ কেউ করে পিছিয়ে গেলো. ব্যাপারটা লক্ষ করলেন অর্কর দাদু. অর্ক কত ডাকলো আয় ভোলা... বিস্কুট দেবো আয়.... কিন্তু ভোলা আর এক পাও এগোলো না. দূরে দাঁড়িয়ে লেজ নাড়তে লাগলো.
আশ্চর্য... যে কুকুরটা বাড়ির ভেতরে ঢুকে বসে থাকে আজ সে ভেতরে ঢোকা তো দূরের কথা বাড়ির গেটের কাছেও আসছেনা.
এই বাবাই?.... ওঠ বাবু...... ওঠ সকাল হয়ে গেছে সোনা... ওঠ
আড়মোড়া ভেঙে উঠে বসলো অর্ক. একটা হাই তুললো সে.
মা : যা ব্রাশ করেনে. খেতে দেবো. উফফ রবিবার বলে পড়ে পড়ে ঘুমোচ্ছে.
অর্ক উঠে বাইরে এলো মায়ের সাথে. বাইরে এসে বাবাকে সেভিং করতে দেখে ওর মনে পড়ে গেলো কাল রাতের ব্যাপারটা. একবার ভাবলো মাকে আর বাবাকে বলবে ব্যাপারটা কিন্তু মা হয়তো বকবে বলে আর কিছু বল্লোনা.
সত্যি বড্ড আজব দৃশ্য দেখেছিলো ও কাল রাতে. ঘুমটা কেন যেন হঠাৎ ভেঙে গেলো. ঘর একটা বিদঘুটে গন্ধে ভর্তি. এই গন্ধ আগে কখনোই পায়নি ও. এই গন্ধ ওর কাছে অজানা. কোথা থেকে আসছে? অনেকটা যেন পোড়া কিছু কোনো জিনিস রয়েছে ঘরে. এদিক ওদিক তাকাতে তাকাতে ওর নিজের ডান দিকে তাকাল. বাবা ঘুমিয়ে. কিন্তু একি ! বাবার পাশে ওটা কে?
বাবার পাশে বসে ঝুঁকে বাবাকে দেখছে. ছ্যাৎ করে উঠলো ওর বুকটা. মুখ দিয়ে হালকা আওয়াজ বেরিয়ে এলো আর তখনি ওর দিকে তাকালো সেই ছায়া. কালো ছায়া কিন্তু দুটো নীল চোখ জ্বল জ্বল করছে. ঠিক তখনি সেই ছায়া বাবার কাছ থেকে সরে অন্ধকারে মিশে গেলো. ও একবার উঠে দেখার চেষ্টা করলো কিন্তু তখনি বাবাও নড়ে উঠলো দেখে ও আবার শুয়ে পড়েছিল. সত্যি হঠাৎ এমন কেন দেখলো বোঝেনি অর্ক কিন্তু ভুল কিছু দেখেছে ভেবে এড়িয়ে গেলো তখনকার মতো.
সকালের রুটি তরকারি খেয়ে হাতে বাজারের ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে গেলেন অর্কর বাবা. রবিবারটা প্রায়ই মাংস খাওয়া হয়. অর্ক নিচের বারান্দার বাইরে দালানে বল নিয়ে খেলছে. মা ওর পাশেই দাঁড়িয়ে বাগানের গাছে জল দিচ্ছে.
এমন সময় ওদের ঠিক বিপরীত দিকের বাড়ির সুজাতা মাসিমা বাইরে থেকে বেরিয়ে অর্কর বাড়ির দিকে এগিয়ে এলেন. বয়স্ক মহিলা. স্বামীর সাথে থাকেন. মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে. দুজনেই থাকেন. অর্কদের বাড়ির সাথে খুবই ভালো সম্পর্ক. শ্রীপর্ণাকে মেয়ের মতোই দেখেন.
কি মা? কেমন আছিস? বললেন সুজাতা মাসিমা.
ওনাকে দেখে হাসিমুখে অর্কর মা ওনার কাছে এগিয়ে গেলেন. গেট খুলে বাইরে গিয়ে বললেন : আসুন না... ভেতরে.
