25-08-2020, 10:30 PM
পরের দিন সকালে আমার ঘুম ভাঙতে একটু দেরি হল, স্বাভাবিক আসলে রাতে ঘুম আসতে অনেক দেরি হয়েছিল তো তাই। সে যাই হোক, আমি ঘুম থেকে উঠে বাথরুম এর দিকে যেতে গিয়ে হটাৎ থমকে দাঁড়ালাম, আসলে আমাদের কিচেন থেকে সুমতি আর মায়ের গলা আসছিল, তাই একটু কৌতূহল বসত এগিয়ে গেলাম। সুনলাম মা সুমতি কে বলছে কার যে নজর লাগল আমাদের উপর কে জানে, ওর বাবার মত এমন ভালো মানুষ কি সব ঝামেলায় জরিয়ে পরছে দেখত, ভাবা যায়। এটা শুনে সুমতি বলল বৌদি একটা কথা জিজ্ঞেস করব? মা বলল, হাঁ বল না কি? বৌদি এর মধ্যে তোমাদের কি কারুর সঙ্গে জগরা ঝামেলা কিছু হয়েছে? মা একটু ভেবে বলল, কই না তো, আমাদের আবার কার সঙ্গে কি হবে? তাছারা তুমি কি বলতে চাইছ বলত? না না আমি কিছু বলতে চাইছি না, আমি জানতে চাইছিলাম এমন কিছু হয়েছে কিনা আসলে দাদা র মত এমন লোক তো আর টাকা পইসার ঝামেলা করবে না, তাহলে কি কেউ কিছু?......মানে আমি জাস্ট……………মা বলল না না বুজেছি তুমি কি বলছ। তুমি ঠিক ই বলেছ এটা হতেই পারে বলেই একটু অন্য মনস্ক হয়ে কি ভাবতে লাগল আর তারপর বলল একটা বেকার ঝামেলা হয়েছিল হপ্তাখানেক আগে এক অতি লুচ্ছা জানোয়ার এর মত ছেলের সঙ্গে, এত গজরাছিল ছেলেটা, আমার মনে হল এ নিতান্তই অসভ্য বজ্জাৎ কিন্তু ফাঁকা আওয়াজ ছাড়া আর কি দেবে এমন জানোয়ার, মানে একেবারেই পাতি ওটাকে গুরুত্ব দেওয়ার মত কিছু আছে বলে আমি ভাবিনি, তোমার দাদা অবশ্য বলেছিল দেখবে ব্যাপার টা তারপর আমিও ভুলে যাই, কিন্তু…………………………???? কিন্তু কি বৌদি? ব্যাপার টা কি ছিল? ঐ অঙ্কন এর কলেজের এক বন্ধুর দাদা আমাকে খুব বাজে ভাবে……………বাজে ভাবে কি বৌদি? কি বলি বলত এত লজ্জা করে, সুমতি কে দেখলাম মুখ টা উল্টো দিকে চট করে ঘোরাল আমি তৎক্ষণাৎ ওখান থেকে দরজার আড়াল হয়ে গেলাম, আসলে মুখটা ঘুরিয়ে আঁচলে মুখ ঢেকে সুমতি বলল, ঢং বাপরে, পশু টার কপালে যে কি সুখ নাচছে! এই লজ্জাবতি কে ঐ ১১ ইঞ্ছি দিয়ে ভাঙবে মাগো আমারি কেমন কেমন করছে। মা সুমতি কে একটু ছোট ধাক্কা দিয়ে বলল কিগ কিছু বলছ নাকি? সুমতি না না বৌদি, তুমি বল কি বলছিলে আমার কাছে কি লজ্জা করবে…….।। আসলে ঐ ছেলেটা আমাকে খুব বাজে কথা বলছিল আমার দিকে খুব বাজে ইঙ্গিত করছিল, মানে মানে আমাকে খাওয়ার কথা বলছিল অঙ্কন আর ওর বন্ধু দের সামনেই, প্লিজ আমি থেকে বেশি আর বলতে পারবনা। সুমতি বলল না না বৌদি ঠিক আছে। তারপর একটু চুপ করে থেকে বলল আচ্ছা বৌদি ছেলেটার নাম কি? মা বলল ঐ হোসেন না কি জান একটা নাম………শুনেই সুমতি বলল কি বলছ বৌদি হোসেন? বাপরে………… তোমরা সাবধানে থাক ওর হাথ থেকে বাঁচা মাগো মা………মা বলল মানে? তুমি কি বলতে চাইছ! সুমতি বলল না না বৌদি আমি কিছুই বলছি না আসলে ছেলেটা এতটাই বাজে না কি বলব যেন তেন প্রকারনে ওর শুধু মাগি চাই, আর এত ফেরসাস না বৌদি কি বলব যদি পটিয়ে তুলতে না পারে তাহলে……………………মা গো মা ………ও জানোয়ার টা সব করতে পারে………………তুমি হয়ত জান না বৌদি ঐ পাশের পাড়ার এক পুলিশের বউ কে ও অব্দি ও ……………উফফফফফফফফফফফফফফফফ কি যে বলি…………শুধু এটুকু জেনে রাখ যে ঐ পুলিশের টাকায় প্লেনের টিকিট কেটে উঠির এক লজে গিয়ে প্রায় এক হপ্তা ধরে ওরই বউকে ঝেরে এসেছে ঐ পশু টা। আর তাছাড়া খুব রিসেন্টলি প্রমিলা ম্যাডাম ……মানে ওটা তো এখন সবাই যানে………। মা বলল সবাই কি যানে? আর প্রমিলা ম্যাডাম মানে ঐ সামনের হাই কলেজ এর বাংলার দিদিমনির কথা বলছ কি? সুমতি বলল হাঁ হাঁ ওর কথাই বলছি, ওকে প্রেগন্যান্ট করে দিয়েছে জানোয়ার টা শোননি তুমি? মা বলল না না আমি এসব এর কি জানব তাছাড়া ঐ দিদিমনি কে তো আমার খুব ভদ্র সভ্য মানুষ বলে মনে হয়, উনি এমন এক ছেলের সঙ্ঘে কি করে???? সুমতি বলল ওটাই তো ও যখন নজর পরে তখন যেভাবেই হোক তার সর্বনাশ হয়েই যায় আর তাছাড়া ওর তো এমন ভদ্র সুভ্য সাধারন গৃহবধূ ই এক রখম নেশা…………তাই বলছিলাম তুমি সাবধানে থেক, কি যে করবে কে জানে! মা এটা শুনে ভিশন রেগে গেল……মানে তুমি কি বলতে চাও ছি ছি ছি ছি এসব কি, কাল থেকে তোমাকে আর কাজে আসতে হবে না ছি, মুখে কিছু আটকায় না তোমার যা তা বলছ। আর শুনে রাখ তোমার ঐ মহিমাময় জানোয়ার টি কে আমি পায়ের তলায় রাখি বলে মুখ ঘুরিয়ে নিল। সুমতি চলে যাছিল্ল যেতে যেতে বলল রাখতে পারলেই ভালো বৌদি কারন তুমি ওকে পায়ের তলায় না রাখতে পারলে ও তোমায় অন্য কিছুর তোলায় রাখবে। মা এত রেগে গেল যে প্রায় সুমতি কে মারতে গেল আর বলল এখুনি বেড়ও আমার বাড়ি থেকে তোমার মুখ দেখতে চাই না…………সুমতি বলল যাচ্ছি যাচ্ছি তবে খুব তাড়াতাড়ি তোমাকে আমার মুখ দেখতে হবে।