মাসিমা : না মা.... আর আসবোনা. কিছু কাজ সারতে হবে. তা তোমার শশুর কেমন আছেন? তোমার শাশুড়ি কাল বলছিলো ওনার একটু জ্বর মতো হয়েছিল.
অর্কর মা : না.... এখন বেশ ভালো. আসলে জ্বর সেইভাবে আসার আগেই ওষুধ নিয়ে নিয়েছিলেন.
মাসিমা : বর কি বাজারে?
অর্কর মা : হ্যা.... জানেনতো আমার ওই ছেলে আবার মাংস ভক্ত. রবিবার হলে মাংস খেতেই হবে. তাই ওর বাবাকে বাজারে পাঠালাম.
মাসিমা হেসে : সে তো ছেলের আবদার রাখতেই হবে.
তারপরেই তিনি একটা অদ্ভুত কথা বললেন -
মাসিমা : তা মা..... কাল ওতো রাতে তুমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলে কেন? ঘুম আসছিলোনা?
অর্কর মা অবাক হয়ে : আমি? কখন?
মাসিমা : তা... ভালোই রাত.... আমি তখন বাথরুম করতে উঠেছি. জানোই তো আমার আবার সমস্যা আছে. তা ফিরে আসছি তখনি ওই জানলা দিয়ে বাইরে তোমাদের বাড়ির দিকে চোখ পড়লো. দেখলাম তুমি বারান্দায় চুপ করে দাঁড়িয়ে আছো.
অর্কর মা হেসে বললো : না মাসিমা.... আপনি বোধহয় ভুল দেখেছেন. আমি তো রাতে উঠিই নি. এক ঘুমে সকাল.
মাসিমা অবাক হয়ে : ওমা সেকি গো? স্পষ্ট দেখলাম বাইরে বারান্দায় দাঁড়িয়ে কেউ. একদম স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে. ভাবলাম একবার যাবো বারান্দায় আর গিয়ে কথা বলবো তোমার সাথে কিন্তু ব্যাপারটা ঠিক হবেনা ভেবে আর গেলাম না. আর তুমি বলছো তুমি ওঠোই নি রাতে?
অর্কর মা : না মাসিমা.... আপনি হয়তো কোনো কিছুর ছায়া দেখে থাকবেন.
মাসিমা : এতটা ভুল দেখলাম মা? পুরো মনে হলো......
তারপরে নিজেই আবার বললেন : অবশ্য চশমাটা ছিলোনা চোখে. তাই হয়তো..... ভুলই দেখে থাকবো. হ্যা ভুলই হবে. তোমার বাড়িতে তো আর চোর ঢুকে বারান্দায় চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকবেনা. হা... হা.... যাই হোক.. যাই মা.... উনি একা.... এলাম.
অর্কর মা : হ্যা.... আসুন. পরে আসবেন.
উনি নিজের ঘরে চলে গেলেন. অর্কর মা নিচ থেকে নিজেও একবার ওপরে বারান্দায় তাকালো. আর ভাবলো বয়স্কা মহিলা.... কি দেখতে কি দেখেছে. ভুল তো হতেই পারে.
দুপুরে আয়েশ করে খাওয়া দাওয়া হলো. মটন টা দারুন রাধে শ্রীপর্ণা. বাড়ির লোক তো চেটেপুটে খায়. তবে খাবার পরে উচ্ছিষ্ট আর মাংসের হাড় গুলো ফেলা হয়না. ভোলার জন্য রেখে দেওয়া হয়. ভোলা হলো ওদের পাড়ার পরিচিত কুকুর. রোজই দুবেলা করে আসবেই ওদের বাড়ির কাছে. অর্ক খুব আদর করে ভোলাকে. অর্কর দাদু আর অর্ক দুজনে মিলে খেতে দেয় ভোলাকে.
সেদিনও খাবার শেষে অর্কর দাদু আর অর্ক খাবার গুলো নিয়ে বাইরে গিয়ে গেট খুলে ভোলাকে কয়েকবার ডাকতেই ভোলা দৌড়ে চলে এলো. রোজই সে চলে আসে ডাকলে. কাছেই থাকে ও. কিন্তু অন্যদিনের সাথে আজকে একটা তফাৎ ঘটলো. আজ ভোলা দৌড়ে এলো ঠিকই কিন্তু ওদের বাড়ির কাছে আর এলোনা. ওপারে দাঁড়িয়ে লেজ নাড়তে লাগলো. অর্কর দাদু খাবার গুলো একটা থার্মোকলের থালায় এনেছিলেন. সেগুলো বাড়ির বাইরে রেখে ভোলাকে ডাকলেন. কিন্তু আশ্চর্য..... ভোলা খাবার দেখেও এগলোনা. দূর থেকেই কেউ কেউ করতে লাগলো. দাদু নাতি অবাক.
দাদু : কিরে? খাবিনা ভোলা? আয়.. আয়.. মাংস দেখ আয়
কিন্তু ভোলা এক পাও ওই বাড়ির দিকে বাড়ালোনা. শেষমেষ অনেক চেষ্টার পর অর্কর দাদু ওপারে গিয়ে একটা জায়গা দেখে থালাটা রাখতেই ভোলা হামলে পড়লো খাবারে. খুবই ক্ষুদার্ত সে. অর্কর দাদু তো অবাক. গপাগপ গিলছে ভাত মাংস ভোলা. এতোই যখন খিদে তাহলে বাড়ির সামনে এগোচ্ছিলোনা কেন কুকুরটা?
বিকেলের দিকে দাদুর সাথে হাঁটতে বেরোয় অর্ক. মাঠে যায় ওরা. খুব দূরে নয়. কাছেই একটা বড়ো মাঠ আছে. ওখানে কিছুক্ষন নাতির সাথে ঘোরাঘুরি করেন. এতে হাটাহাটিও হয় আর বয়স্ক চেনা পরিচিতদের সাথে আড্ডাও হয়. ঠিক সাড়ে ছটার মধ্যেই ফিরে আসেন তারা. ফিরে আসলে অর্কর মা ছেলেকে পড়তে বসান কিন্তু রবিবারটা ছেলেকে কিছুতেই পারেন না পড়াতে বসাতে. ওর বাবাও বলেছেন - আহা.... আমাদের ছেলেটাকে এই একটা দিন না হয় ছাড় দিলে. বাকি ৫ দিন তো পড়েই ও.
শ্রীপর্ণাও জানে এই একটা দিন বেচারা বাচ্চাটাকে আনন্দ করতে দেবাই ঠিক. এখনই তো খেলে বেড়ানোর বয়স. তাই বাইরে রাগ দেখালেও নিজেই ছেলের সাথে খেলা গল্প করা সব করে.
আজকেও ছটা মতো বাজতেই অর্কর দাদু নাতিকে নিয়ে ফিরতে প্রস্তুতি নিলেন. গলির মুখেই ভোলার সাথে দেখা. অর্ক ডাকলো ভোলাকে. ভোলা রাস্তার পাশে বসে গা চুলকোচ্ছিলো. অর্কর ডাক শুনে লেজ নাড়তে নাড়তে ওর কাছে চলে এলো. অর্ক ওকে আদর করতে করতে এগিয়ে চললো.
ওরা একসময় বাড়ির সামনে পৌঁছে গেলো. কিন্তু বাড়ির গেটের কাছে পৌঁছেই ভোলা আবার কেউ কেউ করে পিছিয়ে গেলো. ব্যাপারটা লক্ষ করলেন অর্কর দাদু. অর্ক কত ডাকলো আয় ভোলা... বিস্কুট দেবো আয়.... কিন্তু ভোলা আর এক পাও এগোলো না. দূরে দাঁড়িয়ে লেজ নাড়তে লাগলো.
আশ্চর্য... যে কুকুরটা বাড়ির ভেতরে ঢুকে বসে থাকে আজ সে ভেতরে ঢোকা তো দূরের কথা বাড়ির গেটের কাছেও আসছেনা.
চলবে......
বন্ধুরা নতুন আপডেট কেমন লাগলো জানাবেন. ভালো লেগে থাকলে Like ও Reps দিতে পারেন. একজন লেখক কে inspiration দিতে ঐটুকুই যথেষ্ট.